নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ আমি ভুলতো থাকতেই পারে ! তবে গ্যারান্টি দেই, অমানুষ নই !

মো: আবু জাফর

https://www.facebook.com/RajshahirAmm

মো: আবু জাফর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বানেশ্বরে এক কিলোমিটার পথ বাসে যেতে সময় লাগে আধা ঘন্টা ! রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের উপর বসে আমের হাট

০৭ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:০৭





বানেশ্বরে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের উপরে বসছে আমের হাট। প্রতিদিন হাজার হাজার মণ আম উঠছে বানেশ্বর হাটে। কিন’ হাটে জায়গা না থাকায় আম কেনা বেচা হচ্ছে মহাসড়কের উপরে। ফলে প্রতিদিন দুপুরের পর বানেশ্বর ট্রাফিক মোড় থেকে কলাহাটা পর্যন্ত ১ িলোমিটার রাস্তায় দীর্ঘ যানজট হচ্ছে। এই এক কিলোমিটার রাস্তা বাসে পার হতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সময় ব্যয় হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। মাসে আট দিন হাটবারে (শনিবার ও মঙ্গলবার) কাঁচামাল নিয়ে মহা-সড়কের উপর বসার কারণে এমনিতেই সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মহাসড়কের উপর দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তার উপর এবার প্রতিদিন মহসড়কের উপর আমের হাট বসায় সড়ক দিয়ে যান চলাচল দুস্কর হয়ে উঠেছে। শনিবার ও মঙ্গলবার হাটের অন্যান্য কাঁচা-মালের সঙ্গে আমের হাট বসায় ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো দশা হয়েছে। রাজশাহী-ঢাকা সড়কে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের চালক আজগর আলী জানান, আম মৌসুমে দুপুরের পর কোন দিনই আধা ঘন্টার আগে বানেশ্বরের এক কিলোমিটার রাস্তা পার হওয়া যায় না। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় একটি বাসে বানেশ্বর কলা-হাটা থেকে বানেশ্বর ট্রাফিক মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে এ প্রতিবেদকের সময় লেগেছে ৩২ মিনিট।



এসময় দেখা গেছে, সড়কের দু’পাশে হাজার হাজার মন আম ভ্যান ও নসিমন-করিমনের উপরে নিয়ে বিক্রির অপেক্ষা করছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা সেখানেই দাম দর করে কিনছেন আম। এরই মাঝে সড়কের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ টি ট্রাক রেখে চলছে আম বোঝাইয়ের কাজ। ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। দুপুরের পর এভাবেই যানবাহন চলাচলের জন্য নির্মিত মহাসড়কের পুরোটাই চলে যায় ব্যবসায়ীদের দখলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরে অর্ধ কোটি থেকে পৌনে এক কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয় বানেশ্বর হাট থেকে। কিন’ হাটটি শত বছর পেরুলেও এর জায়গা বৃদ্ধি করা হয়নি। উল্টো স’ানীয় প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে হাটের জায়গা। ফলে হাটটি হারিয়েছে তার ধারণ ক্ষমতা। ব্যবসায়ীরা হাটে জায়গার অভাবে মহাসড়কে মালামাল নিয়ে বসতে বাধ্য হচ্ছেন।

বানেশ্বর হাটের ইজারাদার ওসমান আলী জানান, চলতি বছর হাটটি থেকে রাজস্ব এসেছে ৪৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। বিগত সময়ে এই হাট থেকে বছরে সর্বোচ্চ পৌনে এক কোটি টাকা পর্যন্ত রাজস্ব এসেছে। কিন’ কখনোই হাটের জায়গা বৃদ্ধির কিংবা অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়নি। ফলে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই রাস্তায় বসছেন।



এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম তারেক বলেন, বানেশ্বর হাটের জায়গা বৃদ্ধির কাজ চলছে। বানেশ্বর ইউনিয়ন তহসিল অফিসের জায়গা এতোদিন অবৈধ দখলে ছিলো। তা উদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসে উচ্ছেদ করে যারা রাস্তায় বসেন তাদের দিয়ে সেখানে হাট বসানো হবে। এছাড়া গরুহাটার একটি ডোবা ভরাট কার্যক্রম চলছে এবং ইয়ুথ ফেডারেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাটের ভিতরে, তা অচল ঘোষণা করে জায়গাটি হাটের জন্য ফাঁকা করে দেওয়া হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে রাস্তা থেকে হাট তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:২২

আমি-মুসাফির বলেছেন: এবার দয়া করে বলুন বানেশর জায়গাটি কোথায়?
এটি কোন জেলার অন্তর্গত?
কাছাকাছি কোন রেল স্টেশন আছে কি?

২| ০৭ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:২৫

অর্ফিয়াস বলেছেন: দেশটার কোথাও আইনের কোন প্রয়োগ নেই। একটা ব্যস্ত রাস্তার মাঝে বসে এমন বাজার..দেখার কি কেউ নাই নাকি?

০৭ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫৪

মো: আবু জাফর বলেছেন: দেখার কেউ থাকলে ৪০ বছরপর দেশের এই হাল কি থাকতো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.