নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রাগঐতিহাসিক ধারাভাষ্যকার শ্রদ্ধেয় \"চৌঃ জাফর উল্লাহ শরাফতের\" সাথে আমার নামের মিল ছাড়া, কাছে বা দুরের কোণ সম্পর্ক নেই।

চৌধুরী জাফর উল্লাহ শরাফত

সাধারণ মানুষ

চৌধুরী জাফর উল্লাহ শরাফত › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাণ্ডারি হুঁশিয়ার

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:০০

## আমরা জঙ্গি নই। আমরা বাংলাদেশী মুসলমান।আমরা দেশ প্রেমিক।

@@ ভালো কথা।আপনারা তাহলে দেশপ্রেমিক।

## হ্যা আমরা দেশ প্রেমিক।

@@ তাহলে আপনারা দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস জানেন ?

## হ্যা জানি। ১ম বিশ্বযুদ্ধ চলা কালে তুরস্কের খিলাফতের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা এবং তুরস্কের পক্ষে যুদ্ধ করার জন্য ভারতবর্শ থেকে মুজাহিদ প্রেরণ ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে উথখাত করে স্বদেশের স্বাধীনতা পুন্রুদ্ধানের সুমহান লক্ষকে সামনে রেখে ১৯১৯ সালের ২৮ শে ডিসেম্বর...।।

@@ আরে থামেন ভাই থামেন । আরেকটু হইলেই তো লৌহ যুগ ধরে ফেলতেন। ভাই ১৯৭১ থেকে বলেন।

## ও।। আগে বলবেন না ? এভাবে মাঝখানে আটকালে ফ্লও ঠিক থাকে নাকি? যাহোক, ৭১ তাইতো? আইউব খানের পতনের পর ১৯৭০ সালে, ইয়াহিয়া খান সাধারণ নির্বাচন দেন।পুর্ব পাকিস্তান জমিয়তে উলামা উক্ত নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে…...।১৯৭০ সালের নির্বাচনের পরে জেনারেল ইয়াহিয়া ও ভুটুর হটকারি সিদ্ধান্তের কারনে একক সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জনকারি দল আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার অনিবার্য্য পরিণতিতে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়। দির্ঘ নয় মাস সংগ্রামের পর বাংলাদেশ মুক্ত হয় ।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হলেও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নিষিদ্ধ হয় নি। ১৯৭৪ সালে তা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ” নামে পুনর্গঠন করা হয়। এর পর ……………

@@ আরে ভাই থামেন। আবার দোরান কেন? এগুলো তো আপনারা পাঠ্যবই থেকে জানতে পারসেন। এর বাইরে মুক্তি যুদ্ধে আলেম সমাজের ভুমিকাটা কই?

