নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

,

বিশাল যন্ত্রণার অর্থ হচ্ছে বিশাল শুদ্ধতা

জাহাঙ্গীর.আলম

..................বিশাল যন্ত্রণার অর্থ হচ্ছে বিশাল শুদ্ধতা ৷৷ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জাহাঙ্গীর.আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী পর্ব - ১

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী পর্ব - ১





০১

জী ঢুন্ডতা হ্যায় ফির ওহী

ফুরস্তকে রাত দিন,

বৈঠে রহে তসৌবুরে

জানা কিয়ে হুয়ে ৷

(হৃদয় আবার খুঁজে ফেরে ছুটির সেই রাতদিন,

নিজেকে হারিয়ে বসে থাকতাম যখন প্রিয়ার ভাবনায় ৷)




০২

ইশ্ক মুঝকো নহীঁ,

বহশত্ হী সহী

মেরী বহশত্,

তেরী শোহর্ত হী সহী ৷

(প্রেম যদি একে না-ই বলো, পাগলামিই মানি ৷

আমার পাগলামি – তোমার খ্যাতির কারণ,এ কথাও মানি ৷)



০৩

মাঙ্গে হ্যায় ফির কিসিকো

লবে বাম পর হওবস,

জুলফে সিয়াহ রুখপে

পরেশো কিয়ে হুয়ে ৷

(মন চায় আবার কারোকে, ঠোটের কোণে জমে থাকা

কামনায়,মুখের পরে যার অন্ধকারের খেলা

কালো কেশরাশির উচ্ছসিত খেয়ালীমায় ৷)



০৪

দেখনা কিসমত্,

কি আপ আপনেপে রশ্ক আ যায়ে হ্যায়,

ম্যাঁয় উসে দেখু,

ভলা কব্ মুঝসে দেখা যায়ে হ্যায় ৷

(নিজের ভাগ্য দেখে আমি নিজেই জ্বলে যাচ্ছি ঈর্ষার

আগুনে ৷ তাকে দেখবার অনুমতি পাব, কবেই বা

আমি প্রস্ত্তত ছিলাম এমন ভাগ্য দর্শনে ?)



০৫

বিজলী ইক কৌঁ গই

আঁখোকে আগে তো ক্যা

বাত করতে কি ম্যাঁয়

লব-এ-তিশ্ না এ তকরীর ভী থা ৷

(তুমি বিদ্যুৎ-এর একটি ঝলকের মতো আমার আঁখির

সামনে দিয়ে চলে গেলে তো কিতোমার সঙ্গে কথা

বলার জন্য ব্যাকুল আমার এ অধরকে তৃষ্ণার্ত তো

রেখে গেলে !?)



০৬

জান তুম পর

নিসার করতা হুঁ,

ম্যাঁয় নহীঁ জানতা,

দুয়াঁ ক্যা হ্যায় ৷

(আমার এ প্রাণ উৎসর্গীকৃত তোমাতেই ৷ তবে জানিনা

আমি সে পূজা, প্রার্থনা নিবেদন করতে হয় কি করে ৷)



০৭

জিকরো উস্ পরীওয়াস্-কা

অওর ফির বয়াঁ আপনা,

বন গয়া রকীব আখির

থা যো রাজদাঁ আপনা ৷

(কথা সেই রূপসীর আর বলার ধরণ আমার-শেষ

পর্যন্ত শত্রু হয়ে গেল তারা, এতদিন যারা মিত্র ছিল আমার ৷)



০৮

আখঁ কী তসবীর সরমানেপে

খেচী হ্যায়, কি তা,

তুম পেখুল জাবে,

কি ইসকো হসরতে দীদার হ্যায় ৷

(তোমার লজ্জত আঁখির সে ছবি এমনই তুলে নিয়েছি

আমি আমার মানসপটে যাতে তুমি জানতে পারো

সে ছবি দর্শনের কেমন অভিলাসী আমি ৷)



০৯

ইয়ে হম যো হিজরোমে

দীবারো-দরকো দিখতে হ্যায়

কভী সবা কো

কভী নামাবরকো দেখতে হ্যায় ৷

(তার বিরহদশায় শুধু দেওয়াল আর দরজার দিকে

আমার দি কেটে যায় ৷ কখনো পূবালী বাতাস স্নিগ্ধ পরশে

তার বারতা বয়ে নিয়ে আসে ৷ কখনো পত্রবাহকেই ফিরে

আসতে দেখি যেন ৷)



১০

কভী নেকী ভী উসকে জী মে

গর আ যায়ে হ্যায় মুঝসে,

জঁফায়ে করকে আপনী ইয়াদ

শরমা যায়ে হ্যায় মুঝসে ৷

(আমার ভালো করার ইচ্ছাও যদি কখনো তার মনে

আসে নিজের পূর্ব্বকৃত নিষ্ঠুরতার কথা স্মরণ করে,

লজ্জায় তার মুখ রাঙা হয়ে ওঠে ৷)



১১

দিল হী তো হ্যায় না সঙ্গোঁ-খি

দর্দসে ভর না যায়ে কিঁউ

রোয়েঙ্গে হম হজারবার

কৌই হমে সতায়ে কিঁউ ?

