নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভরসার গান

তরুণ নামের জয়মুকুট শুধু তাহার, বিপুল যাহার আশা, অটল যাহার সাধনা

মানব ও মানবতা

রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।

মানব ও মানবতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসুলকে ভক্তি করতে গিয়ে নূর বলে ফেলা মানে স্ত্রীকে বেশী ভালবাসতে গিয়ে আম্মা বলে ফেলা।

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ২:৩৩

ইসলামের নামে যারা ভন্ডামী করেন, মীলাদ আর নূর নিয়ে যারা এখানে প্রলাপ বকেন, তাদের জন্য বলি, আপনাদের লেখায় যেসব গ্রন্থের সূত্র দিয়েছেন, প্রায় সবগুলোই ভুল আর জাল হাদীসে ভরা। পারলে বুখারী কিংবা মুসলিম থেকে মীলাদের ফজীলত নিয়ে হাদীস দেখান। সাহাবার নাম থাকলেই হাদীস হয়না যদি পুরো সূত্র উল্লেখ না থাকে।



নিজেদের ভক্ত মুরীদ বাড়াতে অনেক পীর আওলিয়া হাদীস নাম দিয়ে কয়েক লাখ জাল হাদীস ইসলামে ঢুকিয়ে প্রচার করেছে ইচ্ছে মতো। আর তাই মুহাদ্দীসগণ এসব বাছাই করেছেন এবং আলাদা করেছেন। সুতরাং ফালতামী করার সুযোগ নেই।



রাসুলকে ভক্তি করতে গিয়ে নূর বলে ফেলা আর তাকে নিয়ে অতিভক্তি দেখাতে গিয়ে হাযির নাযির বলা মানে স্ত্রীকে বেশী ভালবাসতে গিয়ে আম্মা বলে ফেলা।

আপনাদের পড়াশোনা কতদূর? নাকি কোন পীরের অন্ধ ভক্ত? কোন সমস্যা থাকলে জানান, দলীল সহ সমাধান দিব। মানুষকে ভ্রান্ত করবেন না প্লিজ। মনে রাখবেন, ইসলামে অন্ধভক্তি কিংবা উগ্রতা নেই।

মন্তব্য ৭৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৭৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ২:৪৮

হাবীব রহমান বলেছেন: আপনি কতোটুকু জানেন। মওদুদীর ভ্রান্ত ইসলাম নিয়ে পড়ে আছেন। রুটি হালুয়ার ভাগ পাইয়া ইসলাম নিয়া ফেসাদ সৃষ্টি করেন। সাধারণ মানুষ আজ ইসলামের প্রতি বীতশ্রদ্ধ আপনাদের মতো মানুষের জন্য।

রাসূল নূর না মাটি তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে আলেমদের মাঝে। তা নিয়ে ব্লগে লিখে বিতর্ক বাড়ানো ইসলামের ক্ষতি করার শামিল।

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ২:৫১

মানব ও মানবতা বলেছেন: আরে ভাই, আপনিও তো দেখি বাজারের পাগল। মওদুদী কেন ভ্রান্ত, আমার চেয়ে আপনি বেশী জানেন না, এটা আমি হলফ করে বলতে পারি।কুরআন এবং হাদীসের বাইরে শক্ত দলীল ছাড়া আমি কিছুই মানি না। কোন মতবাদ আমাকে টানে না। কোন সন্দেহ থাকলে হাদীস দেন, সূত্র সহ জানিয়ে দেব। আজাইরা বকে কী লাভ? ভাল থাকেন সবসময়।

২| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৩:০১

মানব ও মানবতা বলেছেন: প্রয়োজনে অপেক্ষা করুন, জাল হাদীস বিয়ে একটি তথ্যবহুল লেখা দিব। গালিগালাজ কিংবা অন্ধভক্তি ইসলামে নেই। যা কিছু স্পষ্ট এবং দলীলসমৃদ্ধ, সেটাই গ্রহণযোগ্য।

৩| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৩:১৮

ইমরান নিলয় বলেছেন: মানব ো মানবতর সাথে পুরোপুরি সহমত।

৪| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৩:২৫

শামীম শরীফ সুষম বলেছেন: সহমত

৫| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৩:৫২

রাহীম বলেছেন: ঢাকা থেকে ব্লগার তার মিলাদের পক্ষে সহিহ হাদিস পেশ করতে বলেছি । আমার মন্তব্যই উদাও হয়ে গেছে । ধন্যবাদ

৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:১৮

মানব ও মানবতা বলেছেন: তিনি আমারটাও মুছে দিয়েছেন। মনে হয় গেরিলা ধার্মিক তিনি।

৬| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৩:৫৫

তাইয়িব বলেছেন: মহান আল্লাহ পাক ,তিনি স্বয়ং কালামুল্লাহ শরীফ এর সুরা মায়িদা এর ১৫ নংআয়াত শরীফে ইরশাদ ফরমান-"নিশ্চয় আল্লাহ্ পাক উনার তরফ থেকে এসেছেন সুস্পষ্ট নুর "

এই আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ পাক নূর শব্দ দ্বারা আখেরী রসুল ,হাবীবুল্লাহ ,হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই বুঝিয়েছেন। এই আয়াত শরীফ এর তাফসীরে ক্বাজীউল কুজাত হযরত ইমাম আবু সাউদ মুহম্মদ ইবনে মুহম্মদ ইমাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বয়ং বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে আবী সাউদ এর ৩য় খন্ড১৮ পৃষ্ঠায় লিখেন।
--"বর্ণিত আয়াত শরীফের প্রথম শব্দ অর্থাৎ নুর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো"আখেরী রসুল হাবীবুল্লাহ ,নুরে মুজাস্সাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।"
এমনকি স্বয়ং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই নিজেকে নুরের তৈরী বলে ইরশাদ করেছেন।
"হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণীত । তিনি বলেন আমি বললাম ,ইয়া রসুলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ,আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক,আমাকে জানিয়ে দিন যে .আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেন? তিনি বললেন,হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু !!!আল্লাহ পাক সমস্ত কিছুর পূর্বে আপনার নবীর নুর সৃষ্টি করেন।"-(মুসনাদে আব্দির রাজ্জাক ,দালালিয়্যুন নুবুওয়াত,মাদারিজুন নুবুওয়াত ইত্যাদি।)



এরকম কুরআন শরীফ সুন্নাহ শরীফ থেকে আরো ২৪১টি দলীল দেয়া যাবে এবং এ ব্যাপারে বিস্তারিত পোষ্ট দেওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।

৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:১২

মানব ও মানবতা বলেছেন: আপনাকে বুঝাতে হলে বিস্তারিত লিখতে হবে। তবু আমি আপনাকে জানাব। আশা করি অঅপনি সত্য বুঝবেন। খোদ রাসূল কি কোনদিন বলেছেন, আমি নূরের তৈরী? সহহি সনদে কোন সাহাবা কিংবা তাবেয়ী বলেছেন যে , তিনি নূরের তৈরী? মাটির মানুষের জন্য নূরের তৈরী নবী পাঠাবেন কেন? আাপনি তো বিধর্মীদেরকে প্রশ্নের দরজা খুলে দিচ্ছেন। আপনি বিস্তারিত লিখেলে পড়বেন কিনা> জানান। আমি দিয়ে দিব।

৭| ৩০ শে মে, ২০১১ ভোর ৪:২০

আশাবাদী মানুষ বলেছেন: জনাব এইভাবে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া কি ঠিক হল? আমি বিতর্ক এড়িয়ে যেতে পছন্দ করি। যেখানে কালেমাই পুর্ন হয়না রাসুলকে ছাড়া সেখানে আপনি কেমন একটা উদাহরন টেনে দিলেন ?



আরো বড় করে দেখতে হলে

Click This Link

৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:১৫

মানব ও মানবতা বলেছেন: আপনি এসেছেন বোখারী শরীফ নিয়ে। এটি কার অনুবাদ, তার সত্যতা কতখানি, এসব তো উল্লেখ করলেন না। আর যে অংশে লেখক নূরের কথা এনেছেন, তা তো বুখারী হাদীসের অনুবাদ হিসেবে নয়, নিজের ব্যাখ্যা হিসেবে। আপনার নিজস্ব বিবেক থাকলে প্রতিটি কথার দলীল দিতে হবে। কোন আাবুল যদি আয়াতের ব্যাখ্যায় ভুল বলে, সেটাও কী দলীল? লেখকের নাম দেন, সাহাবদের কথা থেকে সিহাহ সিত্তাহর দলীল দেন। আমরা গভীরে যেতে চাইনা বলেই তো ভন্ডরা এভাবে ব্যবসা চালাচ্ছে। প্রতিজ্ঞা করেন, নির্ভরযোগ্য শক্ত দলীল ছাড়া কিছুতেই প্রভাবিত হবেন না।

৮| ৩০ শে মে, ২০১১ ভোর ৪:২৯

নইম বলেছেন: আশাবাদী মানুষ বলেছেন: জনাব এইভাবে চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া কি ঠিক হল? আমি বিতর্ক এড়িয়ে যেতে পছন্দ করি। যেখানে কালেমাই পুর্ন হয়না রাসুলকে ছাড়া সেখানে আপনি কেমন একটা উদাহরন টেনে দিলেন ?

৯| ৩০ শে মে, ২০১১ ভোর ৪:৪৬

মুহাম্মদ ওমর আল ফারুক বলেছেন: ভিডিও টি এখানে দেখুন

১০| ৩০ শে মে, ২০১১ ভোর ৫:৫১

সূর্য্য ব্যানার্জী বলেছেন: টাইটেল দেখেই খুশি...... ;) ;)

১১| ৩০ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:১৬

ঝটিকা বলেছেন: যে কাজ সাহাবারা করেন নি সে কাজ আমরা করব কিসের ভিত্তিতে? যেমন ঘটা করে মিলাদ পড়া, কুলখানি করা, শবে বরাতের হালুয়া-রুটি, মহররমের ভোজ আরো আছে.।.।.।.।.।.।।।

এগুলোর কোনই ভিত্তি নাই, সবই এক এক যুগে এক এক ভন্ডের তৈরী।পরবর্তিতে এগুলোকে মানুষ ইস্লামের অংশ বানিয়ে ফেলেছে। আমার মতে এসবদিনে ব্যাক্তিগত ইবাদত করা উচিৎ, ঘটা করে উৎসব করার কোন যুক্তি নাই।

১২| ৩০ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:১৯

শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু দ্বারা ঈমান সাবস্ত্য হয়না। ইমান পূর্ন হয় মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এর মাধ্যমে। আর তাই আপনাকে কিছু কথা বলি ভাই না জেনে রাসুল সম্পর্কে বাজে কথা বললে ঈমান থাকেনা। আমি এই নুর বিষয়ে বোখারী আর সিহা সিত্তার হাদিস সহ উল্লেখ করবো আরেকটি কথা আপনার কি মনে হয় সিহা সিত্তা ছাড়া আর কোন হাদিসের কিতাব গ্রহন যোগ্য নয়? প্রশ্নটা করেছি যাতে বুঝতে পারি আপনার জানার পরিধি কতটুকু তা বুঝতে।।

৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:০৯

মানব ও মানবতা বলেছেন: আল্লাহ কাউকে নূর দিয়ে সৃষ্টি করেন নি। ইমাম বুখারী একলাখ হাদীস সহীহ জানতেন, অথচ বুখারী তে আছে মাত্র চার হাজার হাদীস, (রিপিট সহ সাত হাজার), তো এর বাইরে সহীহ হাদীস রয়েছে, কিন্তু সব বুখারী কিংবা মুসলিমের মতো শক্তিশালী নয়। নূর শব্দের অর্থ কয়টি তাফসীর থেকে দিলে আপনি মানবেন> জানান। আমি দিয়ে দিব।