## ভুমিকা কই মানে? দাড়ি টুপি র কোণ কিছুই তো চোখে আপনারা দেখেন না। শুনেন প্রকৃত যুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতার রাজনৈতিক ঘোষণা দেন ৭ই মার্চ বাংলাদেশী জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় এবং সামরিক ঘোষণা দেন ২৬ মার্চ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের জনক জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে। “চট্টগ্রামের পটিয়া মাদ্রাসার নাম তো আমরা সবাই জানি। বাংলাদেশের ক্বওমী মাদ্রাসাগুলির মাঝে আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় মাদ্রাসা হল চট্রগ্রামের পটিয়া মাদ্রাসা। ২৬ মার্চ, ১৯৭১-এর ভয়াল রাত। মেজর জিয়াউর রহমান সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। হানাদার বাহিনীর গোলাগুলি শুরু হলে নিরাপত্তার কথা ভেবে মেজর জিয়া বেতারের যন্ত্রপাতি এবং সৈন্যদের ট্রাকে নিয়ে সরাসরি পটিয়া মাদরাসায় চলে আসেন। এখানে এসেও তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি রাতে অত্র জামিয়ার মেহমানখানায় অবস্থান করেন। মেজর জিয়াউর রহমানকে আশ্রয় দেয়ার অপরাধে পটিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা দানেশ রহমাতুল্লাহ আলিইহি-কে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হত্যা করে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেলাল মোহাম্মদ উনার “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র” গ্রন্থের ৫৪, ৫৫ ও ১০২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন- হানাদার বাহিনী যখন চট্টগ্রাম শহরে আসল আমরা তখন কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের ট্রান্সমিটার ও অন্যান্য বেতার যন্ত্রপাতি নিয়ে পটিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। আমাদের সাথে তখন ছিল মেজর জিয়া। কর্ণফুলি নদী পার হয়ে পটিয়ার মাটিতে পারা দিয়ে মেজর জিয়াউর রহমান চিন্তা করছিল কোথায় তিনি আশ্রয় নিবেন। সেই সময় পটিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ছিলেন মুহাদ্দেস আল্লামা দানেশ রহমাতুল্লাহ আলাইহি। উনিই জিয়াউর রহমানকে উনার মাদ্রাসায় আমন্ত্রন জানান। যুদ্ধের কারনে মাদ্রাসা ছুটি ছিল। মেজর জিয়াউর রহমান ১ সপ্তাহ পটিয়া মাদ্রাসায় ছিলেন। ১ সপ্তাহ পর তিনি পটিয়া মাদ্রাসা ত্যাগ করেন।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যে এ পটিয়া মাদ্রাসার বিশেষ অবদান আছে, পটিয়া মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষক মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহর কাছে যে মুক্তিযোদ্ধারা এসে দোয়া নিয়ে যেতেন, তিনি যে ১৯৭১ সালে স্পষ্ট ফতোয়া দিয়েছিলেন “আমরা মজলুম আর পাকিস্তানিরা জালেম, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা ফরয” এ তথ্য এখনকার কয় জন ছেলে জানে?
https://www.facebook.com/qawminews24com/photos/a.1477989412226803.1073741828.1477952078897203/1478031892222555/?type

@@ কি বলেন ভাই?!! আমি তো জানতাম এই ফতোয়া হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) এর সর্বশেষ জীবিত খলিফা হাফেজ্জি হুজুর রহমাতুল্লাহ আলাইহির।
https://banglamail71.info/archives/14487

