![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ মানুষ
ইদানিং কিছু বিশেষ মুমিন মুসলমান ইমানি জোশে বলিয়ান হয়ে , যুক্তি তর্কের ভাণ্ডার নিয়ে মুখিয়ে আছে নাস্তিকদের বা সেই সব সাধারণ প্রগতিশীল মুসলিমদের বা নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নারীদের, এক হাত দেখে নেয়ার জন্য। প্রতি নিয়ত যুক্তি তর্কের আহবান যানাচ্ছে। বিতর্কও তারা করছে।আমি ইদানিং তাই দেখছিলাম চুপিসারে। ভেবে ছিলাম চুপ করেই থাকব।কিন্তু পারলাম না।বিশেষ করে কাওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের যুক্তির নামে, অযৌক্তিক , ভয়াবহ ও ইসলাম বিরুদ্ধ এবং হাস্যকর ব্যখ্যা গুলো শোনার পর।এই ধরনের ইসলামিক ব্যখ্যা একজন মুমিন মুসলমান কিভাবে করে? একটা ঘটনার উল্লেখ করছি,
এক ফেইস বুক গ্রুপে এক নাস্তিক বোন অভিযোগ করে, “রাসুল (সাঃ) রাস্তায় এক বেগানা নারীকে দেখে কামউদ্দিপক বা উত্তেজিত হয়ে পরে (নাউযুবিল্লাহ)। সেজন্য তিনি দ্রুত তার স্ত্রী যয়নব (রাঃ) এর কাছে যায় এবং সহবাস করে"। দলিল হিসাবে নিন্মক্ত হাদিসটি পেশ করা হয়,
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ (كتاب النكاح)
হাদিস নম্বরঃ ৩২৯৮
কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে গিয়ে মিলিত হয়।
৩২৯৮-(৯/১৪০৩) আমর ইবনু আলী (রহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলাকে দেখলেন। তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তার একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন। অতঃপর বের হয়ে সাহাবীগণের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়ত্বানের বেশে এবং ফিরে যায় শায়ত্বানের বেশে। অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে। কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেয়।* (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ৩২৭৩, ইসলামীক সেন্টার ৩২৭১)
* স্ত্রীলোকের শয়তানের আকৃতিতে আসার অর্থ হল, কৃপ্রবৃত্তিকে উস্কে দেয় ও যিনার প্রতি উৎসাহিত করে এবং যিনা তথা স্ত্রী সহবাস করার আস্বাদকে স্মরণ করে দেয় যা শায়ত্বানী প্রভাব। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ]
এর জবাবে মুমিন ভাইটি লিখেন, “এবার আসুন হাদিস থেকে আমরা কি জানতে পারলাম ও শিখলাম। আমরা জানি রাসুল সাঃ একজন মানুষ। তাহলে মানবিকগুনাবলি তার মধ্যে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সর্বোপরি রাসুল ছিলেন আমাদের শিক্ষক তাহলে দেখুনতো রাসুল এই ঘটনার দ্বারা আমাদের কতো সুন্দর একটা জিনিস শিক্ষা দিলেন, আমরা মানুষ, বেগানা নারী দেখলে পুরুষের উত্তেজনা হবে এটাই স্বাভাবিক, চিকিৎসা বিজ্ঞানও আমাদের এই কথা বলে, নারী পুরুষকে আকর্ষিত করে, তাহলে আমাদের কি করা উচিত সেই জিনসটাই আমরা এই হাদিসটা থেকে শিক্ষা পাই যে যদি আমরা এহেন পরিস্থিতির শিকার হই তাহলে যেনো আমরা দ্রুত আমাদের বিবিদের কাছে গিয়ে নিজের উত্তেজনাকে প্রশমিত করে নেই, তা নাহলে আমাদের দ্বারা ধর্ষনের মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। ধর্ষন ও ব্যাভিচার রোধে রাসুল সাঃ এর দেখিয়ে যাওয়া অনেকগুলো উপায়ের মধ্যে এটাও একটা উপায়।