১৩| ৩০ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:২০

শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: ঝটিকা বলেছেন: আমার মতে এসবদিনে ব্যাক্তিগত ইবাদত করা উচিৎ, ঘটা করে উৎসব করার কোন যুক্তি নাই।

আপনার কথার প্রমান দিন না দিতে পারলে ভেবে নেবো আপনি মিথ্যাবাদী।।

১৪| ৩০ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:৩৪

নোটার্হম বলেছেন: ইন্টারনেটে লেখা, দেখা, ধর্মীয় আলোচনা করা "বেদাত" কেননা
এটি ধর্মে নব প্রবর্তিত একটি বিদ’আত। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও এ কাজ করেননি। তাঁর নিজের বা তাঁর পূর্ববর্তী কোন নবী বা তাঁর কোন দুহিতা, স্ত্রী, আত্মীয় অথবা কোন সাহাবীরআ ইন্টারনেটে লেখা, দেখা, ধর্মীয় আলোচনা করার " কোন নির্দেশ দেননি। খোলাফায়ে রাশেদীন, সাহাবায়ে কেরাম (আল্লাহ তা’আলা তাঁদের সকলের উপর সন্তুষ্ট হউন) অথবা তাঁদের সঠিক অনুসারী তাবেয়ীনদের মধ্যেও কেউই এমন কাজ করেননি। এমনকি, আমাদের পূর্ববর্তী অধিকতর উত্তম যুগে কোন আলেমও এ কাজ করেননি। অথচ তাঁরা সুন্নাহ সম্পর্কে আমাদের চেয়ে অধিকতর জ্ঞান রাখতেন এবং আল্লাহর রাসূল ও তাঁর শরীয়ত পালনকে সর্বাধিক ভালবাসতেন। যদি এ কাজটি এমনই সওয়াবের হতো তাহলে তাঁরা আমাদের আগেই তা করতেন। তাই তা বেদাত ।
২২:২৭ আয়াতে কোরান শরীফে আল্লাহ পাক হজ্জ্ব করার জন্য পায়ে হেটে কিংবা কৃশকায় উটের পিঠে সওয়ার হয়ে হজ্জ্ব করতে বলেছেন। রাসূল করীম(দ:) তার সাহাবারা কেউ প্লেনে করে হ্জ্ব করতে যাননি।কাজেই পায়ে হেটে কিংবা কৃশকায় উটের পিঠে সওয়ার হয়ে হজ্জ্ব না করলে তা বেদাত হবে।
আসলে সমস্যা হল,আমাদের মধ্যে কিছু আছে যারা সউদীদের চামচাগিরি করতে বাশী পছন্দ করে।
"আমরা মানব রচিত আইন মানিনা" এ কথা বলে বাজার গরম রাখার চেষটাকারী ফান্দে পড়ার পর কখনও কি বলছে আমরা মানব রচিত "যুদ্ধাপরাধী বিচার আইন " মানিনা ? বলেনি.। তার মানে তার আগে পরের কখায় "ডাল মে কুছকালা হায়"।
আর সউদীদের তোষামোদী করা অনেক ছওয়াবের কাজ, এতে বহু ফায়দা। জাগতিক ফায়দারত তূলনাই হয়না! ! কেন আমরা তাদের অনুসারী হবনা ? সউদী রাজাদের চরিত্র ! ! আহা ! ! দেখেননি ? তাদের একজন অন্য এক পুরুষের প্রতি উপগত হতে ব্যর্থ হয়ে তাকে খুন করে বৃটিশ জেলে গিয়েছে ? আহা কি মধূর চরিত্র তাদের ? কখনই তারা চারজনার বেশী স্ত্রী একসাথে রাখেননা । ৫ম স্ত্রী হিসাবে কাউকে পেতে চাইলে তারা পুরাপুরী শরী্যত মেনে চলে। চারজনের মধ্যে কাউকে তালাক দিয়ে শুন্যস্থান ৫ম টি দি্যে পূরণ করে যাতে শরী্যতর বরখেলাপ না হয় । আহা কি মধূর চরিত্র তাদের ? কেন আমরা তা চামচা হবনা?
তবে একটু সাবধানে থাকতে হবে, কারণ দেখা যাচ্ছে যারা এতদিন বাংলাদেশে সউদীদের চামচাগিরি করেছে, তারা বর্তমানে (যুদ্ধাপরাধী,জঙ্গীবাদী ইত্যাদী অভিযোগে ) দৌড়ের মধ্যে আছে ।

৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:০৫

মানব ও মানবতা বলেছেন: আপনি মূল সূ্ত্র থেকে অনেক দূরে। বেদাতের পরিচয় আপনি জানেন না। সংক্ষেপে বলি, যে কোন নতুন কাজ যা ধর্মের নামে করা হয় এবং ধর্মের অংশ মনে করা হয়, অথচ নবী কিংবা সাহাবা যুগে তা ছিলনা, সেটাই বেদআত। বিস্তারিত জানতে চাইলে মেইল দেন। জানিয়ে দিব। অযথা বকবক করলে মানুষ বোকা বলবে।

১৫| ৩০ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:৫১

তানভীরসজিব বলেছেন: লেখক মিয়া গেলেন কই.....আল্লাহ আল্রাহ করলেই মুসলমান হয় না। সবাই আল্লাহ আল্লাহ করে...সবাই নবী কে মানেনা ....কেবল মুসলমানেরা মানে । আপনার কি মনে হয় না আপনি লেখার টাইটেল টাতে চরম বেয়াদবি করেছেন।

ধন্যবাদ @তাইয়িব @আশাবাদী মানুষ @নোটার্হম

লেখকের ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ....

৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:১৬

মানব ও মানবতা বলেছেন: একটুও না। আনন্দিত এজন্য যে, একটি তর্কের সূত্র খুলে দিয়ে আপনদের ভুলগুলো জানতে পারছি। সেসব শোধরে দিতে আমি প্রস্তুত। আবার্ও বলছি, সাহাবাদের চেয়ে আপনি আমি নবীকে তো আর বেশী ভালবাসি না। তাই না? তারা কি এসব বলেছেন? আপনি কাদেরটা মানবেন, সাহাবাদের কথা নাকি ভন্ড পীর দের কথা, যারা এসব নিয়ে জিলাপী খাওয়ার ফন্দি আঁটে সর্বক্ষণ।

১৬| ৩০ শে মে, ২০১১ সকাল ৮:৫৬

রাতুলবিডি বলেছেন: দুজাহানের সর্দার নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সৃষ্টির সেরা,
নবীদের ইমাম। তিনি অবশ্যই আশরাফুল মাখলুকাতের মধ্য থেকে একজন।

আর মানুষকেই বলা হয় আশরাফুল মাখলুকাত যারা মা%E

১৭| ৩০ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:২৮

িপকলুচাচা বলেছেন: ki BALCHAL pechal partasen apnara? Dhormo chudanor time nai akhon r.. dhormo nia matamati koraro somoy na ata... Amnitei 3rd world er desh amra..tar upor dhormo nia chudurbudur kore aro roshatole jacchi...

৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭

মানব ও মানবতা বলেছেন: আরে ভাই, আপনিও তো। ধর্মকে সঠিক ভাবে মানলে কোন সমস্যা নয়। অসম্পূর্ণ জ্ঞান কিংবা উগ্রতা সব সমস্যার কারণ। আরবদের দিকে দেখুন, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তারাও পড়ছে, কিন্তু আমাদের মতো এত ভন্ডামী করে না। তারা কি উন্নত হচ্ছে না। সমস্যাটা ভাই আমাদের মন মানসিকতার। ডানের কথা বলে বাম দিকে যাচ্ছি সবাই।

১৮| ৩০ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:৫৭

রিপেনডিল বলেছেন: @আলবার্ট আর কত বার আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দিলে উত্তর পাইবেন সেটা উল্লেখ করেন, নাকি আপনি যেই পীরের মুরিদ সেই পীরের পড়া পানি খাইয়া সব ভুলিয়া যান?!

১৯| ৩০ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:৫৮

শুধু প্যচাল বলেছেন: উস্তাদ আপনে আমার মন্তব্য ডিলিট করছেন কেলা?

যাইহোক, আবার জিগাই, ভাইজান কি সার্টিফিকেট নিয়ে ছাড়া পাইছেন , নাকি দড়ি ছিড়েই (পাগলা গারদ থেকে) পালিয়ে আসছেন? যদি সার্টিফিকেট পেয়েই থাকেন তাহলে একটু স্ক্যান করে দেখাবেন প্লীজ?

তবে যাইবলুন পুষ্টে ব্যপুক বিনুদুন পাইছি---

ভালা থাকেন

৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৪৯

মানব ও মানবতা বলেছেন: ভদ্রতা না জানলে আপনাকে আর কি বলব। মার্জিত ব্যবহার সব ধর্মের অংশ। আপনার এসব পাতলা কথা আপনার জানার স্বল্পতা ধরিয়ে দিচ্ছে। সবাইকে তো আর ঘি খাওয়ানো যায়না।

২০| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:০২

মানব ও মানবতা বলেছেন: ভাবছেন, আমি পালিয়েছি। অপেক্ষা করুন, আমি জানাচ্ছি। যেসব দলীল দিয়েছেন, এর ভিত্তি হয়তো জানেন না। সমস্যা হচ্ছে, আপনাদের জন্য এখন বাংলায় অনুবাদ করে দিতে হবে অনেক পৃষ্ঠা। আরেকটি কথা, তাফসীর গ্রন্থের অনেক হাদীস সনদ হিসেবে দুর্বল। একটু সবুর করুন। প্রথম শর্ত হচ্ছে, কারো চশমা চোখে না দিয়ে সাদা মনে কথাগুলো পড়বেন। সত্য জানার ইচ্ছা থাকলে সত্যের সন্ধান পাবেন। আমার কথা আমি প্রমাণ করব ইনশাল্লাহ।

২১| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:২৮

সীমানা পেরিয়ে বলেছেন: মীলাদ, কদমবুছি, এগুলো উপমহাদেশেই পাওয়া যায় যা হিন্দু কালচার থেকে আগত। আরব জাহানে কিন্তু এগুলোর অস্তিত্ব নেই আর ছিলও না কোন কালে।

৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫১

মানব ও মানবতা বলেছেন: অভিনন্দন। যেখান থেকে ইসলাম এসেছে, সেখানে নেই, অথচ আমরা এসব নিয়ে মারামারি। রাসুলের ইশক যেন আমরা সব বুকিং দিয়ে সীট দখল করে রেখেছি।

২২| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩১

মানব ও মানবতা বলেছেন: গালিগালাজ না করে শুধু প্রশ্রটি লিখে দিন। কীভাবে জানালে আপনি খুশী হবেন, সেটাও লিখে দিন। তবু ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। আমি সত্য ও সুন্দরকে জানাতে চাই বলেই ্টুকু প্রচেষ্টা। কেউ মোবাইলে জানাতে চাইলে নাম্বারটি দিয়ে দিন। নয়তো মেইল করুন। আমার পরীক্ষার জন্য দুআ করবেন। [email protected]

২৩| ৩০ শে মে, ২০১১ দুপুর ১২:৪০

হেডস্যার বলেছেন:
রাসুল নুরের না মাটির তৈরি সেইটা নিয়া আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই। মাটির হইলে ও তিনি আমার কাছে যা নূরের হইলে ও তা।








রিপেনডিল বলেছেন: @আলবার্ট আর কত বার আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দিলে উত্তর পাইবেন সেটা উল্লেখ করেন, নাকি আপনি যেই পীরের মুরিদ সেই পীরের পড়া পানি খাইয়া সব ভুলিয়া যান?!
=============================================
আশা করি আবলা-র্ট এর উত্তরটা এই পোষ্টে দেখতে পারব।