## তুমি ত অল্পই জানো। দুই জনেই একসাথে ফতোয়া দিয়েছিলেন। দুই জনই একই মানুষ

@@ কিন্তু ভাই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেলাল মোহাম্মদ উনার “স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র” গ্রন্থটি আমি পড়েছি, সেখানে তো লিখা আছে এই মোবাইল ট্রান্সমিটার চালু করার প্রাথমিক স্থান নির্বাচন করা হয়েছিল পটিয়া। এ পরিকল্পনা মাথায় রেখে ১ কিলোওয়াট ট্রান্সমিটারটি কালুরঘাট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছিল। ১ এপ্রিল বোয়ালখালির ওঁসখাইনের বাসিন্দা বেতারের প্রবীণ প্রকৌশলী মোসলেম খানের সাথে পরামর্শ করা হয়। মোসলেম খানের পরামর্শ ছিল অনেকটা এ রকম, ১ কিলোওয়াট পটিয়ায় ইনস্টল করে কোন লাভ নেই। ঠিকঠাক মত পটিয়াই তো কভার করবে না। তাছাড়া ওরা কালুরঘাটে বোমা ফেলেছে। পটিয়ায় বোমা ফেলতে আর কতক্ষণ।এমতাবস্থায় ভারতের কোন সীমান্ত এলাকায় চলে যাওয়া তোমাদের জন্য উত্তম হবে। ভারতীয় বেতার শুনে মনে হচ্ছে ওরা আমাদের সংগ্রামের সমর্থক। কাজেই একজনও যদি ভারতীয় শ্রোতা পাওয়া যায় ওতেই কাজ হবে। ওদের বেতার থেকে তা ভালোভাবে ফ্ল্যাশ করা হবে। অন্যদিকে ট্রান্সমিটারটি ভারতীয় সীমান্তে ইনস্টল করা হলে নিরুপদ্রবে অনুষ্ঠান প্রচার করে যাবে। তাঁর ভাষায়, ‘ওখানেও ওদের যন্ত্রে ধরা পড়বে, ঠিক কোন জায়গা থেকে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু ওরা বিমান হামলা করতে পারবে না। কারণ বর্ডার এলাকায় বোমা ফেলার জন্যে ডাইভ দিতে গেলে বিমানের ‘ল্যাজ’ ইন্ডিয়ার ওপর দিয়ে ঘুরে যাবে। তখন তো রক্ষা নেই।’
মোসলেম খানের পরামর্শে ভারতের সীমান্ত অঞ্চল রামগড়ে ট্রান্সমিটারটি নিয়ে যাওয়ার নিয়ত করে তারা। ২ এপ্রিল পটিয়া থেকে রামগড় যাওয়ার সহজ নির্বিবাদ রাস্তার খোঁজখবর নেয়া হয়। যার মানে ট্রান্সমিটারটি পটিয়াতে ইন্সটলই করা হয়নি, তাহলে আপনি যে বললেন এখানে(পটিয়া মাদ্রাসা) এসেও তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন? মেজর জিয়াউর রহমানের গলার জোর আছে বলতেই হবে। ট্রান্সমিটার ইন্সটল করা ছাড়াই ……………...।
https://shorbojon.wordpress.com/2014/02/12/কবি-বেলাল-মোহাম্মদের-বয়া-2/

## দূর মিয়া। তুমি কোণ কপি পরসো বই টার? পাচ কপি বাইর হইসে, ইহুদি, নাসারা, খ্রিস্টান আর মালাওনদের ষড় যন্ত্রে। আরেক কপি ঠুনডা মুনডা পোলাপাইনে বাইর করসে, ইন্টারনেটে। ইন্টার নেটের তথ্য সব ইস্রাইলের হাতের গিরায়। তারাই এগুলা পরিবর্তন করে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী।

@@ তাইলে ভাইজান অইখানে লেখক তথ্য প্রাপ্তিতে যে লিখল, “কিন্তু আমাদের দেওবন্দী কওমি মাদ্রাসার সম্মানিত আলেমরা যে মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছিল, অনেক আলেম যে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল, এ তথ্য আমরা কজন জানি?” -(নেট থেকে সংগৃহিত)?????

## তুমি মিয়া পুরাই ফাউল। উনি ইসলামী লেখক। উনার নুরানি দৃষ্টিতে ইহুদি নাসারাদের সাধ্য নাই মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করবে ।উনারটা সঠিক।

@@ বুজছি আপানারা আসলেই প্রকৃত দেশ প্রেমিক।

## অবশ্যই ভাই, হাদিসেও বলা আছে, “দেশ প্রেম ইমানের অঙ্গ”।

@@ কিন্তু ভাই আমি তো শুন্সিলাম এইটা নাকি জ্বাল হাদিস। আল্লামা মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলবানী (রাঃ)উনার "জইফ ও জাল হাদিস" (সিরিজের ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮৯, হাদিস নম্বর ৩৬) বইতে বলেছেন, “হাদিসটি জাল যেমনি ভাবে সাগানি(পৃষ্ঠা ৭) ও অন্যরা বলেছেন। এটির অর্থ ও সহি নয়। কারন এ ভালবাসা নিজেকে এবং সম্পদকে ভালবাসার মতই প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই মুল গত ভাবে বিদ্যমান। শারিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকেও এ ভালোবাসার প্রশংসা করা যায় না। এটি ইমানের জন্য ও অপরিহার্জ্য নয়। আপনারা কি দেখছেন না যে এ ভালবাসায় মুমিন ও কাফেরের মধ্যে কোণ পার্থক্য নাই।”

