![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ মানুষ
একটি "বই" এ লিখিত কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতি(আস্তিক,নাস্তিক) সবার দৃষ্টি আকর্শন করছি=============================================================================
রোগের নামঃ ধ্বজভঙ্গ
===============================================
চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
(বিজ্ঞ লেখক উক্ত বইতে এই রোগের প্রায় ২২ টি চিকিৎসা পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন। আমি তার মধ্যে থেকে যেগুলো চিত্তকে আকর্শন করে বলে মনে হয়েছে সেগুলো তুলে দিচ্ছি)।
১। কিঞ্চিত পিপুল চুর্ন ও লবনের সহিত ছাগলের অণ্ডকোষ ঘৃতে ভাজিয়া খাইলে রতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ছাগলের অণ্ডকোষ খাওয়া হারাম। অন্যান্য অসুখে সুফল না হইলে চিকিৎসকের পরামর্শ লইয়া উহা খাওয়া জায়েজ হইতে পারে।
৯। কিছু রসুন পিষিয়া উহার সহিত সম পরিমাণ আকর করার অতি মিহি গুড়া একত্রে মিশ্রিত করিবে। অতপর ওই দ্রব্য সমূহ সিক্ত হইলে সম পরিমাণ মধু মিশ্রিত করিবে। একত্রে খুব ছানিয়া কোণ পাত্রে রাখিয়া মুখ ভালভাবে বন্ধ করিবে। তিন দিন গরম গোবরের মধ্যে পাত্রটি রাখিবে। চথুর্ত দিন বাহির করিয়া মৃদু আগুনে জাল দিয়া নামাইয়া রাখিবে। প্রত্যহ সকালে এক সপ্তাহ ভক্ষন করিলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হইবে, খায়েশ বৃদ্ধি পাইবে,লিঙ্গের উত্থান হইবে। ইহাতে হৃদ রোগের উপশম হয়।
১০। এঁড়ে গরুর লিঙ্গ সুরমার ন্যায় মিহি করিবে মধু মিশ্রিত করিয়া উহা সঙ্গমের পুর্বে সেবন করিবে। ইহাতে নিজের লিঙ্গেরও পুন্রউত্থান হইবে।
১১। কুকুরের লিঙ্গ কাটিয়া লইবে। সঙ্গমের পুর্বে উরুতে বাধিবে। ইহাতে রতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। উহা উরুতে বাধা থাকাকালিন লিঙ্গ নিস্তেজ হইবে না, কামাগ্নি প্রজ্জলিত থাকিবে।
১২। মরগের কোষ দ্বয় শুকাইয়া চুর্ন করিবে উহার সহিত “মিলহে হায়দারানি” মিশ্রিত করিবে, মধু সহ মৃদু অগ্নিতে জ্বাল দিবে। খুব গাঁড় হইলে নামায়া ছানিয়া লইবে। তা দিয়া ছোট ছোট বুটিকা প্রস্তুত করিয়া লইবে। রমণী গমনের পুর্বে মুখে একটি বুটিকা ধারন করিলে উহা মুখ হইতে যতক্ষন না বাইর করিবে ততক্ষণ প্রবল আনন্দ উপভোগ করিবে। উহা আমির উমারাহদের গুপ্ত ধনও বটে।
১৩। বাদুর ও চামচিকার রক্ত পদতলে মর্দন করিলে লিঙ্গের উত্থান হইয়া থাকে।
১৪। কুকুরের সঙ্গম কালে যখন মজবুত ভাবে লাগিয়া যায় তখন সাবধানতার সহিত পুরুষ কুকুরের লেজ জড় থেকে কাটিয়া লইবে।
৪০ দিন উহা মাটির নিচে গাড়িয়া রাখিবে। অত পর মাটি হইতে বাহির করিবে এবং সুতায় বাধিয়া কোমরে ধারন করবে। যতক্ষন উহা কোমরে থাকিবে ততক্ষণ বির্যপাত হইবে না।
================================================================================
আপনাদের নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে বইটির নাম আর বিজ্ঞ লেখকের নাম। আশা করছেন আমি কোণ রাস্তার ফেরী ওয়ালার নাম বলব যারা মাইকিং করে যৌন রোগের মহা ঔষধ বিক্রি করে?