২৪| ৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৩

নিহান বলেছেন: “নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ্‌ পাক-এর পক্ষ হতে এক মহান নূর এবং একখানা সুস্পষ্ট কিতাব এসেছে।” (সূরা মায়িদা-১৫)
উল্লেখ্য, এ আয়াত শরীফে মহান আল্লাহ্‌ পাক “নূর” শব্দ দ্বারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্‌ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেই বুঝিয়েছেন, যেহেতু তিনি আপাদমস্তক “নূর বা নূরের তৈরি।”
এ প্রসঙ্গে “তাফসীরে আবী সাউদ”-এর ৩য় জিঃ ১৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “বর্ণিত আয়াত শরীফের প্রথম শব্দ অর্থাৎ ‘নূর’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম; আর দ্বিতীয় শব্দ অর্থাৎ ‘কিতাবুম মুবীন’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- কুরআন শরীফ।”
হাদীছ শরীফে উল্লেখ আছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহ পাক্‌-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ্‌ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হয়ে যাক। আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, আল্লাহ্‌ পাক সর্ব প্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন?
তিনি বললেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ পাক সবকিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর মুবারককে সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহ পাক-এর প্রথম সৃষ্টিই হচ্ছে “নূরে হাবীবী” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” (মসনদে আব্দুর রায্‌যাক)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে নূরের সৃষ্টি বা “নূরে মুজাস্‌সাম” তা নিম্নোক্ত বর্ণনা দ্বারাও প্রমাণিত হয়:
যেমন হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- হে আমার রব! আমাকে কি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন? জবাবে আল্লাহ্‌ পাক বলেন, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি আমার (সৃষ্টিকৃত) সাদা নূর (যা নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্বচ্ছতা ও নির্মলতার প্রতি লক্ষ্য করলাম, যে নূরকে আমি কুদরতের দ্বারা আমার হুকুমে প্রথমেই সৃষ্টি করে রেখেছিলাম।
আমি সম্মান প্রকাশার্থে উক্ত নূরকে অর্থাৎ আমার নূর বলে সম্বোধন করি। অতঃপর উক্ত নূর থেকে একটি অংশ বের করে নিলাম অর্থাৎ “নূরে হাবীবী” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তিন ভাগে ভাগ করলাম। প্রথম ভাগ দ্বারা আপনাকে অর্থাৎ আপনার আকৃতি মুবারককে ও আপনার আহলে বাইতকে সৃষ্টি করি, দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা আপনার স্ত্রী ও ছাহাবীগণকে সৃষ্টি করি, আর তৃতীয় ভাগ দ্বারা যারা আপনার প্রতি মুহব্বত রাখেন তাঁদেরকে সৃষ্টি করেছি”.....(নূরে মুহম্মদী- ৪৭)”
অতএব, প্রমাণিত হলো যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দেহ মুবারক সৃষ্টির উপাদান হচ্ছে- “মূল নূরে হাবীবী।” যে ‘নূরে হাবীবী’ হযরত আদম আলাইহিস্‌ সালাম থেকে হযরত খাজা আব্দুল্লাহ্‌ আলাইহিস্‌ সালাম হয়ে মা হযরত আমিনা আলাইহাস্‌ সালাম-এর রেহেম শরীফে সম্পূর্ণ কুদরতীভাবে স্থান নিয়েছিল। আমাদের অবস্থা কিন্তু তার সম্পূর্ণই ব্যতিক্রম। যদি তাই হয়, তবে একথা কি করে বলা যেতে পারে যে, রসূল আমাদের মত।”
আকৃতিগতভাবে মেছাল আমাদের মত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোন দিক দিয়েই আমাদের মত নন, বরং তিনি আমাদের থেকে সৃষ্টিগত উপাদান, কর্মকাণ্ডে ও মর্যাদায় ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে আলাদা অর্থাৎ এক কথায় সৃষ্টির মাঝে তাঁর তুলনা তিনি এককভাবে নিজেই। যেমন আল্লাহ্‌ পাক স্রষ্টা হিসেবে তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। তদ্রুপ সৃষ্টির মধ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরও সমকক্ষ কেউ নেই। কোনদিক দিয়েই না।
“সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরে মুজাস্‌সাম বলেই তাঁর শরীর মুবারকের কোন ছায়া ছিল না।”
এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত ও প্রসিদ্ধ “নাওয়াদেরুল উছূল” কিতাবে হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে যে, হযরত হাকীম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি “নাওয়াদেরুল উছূল” কিতাবে হযরত জাকওয়ান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেন। নিশ্চয়ই সূর্য ও চাঁদের আলোতেও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর “ছায়া মুবারক” দেখা যেত না।”
হযরত আল্লামা ইবনে সাবা রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর “শিফাউস সুদুর” কিতাবে লিখেছেন,
অর্থঃ- “নিশ্চয়ই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম-এর ছায়া মুবারক যমীনে পড়তো না। কেননা তিনি ছিলেন নূর। অতঃপর যখন তিনি সূর্য অথবা চাঁদের আলোতে হাঁটতেন তখন তাঁর ছায়া মুবারক দৃষ্টিগোচর হতো না।”
এ প্রসঙ্গে “শরহে মাওয়াহেবুল লাদুন্নীয়া শরীফে” উল্লেখ আছে, “চাঁদ ও সূর্যের আলোতেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছায়া মুবারক ছিল না। কেননা তিনি নূর ছিলেন।” (আর নূরের কোন ছায়া নেই)
ইমামুল আল্লাম, জালালু মিল্লাত ওয়াদ্বীন, আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর “আনমুযাজুল লবীব ফী খাছায়িসিল হাবীব” ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দ্বিতীয় বাবের চতুর্থ অধ্যায়ে লিখেন- “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছায়া মুবারক মাটিতে পড়েনি। চাঁদ ও সূর্যের আলোতেও তাঁর ছায়া মুবারক দেখা যেতো না। হযরত আল্লামা ইবনে সাবা রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন- হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু সম্পূর্ণ নূর ছিলেন সেহেতু তাঁর ছায়া মুবারক ছিল না। হযরত ইমাম রাজীন
রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, অবশ্যই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নূর সমস্ত কিছুকে ছাড়িয়ে যেতো।”
এ প্রসঙ্গে “শেফা শরীফ” কিতাবে উল্লেখ আছে যে, “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নূরের দেহ মুবারকের ছায়া মুবারক সূর্য ও চাঁদের আলোতেও পড়তো না। কেননা তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ নূর।”
অনুরূপভাবে “আফযালুল কোরায়” উল্লেখ আছে, “নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্‌ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘নূর’ ছিলেন। নিশ্চয়ই তিনি যখন চাঁদ ও সূর্যের আলোতে হাঁটতেন তখন তাঁর ছায়া মুবারক প্রকাশ পেতো না।”
বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা শিহাবুদ্দীন খাফফাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি “নাসীমুর রিয়াজ” নামক কিতাবে লিখেন যে, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর “নবুওওয়াতের” প্রমাণের মধ্যে এটাও একটি প্রমাণ যে, তাঁর শরীর মুবারকের ‘ছায়া মুবারক’ ছিল না। যখন তিনি সূর্য ও চন্দ্রের আলোতে হাঁটতেন তখনও তাঁর “ছায়া মুবারক” পড়তো না। কেননা তিনি (আপাদ মস্তক) “নূর”। ... কিতাবুল ওয়াফা-এর লেখক, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণনা করেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর “ছায়া মুবারক” ছিল না। তাঁর নূরের উজ্জলতা সূর্য ও বাতির আলোর উপর প্রাধান্য লাভ করতো ...।”
এ প্রসঙ্গে “ফয়জুল ক্বাদীর শরহে জামিউছ্‌ ছগীর” কিতাবের ৩য় জিঃ, ৭৬৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “হযরত আবুল উজাফা হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার বিলাদতের সময় আমার মাতা হযরত আমিনা আলাইহাস্‌ সালাম দেখেন যে, একখানা “নূর মুবারক” তাঁর থেকে আলাদা হয়ে বছরা শহরের দালান-কোঠা সমূহ আলোকিত করে ফেলেছে।”
“বুলুগুল আমানী” কিতাবের ২০ জিঃ, ১৮৩ পৃষ্ঠায় এ হাদীছ শরীফখানা বর্ণিত আছে যে, “হযরত ওসমান ইবনে আবিল আছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, যে রাত্রে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিলাদত লাভ করেন, সে রাত্রে আমার মাতা হযরত আমিনা আলাইহাস্‌ সালাম-এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সে রাত্রে আমি ঘরের ভিতর ‘নূর’ ব্যতীত কিছুই দেখিনি।”
শুধু তাই নয়, আরশ-কুরসী, লউহ-ক্বলম, জান্নাত-জাহান্নাম, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-তারকা এমনকি সমস্ত কুল-ক্বায়িনাত সৃষ্টি হয়েছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নূর মুবারক থেকে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বখ্যাত কিতাব মাদারিজুন নুবুওওয়াতে উল্লেখ আছে,
“আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন, এবং সব কিছুই সৃষ্টি হয়েছে আমার নূর মুবারক থেকে।”
তিনি যখন রাস্তায় চলতেন তখন সেই রাস্তায় নূরে ঝলমল করত। তিনি আপাদমস্তক নূর তার জ্বলন্ত প্রমাণ হল হযরত আয়িশা ছিদ্দিক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর বর্ণিত হাদীছ শরীফ। যেমন- হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাত্রে বাতির আলোতে বসে নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাপড় মুবারক সিলাই করতেছিলাম। এমন সময় বাতিটি নিভে গেল এবং আমি সুঁচটি হারিয়ে ফেললাম। এর পরপরই নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। তাঁর চেহারা মুবারকের নূরের আলোতে আমার অন্ধকার ঘর আলোকময় হয়ে গেল এবং আমি নূরের আলোতে আমার হারানো সুঁচটি খুজে পেলাম। (সুবহানাল্লাহ)
কাজেই কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের অসংখ্য দলীল আদিল্লাহ এর ভিত্তিতে প্রতিভাত হলো যে, আখিরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরে মুজাস্‌সাম তথা আপাদমস্তক নূর, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ করলে কাফির হওয়া ছাড়া কোন পথই নেই। যার সাক্ষী স্বয়ং আল্লাহ পাক।

৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬

মানব ও মানবতা বলেছেন: যেসব কিতাবের নাম বললেন, এগুলো কোন স্তরের তা কি আপনি জানেন? সিহাহ সিত্তাহর কোন হাদীস তো দেখালেন না? এর বাইরে যে কোন হাদীসের উল্লেখ করলে অবশ্যই পুরো সূত্র উল্লেখ করতে হবে। নামের শুরুতে আল্লামা আর ইমাম লাগালেই তো তিনি দলীল হয়ে যান না। এতো তাফসীর থাকতে তাফসীরে আবি দাঊদ কেন? যেসব কিতাবের নাম লিখেছেন, তারা কেউ হাদীস শাস্ত্রে গ্রহণযোগ্য নন। আর ভাই, আপনি তো দারুণ!! নূরে মুহাম্মদী, নাওয়াদেরুল উছুল, বুলুগুল আমান জাতীয় কিতাব দিয়ে দলীল দিচ্ছেন? আর কোন কিতাব খুঁজে পাননা? এভাবে চলতে থাকলে আর কদিন পর আপনি নেয়ামুল কুরআন আর মোকসেদুল মুমেনীন নিয়ে আসবেন। অনেক বেদআতের দলীল হিসেবে ইমাম সুয়ুতীর নাম আসে, কারণ তিনি যা পেতেন তাই লিপিবদ্ধ করতেন। সুতরাং এখানে নীতিমালা রয়েছে। আমি যুক্তি মেনে নেব যদি সিহাহ সিত্তাহ থেকে কোন হাদীস পুরো বর্ণনা সহ দিতে পারেন। আলতু ফালতু কিতাবের নাম দিয়ে ভড়কানোর দিন শেষ।
নীচের কমেন্টটিও পড়েন। অন্ধত্ব ছাড়েন।

২৫| ৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৯

তালহা ইবনে জাফর বলেছেন: তাইইব নামক একজন সুরা মাইইদার ১৫ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করেছেন। আমি তা নিচে উল্লেখ করলাম।
হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন! কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে একটি উজ্জল জ্যোতি এসেছে এবং একটি সমুজ্জল গ্রন্থ

বোল্ড করা অংশ টুকু তিনি প্রমাণ হিসেবে দিয়েছেন। অর্থাৎ উজ্জ্বল জোতি বলতে এখানে মুহম্মদ সঃ কে বোঝানো হয়েছে। ভালো কথা।
সমুজ্জ্বল শব্দের অর্থ সম উজ্জ্বল। এখানে একটি সমুজ্জ্বল গ্রন্থের আগমনের কথাও বলা আছে। জনাব তাইইব এর যুক্তি অনুসারে, কুরান শরিফ-ও নুরের তৈরি!!! ভুল বললাম?