## এই হইসে অল্প বিদ্যার ভয়ংকর অবস্থা। তোমরা জানো না কিছুই, ভাব কর বেশি বুঝার। হাদিস পরিপুর্নভাবে বুজতে হইলে ইল্মি জ্ঞানের যে গভীরতা লাগে তা কি তোমাদের আসে ? একটা হাদিস পড়েই তা থেকে কোণ সিদ্ধান্ত দেয়াটা ঠিক না। আমরা সব সময় দেশের স্বার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

@@ তাহলে তোমরা দেশের সংবিধান আর জাতীয় সঙ্গীতের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল?

## দেশের সংবিধান আর জাতীয় সঙ্গীতের সাথে দেশ প্রেমের কোণ সম্পর্ক নাই। আর তাছাড়া মুসলমান হিসাবে আমরা আল্লাহ্‌র কিতাব কুরআনকে মানি। সব সমস্যার সবাধান দিতে পারে আল কুরআন। আর যারা সংবিধান মেনে সরকারী বেসরকারি চাকরী বাকরি করছে, জাতীয় সংগীত গাইছে তারা সবাই তো চোর, দুর্নিতিবাজ।

@@ কোণ যুক্তিতে ভাই তারা সবাই চোর আর দুর্নিতিবাজ?

## যুক্তি হইল, যারা সংবিধান মেনে সরকারী বেসরকারি চাকরী বাকরি করছে, জাতীয় সংগীত গাইছে তারা সবাই তো চোর, দুর্নিতিবাজ। ব্যাস।

