নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

asadeng

বুঝতে চাই

জগলুলআসাদ

i want to share

জগলুলআসাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুমি তাই মিডিয়া যা বানায় তোমাকে অথবা মিডিয়ার রতি ও বিরতি !

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫

মিডিয়ার চরিত্র বোঝা এ সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ । মিডিয়া ‘গণমাধ্যম’ অনুবাদে হাজির হয়ে তার মধ্যকার আমলাতান্ত্রিক-ব্যবসায়িক অবয়বকে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখে।মিডিয়া নানাভাবেই নিজেকে উপসথাপন করতে চেষ্টা করে ‘সৎ’, ‘পবিত্র’ ও ‘জনমতের প্রতিফলনকারী’ প্রতিষ্ঠান হিশেবে । কিন্তু আজকাল প্রতিফলন তত্ত্ব দিয়ে মিডিয়াকে আর বোঝা যাবেনা । কারণ বাস্তবতাকে তুলে ধরার পাশাপাশি মিডিয়া নতুন বা ছদ্ম বাস্তবতা তৈরি করে থাকে । আমাদের বাস্তব দুনিয়া আর আমাদের বাসনার মাঝখানের ফাঁকা অংশটুকুতে মিডিয়া জায়গা করে নেয় । এভাবে মিডিয়া এক হাইপার রিয়ালিটি তৈরি করে আমাদেরকে দৈনন্দিন চমকের মধ্যে রাখে, এবং তাই আমরা মিডিয়াকে প্রশ্ন করতে ভুলে যাই।বিশেষ বাস্তবতায় মিডিয়া তার মনস্তাত্তিকভাবে মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে। মিডিয়ার পরিসরে রাজনীতি আর ব্যবসা তখন যুগপতভাবে চলে ।



আজকের পৃথিবীতে মিডিয়া সামাজিক বা ঐতিহাসিকভাবেই অধিপতি শ্রেনীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান । মিডিয়া কোন বিষয়কে গুরুত্ব দিবে, কোনটিকে লুকাবে --তা প্রায়শই বিশেষ বিশেষ স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সাথে তাদর সংযোগ ও সম্পর্ক দ্বারা নির্ধারিত হয় । তাই কর্পোরেট ক্যাপিটালিজমের এই যুগে মিডিয়ার স্বাধীনতা ও দায়বদ্ধতার মানে হোল, জনন্বার্থ ও ব্যবসায়িক- রাজনৈতিক স্বার্থের মাঝরেখা বরাবর বা ছেদ বিন্দুতে অবস্থান করা । চমস্কি তো বলেই দিয়েছেন, মিডিয়া যেমন আমাদের তথ্য,আনন্দ আর বিনোদন দ্যায়, তেমনি এটি আমাদের মধ্যে কিছু বিশ্বাস, মূল্যবোধ আর আচরণ প্রোথিত করে দেয় যা আমাদেরকে সমাজের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সমগ্রতার মধ্যে স্থিত রাখবে । মিডিয়া একটি consciousness industry যার মধ্য দিয়ে ওয়াল্টার লিপম্যান কথিত manufacture of consent ঘটে । তাই শাসক শ্রেণী মিডিয়াকে নানাভাবে ব্যবহার ও নিয়ন্্ন করতে চায় । তাই শাসক শ্রেণী মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে নিজেদের অনুগত মিডিয়া তৈরি করে যাতে ভিন্নমতকে অনুপুস্থিত রাখা যায় বা পুঁজির নিরাপত্ার স্বার্থে যতটুকু না রাখলেই নয়,ততটুকু রাখা যায়।



চিহ্নায়নের এজেন্সি হিসেবে মিডিয়ার অপরিসীম প্রভাব আছে আমাদের জীবনে ।যা অনেকটাই সন্তানের উপর পিতা-মাতার প্রভাবের মতই । বিশেষত, টিভি মিডিয়া তার বহুবরনীল উজ্জ্বল স্ক্রিনে যে মায়া বাস্তব বা অর্ধসত্য নির্মাণ করে , নিজস্ব ছাকুনির মাধ্যমে যে অংশটুকু তুলে নেয় সমাজদেহ থেকে , তার তলানিতে পরে থাকে বাস্তবতার আরও আরও চেহারা ও অবয়ব । এই উপরিবাস্তবকেই Baudrillard বলেছেন ‘Loss of the Real’। যাহোক ,সমাজে ভিন্নমতের নানা মিডিয়ার উপস্থিতি প্রয়োজন যাতে এক মিডিয়া যা হারায় আরেক মিডিয়া তা ধরে রাখতে পারে । ফলে পরিবেশনের মধ্যে যে রাজনীতি থাকে তা বুঝে জনগণ তার কর্তব্য নির্ধারণ করতে পারে । ফলে, কণ্ঠস্বর স্তব্ধ না থাকার কারনে সশস্রতার মধ্য দিয়ে নিজের উপস্থিতিকে জানান দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকেনা ।

তাই বঝা যায় ,মিডিয়া সরল সমতলে কাজ করেনা । সমাজে মিডিয়ার নানা কাজের বিরোধিতার ধারাকে ম্রিয়মাণ করে রাখলে মিডিয়া খুব সহজেই গনবিরোধী চরিত্র নিতে পারে । তাই প্রয়োজন একদিকে মিডিয়ার গণনজরদারি আর আরেকদিকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মিডিয়ার প্রতিপালন । এই দ্বৈত দায়িত্ব সমাজের গণতান্ত্রিক বিকাশের শর্ত । আমরা কতটুকু প্রস্তুত ?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.