এবার আমি একটা প্রমাণ দেই, সরাসরি কোরান থেকে।

Sahih International
Say, "I am only a man like you, to whom has been revealed that your god is one God. So whoever would hope for the meeting with his Lord - let him do righteous work and not associate in the worship of his Lord anyone."


বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।

সুরা কহফ। আয়াতঃ ১১০

বোল্ড করা অংশে এখানে নবিযী কে আমদের মত মানুষ বলা হয়েছে। আমরা নিশ্চয়ই নুরের তৈরি না। তাহলে তিনি কেন তা হবেন!!

সরাসরি কুরানের দলিল পেশ করলাম যা কোন রাখ ঢাক ছাড়াই নবিযী কে আমদের মত সাধারণ মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পারলে এমন কোন দলিল কেউ দেখাক, যেখানে সরাসরি তাকে নুরের তৈরি বলা হয়েছে। কুরান কখনই পরস্পর বিরোধী বক্তব্য
পেশ করে না।

ধন্যবাদ সবাইকে।

২৬| ৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৮

তালহা ইবনে জাফর বলেছেন: নিহান ভাই বললেন,
আকৃতিগতভাবে মেছাল আমাদের মত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোন দিক দিয়েই আমাদের মত নন, বরং তিনি আমাদের থেকে সৃষ্টিগত উপাদান, কর্মকাণ্ডে ও মর্যাদায় ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে আলাদা অর্থাৎ এক কথায় সৃষ্টির মাঝে তাঁর তুলনা তিনি এককভাবে নিজে

ভাই, নুরের তৈরি নবীর দন্ত মুবারক ওহুদের যুদ্ধে কীভাবে শহীদ হল? কীভাবে তিনি তায়েফ এর ময়দানে রক্তাক্ত হলেন? সৃষ্টিগত উপাদান যদি ভিন্নই হয়, ফলাফল কেন এক? অর্থাৎ তিনি আঘাত পেলে ব্যথা পান, তার রক্তপাত হয়, তিনি প্রাকৃতিক কার্যও সম্পাদন করেন আবার তিনি নুরের-ও তৈরি! কেন ভাই?

আপনি বললেন নবিযীর কোন ছায়া পড়ত না। কারণ তিনি নুরের তৈরি।
আমি যদি বলি, নবিযী অনেক মজেযা দেখতে পেরেছিলেন, কারণ তিনি ছিলেন যাদুকর! নাউযুবিললা

এগুলো মজেযা, যা আল্লাহর তরফ থেকে আসে। এগুলার সাথে নুরের কোন সম্পর্ক নেই। আর স্পষ্ট করে কথাও বলাও হয়নি যে তিনি নুরের তৈরি। আমি উপরে কোরানের একটি স্পষ্ট দলিল দিয়েছি। তাও কি আপনারা মানতে পারছেন না? কেন?

৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মানব ও মানবতা বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে গর্বিত বোধ করছি। অশেষ সালাম আপনাকে।

২৭| ৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৫

মানব ও মানবতা বলেছেন: যারা এখানে হাদীস আর কিতাবের বাহাদুরী দেখাচ্ছেন, আউল ফাউল কিতাব না এনে হাদীসের প্রধান ছয়টি গ্রন্থ থেকে হাদীস আনেন। তাফসীরের কিতাব থেকে হাদীস দলীল দেয়া যায়না। সাহাবা কিংবা তাবেয়ীদের কোন কথা দেখান, যেখানে নবীকে নূর বলা আছে। এর বাইরে আল্লামা আর ইমামের নাম এনে লাভ নেই। সর্বোপরি নবীকে ওহী পাঠিয়ে মানুষ হিসেবে বলা হয়েছে। এ আয়াতের বিপক্ষে গেলে ঠিক এরকম স্পষ্ট আয়াত লাগবে যেখানে বলা আছে, আমি নূরের তৈরি? আছে এমন কোন আয়াত? অন্য কিতাবের উদ্ধৃতি দিলে পৃষ্ঠা ও প্রকাশনা উল্লেখ করুন। নিজের লেখায় আরবী আবিজাবি কিতাবের নাম দিলেই তো আর পন্ডিত সাজা যায়না। অন্ধভাবে ইসলাম মানার কোন অবকাশ নেই।

২৮| ৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩২

নাম বলা যাবে না বলেছেন: ভাই আপনার ইমেইল টি একটু দেয়া যাবে? আপনার সাথে যোগাযোগ করার ইচ্ছা আছিল। আমার ইমেইল

[email protected]

৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:১০

মানব ও মানবতা বলেছেন: [email protected]

২৯| ৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫১

নভোচারী বলেছেন: রাসূল (সঃ ) নূর। তবে এই নূর বলতে আলো বোঝায় না। এটা রূপক। তিনি আমাদের হেদায়াতের জন্য ইসলাম প্রচার করেছেন। এই জন্য তাকে নূর বলা হয়েছে। কারণ আলোর মাধ্যমে যেমন আমরা পথ দেখতে পাই তদ্রূপ তাঁর মাধ্যমে আমরা আখিরাতে মুক্তির পথ দেখতে পাই।

৩০| ৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৪

সোজা সাপটা বলেছেন: জমি নিয়া কথা না কইয়া এখন সবাই তালগাছ নিয়াই কথা কয়।

মূল ইসলাম কি এই গুলাই শিখাইছে???

৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২

মানব ও মানবতা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মূল জমির কোনো খবর নেই, আইল নিয়ে মারামারি।

৩১| ৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১

বুদ্ধু বলেছেন: মহানবী স: নূরের তৈরি হলে কাফেররা কেন বলতো আল্লাহ তাঁর বাণী দিয়ে কোনো ফেরেশতা পাঠালো না কেন? ফেরেশতা তো নূরের তৈরি।

৩২| ৩০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

লিফো বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ, মিথ্যার সাথে আপস না করার জন্য।

"সোজা সাপটা বলেছেন: জমি নিয়া কথা না কইয়া এখন সবাই তালগাছ নিয়াই কথা কয়।"

সোজা সাপটা যা বলেছেন আসলে এইটাই আমাদের সমস্যা।

৩৩| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৯

অনিক আহসান বলেছেন: আইনিস্টাইন মিয়া ভাই... যারা "নুর না মাটি" এই বিষয়ক গবেষনা নিয়া ব্যাস্ত থাকে তাদের কাছে এইসব প্রশ্ন একেবারেই অ প্রাসাঙ্গিক.....

৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৫৬

মানব ও মানবতা বলেছেন: কেন ভাই? ভুল বললেন। এখানে নূর মাটি নিয়ে গবেষণার কিছু নেই। সব স্পষ্ট। শুধু আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার কাজটুকু করে দিলাম। আমি মোটও এসব বিষয় নিয়ে ভাবুক নই। তবে ভন্ডামী প্রতিবাদ করে যাই। চাই তা যে কোন বিষয়ে হোক। ভাল থাকুন, ভাল কথা বলতে শিখুন।

৩৪| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৫৪

বুদ্ধু বলেছেন: আলবার্ট মিথ্যার এবং বিভ্রান্তির শিকার। মাওলানা আকরম খাঁর 'মুস্তফা চরিত" বইটা পড়তে পারেন।

৩৫| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৫৫

রিপেনডিল বলেছেন: @আলবার্ট স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলাম?! হাহাহা, ভাল বলেছেন। বলেছিলাম বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে অন্য সমাজ ব্যবস্থার ন্যায় অন্যায় বিচার করা যায় না। সে হিসেবে আপনার পূর্বপুরুষ ও বহুগামী এবং শিশুগামী। মুহাম্মাদ (সঃ) কেন বহুবিবাহ করেছিলেন এবং প্রতিটি বিবাহের প্রেক্ষাপট সুন্দর করেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে ঐ পোস্টে।

৩৬| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১২:৫৬

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: সকল পীরপন্থী ব্যক্তিবর্গের জন্য
-----------------------------------------------------------------------------------

মহান আল্লাহ পাক ,তিনি স্বয়ং কালামুল্লাহ শরীফ এর সুরা মায়িদা এর ১৫ নংআয়াত শরীফে ইরশাদ ফরমান-"নিশ্চয় আল্লাহ্ পাক উনার তরফ থেকে এসেছেন সুস্পষ্ট নুর "


=> ওকে মানলাম এখানে আল্লাহর রাসুল কে নূর বা জ্যোতি বলে আখ্যায়িত করা হইছে। কিন্তু এখানে কি বলা হইছে তিনি নূরের তৈরী।


সূরা আহযাব-৩৩-৪৬ নং আয়াতে বলা হইছে নবী হলেন "সিরাজাম মুনিরা" মানে উজ্জল প্রদীপ। তাহলে কি আমরা ধরে নিব রাসুল সাঃ উজ্জল প্রদীপ বলতে কেরোসিনের চুলার কথা বলা হইছে। বরং এগুলো হলো উপমা। অবশ্যই রাসুল সাঃ কোরআনের নূরে আলোকিত ছিলেন। তার মানে এই নয় যে তিনি নূরের তৈরী। আমরাও নিজেদের কোরআনের আলোয় উদ্ভাসিত করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি।

১) আমরা সবাই আদম আঃ এর সন্তান। এখন আদম আঃ কি মাটির তৈরী ছিলেন না নূরের তৈরী? উত্তর মাটির তৈরী। তাহলে মাটির তৈরী একটি লোকের ছেলে নূরের তৈরী কিভাবে হয় সেটাই আমার মাথায় ধরে না।

২) ফাতেমা রাঃ কিসের তৈরী ছিলেন। মাটির না নূরের? উত্তর নূরের। তাহলে কি করে একজন নূরের তৈরী লোকের সন্তান মাটির তৈরী হয়?

৩) হাসান হোসাইন রাঃ কি নূরের তৈরী ছিলেন নাকি মাটির ছিলেন? উত্তর মাটির। তাহলে একজন নূরের তৈরী ব্যক্তির সন্তান কোন যুক্তিতে মাটির তৈরী ব্যক্তির নানা হন? বরং রাসুল সাঃ ছিলেন মাটির তৈরী মানুষ।


৪) সূরা ত্বহা-৫৫> এই মাটি থেকে আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এবং এই মাটিতেই তোমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাব।

নবী সাঃ কি এই আয়াতের বাহিরে?