@@ এইটা তো ভাই সিদ্ধান্ত দিলেন। যুক্তি কেমনে হইল?
আছা বাদ দেন। বুজছি।
কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতাকারী হিসেবে অভিযুক্ত লেখক-সাহিত্যিকরাই কওমী মাদ্রাসার পাঠ্যপুস্তক প্রণেতা ও লেখক হিসেবে রয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রে অধিকাংশেরই চেহারা পাওয়া যায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী হিসাবে। যারা এখানকার বই লিখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অধ্যাপক আখতার ফারুক, ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, নাট্যকার আশকার ইবনে শাইখ ও ড. আশরাফ সিদ্দিকী। বিষয়টির উল্লেখ আছে ‘একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়’ শীর্ষক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণাগ্রন্থে। প্রয়াত অধ্যাপক আখতার ফারুক, ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, আশকার ইবনে শাইখ ও ড. আশরাফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার অভিযোগ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্রের প্রণীত ‘একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়’ গবেষণাগ্রন্থে এ সব অভিযোগের তথ্য রয়েছে। গ্রন্থটিকে মুক্তিযুদ্ধের ওপর শক্তিশালী গবেষণা বলে অভিহিত করা হয়। বলা হয় এটিই সবচেয়ে বড় দলিল। স্বাধীনতাবিরোধীদের কাছে যে ক’জন বুদ্ধিজীবী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাদের মধ্যে অন্যতম অধ্যাপক আখতার ফারুক। তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে-আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরার সদস্য ছিলেন। ‘একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়’ গ্রন্থের ৮০ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, আখতার ফারুক স্বাধীনতার সময় ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরার সদস্য এবং দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক।’ পৃষ্ঠার শুরুতে বলা হয়েছে, ‘আখতার ফারুক কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।’ আখতার ফারুক মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর প্রতিষ্ঠিত খেলাফত আন্দোলনে যোগ দেন। এরপর বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে ছিলেন। ‘একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ১৭ মে ৭১ তারিখে সংবাদপত্রে ৫৫ বুদ্ধিজীবী একটি বিবৃতি দেন। এই বিবৃতিতে বলা আছে, আওয়ামী লীগের চরমপন্থীরা এই সরল-সহজ আইনসঙ্গত দাবিকে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার দাবিতে রূপান্তরিত করায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। আমরা কখনও এটা চাইনি, ফলে যা ঘটেছে তাতে আমরা হতাশ ও দুঃখিত হয়েছি। তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানে প্রকাশিত বিবৃতিতে ৫৫ বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীর নাম ছিল। এর মধ্যে ১৮ নম্বর তালিকায় নাম ছিল ড. আশরাফ সিদ্দিকীর। ওই সময় তিনি বাংলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বে ছিলেন বলে ওই গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘অভিযুক্ত’ ড. আশরাফ সিদ্দিকীর পদ্য ‘নিমন্ত্রণ’ জায়গা পেয়েছে ‘সাহিত্য সওগাত’-এ, ৮ম শ্রেণী (৩য় ভাগ) পৃষ্ঠা ১২১-এ।৫৫ বুদ্ধিজীবীর স্বাধীনতাবিরোধী বিবৃতিতে ১১ নম্বর তালিকায় ছিলেন আশকার ইবনে শাইখ। যিনি ওই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ছিলেন। যার মূল নাম মোঃ ওবায়দুল্লাহ। যাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল থেকে দালালির অভিযোগে পরবর্তী সময়ে বাধ্যতামূলক ছুটি দেয়া হয়েছিল। তিনি বিটিভি ও বেতারেও কাজ করেছেন। বেফাক বোর্ডের ‘সাহিত্য সওগাত’, ৮ম শ্রেণী (৩য় ভাগ) ৫২ পৃষ্ঠায় তার রচিত ‘মুক্তি অভিনব’ শীর্ষক গদ্যটি স্থান পেয়েছে। ৫৫ বিবৃতিদাতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। ‘একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়’ গ্রন্থে তার সম্পর্কে বলা আছে, তিনি বিবৃতিতে নামের পাশে সই ছাড়া নামপত্রের ওপর সই করেছেন। স্বাধীনতার পর তাকেও দালালির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায়। ৩-১০-১৯৭৩ সালের দৈনিক বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী তাকে ১ অক্টোবর ৭৩ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ রচিত লেখা ‘ইনসাফ’ গদ্য ‘আদর্শ বাংলা পাঠ’, (৩য় শ্রেণী), ‘সভ্য ও অসভ্য’; ‘আদর্শ বাংলা পাঠ’, (৫ম শ্রেণী), ‘বাঙলা সাহিত্যের গোড়ার কথা’, ‘সাহিত্য সওগাত’, ৬ষ্ঠ শ্রেণী (১ম ভাগ), ‘মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্য’, ‘সাহিত্য সওগাত’, ৭ম শ্রেণীতে (২য় ভাগ) পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।

https://www.youtube.com/edit?o=U&video_id=HwqpzI2J8bg

http://web.dailyjanakantha.com/details/article/141348/মুক্তিযুদ্ধের-বিকৃত-ইতিহাসে-ভরা-কওমীর-পাঠ্যবই/


## এইগুলা সবই ভিত্তি হীন, ইসলাম বিদ্বেষী, ইহুদি,নাসারা,ভারতিয়দের দোসর, যারা এখনো কোলকাতার সাথে মিলিত হতে প্রাণপন সংগ্রামে মত্ত, যারা চায় আমাদের গ্যস, বিদ্যুৎ, তেল সব ভারতকে অপাদানে ৭মি করতে, তাদের প্রপাগান্দা।(ইসলামি নেট থেকে প্রাপ্ত)

@@ ভাই আমাদের তো তেলই নাই, ভারতকে দিবো কেমনে??।

## ও। থুক্যু। ওইটা এরাবিক ভার্সন, কপি করা ছিল তো, পেস্টে প্রসব হয়ে গেছে। ইগনর ইগনর।

@@ কিন্তু জঙ্গি বাদের উত্থানের সাথে আপনাদের কাওমি মাদ্রাসার যোগ সুত্র অস্বীকার করবেন কিভাবে?

