নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি আমার রাতবন্দিনী। ধূসর স্বপ্নের অমসৃণ সুউচ্চ দেয়াল তুলে তোমাকে আমি বন্দী করেছি আমার প্রিয় কালোর রাজত্বে। ঘুটঘুটে কালোর এই রাজত্বে কোন আলো নেই। তোমার চোখ থেকে বের হওয়া তীব্র আলো, আমার হৃদয়ে প্রতিফলিত হয়ে সৃষ্টি করে এক অপার্থিব জ্যোৎস্না।

জাদিদ

ব্যক্তিগত ব্লগ।

জাদিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাপিত জীবনঃ ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান এবং ধার্মিকদের অসহায়ত্ব।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:২৭

বহুদিন পর ব্লগে আসলাম। ইদানিং ব্যস্ততার কারনে ব্লগে আসার সুযোগ হচ্ছে না পাশাপাশি ব্লগে কিছু ব্লগারদের অদায়িত্বশীল আচরনের খবর যখন ফেসবুকে বসে দেখি বা বিভিন্ন সময়ে ইমেইলের মাধ্যমে জানি তখন মনটা বিষিয়ে উঠে। মনে হয় নিজের মুল্যবান সময় নষ্ট করে শিশুতোষ ঝগড়াঝাটি দেখার সুযোগ কোথায়?

গতকাল ফেসবুকে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, পোষ্টের বিষয়বস্তু ছিলো ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থানের লক্ষনে আমাদের মত সাধারন ধর্মপ্রাণ মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে। আমি লিখেছিলাম,

পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে ধর্মীয় ও আদর্শগত উগ্রবাদ। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে যে ফসলটির বাম্পার ফলন হয়েছে তার নাম ধর্মীয় উগ্রবাদ – ধর্মীয় আদর্শ বা শিক্ষা নয়। দেশে যদি সত্যি ধর্মীয় শিক্ষা বা আদর্শের জাগরন হতো, সেটা স্বাগত জানাতে আপত্তি ছিলো না কিন্তু দেশে যা হচ্ছে সেটা বিপদজনক। এর ফলাফল ভোগ করবে শান্তি প্রিয় ধার্মিক মানুষরাই। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের এই সকল উগ্রবাদী চিন্তার মানুষজন ও উগ্রবাদী রেজিম থেকে রক্ষা করুন।

আমার সেই পোস্টে আমাদের একজন সম্মানিত ব্লগার শেরজা তপন মন্তব্য করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ধর্মীয় উগ্রবাদের থেকে তো ভাই আমার মনে হয় জাতীয়তাবাদ উগ্রবাদের জন্য পৃথিবীতে বেশি হত্যাকান্ড ঘটেছে। হিটলার, তৈমুর লং, হালাকু ও চেঙ্গিস খান, গ্রেট আলেকজান্ডার থেকে শুরু করে হাল আমলের পুতিন পর্যন্ত ( বেশীরভাগ জাতীয়তাবাদকে ধর্মের লেবাসে মুড়ে জনগণের বৃহৎ অংশকে সম্পৃক্ত করা হয়।)

সত্যি বলতে মোটা দাগে তপন ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে জাতীয়তাবাদী উগ্রবাদ দিয়ে ধর্মীয় উগ্রবাদকে মিনিমাইজ করা যাবে না। জাতীয়তাবাদী উগ্রতা সাধারণত রাষ্ট্রীয় শক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন অর্থাৎ তা রাষ্ট্রের সীমা, শাসক বা জাতিগত স্বার্থের মধ্যেই পরিচালিত হয়।

আমি তার মন্তব্যের জবাবে লিখেছিলাম ধর্মীয় উগ্রতা রাষ্ট্রের সীমা মানে না; এটি নৈতিক, আধ্যাত্মিক বা পরকালীন উদ্দেশ্যের নামে মানুষকে হত্যা, ঘৃণা ও ধ্বংসকে ন্যায্য মনে করাতে পারে। এটাকে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা ক্ষেত্র বিশেষে ধর্মের নেই।

আমাদের আশেপাশে বহু মানুষ আছেন যারা আমার পোস্টটি পছন্দ করবে না কিন্তু আপনার মন্তব্যটি পছন্দ করবেন শ্রেফ এই কারনে যে আমি এখানে ধর্মীয় উগ্রতার কথা লিখেছি।