সূরা হামীম সিজদাহ-৬> বল আমি তোমাদের মতো মানুষ।

এই আয়াতে আল্লাহ আদেশ দিচ্ছেন "তুমি ঘোষনা কর। তারা মানুষ এবং তুমি নিজেও মানুষ।

সূরা মুমিনুন-২১:৩৩> তাঁর সম্প্রদায়ের প্রধানরা যারা কাফের ছিল, পরকালের সাক্ষাতকে মিথ্যা বলত এবং যাদেরকে আমি পার্থিব জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দিয়েছিলাম, তারা বলল: এতো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নয়। তোমরা যা খাও, সেও তাই খায় এবং তোমরা যা পান কর, সেও তাই পান করে।

এই আয়াতে কাফেররা স্বাক্ষী দিচ্ছে যারা মোহাম্মদ সাঃ কে সামনা সামনি দেখেছে তারা বলছে তিনি তাদের মতোই মানুষ। তাহলে আমাদের এই পীরপন্থীগুলো কোন যুক্তিতে বলে নূরে তৈরী মানুষ।


তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়াও হয় যে তিনি যদি নূরের তৈরী হন তাহলে তো তিনি ফেরেশতাদের সমতুল্য হয়ে গেলেন। কারণ ফেরেশতারা আমাদের সিজদাহ করেছে এবং তারা নূরের তৈরী।


-----------------------------------------------------------------------------------


এরশাদ হচ্ছেঃ ‘হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে। (সূরা আল্ আহযাব: ৪৫-৪৬)

নবীকে উক্ত আয়াতে যে মহান আল্লাহ গুণগত দিক থেকে নূর বা জ্যোতি বলেছেন তা অত্র আয়াতেই স্পষ্ট। নাকি বিদআতীরা বলবে ‘উনি আসলেই সৃষ্টিগত দিক থেকে উজ্জ্বল চেরাগ ছিলেন’! তার থেকে আগুণ নিয়ে মানুষ নিজেদের রান্না-বান্নার কাজ করতেন, তাদের চুলায় আগুণ ধরাতেন, বাড়ির চেরাগ জ্বালাতেন…?

মহান আল্লাহ আল কুরআনকেও ‘নূর-জ্যোতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

এরশাদ হচ্ছে: ‘অতএব তোমরা আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং অবতীর্ণ নূরের প্রতি ঈমান আনয়ন কর। তোমরা যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত। (সূরাহ আত্ তাগাবুন:৮)

-----------------------------------------------------------------------------------


এরশাদ হচ্ছে: ‘অতএব তোমরা আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং অবতীর্ণ নূরের প্রতি ঈমান আনয়ন কর। তোমরা যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত। (সূরাহ আত্ তাগাবুন:৮)

অন্য সূরায় মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘সুতরাং যারা তাঁর (মুহাম্মাদ এর) উপর ঈমান এনেছে, তাঁকে সম্মান করেছে, সাহায্য করেছে এবং তার উপর যে নূর অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ করেছে তারাই হল প্রকৃত সফলকাম। (সূরা আল্ আরাফ: ১৫৭)


উক্ত আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ কুরআনকেও ‘নূর’ বলেছেন। জানিনা নূর পার্টিরা কুরআনের ক্ষেত্রে কী বলবে। নাকি বলবে কুরাআনও নূরের সৃষ্টি! অথচ কুরআন মহান আল্লাহর বাণী ইহাই সকল সুন্নী মুসলিমদের বিশ্বাস। কুরআনকে সৃষ্টবস্তু জ্ঞান করা স্পষ্ট কুফরী, এই জঘণ্য আক্বীদাহ সর্ব প্রথম ইসলামের ঘোরতর বিদআতী দল মুতাযিলারা অবলম্বন করে। আশা করি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এই বিদআতীরা ঐ বিদআতের সহমত হবে না। বরং তারাও বলবে যে, কুরআন আল্লাহর সৃষ্টি নয়, বরং তা আল্লাহর বাণী।


আরো বিস্তারিত এখানে
----------------------------------------------------------------------------------

শেষ মেষ যেটা বলি সেটা হলোঃ এই পীরপন্থী মুরিদগণ রাস্তার পাশের অলী আউলিয়ার নামে লেখা কিছু সস্তা বই পড়ে এবং সেগুলোতে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গের নামে লিখিত অতিরঞ্জিত লেখা পড়ে তাদের এতই ভক্ত হয় যে যখন তাদের সামনে আল্লাহর বাণী কোরআন বা রাসুল সাঃ এর হাদিস পেশ করা হয় তখন তারা সেটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

তারা অলী আউলিয়ার সস্তা দলিল বিহীন কাহীনি এবং কিছু পীরপন্থী মানুষের লেখা গ্রন্থকে দিয়ে কোরআন ও হাদিস বিচার বিশ্লেষন করে। অথচ কোরআন ও সহীহ হাদিস দিয়ে সেই বইগুলো বিচার বিশ্লেষন করা উচিত ছিল।

------------------------------------------------------------------------------------

‘নবী সৃষ্টিগত দিক থেকে আমাদের মত মানুষ’ মর্মে হাদীছ থেকে প্রমাণঃ

১নং হাদীছঃ নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম) বলেনঃ তোমরা সকলেই আদমের সন্তান, আর আদম মাটি থেকে সৃষ্টি। (বায্ যার প্রভৃতি, হাদীছ ছহীহ, দ্রঃ ছহীহুল জামে’ হা/৪৫৬৮)।

২নং হাদীছঃ ‘তিনি আরো বলেনঃ আমি তো একজন মানুষ, আমিও তোমাদের মত ভুলে যাই, কাজেই আমি ভুলে গেলে আমাকে তোমরা স্মরণ করিয়ে দিবে। (বুখারী, ছালাত অধ্যায়, হা/৩৮৬, মুসলিম মসজিদ ও ছালাতের স্থান অধ্যায়, হা/৮৮৯)

৩নং হাদীছঃ ‘তিনি আরো বলেনঃ আমি তো একজন মানুষ, আমার নিকট বাদী আসে, সম্ভবত তোমাদের একজন অপর জন অপেক্ষা বেশি বাকপটু হবে, তাই আমি ধারণা করে নিতে পারি যে সে সত্য বলেছে কাজেই সে মতে আমি তার পক্ষে ফায়ছালা দিয়ে দিতে পারি। তাই আমি যদি তার জন্য কোন মুসলিমের হক ফায়ছালা হিসাবে দিয়ে থাকি, তাহলে সেটা একটা জাহান্নামের টুকরা মাত্র। অতএব সে তা গ্রহণ করুক বা বর্জন করুক। (বুখারী, মাযালিম অধ্যায়, হা/২২৭৮)।

‘মা আয়েশাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম) বাড়িতে থাকাকালীন কী কাজ করতেন? তদুত্তরে তিনি বলেছিলেনঃ তিনি তো অন্যান্য মানুষের মত একজন মানুষ ছিলেন। তিনি তার কাপড় সেলাই করতেন, নিজ বকরীর দুধ দোহন করতেন, নিজের সেবা নিজেই করতেন। (আহমাদ,হা/২৪৯৯৮, আল আদাবুল মুফরাদ প্রভৃতি, হাদীছ ছহীহ, দ্রঃ ছহীহুল আদাব আল্ মুফরাদ, হা/৪২০, মুখতাতাছার শামায়েলে তিরমিযী, হা/২৯৩, ছহীহাহ, হা/৬৭১)

-----------------------------------------------------------------------------------
তারা তাকলীদ বা অন্ধঅনুকরণ করে তাদের পীর বুজুর্গদের

সূরা লুকমান-২১> যখন তাদের বলা হয় আল্লাহ যা নাজিল করছেন (কোরআন) তার অনুসরণ করো, তখন তারা বলে আমরা সেগুলোই অনুসরণ করবো যেগুলো আমাদের বাপদাদা (পীর বুজুর্গ ইত্যাদি) দের থেকে পেয়েছি। (আল্লাহর প্রশ্ন) তারা যদি তোমাদের জাহান্নামের দিকে ডাকে তবুও কি তোমরা তাদের অনুসরণ করবে?

-----------------------------------------------------------------------------------
তাদের অবস্থা হলো এ রকমঃ

সূরা ফোরকান-২৫: ৪৩> (হে নবী) আপনি কি সেই ব্যক্তিকে দেখেছেন যারা নিজেদের খেয়ালখুশি/মন বাসনাকে ইলাহ (আদেশদাতা/বিধানদাতা) বানিয়ে নিয়েছে। আপনি কি মনে করেন তাদের অধিকাংশ শুনে ও বুঝে? তারা তো চতুষ্পদ জন্তু বা তার চেয়েও নিকৃষ্ট।

----------------------------------------------------------------------------------

যদি তারা কোরআনের বিধানের দিকে ফিরে না আসে তাহলে তাদের অবস্থা হবেঃ

সূরা নিসা-১১৫> যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুসলমানের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান।

সূরা আনকাবুত-৬৮> যে আল্লাহ্ স¤পর্কে মিথ্যা কথা গড়ে অথবা তার কাছে সত্য আসার পর তাকে অস্বীকার করে, তার চেয়ে অধিক জালিম আর কে? এরূপ কাফেরদের বাসস্থান কি জাহান্নাম নয়?


আল্লাহ আমাদের কোরআন ও সহীহ হাদিস মেনে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ১:০৫

মানব ও মানবতা বলেছেন: আপনাকে আমার আন্তরিক সালাম ও অভিনন্দন। আমি আপনার মতো সাহসী ও দলীলসমৃদ্ধ লেখক চাই। আমার পরীক্ষা চলছে, তাই তেমন কিছু লেখার সময় হচ্ছেনা, আপনি তা পূরণ করে দিলেন। অসংখ্য কৃতজ্ঞতা আপনাকে।

৩৭| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ২:১৬

ছোটমির্জা বলেছেন:
পোস্ট প্রিয়তে।
দেখা যাক।

ওরা বলে - আমি নাকি গালি দিয়েছি

৩৮| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ২:৩২

বিদ্রোহী কান্ডারী বলেছেন: মানুষ যে কত আজাইরা কাজে ব্যাস্ত হইতে পারে তা পোষ্টের কমেন্ট গুলো পড়লেই বোঝা যায়। আরে ভাই আল্লাহ মানুষকে বানিয়েছেন মাটি দিয়ে আর নবী করিম(সাঃ) আমাদের মতই সাধারন মানুষ তফাৎ তিনি আল্লাহর রাসুল। আর এই সিম্পল ব্যাপারটাকে টেনে হিচরে কি করা হচ্ছে।

@লেখকঃ আপনি আলবার্ট নামের এই ভুগিজুগি পাবলিকটারে ব্যাক্তিগত ভাবে চেনেন? যদি না চেনেন তা হলে শুধু শুধু এর প্যাচালে কান দেয়ার দরকার নাই। কোন প্রমান আছে সে অমুসলিম কি না বা পশ্চিমবঙ্গের ব্লগার কিনা। হয়তো সে অমুসলিম কিন্তু মুসলিম থেকে কনভার্টেড নাস্তিক সেজে পাব্লিকরে মগজধোলাই এর চেষ্টা করছে।