## হা হা হা। লুল লুল। তোমরা আসলে বর্তমান “পৃথিবীর” কোণ খবরই রাখো না। জঙ্গি তো সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলতে। দেখো নাই হলি আর্তিসান, হামলা। সব মাম্মি ডে ডি দেরই তো পাওয়া গেছে। তার পর মুরতাদ রাজিব হত্যা, অভিজিথ হত্যা? বিদেশি নাগরিক? তার পরও বলবা আমরা জঙ্গি? তাছারা তুমি জান না মন্ত্রী লেভেলের সত্যায়িত সিল আছে এখন আমাদের পশ্চাৎ নগরে?

@@ তা জানি কিন্তু, বাংলা ভাই, শায়েখ আব্দুর রহমান, মুফতি হান্নান…...।

## আরে ভাই থামো। দেখো,। তোমাকে কারও চারিত্রিক বৈশিষ্ট বিস্লেশন করতে হলে তথকালিন বিশ্বের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট চিন্তায় আনতে হবে। হ্যা তারা এক কালে আফগানিস্থানে মুজাহিদ হিসাবে গিয়েছিলেন সাম্রাজ্যবাদী নাস্তিক রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে, তখন কার পরিপ্রেক্ষিতে তা ঠিক ছিল। কিন্তু এইটা তমাকে মানতেই হবে যে তারা এখন আর কাওমি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। আর তাছাড়া তাদের অনেকেই কাওমির বারান্দাও মারায়নি। আরেকটা ব্যপার আছে আমাদের মধ্যে অনেকে ছোট বেলায় মক্তবে কুরআন শিখতে অবশ্যই গেছে কিন্তু সেটা মক্তব পর্যন্ত।
https://www.youtube.com/edit?o=U&video_id=H_LODvi2NmQ
https://www.youtube.com/watch?v=_8h-Z5PGuZo

@@ কিন্তু মুফতি হান্নান তো নিজের মুখেই বলেছে তার মদ্রাসা সম্পৃক্ততা, যেখানে আলিয়া দেওবন্দি ধারা দুটোই আছে?
https://www.youtube.com/edit?o=U&video_id=CbkwzQtpnSQ

## আবার তুমি ইহুদি নাসারাদের প্রপগান্দার ক্ষপ্যরে পড়ছ? তাছারা তুমি আল্লামা আহসান হাবিব পেয়ারের অমর বানী শুনো নাই? “এইগুলা তো ভাই এডিট করা যায়???” তার পরও তোমরা সন্দেহই করবা। জঙ্গিদের সাথে আমাদের কোণ সম্পর্কই নাই।

@@ ও আচাছা। আচ্ছা তাহলে তারা কি চাইত?

## তারা ইসলামী শারিয়া ভিত্তিক শাসন তথা খিলাফত কায়েম করতে চাইত।

@@ তাহলে একই লক্ষ তো আপনাদেরও। মানে আপনারাই তো বলেন যে মুসলমান হিসাবে একজন মুসলমানের কি চাওয়া উচিৎ না রাষ্ট্র ক্ষমতায় ইসলামী শক্তি আসুক?

## হ্য অবশ্যই চাই। কিন্তু আমরা তা গায়ের জোরে চাই না। আমরা শান্তির পথে আগাতে চাই।

@@ মানে আপনারা শান্তিপ্রিয় ভাবে অভ্যুত্তান ঘটাতে চান?

## আহা অভ্যত্তান কেন বলছ? আমরা ইসলামী শারিয়া মতে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাই। মুসলিম হিসাবে তাই তো চাওয়া উচিৎ।
https://youtu.be/5NzwNRyEC-g


@@ মানে আপনারা গায়ের জোরে বিশ্বাসি নন?