দুঃখজনকভাবে হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের জনগণ ধর্মপ্রাণ, কিন্তু ধর্মতাত্ত্বিকভাবে অশিক্ষিত একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী এখানে বাস করে। ধর্ম শিক্ষার ক্ষেত্রে যে বৈচিত্র্যহীন কাঠামোতে আমাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে, সেটা থেকে উদ্ধার করার মত বা ‘এনলাইটেন’ করার মত কোন নিঃস্বার্থ উদ্যোগ আমার বিগত বছরগুলোতে চোখে পড়েনি অল্প কিছু ব্যতিক্রম বাদে। ফলে অনেকের পক্ষে এটা বুঝতে চাইলেও সম্ভব নয় যে – আমি মুলত এখানে ধর্মের পক্ষেই কথা বলেছি, তারা যে শান্তিপ্রিয় ধর্মের অনুসরন করতে চান, আমি সেটার পক্ষেই বলেছি।

অবশ্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের যে ব্যবহার আছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে যা দেখা যাচ্ছে, তাতে এখন যদি ধর্ম নিয়ে কোন কারনে সমালোচনা করি, তাতে একটা শ্রেনী পোট্রে করার চেষ্টা করবে আমরা কোন নির্দিষ্ট গোষ্ঠির বিরুদ্ধে বলছি।

কারন বাংলাদেশে ধর্ম শুধু বিশ্বাস নয় বরং সামাজিক পরিচয় ও মর্যাদার অংশ। ফলে আপনি দেখবেন আমাদের অনেক অসৎ ব্যবসায়ীদের নামের আগে হাজী থাকে। হাজী নামটি তাদের প্রয়োজন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নয় বরং সামাজিক মর্যাদা ও পরিচয়ের জন্য।

তাই আমাদের দেশে সুর্যের চেয়ে বালি বেশি গরম থাকে। ফলে ধর্মের নামে এখানে বিভ্রান্তি, রাজনীতি এবং উগ্রবাদ ছড়ানো অনেক সহজ। আপনি আজকে আমাকে ধর্মের শত্রু বা আমার কারনে আপনার ঈমান বিপন্ন বলে ডাক দেন – দেখবেন কেউ এখানে কোন যুক্তি খুঁজবে না, আবেগ দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে। যার পরিনতিতে আমার কপালে জুটবে গণপিটুনি অথবা কোন সো কল্ড ইসলামিক স্কলারের ফতোয়া অনুসারে গর্দানে কোপ।

আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু যিনি ইউরোপের একটি বিখ্যাত দেশ থেকে পড়াশোনা করেছেন, তিনি একজন ধার্মিক মানুষ। কিন্তু আমি রিসেন্টলি তার আচার ব্যবহারে এক ধরনের অদ্ভুত বিপদজনক গন্ধ পাই। অপুর্ব রায়ের ঘটনায় তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহবান জানিয়েছেন, কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য। এমনকি আমাদের সহপাঠি একজন হিন্দু ধর্মের অনুসারী তাঁর প্রতিও তার আচরন ভয়াবহ রকমভাবে বিদ্বেষমুলক হয়ে গিয়েছে।

আমরা সবাই জানি, নানা কারণে বাংলাদেশের সমাজে ধর্মীয় উগ্রবাদের বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে। এই উগ্রবাদ থেকে প্রকৃত লাভবান হয় মূলত ধর্মের ব্যবসায়ীরা—যারা বিশ্বাসকে পুঁজিতে পরিণত করে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে। যদি বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক, আধুনিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের হাতে পরিচালিত হতো, তাহলে আমরা দেখতাম—এই দেশে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে কর্মমুখী শিক্ষা, দক্ষ মানবসম্পদ গঠন, এবং আইনের দৃঢ় শাসন। ফলে ধর্মীয় উগ্রবাদের ঝুঁকি হ্রাস পেতো।

এখন আমরা প্রচন্ড ঝুঁকিতে আছি। অনেকেই ব্যাপারটি স্বীকার করবেন না কিন্তু যেদিন আপনার উপর আসবে, সেদিন আপনি টের পাবেন আসলেই অনেক দেরি হয়ে গেছে।

বিঃদ্রঃ যৌক্তিক যে কোন বির্তকে আপনাকে স্বাগতম অপ্রসাঙ্গিক যে কোন মন্তব্য মুছে দেয়া হতে পারে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: কীসের উগ্রবাদ? প্রথম পাতাতেই এখন পোস্ট ঝুলতেছে যে সব জঙ্গি হাপিশ হয়ে গেছে, এখন আর কুনু উগ্রবাদ নাই, খালি শান্তির সুবাতাস! ওখানে আবার সহমত জানায় আসতেছে অনেকেই।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