তাহলে নাস্তিকরা কি চায় যে আমরা এইভাবে উত্তেজনা কে প্রশমিত না করে শিয়াল কুকুরের মতো নারীদের উপরে ঝাপিয়ে পরি। ও না তারা হয়তো বলবে কেনো আপনার নারী দেখলে কামভাব জাগবে তাহলে আমি বলবো ন্যাস্টিক ভায়া দ্রুত ডাঃ দেখান। (কলকাতা হরবাল)। মদ, গাজা, ইয়াবা তো আর সবাই খায় না যে সবার যৌনতা হ্রাস পাবে বা সবাই আপনাদের মতো ধজ্জবঙ্গ রোগে আক্রান্ত হবে।
সুতারং ধর্ষন ও ব্যভিচার রোধে রাসুল সাঃ এর শিক্ষাই বাস্তব ও সু শিক্ষা"।
আমি পুরাই টাশকি খাইলাম। বলে কি? মুমিন ভাই কিন্তু এটাই বোঝালেন, যে রাসুল (সাঃ) বেগানা নারী টিকে দেখে উত্তেজিত হয়েছিলেন (নাউযুবিল্লাহ) এবং এরুপ উত্তেজনা উঠাটা যে স্বাভাবিক তার পক্ষ্যেও যুক্তি দেখালেন,
”আমরা মানুষ বেগানা নারী দেখলে পুরুষ উত্তেজিত হবেই”,
“চিকিৎসা বিজ্ঞানও আমাদের এই কথা বলে নারী পুরুষকে আকর্ষিত করে”- আমি তো জানতাম চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে বিপরীত লিঙ্গের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণের কথা( সম লিঙ্গও তো থাকে ) , মানে নারী পুরুষ উভয়েরই পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ থাকে। সে ক্ষেত্রে কোন বেগানা নারীও আপনাকে দেখে উত্তেজিত হতে পারে। এখন কার আকর্ষণ বেশি কার কম সেটা জানতে হলে গুগল মামা কে জিজ্ঞেস করেন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সব তথ্য আপনি পাবেন।আর যদি মনে করেন সব ইহুদি নাসারাদের বানানো বা ভুল তথ্যে গুগল মামা জর্জরিত তাহলে বলব ভাই ধর্মীয় যুক্তি তে বিজ্ঞানের উদাহরণ না দেয়াই ভালো কারন ইহুদি নাসারাদের ষড়যন্ত্র আপনাকে আসল বইজ্ঞানিক তথ্য ত জানতেই দিচ্ছে না। আপনি তো আর পৃথিবীর তাবত যৌনরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেয়ে যেয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন না, আপনি কেন আমিও পারব না।
অনেক মুমিন ভাইয়েরা হয়ত বলবেন এখনকার যুব সমাজের কথা, যারা ইন্টারনেটে প্রতিনিয়ত পর্ণ দেখছে তাদের মন মানসিকতার কথা। রাত দিন পর্ণ দেখলে রাস্তা ঘাটে বেগানা নারী দেখে উত্তেজিত হতেও পারে। তাহলে বলব এখানে কথা উঠেছে সর্ব কালের সর্ব শ্রেসট মহামানবের, উনার মানসিকতা আর porn adict ছেলে গুলর মানসিকতা কি এক হওয়া উচিৎ?
এখন আবার মুমিন ভাইয়েরা হয়ত বলবেন, "মহানবী (সাঃ) আজ কের যুগের ছেলে মেয়েদের তথা আজকের পথভ্রষ্ট মানব জাতির জন্য উদাহরণ রেখে গেছেন"। তাহলে ভাই আমাকে বলতেই হয়, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রিয় রাসুল কি মানব জাতির হেদায়েত বা শিক্ষ্যার জন্য উদাহরণ হিশাবে এমন কাজ করবেন যা স্বয়ং আল্লাহ নিষেধ করেছেন। কিভাবে দেখুন।
