![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রঙের দুনিয়ায় আমি এখনও ছাত্র,তবে শখের বশে লেখক, সাংবাদিক, অনুবাদক আবার কখনো আরও অনেক কিছু।
আরব আমিরাতে তখন নিয়ম ছিল (হয়তো এখনও), অন্যদেশ থেকে আগত যে কেউ গাড়ি চালাতে হলে তাকে প্রথমে সেখানকার কোনো ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার থেকে নতুন করে প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং তারপর পাশ করলে আমিরাতের লাইসেন্স পাওয়া যাবে। নিজেদের দেশে যত দক্ষ চালকই হোক না কেন, বিদেশী সবার জন্য এ নিয়ম প্রযোজ্য।
ঘটনাটি আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিদেশী আরব প্রফেসরকে নিয়ে। তিনি নিজের দেশে গাড়ি চালাতেন। কিন্তু আমিরাতে আসার পর নিয়মমতো তাকেও প্রশিক্ষণ সেন্টারে ভর্তি হতে হলো নতুন লাইসেন্সের জন্য। ভারতীয় একজন প্রশিক্ষক তাকে হাতে কলমে গাড়ি চালানোর নিয়ম-কানুন শেখাতেন। একদিন রাস্তায় ওই প্রফেসর যখন পরীক্ষামুলক গাড়ি চালাচ্ছেন, প্রশিক্ষক তাকে বললেন, ‘রুহ সিধা’।
আঞ্চলিক আরবির সঙ্গে উর্দু-হিন্দির বিকৃত বচনে ব্যবহৃত ‘রুহ সিধা’র অর্থ হলো সোজা যাও। মুর্খ প্রশিক্ষকের মুখে এমন অদ্ভুত আরবি বুঝতে পারেননি আরব প্রফেসর। তিনি ডানে মোড় নিলেন। ভারতীয় প্রশিক্ষক বেচারা শিক্ষককে কঠিনভাবে বললেন, আপনি আরব হয়েও আরবি বুঝেন না। আমি তো বললাম, রুহ সিধা। প্রফেসর জানতে চাইলেন, সিধা অর্থ কী? বেটা প্রশিক্ষক মাথায় হাত দিয়ে বললেন, এর অর্থ জানেন না! ‘সিধা’ অর্থ সোজা, (আরবীতে আলাতুল)। মূলত সিধা শব্দটি উর্দু কিন্তু আরবদেশে বসবাসরত হিন্দি ও উর্দুভাষীদের অতি ব্যবহারে তা এখন আরবি শব্দ হিসেবে আরবদের মুখে বহুল ব্যবহৃত।
ঘটনাক্রমে শেখ জায়েদের সঙ্গে এ প্রফেসর সাহেবের চেনা-পরিচয় ছিল। মাঝে মধ্যে দেখা হতো, কথা হতো। একদিন প্রসঙ্গক্রমে শেখ জায়েদ জানতে চাইলেন, কেমন লাগছে আরব আমিরাত। প্রফেসর বললেন, আমরা আরব, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হয়ে এখানে এসে আপনাদের জন্য নতুন করে আরবি শিখতে হচ্ছে। শেখ জায়েদ অবাক বিস্ময়ে জানতে চাইলেন, খুলে বলুন জনাব। প্রফেসর সাহেব সেদিনের ভারতীয় বেটা এবং তার আরবি সিধার ঘটনা শোনালেন। শেখ জায়েদ চুপচাপ শুনলেন।
পরদিনই প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে নতুন ফরমান জারি হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে যারা নিজেদের দেশে গাড়ি চালানো শিখেছেন, তারা আরব আমিরাতে আসা মাত্র নতুন লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। নতুন প্রশিক্ষণের নিয়ম তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
প্রজাদের কল্যাণকামীরা নেতাদের মানসিকতা এমনই হয়।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: আমগো নেতারাও এমন যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়। সচিবালয়ে যান কোনো তদবিরে, কইয়া দ্যাখেন, লগে লগে হইয়া যাইবো।
বিশ্বাস না হয় কাউলকাই কোনো তদবিরে যান। হাতে নাতে ফল।
(ওহো, কইতে ভুইলা গেছি, কমিশনের অন্কটা বনলেই শুধুমাত্র প্রযোজ্য)
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের নেতারা নিজেগো কল্যানেই ব্যাস্ত। ঘুষের আর কমিশনের টাকাটা কি করে নিউইয়র্কে পাঠানো যায়!
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৩
একাকী বালক বলেছেন: ব্যাপারটা পছন্দ হল না। শুধুমাত্র "বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের" জন্য মাফ করা হল কেন? বাকীরা কি দোষ করছে তাহলে?
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: মজা পাইলাম !
প্রজাদের কল্যাণকামীরা নেতাদের মানসিকতা এমনই হয়।