জাদিদ বলেছেন: হ্যাঁ। এই ধরনের পোস্টগুলোতে যদি কোন ব্লগার এগিয়ে এসে তথ্য প্রমান দিয়ে এর বিপক্ষে কিছু বলত তাহলে আমার ধারনা সমসাময়িক ব্লগাররা বুঝতেন কোন প্রোপাগান্ডার আর কোনটা ফ্যাক্ট।

যারা বলেন কোন জঙ্গি নেই - তারা এক ধরনের ফ্যালাসিতে ভুগছেন। দেশে হাজার হাজার জঙ্গি মানসিকতার লোকজন ধার্মিক পরিচয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫২

আরইউ বলেছেন:



জাদিদ,

ইন্টারেস্টিং টপিক। ধর্ম না জাতীয়তাবাদ কোনটা বেশি ধ্বংস/ মৃত্যুর জন্য দায়ী তা নির্ধারণ করা সম্ভবত খুব কঠিন। এখন যারা বলে জাতীয়তাবাদ বেশি যুদ্ধ আর মৃত্যু এনেছে, আমি কিন্তু কাউন্টার আর্গুমেন্টে বলতে পারি ধর্মের কারণে আরও বেশি রক্তপাত হয়েছে। আগের দিনের ধর্মীয় যুদ্ধ (যেমনঃ ক্রুসেড, ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্টদের মধ্যে ত্রিশ বছরের ধর্মীয় যুদ্ধ), এসব সময় মানুষের সংখ্যা ছিল কম, কিন্তু ধ্বংস ছিল ভয়ংকর। অনেকের পছন্দ হবেনা কিন্তু তারপরও দেখুন, ইসলামী বিজয় ও প্রসার, মধ্যযুগের জিহাদ, আবার বিভিন্ন সময়ের খ্রিস্টান ইনকুইজিশন এসবওতো ধর্মের নামে পুরো সম্প্রদায়কে টার্গেট করা/ ধংস করা/ হত্যা করা, তাইনা! এসব ঘটনা কিন্তু তখনকার জনসংখ্যার অনুপাতে ভয়ংকর রকমের বড় ছিল। ধর্ম তখন থেকেই শাসন, আইন, রাজনৈতিক পরিচয় এসবকিছুর সঙ্গে জড়িত ছিল। জাতীয়তাবাদ তো অনেক পরে এসেছে, এই সেদিন ফ্রেন্চ রেভ্যুলশেনের সময়ে। ১৮ শতকের আগে আমার জানামতে ন্যাশনালিজম-এর বড় ছিল গোষ্ঠি, ধর্ম, লোকাল রুলস/রেগুলেসনস। তাই মাথাপিছু হিসাব করলে, ধর্মীয় সহিংসতার প্রভাব অনেক বেশি ছিল বলেই মনে হয়। আমি পিউরলি ম্যাথস/ স্ট্যাট-এর পয়েন্ট থেকে বলছিঃ জনসংখ্যার অনুপাত দেখি।

আর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ -- ইভেন খুবই উচ্চ শিক্ষিত -- এদের মাঝে উগ্রতা যে হারে বাড়ছে তা ভয়ঙকর। এমনকি দেশের বাইরেও। এরা থাকবে একটা ফরেন কান্ট্রিতে, সব সুযোগ সুবিধা নেবে, আর কথায় কথায় খ্রিস্টান-নাছারাদের গালাগালি করবে। এরা স্বপ্ন দেখে জনসংখ্যা বাড়িয়ে একদিন ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া দখল করে নেবে!

যাহোক, আলোচনায় চোখ রাখবো।

ভালো থাকুন!

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



সামুটিনের দেয়া "নতুন স্বাধীনতার" অভিনন্দন পেয়েছিলেম ২০২৪ সালের আগষ্ট মাসে! এখন ২য় স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে জাতি।
শেরজার ধারণাগুলো এই ধরণের, সেটার সঠিক কারণ আছে।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:১১

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: সময়োপযোগী ও জরুরী একটি লেখা। পড়ে ভালো লাগলো। চোখে পানি এসে গেল। না বললে অবিচার হবে যে, প্রকৃত জ্ঞানী ও বিদ্ব্যান ছাড়া এই রকম একটি মূল্যবান পোস্ট লেখা আসলেই সম্ভব নয়। যদিও জানি নিন্দুকেরা অনেক কথাই বলবে, কিন্তু আপনি সত্য ও আলোর পথে আছেনএটাই সবচেয়ে বড় কথা। আপনার লেখার মাধ্যমে একজন মানষেরও চক্ষু উন্মেষিত হয় এর চেয়ে বড় পাওনা আর কি হতে পারে?