৩১ শে মে, ২০১১ রাত ২:৫২

মানব ও মানবতা বলেছেন: আমি তাকে চিনি না। তিনি অভিযোগ দিয়েছেন, তা নিয়েছি। বাকী আমি জানি, অভিযোগ খন্ডিয়ে কাউকে সত্য বুঝানো যায়না। প্রয়োজন সত্য জানার আগ্রহ। জনাব আলবার্টের মনে যে ক্ষোভ অার বিদ্বেষের আগুন জ্বলে, তা এসব অভিযোগ খন্ডালে আরও দ্বিগুণ হবে। আগুন যদি বেড়ে যায় তখন বাতাস আসলে তা আরও বাড়ে, নিভেনা। কিন্তু আগুন অল্প হলে তা নিভে যায়। পব্রিত কুরআনের শুরু হয়েছে, তাকওয়াপূর্ণ হৃদয়ের জন্য হোদা য়াত এই কুরআন' বলে। কাজেই হৃদয় পরিস্কার না থাকলে যতই যুক্তি দেয়া হোক, কাজ হবে না।
সবচেয়ে বড় ভুল, তিনি নিজে নিজে কুরআন হাদীস বুঝতে চেয়েছিলেন, তাতে নিয়মমাফিক না হওয়ায় হাত পুড়ে গেছে তার। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওয়ুধ খেলে রোগী মরেও যেতে পারে, তাই বলে তো ডাক্তারের দোষ নয়। আমি বিভিন্ন জায়গায় তার কমেন্টগুলো পড়লাম, তিনি উত্তেজিত। এখানে যুক্তি যতই দিব, তার প্রশ্ন ততই বাড়বে। সব রোগীর চিকিৎসা এক রকম হয়না।
আশা করি, তিনি প্রশান্ত মনে ভালভাবে ভাববেন তার কর্ম ও মন্তব্যগুলো নিয়ে। এটুকুই যথেষ্ট।

৩৯| ৩১ শে মে, ২০১১ সকাল ৭:২৫

শুধু প্যচাল বলেছেন: @ আলবার্ট_আইনস্টাইন :

উস্তাদ আপনার কথার সাথে একমত নয়। এইখানে যদিও এই আস্তিক মাপের উস্তাদ্গন বিশ্বাস করবেন না। কারন ইনারা ঐ একাই, নিজেরা নিজেরা তফসির করেই বের করেছেন নবী নূরের না। তাই এই দশা। সকলেই এই একা একা পড়েই বিভিন্ন ফেরকা বানাইছে।

আসুন কোরান কি সেই বিষয়ে একটু জেনে নেই - Click This Link

ধন্যবাদ

৪০| ৩১ শে মে, ২০১১ সকাল ৯:৪১

প্রমিথিউস22 বলেছেন: মহানবী (সা.) যদি নূরের তৈরি হতেন তবে তিনি কেন মানুষের গর্ভে জন্ম নেবেন? কেন আল্লাহ তায়ালা নূরের নবীকে মাটির মানুষের জন্য আদর্শ করে পাঠাবেন?

মহানবী (সা.) যদি নুরের তৈরি হতেন তাহলে আযাযীল (পরবর্তীতে ইবলিস) কি তাকে সেজদা করতে অস্বীকার করতো? আযাযীলের একমাত্র যুক্তি ছিল মুহাম্মদ (সা.) মাটির তৈরি আর আমি নুরের তৈরি; সুতরাং আমি মুহাম্মদের (সা.) চেয়ে শ্রেষ্ঠ; সে কারণে আমি তাকে সেজদা করতে পারি না। এই অহংকারের কারণেই সে চিরকালের জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের সামিল হয়ে গেল। পাশাপাশি সে চিরকালের জন্য মানুষ জাতিকে তার দলভূক্ত করার জন্য (ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য) অঙ্গীকারবদ্ধ হল।

আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে হেদায়াত দান করুন এবং ইবলিসের দলভূক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করুন।

৪১| ৩১ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:৫৩

শুধু প্যচাল বলেছেন: @ প্রমিথিউস22


ভাইজান তাইলে কি ইবলিশ নূরের তৈরী? আর মোহাম্মদ মাটির তৈরি?

একটা মন্তব্য দিয়েছিলাম- লেখক সাহেব তা ডিলিট করে দিয়েছেন। উনার কমন পড়েছিলত তাই, অর্থাৎ উনার নিজের চরিত্রের সাথে কমন পড়েছিল।

আপনারা পারেন বটে।

একটা কথা বলিঃ আগে মানুষ হন, তারপর ধর্ম। মানুষ এনেছে ধর্ম, ধর্ম আনেনি মানুষ কোন। (নজরুল)

৩১ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৫১

মানব ও মানবতা বলেছেন: বিতর্ক তখনই উপভোগ্য হয়, যখন তা ভদ্রতার সীমারেখার ভেতরে থাকে। ব্যক্তিবিশেষ খোঁচা আর অমার্জিত মন্তব্য না মুছে উপায় নেই। নিজের বিপক্ষে হলেই যে তাকে যেনতেন ভাবে হেনস্তা করতে হবে, এটি কাম্য নয়। যারা মানুষ হতে উপদেশ দেয়, তারা নিজেদের পরিচয় ভুলে যায়। অন্যকে যদি মানুষ হিসেবে গণ্যই না করেন, তবে আপনি আর কী শেখাবেন। মতের ভিন্নতা কি এভাবেই মানুষকে উগ্র করে তুলে? লোকাল বাসেই তো লেখা থাকে, ভদ্রতা বজায় রাখুন। ব্লগে এসে কি তা ভুলে যান?

৪২| ৩১ শে মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩০

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ Abdullah Arif Muslim, দলীল প্রমান সহ লেখার জন্য।

কাফেররা এই বলে নবীকে অস্বীকার করেছে যে ইনি তো আমাদের মতই মানুষ,
আল্লাহ কেন ফেরেশতা পাঠান না- রসুল হিসেবে ? আর আজকে মুসলমানরাই বলছে
নবীজী মানুষ নন!

আর তাকলিদ বা পীর সম্পর্কে যা বললেন তা শুধু বেদাতীদের জন্যই প্রযোজ্য।
( রাজারবাগী, দেওয়ানবাগী, মাইজভান্ডারী, রিজভী, বেরেলভী ..)

বিশ্বের সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানরাই মুকাললিদ অর্থ তাকলিদ কারি, কিন্তু তারা বেশীরভাগই বেদাতী নয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় গোষ্ঠি তাবলীগ এবং কওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকরা
" নুরের তেরী "- নীতিতে বিশ্বাসী না।




৪৩| ৩১ শে মে, ২০১১ রাত ৯:০৭

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: শুধু প্যচাল@ এই ব্গলারে তো আমি আগেই কাফের বইলা ডিক্লেয়ার দিছি। কোন মুসলিমকে কাফের বলা নিষেধ। কারণ সে যদি কাফের না হয় তাহলে সেটার দায় আমার উপরেই এসে পড়ে। কিন্তু কোন কাফেরকে কাফের বললে সমস্যা নাই। তাকে কাফের বলে ঘোষনা দেওয়ার পিছনে কারণগুলো হলোঃ

১। সে সূরা ফীল এর কাহিনীকে অস্বীকার করছে এবং সূরা ফীলকে নিয়ে হাসি তামাসা করছে যা সূরা তাওবাহ ৬৫ নং আয়াত অনুযায়ীই তাকে কাফের বানানোর জন্য যথেষ্ট। কোরআনের একটি আয়াত অস্বীকার করাই কাফের হওয়ার জন্য যথেষ্ট সেখানে সে একটি পূর্ণাঙ্গ সূরাকেই অস্বীকার করে ফেলেছে।


২। সে একজন নাস্তিক। নাস্তিকরা বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে বিভক্ত। কিছু নাস্তিক আছে যেমন "প্রভাষক"। তার কাজ হইলো কোরআনের লিপিবদ্ধ প্রক্রিয়া নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা। কেউ আছে যার কাজ হলো কোরআনের সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। কিছু আছে তাদের কাজ হলো অযথা কোন কিছু না পড়েই নেগেটিভ মন্তব্য করা।

আর এই নাস্তিকের কাজ হলো নিজেকে মুসলিম দাবী করে কোরআন না মানতে মুসলিমদের অনুপ্রাণিত করা। তার মতে আল্লাহ ও রাসুল মান তবে কোরআন ও হাদিস মানার প্রয়োজন নাই। এবং সে তার কাজ ভালো মতোই চালিয়ে যাচ্ছে। সে আল্লাহ কে বলে "এক কাল্পনিক আল্লাহ"। অনেক জায়গায় সে আল্লাহ কে আল্লা হিসেবে প্রকাশ করে। সে আরো বলে "গীতাতে গভীর সত্য আছেএগুলোর গভীরে আছে গভীর সত্য।" রামায়ন মহাভারতে যেসব হনুমান, রাক্ষস খোক্ষস আনা হইছে সব রূপক। এগুলোতে গভীর সত্য আছে। আমি ১০০% নিশ্চিত সে একজন হিন্দু। কিন্তু মুসলিম হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করে। শেষে কোরআন ও হাদিস মানতে মুসলিমদের প্ররোচিত করে। আর এটাই তার কাজ।


৩। ৪৬ নং কমেন্টে সে বলতেছে
"ভাইজান তাইলে কি ইবলিশ নূরের তৈরী? আর মোহাম্মদ মাটির তৈরি? "
নবী সাঃ এ নাম উচ্চারণ করছে অথচ সাঃ কথাটা বলে নাই। এতে তার ইসলাম বিদ্বেষ প্রকাশ পায়।


৪। ৪৬ নং কমেন্টে সে আরো বলছে

একটা কথা বলিঃ আগে মানুষ হন, তারপর ধর্ম। মানুষ এনেছে ধর্ম, ধর্ম আনেনি মানুষ কোন।

তার মানে ইসলাম ধর্ম মানুষ আনছে সেটা মানার প্রয়োজন নাই। আগে মানুষ হন। তার মানে আপনি যদি ইসলাম বা অন্যান্য ধর্ম ত্যাগ করেন তাহলেই মানুষ হবেন অন্যথায় নয়। আরে বেটা তর যদি এতই খারাপ লাগে তাইলে ধর্ম নিয়ে যেই পোষ্ট দেওয়া হয় সেটায় মন্তব্য করছ কে? এড়াইয়া গেলেই তো পারস?


অতএব সকল মুসলিম ভাইকে হুশিয়ার করে দিচ্ছি এই কাফের থেকে সাবধান থাকবেন। আল্লাহ আমাদের সত্য অনুসরণ করার তৌফিক দান করুন।

৪৪| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৯

শুধু প্যচাল বলেছেন: @ Abdullah Arif Muslim :

ভাইজান আসলেই হাসালেন। আসলেই.।ধন্যবাদ- আসলেই আপনারা পারেন বটে। আপনে কোরানের আয়াত দিয়ে আমাক কাফের পরমান করলেন। বাহ!!