## একদমই না।

@@ তাহলে মুশাররফ করি…...।।

## ঐ খান____র ছেলের নাম নিয়ো না। মাদা______দ রে সামনে পাইলে, চা____তি দিয়া তার কল্লা ডা এক কোপে উরাইয়া দিতাম। শালা বাই_______দ, শালার মায়ে________দি, শালার বুনেরে>>>>>>>>দি >?<>!#!!&#&~!

@@ ভাই ভাই শান্ত হন। ভাই শান্ত হন। এই না কইলেন আপনেরা শান্তি প্রিয়?

## আরে দূর মিয়া। আমরা শান্তি প্রিয় কিন্তু কাফের মুরতাদ মারা জায়েজ আসে। জানো কিসু মিয়া??

@@ আচাছা ভাই ঠিক আসে। তাইলে মানে আপনাদের আর জঙ্গিদের মঞ্জিল একই খালি রাস্তা ভিন্ন তাই তো?

## বাহ এই তো বুজছু।

@@ মানে আপনারা একজন আরেক জনের চলার পথে একসাথে হবেন না, যেহেতু রাস্তাই আলাদা।

## ঠিক।

@@ তার মানে আপনারা তাদেরকে বাধাও দিবেন না????!! যেহেতু মঞ্জিল ও এক।
https://youtu.be/AroYEcq5oFU

## এইত আবার মুরতাদিয় কথা বার্তা। আরে মিয়া আমরা বাধা বা শাস্তি দেয়ার কে? শাস্তি তো দিবে উপরে যে আসে সে। তারা আমাদের মুসলিম ভাই তারা একটু বেপথে গেসে আরকি, তাদের ইমান আকিদ্দা তো ঠিক আসে। ইসলামী ইল্মি জ্ঞানে ইনারা একেক জন পন্দিত ব্যক্তি । শুন নাই আব্দুল্লাহ বিন ইউসুপ তার বক্তব্যে বলেছিলেন “আব্দুল্লাহ বিন ফজল ছিলেন বিশাল আলেম যার বক্তব্য রাইফেলের গুলির মত। আমার মা আল্লাহর কাছে দুয়া করেছিলেন আমাকে যেন আল্লাহ তার মত হওয়ার ত্বফিক দান করেন। আব্দুল্লাহ বিন ফজলের তিন ছেলে, শায়েখ আব্দুর রাহমান, অবায়দুর রহমান, আতাউর রহমান। শায়েখ আব্দুর রাহমান, আতাউর রহমানের ফাঁসি হয়েছে ,অবায়দুর রহমান এখনো জেলে। আল্লাহ তুমি দয়া বান, আল্লাহ তুমি ক্ষমা কর। আল্লাহুম্মা আমিন।”
https://youtu.be/-aOJCdtFr6U

@@ তাহলে আব্দুল্লাহ বিন ইউসুপ এদের মতাদর্শকে ভক্তি করতেন। কিন্তু অনুসরণ করতেন না, তাই না ভাই?

## আল হামদুলিল্লাহ। এইত বুজেছও।

@@ উনাকে মওলানা সাইদুর রহমান, পিস টি ভি তে চাকরী দিয়েছিলেন। পিস টি ভি ও তাহলে এদের মতা দর্শকে ভক্তি করে কিন্তু অনুসরণ করে না, তাই না ভাই?

## জাজা কাল্লাহ বিন খায়ের।

@@ আর উনি এখন যে মাদ্রাসা দিয়েছেন রূপগঞ্জ জামেয়া সালাফিয়া যা এক দানশীল ব্যক্তির দাণের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত অথবা আরও দেশে যত কাওমি মাদ্রাসা আছে, যাতে এখন যে সব ছাত্র ছাত্রী পড়ে তারাও এ মতাদর্শকে ভক্তি করে কিন্তু অনুসরণ করে না, তাই না ভাই?
https://www.youtube.com/edit?o=U&video_id=HaCNYilqtgs

## মাশাল্লাহ…... মনে রাখবা এই আমরাই কিন্তু হাল ধরব ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের।
https://www.youtube.com/watch?v=fM3X5cH62Bk

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.