এখানে উল্লেখিত “স্ত্রীলোক”বা “কেউ কোন স্ত্রী লোক দেকতে পেলে” কোথাও কিন্তু বলা নেই, উগ্র পোশাক নাকি ভদ্র পোশাক পরিহিতা স্ত্রী লোক। অর্থাৎ যে কোন স্ত্রী লোক, যারা রাস্তায় চলা ফেরা করে বোরখা পরিহিতা হলেও তাকে দেখে যৌন উত্তেজনা উটতে পারে।
মুমিন ভাইয়েরা এত টুকু পড়ে ই আবার কমেন্ট বক্সে ঝড় তুইলেন না ,”হতে পারে মহিলাটি অশ্লীল পোশাক পড়া ছিল, কারন হাদিসের কথাও যে অশ্লীল পোশাক যে ছিল না তা বলা নেই” বা “বোরখা পরা মেয়ে দেকলে কারও যৌন উত্তেজনা উটতে পারে না” ইত্যাদি ইত্যাদি।
হ্যা হতে পারে সেটাও আমরা ধরব। আপাতত ধরলাম হেটে যাওয়া কোন নারী। হেটে যাওয়া কোন নারী কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দেখলেন এবং দেখে উত্তেজিত হলেন যা কিনা আমার ভাইয়ের মতে স্বাভাবিক। ধরলাম স্বাভাবিক। এখন আপনারা একটু চিন্তা করে দেখেন তো এই ধরনের ঘটনা আপনাদের নিজেদের বেলায় কয় বার হয়েছে? মানে আপনি বাস এ উঠলেন, একজন নারী দেখলেন মহিলা সিটে বসে আছে, শালিন পোশাকে (আপাতত শালীন পোশাকের নারিদের কথা বলছি, অশালিনরা পরে আসছেন), আপনি তাকে দেখলেন, দুই কি তিন সেকেন্ড বা ধরলাম ২কি ৩ মিনিট ধরে দেখার পর আপনার মোবাইলে থাকা বা ইন্টারনেটে শেষ বার দেখা বা আপনার নিজের স্ত্রীর সাথে করা ভালবাশার(শারিরিক) ঘটনাগুলো আপনার মনে পড়ে গেলো। মনে পড়তেই পারে, কারন আমার ভাইয়ের মতে তাই স্বাভাবিক। এবং আপনি মহিলা সিটে বসা ভদ্র মহিলা টিকে (কারন তখন তো চোখের সামনে আর কেউ নাই, সমকামী হলে অবশ্য আলাদা কথা) আপনার কল্পনার রাজ্যে নিয়ে আসলেন। আরও কয়েক মিনিট কল্পনা করার পর আপনি সেই মহিলার(ভদ্র) প্রতি প্রবল আকর্ষণ বোধ করলেন।এতই প্রবল যে আপনি আর নিজেকে ঝাপিয়ে পড়া (আমার ভাইয়ের ভাষায় শেয়াল কুকুরের মত) থেকে থামাতে পারছেন না। তখন আপনি কি করবেন? নবীজির হাদিস অনুযায়ী আপনাকে দ্রুত বাস থেকে নেমে বাসার দিকে দৌর লাগাতে হবে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য। এমন কি কক্ষনো হয়েছে?
অথবা ধরলাম আপনি রাত ১২ টার পরে নির্জন রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে। সামনে পড়লো এক গার্মেন্টস কর্মী।যে সারা দিনের খাটনির পর বাসায় যাচ্ছে।( রাত বার টায়ও মাঝে মাঝে অনেক কর্মীর ছুটি হয়, বিশেষ করে ফিনিশিং সেক্টরের কর্মীদের)। ২কি ৩ মিনিট ধরে দেখার পর আপনি পূর্বের উল্লিখিত ধাপ গুলো পেরিয়ে প্রবল আকর্ষণের ধাপে এসে পোঁছালেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ধর্ষণ থামাতে আপনি হাটার গতি বাড়ালেন। দ্রুত ঘরে আসলেন দেখলেন আপনার স্ত্রী কোন কাজ করছেন বা ঘুমাচ্ছেন বা ধরলাম টি ভি দেকছিলেন। আপনি দ্রুত আপনার প্রয়োজন মেটালেন। হয়েছে এমন কক্ষণও???