আমি আল্লাহরে কাল্পনিক বলিনি, বলেছি আপনারা যেই আল্লাহরে ডাকেন সেই আল্লাহ কাল্পনিক।যাইহোক সে কথা।

সুরা ফীল এর যে ব্যাখ্যা আমি দিয়েছি সেটা দেখেছেন, নাকি সত্য কথা বুঝার উপলব্ধি টূকু এখনও উদয় হয়নাই? কাগজের কোরান আর ছাপা আরবী অক্ষর দেখলেই চুমু খান মাথায় তুলে রাখনে, আর যেই মানুষ আল্লাহ সব থেকে ভালবাসা দিয়ে সৃষ্টি করলেন, যেই মানুষকে তিনি পবিত্র করেছেন, সেই মানুষকে কাফের বলেন, সেই মানুষকে ভেদাভেদ করেন।
আল্লাহ আপনাকে এসে বলেছেন কে কাফের, কে মুনাফিক? সুতরাং সুরা ফীল এর ঐ মর্ম বুঝার ঘিলু এখনও আসেনি। আরবী হরফে দক্ষ হয়েছেন, আক্ষরিক কোরানের মহা পন্ডিত - কিন্তু বিবেক জ্ঞানী হয়নি। এই কথা বললে আবার লেখক সাহেবেরও দেখি গা ঘিন ঘিন করে। সত্য সহ্য হয়না।

কেন গীতা, বাইবেল সত্য থাকতে পারেনা? গীতায় সত্য থাকলে বললে কি মুসলমানিত্ব যায় নাকি? তাইলেত আপনে হিন্দু কাউরে দেখলেই কাফের বলে বসেন নাকি? একি আজব মানুষ আপনে? আপনার কোরান শুধু সত্য, বাকি সব মিছা? ভালইত। তাইলে খালি আপনারাই হুর নিয়ে মউজ মাস্তি করবেন। ঠিক আছে।

আপনার আসলেই মানসিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ। আসলেই। আপনার বিবেক জ্ঞান শুন্য হয়ে পড়েছেন।

আসুন ইবলিশ নূরের আর নবী হয়ে গেল মাটির, এই কথা যে কইল তার কিছু হইলনা, আর আমি মোহাম্মদ কইলাম, আর আমারে ধরলে (সাঃ) এই নিয়ে সুতা প্যাচাইলেন।হা.।হা.।আসলেই আপনারা পারেন বটে।


আসুন ধর্ম আসলে যুগে যুগে কারা এনেছে বলেনত? কখন আল্লাহ, খোদা, গড, ভগবান, ঈশ্বর কেউ এই ধরনীতে দেখছেন ধর্ম প্রচার করতে এসেছেন? বলুন? কারা ধর্ম প্রচার করেছেন? মানুষ। তাইনা? না সত্য যদি পেটে জ্বালাও দেয় ,তাও ভাইজান সত্যত সত্য। তাইনা? আপনাদের মতে মাটির নবী রসুল গন ধর্ম প্রচার করেছেন। তাইনা?

মানলাম পরম করুনা ময়, সর্বশক্তিশালী আল্লাহ সেই ধর্ম কি করলেন মাটির সেই মানুষকে দিয়ে তাঁর ধর্ম প্রচার করলেন। তাইনা? কিন্তু আমরা ধর্ম পাই কার কাছ থেকে? সেই মানুষের কাছ থেকেইত , তাইনা? আচ্ছা সেই মানুষটি মাটির না নুরের তাও আমরা ব্যাখ্যা দিচ্ছি সেই মানুষটির দেয়া বানী থেকে। সবই সেই মানুষ। এই মানুষ ছাড়া আর কিছুইকি আছে? তাইলে কন? আর উপরের এই কথাটা আমার না, ইহা নজরুল ইসলামের কথা।

ওহহ!!! চরি চরি ---আপনারাত আবার কবি মানেন না। নজরুলকেত আপনারা আবার কাফের হিসাবে জানেন। ভাল। আপনারে আর কি বলব।

যাইহোক এই হল আপনার কথা।

@ লেখক সাহেবঃ ভদ্রতা আমার জানা নেই মানলাম। কারন সত্য একটু অভদ্রই মনে হতে পারে। স্বাভাবিক। ঠুনকো ভদ্রতার দেয়াল খুব সহজেই ভেঙ্গে যায় সত্য কথায়।

আপনাদের সাথে ধর্মের কোন কথাই বলছিনা। কারন তা বৃথা। আসল সত্য আপনাদের কানে প্রবেশ করবে না। বাপ দাদার দেয়া ধর্ম আপনাদের সহ্য হয়ে গেছে। সেখানে বিশ্বাস এনে ফেলেছেন।

এইটাও খারাপ লাগলে ডিলিট করে দিয়েন।

মানুষ হতে আবারো আহবান। ভালথাকবেন।
ধন্যবাদ।

০১ লা জুন, ২০১১ রাত ২:০৫

মানব ও মানবতা বলেছেন: সত্য কথা সৎ ইচ্ছায় সৎ ভাবে বললে কখনো ঝগড়া হয়না। আপনাকে যতই বলব, ততই কথা লম্বা হবে। বুঝার থাকলে এতক্ষণে বুঝে যেতেন।

৪৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৫২

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন বলেছেন: অভিযোগ না খন্ডাইলে মেনে নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।

=> মানাতো দূরের কথা এর পরের পোষ্টেই পোষ্ট দিতেছি। অবশ্যই পীর পন্থীদের কথা আমরা মানব যদি তারা দলিল দিতে পারে । কিন্তু তারা সেটা পারে নাই। আর শুধু প্যাচাল রে এখনি ওয়াশ করতেছি।

৪৬| ০৪ ঠা জুন, ২০১১ দুপুর ১:১২

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আপনি যে ভাই কি টাইপের লোক। আপনার তো মনে হয় আপনার গন্ডারের চামড়া। এত অপমান করে তারপরেও গায়ে লাগে না আপনার। আপনার সাথে তর্ক করা বৃথা। কারণ মানুষের সাথে মানুষ তর্ক করতে পারে, গরু ছাগলের সাথে তর্ক হয় না। লিখতাম না, শুধু লিখলাম দিলাম আপনারে আরেকটু অবৈতনিক শিক্ষা ও প্রলাপ এর উত্তর দেবার জন্য। নিচে আপনারে আবার অপমান করলাম। দেখি এইবার আপনের শিক্ষা হয় কি না? মনে হয় না হইবো।
-----------------------------------------------------------------------

আপনি বললেন


ভাইজান আসলেই হাসালেন। আসলেই.।ধন্যবাদ- আসলেই আপনারা পারেন বটে। আপনে কোরানের আয়াত দিয়ে আমাক কাফের পরমান করলেন। বাহ!!

=> আসলেই ভাই কাফেররে কাফের বললাম। আসলেই ভাই কাফেররা খুব খারাপ। আসলেই ভাই কাফের মুসলিম সাইজা মুসলিমদের পোষ্টে প্রবেশ করে আর কোরআন হাদিস না মানতে মুসলিমদের অনুপ্রাণিত করে এবং আসলেই ভাই তারা শুধুমাত্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে বাজে কমেন্টস্ করে এবং আসলেই মুনাফিক টাইপের কাফের যারা বলে মুসলিম হিসেবে প্রবেশ করে পোষ্টে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করে। আসলেই ভাই আপনের ধৈর্য্যও আছে।
------------------------------------------------------------------
আমি আল্লাহরে কাল্পনিক বলিনি, বলেছি আপনারা যেই আল্লাহরে ডাকেন সেই আল্লাহ কাল্পনিক।যাইহোক সে কথা।

=> আসলেই ভাই আরো একবার হাসালেন। বোকার মতো কথা ”আমি আল্লাহকে কাল্পনিক বলিনি, বলেছি যেই আল্লাহকে আপনারা ডাকেন”। আসলেই আপনি তো সেই আল্লাহকেই কাল্পনিক বলছেন যাকে আমরা আল্লাহ বলি। মানুষযে এতটা বোকা হইতে পারে আপনাকে দেখেই সেটা বুঝা যায়।
--------------------------------------------------------------------

সুরা ফীল এর যে ব্যাখ্যা আমি দিয়েছি সেটা দেখেছেন, নাকি সত্য কথা বুঝার উপলব্ধি টূকু এখনও উদয় হয়নাই?

=> হায়রে আমার আলেম আর হায়রে আমার ব্যাখ্যা আর হায়রে আমার মুফাসসিরে কোরআন। কত বড় সত্যবাদী? আপনেরে তো আমার নোবেল পুরষ্কার দিতে মন চাইতেছে। গীতার হনুমান রে কইলেন রূপক গভীর সত্য ভরা আর কোরআন এর স্পষ্ট সত্য ঐতিহাসিক কাহিনী যার অসংখ্য দলিল আছে সেটাকে বললেন রূপক কাল্পনিক! ভাই রাজনীতি করেন নাকি?

--------------------------------------------------------------------

কাগজের কোরান আর ছাপা আরবী অক্ষর দেখলেই চুমু খান মাথায় তুলে রাখনে, আর যেই মানুষ আল্লাহ সব থেকে ভালবাসা দিয়ে সৃষ্টি করলেন, যেই মানুষকে তিনি পবিত্র করেছেন, সেই মানুষকে কাফের বলেন, সেই মানুষকে ভেদাভেদ করেন।

=> অবশ্যই ভেদাভেদ করি। আমার মতে কারণ মানুষ দুই প্রকার। একটা মুসলিম (আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণকারী) আর অন্যটা কাফের। মুসলিমদের সাথে কাফেরদের চিরশত্র“তা সৃষ্টি হইছে বহু আগে থেকেই যতদিন না কাফেররা আল্লাহর বিধানের দিকে ফিরে আসে।

--------------------------------------------------------------------

আল্লাহ আপনাকে এসে বলেছেন কে কাফের, কে মুনাফিক?

=> অবশ্যই আল্লাহ আমাদের কোরআনের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন কে কাফের আর কে মুনাফিক। যেমন আপনে কাফের ও মুনাফিক দুটোই। কাফের হওয়ার কারণ সমূহ আমি আগেই ডিক্লেয়ার করছি আর মুনাফিক আজকে ডিক্লেয়ার করলাম। কারণ মুনাফিক হলো সেই যে নিজেরে মুসলিম দাবী করে কিন্তু ইসলামের ধ্বংসের চেষ্টা চালায়। আপনি নিজেও এই ব্লগে প্রথমে মুসলিম নাম নিয়া ঢুকছেন পরে আপনের মুখোশ সকালের সূর্য্যরে মতো প্রকাশ করছেন। যেই অপচেষ্টা গুলো করছেন সেটা হলো এক মানুষকে মানুষ হবার জন্য আহবান করছেন এবং সেটা হবার জন্য ”ধর্ম মানুষের সৃষ্টি” ”মানুষ এনেছে ধর্ম” ইত্যাদি কথা বলে ইসলাম থেকে মুসলিমদের আলাদা করার চেষ্টা করছেন। দুই আল্লাহ কে কাল্পনিক ঘোষনা করছেন। তিন সূরা ফিল এর অপব্যাখ্যা কইরা সেটাকে গীতার সাথে মিলকরণ করছেন। চার দলিল হিসেবে কবি নজরুলকে ব্যবহার করছেন। পাচ- আক্ষরিক “কোরআন এর মহা পন্ডিত কিন্তু বিবেক জ্ঞানী হয় নি” বলে বিবেক কে জ্ঞানী করার চেষ্টায় লিপ্ত হইছেন। হতে পারে বিবেক জ্ঞানী করার জন্য গীতা রামায়ন পড়ার টিপস্ দিতে পারেন।

--------------------------------------------------------------------

আরবী হরফে দক্ষ হয়েছেন, আক্ষরিক কোরানের মহা পন্ডিত - কিন্তু বিবেক জ্ঞানী হয়নি। এই কথা বললে আবার লেখক সাহেবেরও দেখি গা ঘিন ঘিন করে। সত্য সহ্য হয়না।

=> আহারে কত বড় সত্যবাদী। ভাই আমরা সবাই ভোদাই। আপনে আমগোরে কোরআন বাদ দিয়া গীতার ক্লাস করান। যাতে আমরা মানুষ হইতে পারি। আপনে যে কত বড় বিবেকবান কত বড় জ্ঞানী যে আপনের কথা শুনলে আমাদের সহ্য হয় না। আগে মুসলিম হন। মুসলিম হইলেই মানুষ হইবেন নাইলে চতুষ্পদ জন্তুই থাকবেন সারাজীবন।

--------------------------------------------------------------------

কেন গীতা, বাইবেল সত্য থাকতে পারেনা? গীতায় সত্য থাকলে বললে কি মুসলমানিত্ব যায় নাকি? তাইলেত আপনে হিন্দু কাউরে দেখলেই কাফের বলে বসেন নাকি? একি আজব মানুষ আপনে? আপনার কোরান শুধু সত্য, বাকি সব মিছা? ভালইত।।