(এ-তো একটা হৃদয়ই, ইঁট-পাথর তো নয়,

তাহলে বেদনায় ভরে উঠবে না কেন ? কাদঁবো আমি

হাজারবার তবু কেউ আমায় এমন কাঁদাবে কেন ?)



১২

ম্যাঁয়নে মানা কি

কুছ নহীঁ ‘গালিব’,

মুখত্ হাথ আয়ে,

তো বুরা ক্যা হ্যায় ৷

(এ কথা মানি যে ‘গালিব’ এর কোনো মূল্যই নেই ৷

কিন্ত্ত যে তার হৃদয়টা একেবারে বিনামূল্যেই পেয়েছে,

তার গ্রহণ করতে অসুবিধা কি ?)



১৩

দিয়া হ্যায় দিল অগর উসকো

বশর হ্যায়, ক্যা কহিয়ে,

হুয়া রকীব, তো হো,

নামাবর হ্যায়, ক্যা কহিয়ে ৷

(আমার পত্রবাহকই হলো শত্রু আমার তাকে

আর কি বলবো আমি ৷ সেও যে দিয়ে এলো নিজের হৃদয়ই

আমার প্রিয়াকে ৷ সেও তো মানুষ, তাকেই বা কি আর বলবো ৷)

১৪

করতা হু জমা

ফির জিগর-লখ্ত-ল্খত কো,

অরসা হুয়া হ্যায়

দাবত-এ-মিজগাঁ কিয়ে হুয়ে ৷

(দুরাশায় আবার এক জায়গায় জড়ো করছি ভেঙ্গে

টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া হৃদয়টাকে আমার ৷

অনেকদিন তো হয়ে গেল তার সুন্দর আঁখি-পল্লব

ছায়ায় ঘেরা দৃষ্টির আমন্ত্রণে, এ হৃদয় আমার সমর্পিত হয়েছিল ৷)



১৫

ম্যাঁয় নামুরাদ দিলকী

তসল্লী কো ক্যা করুঁ,

মানা,

কি তেরে রুখসে নিগহ্

কাময়াব হ্যায় ৷

(আমার এ হতভাগ্য মনটাকে কি আর সান্ত্বনা

দেবো আমি ৷ অবশ্য মানি, তোমার সেই অভূতপূর্ব

সৌন্দর্য এক ঝলক দর্শনে আমার এ আঁখি সফল হয়েছে ৷)



১৬

থা খোয়াবসে খয়ালকো

তুঝসে মুয়ামলা,

যব আঁখ খুল গই

না জিয়াঁ থা না সুদ থা ৷

(তোমার সাথে সম্বন্ধ সে ছিল আমার স্বপ্নের কল্পনার

তাই যখন আঁখি মেললাম, তখন না ছিল কোনো

লাভ না লোকসান ৷)



১৭

মুহব্বতমে নহীঁ হ্যায় ফর্ক

জীনে ঔর মরনেকা,

উসীকো দেখ কর জীতে হ্যায়

যিস্ কাফিরপে দম নিকলে ৷

(প্রেমে কোনো তফাৎ নেই জীবন আর মৃত্যুর ৷

তাকে দেখেই বেঁচে থাকতে হয়, যে অবিশ্বাসীর নামে

আমার এ প্রাণ পর্যন্ত নিবেদিত ৷)



১৮

উনকো দেখে সে যো

আ যাতী হ্যায় মুহ্পর রওনক,

ওহ্ সমঝতে হ্যায় কি

বীমার কা হাল অচ্ছা হ্যায় ৷

(তাকে দেখে আমার মুখের পরে যে আলো ফুটে ওঠে

তাই দেখে সে মনে করে রোগীর অবস্থা এখন বেশ ভালোই ৷)



১৯

ইক্ ইক্ কতরে কা

মুঝে দেনা পড়া হিসাব,

খুঁনে জিগর বদীয়তে

মিজগাঁনে ইয়ার থা ৷

(আমায় এক এক বিন্দু অশ্রুর হিসাব দিতে হলো ৷

আমার রক্তাক্ত হৃদয় বন্ধকী ছিল প্রিয়তমার

আখিঁপল্লব ছায়ায় ৷)



২০

কবও ওহ্ সুনতা হ্যায়

কহানী মেরী,

অওর ফির ওহভী

জবানী মেরী ৷

(কবেই বা সে শোনে কাহিনী আমার আর সেই গল্প

কথা আমারই মুখে আবার ৷)




ভাষান্তর-বহ্নিশিখা ভট্টাচার্য

(চলবে)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:০০

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: এতো সোনার খনি ! সময় নিয়ে সব পড়ে দেখতে হবে! B:-/ B:-/
এতগুলো ভালো লেখা আপনি সেফ হবার আগেই দিয়ে দিলেন? এগুলো মুছে দিয়ে রিপোস্ট করার অনুরোধ করছি জাহাঙ্গীর ভাই!

২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: বলেছিলাম না আমি তো পাঠক ব্লগে দীর্ঘদিন যাবত ৷ মহাকাল বড় আমার কাছে ৷ হয়ত কারো কাজে আসবে কখনো ৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.