প্রিয় মুমিন ভাইয়েরা আমার বয়স ৩৪ বছর, বিবাহিত, এক সন্তানের জনক। মদ গাজা ইয়াবা খাই না, আমার যৌন ক্ষমতা ও হ্রাস পায় নাই (যহেতু এক সন্তানের জনক) আমি সাধারন মানুশ।রাস্তা ঘাটে হাটা চলা করার সময় অনেক বেগানা নারী আমার চোখে পরে ,বিসেশ করে যারা গার্মেন্টসে চাকরি করেন।আমি দীর্ঘ সাত বছর গার্মেন্টস এ চাকরী করেছি, আমার ৩৪ বছর বয়সে কক্ষনও তাদের কে দেখে এমন উত্তেজনা যাগেনি যে আমাকে সাথে সাথে বা পরে বাসায় গিয়ে সেই উত্থিত উত্তেজনা প্রশমন করতে হয়েছে। হ্যা কিছু উগ্র পোশাক পরিহিতা বা রাস্তার পোস্টার বা বি গ্রেড সিনেমার পোস্টার দেখে সাময়িক ভাল লাগা অনুভব করেছি কিন্তু সেরকম ভয়ংকর উত্তেজনা অনুভব করিনি।যাই হোক, আমার না হোক ধরলাম অনেকেরই উত্তেজনা উঠে।
যাদের এমন উত্তেজনা একবারও উঠেছে বা ঘণ ঘন উঠে বা প্রতি দিনই উঠে তারা
ভালো ভাবে খেয়াল করুন, নবীজি মহিলাটিকে দেখলেন, যেমন আপনি দেখলেন। দেখার জন্য ধরলাম ২ সেকেন্ড এবং ১,২,৩,৪,৫ ধরলাম ন্যূনতম পাচ সেকেন্ড সময় আপনার লাগলো প্রবল আকর্ষণের ধাপে পৌছাতে যা আপনাকে অনাকাঙ্খিত ধর্ষণের দিকে ঠেলে দিবে। কিন্তু প্রথম ২সেকেন্ড সময়ের মধ্যে আপনি আরেকটি কাজ করতে পারেন যা মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের জন্য সরাসরি করতে বলে দিয়েছেন।
সুরাঃ আল-নুর
আয়াতঃ৩০
অনুবাদঃ শায়েখ আব্দুল হামিদ ফাইজী
(৩০) বিশ্বাসীদেরকে(অনেক অনুবাদে “মুমিনদেরকে” আছে) বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে[1] এবং তাদের যৌন অঙ্গকে সাবধানে সংযত রাখে;[2] এটিই তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। ওরা যা করে, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে অবহিত।
আবার মুমিন ভাইয়েরা কমেন্টে ঝড় তুইলেন না, “কোরআনের কোন সুরার আয়াত থেকে কিছু বুঝতে হলে অবস্থা, আয়াত নাযিলের সময়ের পরিস্থিতি, বিভিন্ন তাফসির,হাদিসের পূর্ণ জ্ঞান ইত্যাদি ইত্যাদি থাকতে হবে”। অথবা “এর পরের আয়াত দেখেন সেখানে কি বলা আছে?”
অবশ্যই প্রিয় ভাইয়েরা।আমরা তাও বিবেচনা করব। আপাতত এখানে নজর দেন,
এখানে বলা হচ্ছে দৃষ্টিকে সংযত কর। মানে আপনি প্রথম যে দুই সেকেন্ড সময় নিলেন মহিলাটিকে দেখতে তেমনি ভাবে নবীজি মহিলাটিকে দেখলেন, সেই সময়ের মধ্যেই আপনি আপনার দৃষ্টি নামিয়ে নিন। এবার আপনার দেখা বা নবীজির দেখা মহিলাটি শ্লীল হোক বা নগ্ন হোক বা পতিতা হোক বা নর্তকী হোক বা আমার আপনার বা কারও মা বোন হোক (যারা প্রতি নিয়ত বাসে বা রাস্তা ঘাটে যাতায়াত করেন) যেই হোক আপনার যদি তাকে দেখেই বা কিছুক্ষন দেখেই মনে উত্তেজনা জাগার সম্ভাবনা জাগে (যা আমার ভাইয়ের ভাষায় সাভাবিক) আপনি দৃষ্টি নামিয়ে নিন।আপনাকে বাস থেকে হঠাথ নেমে দৌড়াতে ও হবে না আর অসময় বাসায় গিয়ে আপনার স্ত্রী (তার ও কিন্তু ইচ্ছা অনিচ্ছা থাকতে পারে) কে জ্বালাতনও করতে হবে না। এবার আবার বলে বসবেন, “তাহলে কি সব নারীরা রাস্তায় অশ্লীল পোশাকে ঘুরুক আমি তাই চাই? “আবার আমাকে মনে করিয়ে দিতে হবে আলোচনা হচ্ছে নারিদের শ্লীল বা অশ্লীল পোশাক নিয়ে
না, শ্লীল বা অশ্লীল পোশাক দেখে আমরা উত্তেজিত হলে কি করব তা নিয়ে।"
সুরা আল নুর এর এই আয়াতের ব্যখ্যায় ইবনে কাথিরের মত তাফসীর কারকেরা বলেছেন, এই আয়াতের মাধ্যমে মুমিনদের কে চোখের যিনা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
তাহলে সেই হাদিস অনুযায়ী যদি রাসুল (সাঃ) উত্তেজিত হতেন, তাহলে কি উনার চোখের যিনা করা হতো না? আর বিশ্বনবী তার বান্দাদের জন্য উদাহরণ রাখতে গিয়ে যিনা করার মত পাপ করবেন তা কিভাবে সম্ভব?