=> সত্য থাকতে পারে। তবে সেখানে আছে সত্য মিথ্যা মিশ্রিত। সেটাতে আল্লাহর বাণী থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। গীতার যেই যেই বিষয়গুলো কোরআনের সাথে মিলে যায় সেগুলোই আমরা মানি। বাকি সবগুলো মানি না। হিন্দু দেখলেই কাফের বলি না যদিও তারা কাফের। তবে তাদের আমরা বুঝানোর চেষ্টা করি যেমন বুঝাইতেছি আপনারে। কিন্তু আপনে হইলেন খুবই মহৎ ব্যক্তি। আমগোরে মানুষ বানাইতে আসছেন এই পোষ্টে এবং নিজেই স্থির কইরা নিছেন আপনে নিজেই মানুুষ। আপনে হইলেন খাটি বাংলায় বিচার মানি তালগাছ আমার টাইপের।

-------------------------------------------------------------------

আসুন ইবলিশ নূরের আর নবী হয়ে গেল মাটির, এই কথা যে কইল তার কিছু হইলনা, আর আমি মোহাম্মদ কইলাম, আর আমারে ধরলে (সাঃ) এই নিয়ে সুতা প্যাচাইলেন।হা.।হা.।আসলেই আপনারা পারেন বটে।

=> কেডায় কইছে ইবলিশ নুরের তৈরী। ইসলাম সম্পর্কে এত কম জ্ঞান নিয়া কি কইরা এত পক পক করেন সেটাই আমাদের বোধগম্য হইতেছে না।

সূরা কাহফ-৫০> ইবলিশ জীনদের একজন।
সূরা আর রহমান-১৫> এবং জিনকে সৃষ্টি করেছেন অগ্নিশিখা থেকে।

এমন বেক্কেল মার্কা কথা বলতে একটু লজ্জা শরমও থাকা প্রয়োজন। আপনের তো সেটাও নাই। মাথায় গোবর ছাড়া আর কিছু মনে হয় নাই আপনার। একটা বাগধারা আছে ”গন্ডমূর্খ”। আপনার সাথেই নামটা পারফেক্ট মিলে গেছে।

-------------------------------------------------------------------

আসুন ধর্ম আসলে যুগে যুগে কারা এনেছে বলেনত? কখন আল্লাহ, খোদা, গড, ভগবান, ঈশ্বর কেউ এই ধরনীতে দেখছেন ধর্ম প্রচার করতে এসেছেন? বলুন? কারা ধর্ম প্রচার করেছেন? মানুষ। তাইনা? না সত্য যদি পেটে জ্বালাও দেয় ,তাও ভাইজান সত্যত সত্য। তাইনা? আপনাদের মতে মাটির নবী রসুল গন ধর্ম প্রচার করেছেন। তাইনা?

=> ঈশ্বরের কাছে ধর্ম বা জীবন ব্যবস্থা একটাই সেটা হলো ইসলাম মানে আত্মসমর্পণ করা আল্লাহর নিকট, নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করে দেওয়া। আর বাকি ধর্ম গুলো হলো মানুষের বানানো। যেমন ইহুদী ধর্ম। নবী ইয়াহুদ আঃ এর অনুসারীদের বলা হয় ইহুদী। তারা জানতো শেষ নবী আসবেন। তারা পুরোপুরি প্রস্তুতও ছিল কিন্তু নবী মোহাম্মদ সাঃ জন্মগ্রহণ করলেন ইব্রাহিম আঃ এর সন্তান ইসমাইল আঃ এর বংশে। তারা চেয়েছিল শেষ নবী ইব্রাহিম আঃ এর সন্তান ইসহাক আঃ এর বংশে আসবেন। কারণ তারা ছিল ইসহাক আঃ এর পূত্র ইয়াহুদ আঃ এর বংশধর। তাই তারা নবী সাঃ কে অস্বীকার করতো এবং ইয়াহুদী নামে ধর্ম চালু করলো। এভাবেই বিভিন্ন ধর্মগুলো চালু হয় মানুষের দ্বারা। সর্ব প্রথম মানুষ আদম আঃ ছিলেন মুসলিম এবং তার ধর্ম ছিল ইসলাম। নবী সাঃ কোন নতুন ধর্ম প্রচার করেন নাই। তিনি সেই কথায় বলছেন যেটা বলেছেন ইব্রাহিম আঃ, ইসহাক আঃ, মূসা আঃ, ইসা আঃ সহ সকল নবী রাসূলগণ।

--------------------------------------------------------------------

মানলাম পরম করুনা ময়, সর্বশক্তিশালী আল্লাহ সেই ধর্ম কি করলেন মাটির সেই মানুষকে দিয়ে তাঁর ধর্ম প্রচার করলেন। তাইনা?

=> হ্যা মানুষ দিয়েই তিনি মানুষকে সতর্ক করলেন যাতে মানুষ বুঝতে পার, জ্ঞান আহরণ করতে পারে। আপনেগো লাইগা যদি গরু পাঠাইতেন তাইলে ভাল হইতো। কারণ আপনারা স্বজাতির ভাষা বুঝতে পারতেন। আমরা মানুষ সেই জন্যই মানুষ পাঠাইছেন।

---------------------------------------------------------------------

কিন্তু আমরা ধর্ম পাই কার কাছ থেকে? সেই মানুষের কাছ থেকেইত, তাইনা?

=> ধর্ম তথা দ্বীন ইসলাম আমাদের আদি পিতা আদম আঃ পেয়েছেন আল্লাহর নিকট থেকে। তাতে আপনার সমস্যা কি?

---------------------------------------------------------------------

আচ্ছা সেই মানুষটি মাটির না নুরের তাও আমরা ব্যাখ্যা দিচ্ছি সেই মানুষটির দেয়া বানী থেকে। সবই সেই মানুষ। এই মানুষ ছাড়া আর কিছুইকি আছে? তাইলে কন?

=> তাতেই বা আপনার সমস্যা কি? খামোখা ত্যানা প্যাচান কে?

--------------------------------------------------------------------

আর উপরের এই কথাটা আমার না, ইহা নজরুল ইসলামের কথা।
ওহহ!!! চরি চরি ---আপনারাত আবার কবি মানেন না। নজরুলকেত আপনারা আবার কাফের হিসাবে জানেন। ভাল। আপনারে আর কি বলব।


=> মনে হয় আপনি হরি হরি থেকে ভূলে চরি চরি বলে বানান ভূল করে ফেলেছেন। আপনি তো বলবেন “হরি হরি”। তবে আমরা কবি মানি যে পর্যন্ত না সেটা আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে না যায়। কবি নজরুল আল্লাহ নিয়ে অনেক ভালো ভালো কবিতা লিখিছেন আমরা সেটা গ্রহণ করি। আবার তিনি কবিতা লিখতে গিয়ে বা লাইন মিলাতে গিয়ে অনেক বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে শিরকও করেছেন সেটা আমরা প্রত্যাক্ষান করি। আমরা মুসলিমরা সর্বাবস্থায় নমনীয়। কিন্তু আপনারা কাফের মোনাফেকরা জিনিসটা প্যাচ লাগানিতে উস্তাদ।

--------------------------------------------------------------------

আপনাদের সাথে ধর্মের কোন কথাই বলছিনা। কারন তা বৃথা। আসল সত্য আপনাদের কানে প্রবেশ করবে না। বাপ দাদার দেয়া ধর্ম আপনাদের সহ্য হয়ে গেছে। সেখানে বিশ্বাস এনে ফেলেছেন।

=> আবার মিথ্যা কথা কইলেন। লেখক কিন্তু আপনারা কয় নাই এই পোষ্টে ঢুইকা প্যাচ লাগাইতে। আপনে যে কতটা বেক্কেল টাইপের সেইটা আপনার কথা শুইনাই বুঝা যাইতেছে। মিয়া ক্লাস ওয়ান থেকে আবার পড়া শুরু করেন। আপনে ধর্মের কি জানেন, পারেন না খালি মাঝখানে ঢুইকা প্যাচ লাগাইতে। আবার আপনে প্রবেশ করাইবেন আমগো রে সত্য। সত্য মানে বুঝেন? আমরা মুসলিমরা আল্লাহর উপর বিশ্বাস আনছি এত আপনার কোন সমস্যা আছে। আল্লাহ আপনারে হেদায়েত দান করুন। আমীন।

৪৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:৩৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: আলবার্ট_আইনস্টাইন বলেছেন: ব্যাপক বিনুদন। সৃষ্টির সেরা লোকটা কেন বহুগামী (১৩ জন বউ) ও শিশুগামী (আয়েশার বয়স ৯)!! এই প্রশ্নের জবাব কোনদিন পাইলাম না। আফসুস!


বালবার্ট বাই :) নবী সা: এর এতই শিশুগামী হওয়ার সখ থাকলে তো কষ্ট কইরা বিয়া করতেন না, দিনে দুই তিনটা শিশু লাগাইতেন, যেহতু তিনি আপনার মতে বহুগামী ! (আল্লাহ মাফ করুক)
হুদাই তিনি অসহায় নারীদের কেনই বিয়া করলৈন ? আর হুদাই শরীর আর অর্থ দুইটাই নষ্ট করলেন !

ছাগলামীর সীমা আছে,

উনি যে কষ্ট করছেন সেটা তো আপনার বাবা তো বাদ দিলাম । আপনার চৌদ্দ গোষ্টি করছে কিনা সন্দেহ আছে !!!

যারে পাথরের বৃষ্টির মত প্রস্তর নিক্ষেপে মরু প্রান্তরে ফাটাইয়া ফেলছে তবুও তিনি ইসলাম প্রচারে পিছপা হননাই !

চাইলেই হালাকু খান হইয়া নগদ এ্যাকশন নিতে পারতেন । কিন্তু তিনি করেন নাই । এ্যাকশন নিলে তিনি কার কাছে পয়গাম দিবেন ! হেই চিন্তায় ।

আর মহানবী সা: কি রাজা বাদশাহর মত জীবন যাপন করতেন নাকি ফকিরের মত জীবন যাপন করতেন ? হেইডা তো এরিয়া গেলেন গা । এমন সময় হত, তার ঘরে খাওনের কিছু থাকতনা । সারা বিশ্বের রাসূল সা: এর ঘরে ফকিরি অবস্থা ,,, ? বালবেটরে রাসুল বানাইলে তো বিট গেটস হইয়া যাইবার উপক্রম হইত !
=p~ =p~ =p~ =p~ =p~
তখনকার ৯ বছর আর এখনকার ৯ বছর বহু ডিফারেন্স আছে । বেকুব বাটবেটর ।

তার কনিষ্ঠ বিবি কি তার অত্যাচার এর কথা কোন দিন কইছে ?

যাউগ্গা ।

বেকুব বালবেটর । আল্লাহ আফনার ফ্যামেলীরে হিদায়ত করুক। যাতে আপনারে সঠিক প‌থ দেখাতে পারে ।









অশুদ্ধ ভাষার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ।

৪৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:৩৯

জাহাঙ্গীর কবীর বলেছেন: কেউ বলে মাহানবী নূরের তৈরী,কেউ বলেন মাটির তৈরী।জানি না কোনটা সঠিক।মাহানবী এখনো যে নূরের দূত্যি ছড়িয়ে যাচ্ছেন,চলুন না আমরা তার আদর্শ অনুসরণ করে তার আদর্শের নূরে আলোকিত হই।
কোন হুজুরের বাড়িতে কি কেউ কখনো মিলাদ খেয়েছেন কি?সকলেরই উচিত্‍ তাঁকে অনুসরন করা ,তাঁকে ভালোবাসা ও সম্মান করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.