নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

,

বিশাল যন্ত্রণার অর্থ হচ্ছে বিশাল শুদ্ধতা

জাহাঙ্গীর.আলম

..................বিশাল যন্ত্রণার অর্থ হচ্ছে বিশাল শুদ্ধতা ৷৷ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জাহাঙ্গীর.আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী পর্ব-৩

২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী পর্ব-১



গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী পর্ব-২





গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী পর্ব-৩



৪৬

গরচে হ্যায় তজেঁ তগাফুল,

পরদা দারে রাজে ইশক,

পর হম এয়সে খো যাতে হ্যায়

কি ওহ্ পা জায়ে হ্যায় ৷

( অবহেলা দেখানোর ভঙ্গীতে নিজের হৃদয়-রহস্য পর্দায় ঢাকা

যায় কিন্তু আমি তার দর্শনেই এমন নিজেকে হারাই, যে নিজেকে

আর আড়াল করাই যায় না ৷)

৪৭

সায়া মেরা, মুঝসে মিসে-দূদ

ভাগে হ্যায় ‘অসদ’,

পাস মুঝ আতিশ বজাঁকে,

কিসসে ঠহরা ভাগে হ্যায় ৷

( ধোঁয়ার সঙ্গী হয়ে ‘অসদ’, চলে যাচ্ছে বহুদূরেনিজের

মনের আগুনে আমি জ্বলে যাচ্ছি এমনই ধীরে ধীরে ৷)

৪৮

মিলনা তিরা অগর নহীঁ আসাঁ,

তো সহল হ্যায়,

দুশমন তো এহী হ্যায়

কি দুশবার ভী নহীঁ ৷

( তোমার সাথে যদি মিলন আমার সহজ না হতো,আমি সহ্য করতাম কিন্তু তা অসম্ভবও যে নয়, তাই সহ্য করাও যে অসম্ভব ৷)

৪৯

আ, কি মেরী জানকো

করার নহীঁ হ্যায়,

তাকত-এ-বেদাগ-এ ইন্তিজার

নহীঁ হ্যায় ৷

( এসো, এ প্রাণে আমার শান্তি নেই প্রতীক্ষার নির্যাতন সইবার মতনও

আর শক্তি নেই ৷ )

৫০

কিঁউ জল গয়া ন

তাবে-রুখে-ইয়ার দেখ কর,

জলতা হুঁ, আপনী

তাকতে্-দীদার দেখ কর ৷

( কেন জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে গেলাম না প্রিয়ার রূপের ঔজ্জ্বল্যের তাপে ?

এখন জ্বলে যাচ্ছি আমার আঁখির শক্তি দেখে আমি ৷ )

৫১

মুঝসে কহা যো ইয়ারনে,

যাতে হ্যায় হোশ কিস্ তরহা্,

দেখকে মেরী বেখুদী

চলনে লগী হবা, কি ইঁউ ৷

(জিজ্ঞাসা করলো যখন বন্ধু আমায়, হুঁশ চলে যায় কি ভাবে ? আত্মহারা অবস্থা দেখে আমার, বাতাশে নিজেই উড়ে গিয়ে দেখিয়ে দিলো এমনিভাবে ৷ )

৫২

বু-এ-গুল, নালা-এ-দিল,

দুদে-চিরাগে-মহফিল

যো তেরী বজমসে নিকলা

সো পরীশাঁ নিকলা ৷

( ফুলের সুগন্ধ, হৃদয়ের দীর্ঘ-নিশ্বাস, আসরের দীপের ধোয়া যারাই তোমার জলসাঘর থেকে বার হলো, দিকভ্রান্ত হয়েই বার হলো ৷ )

৫৩

বেখুদী বেসবব

নহী ‘গালিব’

কুছ তো হ্যায়

জিসকী পর্দাদারী হ্যায় ৷

( বিনা কারণে হয় না ‘গালিব’, আত্মহারা অবস্থা এমন কিছু

তো রহস্য আছেই, যার জন্য এই আড়ালের অবগুন্ঠন ৷ )

৫৪

ইশ্ক সে তবীয়তনে

জীন্ত কা মজা পায়া

দর্দ কী দবা পাই,

দর্দ বে-দবা পায়া ৷

ভালবেসে আমি জীবনের মজা পেলাম ৷ বেদনার ঔষধ

পেলাম ৷ হৃদয়-বেদনায় ঔষধকে বিফল হতেও দেখলাম ৷ )

৫৫

বারস্তা উসসে হ্যায়

কি মুহব্বত হী কিঁউ নাহো

কীজে হামারে সাথ,

অদাবত্হী কিঁউ না হো ৷

তার ভালবাসা আমার মনের মুক্তির অবকাশ তাই

বলি শুধু ভালবাসাই কেন, শত্রুতাই বা শুধু আমারই

সাথে তার হবে না কেন ? )

৫৬

ফির উসী বেবফাপে

মরতে হ্যায়,

ফির ওহী জিন্দগী

হামারী হ্যায়

( আবার সেই হৃদয়হীনা বিশ্বাসহন্তার জন্য আমার সে-ই পুরোনো জীবনই আবার ৷)

৫৭

মুঝ তক্ কব, উনকী বজমমে

আতা থা দৌরে জাম

সাকীনে কুছ মিলা না দিয়া হো

শরাবমে ৷

( তার জলসাঘরে আমার কাছে পর্যন্ত কবেই-বা আর

পৌঁছয় শরাবের পেয়ালা ? আজ যখন আমার সামনে

রাখা রয়েছে সেই তুফান তোলা পেয়ালা শরাবের না-জানি

সাকি তাতে কি বিশেষ মিশিয়ে দিয়েছে তার ? )

৫৮

আশিকী সবরো তলব

অওর তমন্না বেতাব,

দিল কা ক্যা রঙ্গ করু

খুনে-জিগর হোনে তক্ ৷

( প্রেম বলে, হও ধীর আর আমার আকাঙ্খা অধীর

এখন বলো কোন্ রঙে রাঙাবো এ হৃদয়কে আমার

জানি সে তো রক্তে রাঙা হবেই এবার ৷ )

৫৯

গুচাঁ ফির লগা খিলনে

আজ হমনে আপনা দিল,

খুঁ কিয়া হুয়া দেখা

গুম কিয়া হুয়া পায়া ৷

( সুন্দরী কলিরা ফুটলো আবার আজ আমি আমার হৃদয়,

ভালবাসার রক্তের-রঙে রাঙা হয়ে উঠতে দেখলাম যেন

হারিয়ে যেতে দেখলাম ৷ )

৬০

আইনা কিউঁ ন দুঁ

কি তমাশা কহেঁ জিসে,

এয়সা কহাঁ সে লাউঁ,

কি তুঝসা কহেঁ জিসে ৷

( তামাশা করে যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করলো সে, যে “আমার

মতো রূপ কি কারুর আছে ?” তার সেই অনিন্দ্যসুন্দর মুখের

সম্মুখে তখন আয়না কেন রেখে দেবো না আমি যে তার

রূপের প্রতিদ্বন্দীও কেউ আছে ৷ )





ভাষান্তর-বহ্নিশিখা ভট্টাচার্য

(চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.