তাহলে হাদিস যে সহিহ তার কি হবে? চলুন দেখি কি হয়,
হাদিস টি আরও কয়েক জায়গায় বর্ণিত আছে এভাবে,
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ (كتاب النكاح)
হাদিস নাম্বার: 3299
৩২৯৯-(.../...) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি স্ত্রীলোক দেখলেন...উপরের হাদীসের অনুরূপ। তবে এতে আছেঃ “তিনি নিজ স্ত্রী যায়নাব (রাযিঃ) এর নিকট এলেন, তখন তিনি একটি চামড়া পাকা করছিলেন” এবং “সে শয়ত্বানের বেশে চলে যায়" উল্লেখ নেই। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩২৭৪, ইসলামীক সেন্টার ৩২৭২)
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ (كتاب النكاح)
হাদিস নাম্বার: 3300
৩৩০০-(১০/...) সালামাহ্ ইবনু শাবীব (রহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কারো যদি কোন স্ত্রীলোক দেখে মনে কিছু উদয় হয় তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে এবং তার সাথে মিলিত করে। এতে তার মনে যা আছে তা দূর করে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩২৭৫, ইসলামীক সেন্টার ৩২৭৩)
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ১৭/ বিবাহ (كتاب النكاح)
হাদিস নাম্বার: 3279
৩২৭৯। সালামা ইবনু শাবীব (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ যখন তোমাদের কাউকে কোন স্ত্রীলোক মুগ্ধ করে এবং তা তার মনকে প্রলূব্ধ করে তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে এবং তার সাথে মিলন করে। এতে তার মনে যা আছে তা দূর করবে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
তিন জায়গার প্রথমটিতে, "স্ত্রীলোক দেখলেন" ঠিক আছে কিন্তু, “তিনি নিজ স্ত্রী যায়নাব (রাযিঃ) এর নিকট এলেন, তখন তিনি একটি চামড়া পাকা করছিলেন” এবং “সে শয়ত্বানের বেশে চলে যায়" উল্লেখ নেই। আর পরের দুটি হাদিসে কোণ টারই উল্লেখ নেই।
তাহলে? তাহলে যেহেতু হাদিসটি দুই রকম ভাবে ঘটনার উল্লেখ করছে, তাহলে দুইটার যে কোণ একটি অবশ্যই সঠিক। নাস্তিক বোন টি যে হাদিসের উল্লেখ করলেন সেটা যদি সঠিক হয়, তাহলে নবি জি চোখের যিনা করবেন যা সুরা নুর এর আয়াতের বিপরীত যায় যা সম্ভব নয়। কোণ হাদিসের বিষয় যদি কুরানের বিপরিতে যায় তবে তা সঠিক ধরা ঠিক হবে না।
এখন মুমিন ভাইটি এই যুক্তি তে না গিয়ে এরকম কুথসিত ব্যখ্যা দিলেন কিভাবে? যেখানে আমাদের দেশের হাজার হাজার মহিলাদের প্রতিনিয়ত কাজের তাগিদে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে।
তাছারা এই ধরনের হেডিং "কোন মহিলাকে দেখে কোন পুরুষের মনে যৌন কামনা জাগ্রত হলে সে যেন তার স্ত্রীর সাথে গিয়ে মিলিত হয়" কোণ হাদিস দেখলে, তাতে বর্ণিত এই ধরনের কথা থাকলে, "রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলাকে দেখলেন। তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তার একটি চামড়া পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন।" নাস্তিক বোন টিকেই বা দোষ দেই কিভাবে???????
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শুভ ব্লগিং চৌধুরী সাহেব।