না ভাইজানেরা বইটির নাম হচ্ছে “বেহেস্তি জেওর” এবং লেখক হচ্ছেন আশরাফ আলী থানভী (জন্ম: আগস্ট ১৯, ১৮৬৩ - মৃত্যু: জুলাই ৪, ১৯৪৫) (উর্দু: اشرف علی تھانوی) ছিলেন একজন দেওবন্দী আলেম, সমাজ সংস্কারক, ইসলামি গবেষক এবং পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি ভারতের থানাভবনের নিবাসী হওয়ার কারণে তাঁর নামের শেষে "থানভী" যোগ করা হয়।ভারত উপমহাদেশ এবং এর বাইরেরও হাজার হাজার মানুষ তাঁর কাছ থেকে আত্মশুদ্ধি এবং তাসাওউফের শিক্ষা গ্রহণ করার কারণে তিনি "হাকীমুল উম্মত" (উম্মাহর আত্মিক চিকিৎসক) উপাধিতে পরিচিত। মুসলমানদের মাঝে সুন্নতের জ্ঞান প্রচারের সংস্থা দাওয়াতুল হক তাঁরই প্রতিষ্ঠিত।আর এই চিকিথসা পদ্ধতিগুলো পাবেন উনার রচিত "বেহেস্তি জেওর" এর নবম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১১৮, ১১৯ ও ১২০ এ। যা আমাদের অনেকের ঘরেই আছে।
আমি রীতিমত শিউরে উঠেছিলাম যখন শুনলাম বেহেস্তি জেওর কাওমি মাদ্রাসার পাঠ্যসূচীতে আছে।তাও আবার ক্লাস টু তে।তথ্যের সত্যতা যাচাই এর জন্য কাওমি মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। উনার কথায় কিছুটা আস্বস্থ হলাম যে কাওমি শিক্ষা ব্যবস্থার চারটা শিক্ষা বোরড, যাদের মধ্যে কেউ কেউ বেহেস্তি জেওর এর ১ম,২য় ও ৩য় খণ্ড, ক্লাস টু তে রেখেছে। আর চিকিথসা পদ্ধতিগুলো আছে নবম খণ্ডে। কিন্তু কথা হচ্ছে কাওমি সেক্টরে আশরাফ আলী থানভী অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন, শিক্ষক বা বুদ্ধিজীবী লেভেলের একজন আলেম। যদি উনার মত এই সমস্ত উদ্ভট চিকিৎসা জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তিরা কাওমির ভিত্তি গঠন করে থাকেন, তাহলে বিপদের কথা। কারন বর্তমান সময়ে এই ধরনের চিকিথসা ব্যবস্থা কেউ যদি বলে বিজ্ঞান সম্মত তাহলে তার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা সম্পর্ককে আমার সন্দেহ আছে আর যদি এই ব্যবস্থাকে ইসলাম সম্মত (যেহেতু এত বড় আলেমের লিখা) বলে মানতে বাধ্য করা হয় তাহলে নাস্তিকের সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে বই কমবে না।
এই বইটিতে আরও অনেক চিকিৎসা পদ্ধতি বা বিধান আছে যা সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য তো নয়ই, চিন্তার যোগ্যও নয়।
পর্যায়ক্রমে তা তুলে ধরা যাবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে এই ধরনের অবৈজ্ঞানিক ও জন সাস্থের জন্য ক্ষতিকর একটি বই কিভাবে নিষিদ্ধ বা কোণ বাধার স্মমুখিন হচ্ছে না? বিশেষ করে ৯ম খণ্ডটি। উনার মত আলেমের নাম দেখে অনেকেই এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে ফেলতে পারে। বিশেস করে কাওমি মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা বা গ্রাম গঞ্জের নিরিহ ধর্ম্মবিস্বাশি দরিদ্র কোণ মুসলমান।
হয়তো এর উত্তর কাওমি পড়ুয়া কোণ ভাই আমাকে দিবেন।
সিম্পল একটি প্রশ্ন,
"বেহেস্তি জেওরের ৯ম খণ্ডটি কেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে না!!!!!!!!!!!!!!???????????"
©somewhere in net ltd.