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:১১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ধর্মীয় উগ্রবাদ ছিলো, আছে এবং থাকবে এটা কোনভাবেই রোধ করা সম্ভব নয় তবে যদি তা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে অর্থাৎ সহনীয় পর্যায়ে থাকে ( সহনীয় পর্যায় বলতে কদাচি ঘটনা) তাহলে ভয়ের কিছু নেই কিন্তু সেটাকে রাস্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মিডিয়াকে হাতের মুঠোয় নিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করা হয় কারো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য অথবা আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকার আশায় তা হলে সেটা দেশের জন্য মন্দ বৈ ভালো কিছু না।

তবে আমাদের বাংলাদেশিদের সমস্যা হলো নিজেদেরকে মডারেট প্রমান করতে গিয়ে ইসলাম ধর্মকে হেয় করা, আম্লিগের চেতনা ধারন করা, ভারতকে মহান মনে করা এবং পাকিস্তানকে সর্বতভাবে ঘৃণা করা একদম অপরিহার্য এর কোনটির ব্যর্তয় ঘটলে আপনি বাংগালী না, আপডিন মডারেট না তখন আপনি পাকি প্রেমী, জঙ্গী, রাজাকার ট্যাগ তার সংগে থাকবেই।

ইদানিং ভারত আমাদেরকে ধর্মীয় উগ্রবাদের সবক দিচ্ছে অথচ সারা বিশ্বে ধর্মীয় উগ্রবাদের বাড়বাড়ন্ত এখন ভারতে ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। সেখানে রাস্ট্রযন্ত্র থেকে যে অচ্ছুৎ ব্যক্তি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেনা সেও ধর্মীয় উগ্রবাদের বেড়াজালে জড়িয়ে পরেছে সে তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। তবে তাই বলে আত্নতৃপ্তীর কোন সুযোগ নেই।

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মশিউর @ ধর্মীয় উগ্রবাদ ছিলো, আছে এবং থাকবে এটা কোনভাবেই রোধ করা সম্ভব নয় তবে যদি তা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে অর্থাৎ সহনীয় পর্যায়ে থাকে ( সহনীয় পর্যায় বলতে কদাচি ঘটনা) তাহলে ভয়ের কিছু নেই ।

সহনীয় পর্যায় বলতে কি বুঝাতে চান ? ধরেন ছেলেপুলের মন চাইলো আজকে গান বাজনা করবে ; ধর্মীয় উগ্রবাদি আংকেল বললেন না আমার এলাকায় এসব চলবে না , এসব হারাম । সিনেমা হল চলবে না বলে ফতোয়া দিলেন । কেএফসি চলবে না বলে বলে ফতোয়া দিয়ে হামলা করলেন কারণ উহা ইসরায়েল কে টাকা দেয় । কবর থেকে লাশ উঠিয়ে পুড়িয়ে দিবেন । নাটক , নায়িকাদের(নটি ;) ) শো রুম উদভোধন করতে দিবেন না । শ'খানেক মাজার ভাঙবেন কারণ দরগা পুজা হারাম কিনতু নিজে গিয়ে ভোটের জননো দুরগা পুজায় ঠিকই হোলি মাখাবেন এগুলোর মাঝে সহনীয় ঘটনা কোনটা ?

শেখ হাসিনা এখন নেই । এখন কাউকে জংগি tag দিয়ে জেলে ভরার সুযোগ নেই । সব কিছু তো নরমাল ভাবে চলার কথা । তাহলে উপরের ঘটনাগুলো কেন ঘটছে ?

ধর্মীয় উগ্রবাদ কি জামাত-বিএনপি-ইনটেরিম কেউ control এ আনতে পেরেছে ? ইনটেরিম এখন primary ইশকুল সহকারি টিচার নিয়োগ দিতে পারছে না ধর্মীয় উগ্রবাদি আংকেলদের কারনে । আংকেলদের দাবি গান বাজনার টিচার নিয়োগ দেয়া যাবে না রিলিজিয়াস টিচার নিয়োগ দিতে হবে । না হলে লং মারচ।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৭

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



"নতুন স্বাধীনতা"র ফলে শীঘ্রই প্রাইমারী স্কুলগুলোতে ছাত্র দ্রুত কমে যাবে।

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখন সাধারণ জনগণের কি করতে হবে ? ধর্মীয় উগ্রবাদ আপনি কি শেখ হাসিনার পতনের পরই টের পেয়েছেন ? আপনি কি মনে করেন শেখ হাসিনা সঠিক কাজ করেছেন ধর্মীয় উগ্রবাদ দমনে ? সাধারণ জনগন যদি ধর্মীয় উগ্রবাদের কারণে panic ফিল করে তখন লিগ কে আবার ফিরিয়ে আনা উচিত হবে ? :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.