![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
..................বিশাল যন্ত্রণার অর্থ হচ্ছে বিশাল শুদ্ধতা ৷৷ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী পর্ব -১
গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী পর্ব -২
গালিবের শায়েরী- মহব্বত কি শায়েরী পর্ব -৩
৬১
দিলসে নিকলা,
পর ন নিকলা দিলসে,
হ্যায় তেরে তীর কা
পৈকান অজীজ ৷
( হৃদয় চিরে বেড়িয়ে গেল, তবু না গেল হৃদয় থেকে তোমার নিক্ষিপ্ত
তীরটির প্রান্তভাগ, সেও যে সমান প্রিয় আমার ৷ )
৬২
হমকো উনসে,
বফা কী হ্যায় উম্মীদ,
যো নহীঁ জানতে,
বফা ক্যা হ্যায় ৷
( আমি তার কাছ থেকে প্রেমে বিশ্বাস আশা করি, যে
জানে না বিশ্বাস কথাটার অর্থ-ই বা কি !! )
৬৩
গৈর ইঁউ করতা হ্যায় মেরী পুরসিশ
উসকে হিজরোমে
বেতকল্লুফ দোস্ত হো জৈসে কোই
গমখারে দোস্ত ৷
( অপরলোকে এমনভাবে জিজ্ঞাসা করে, তার বিরহের বিরহী-দশায় কুশল বার্তা আমার যেন কোনো অভদ্র বন্ধুও হঠাৎ হয়ে উঠেছে সমব্যথী বন্ধু আমার ৷ )
৬৪
ন কহিয়ো তা’ ন সে ফির তুম
কি হম সিতমগর হ্যায়,
মুঝে তো খুঁ হ্যায়
কি জো কুছ কহো, বজা কহিয়ে ৷
( বিদ্রুপ করেও তুমি যেন আবার বলো না আমায় নিষ্ঠুর
আমার তো অভ্যাস আছে, যা বলবে তুমি, তার সত্যি-ই কোনো কারণ আছে বলে ভাবা ৷ )
৬৫
তেরে ওয়াদে পর জীমে হম
তো ইয়ে জান ঝুট জানা,
কে খুশিসে মরনা যাতে
অগর এতবার হোতা ৷
( বেঁচে আছি আমি তোমার প্রতিশ্রুতিতে, তাই আমার প্রাণ
আমার কাছে আজ মিথ্যে হয়তো খুশীতে মরেই যেতাম,যদি
তোমার প্রতি আমার এই বিশ্বাসের উপর একটু ভরসা
করতে পারতাম ৷ )
৬৬
মওত্ কা
ইকদিন মুইঈন হ্যায়
নীঁদ কিঁউ রাতভর
নহীঁ আতী ৷
( মৃত্যর জন্য তো একটা দিন নির্দিষ্ট হয়েই আছে ; তবু
কেন বিনিদ্র কাটে সারাটা রাত্রি ৷ )
৬৭
দিলসে তেরী নিগাহ
জিগর তক্ উতর গয়ী,
দোনোকোঁ ই অদামেঁ
রজামন্দ কর গয়ী ৷
( তোমার দৃষ্টির তীর হৃদয় ভেদ করে, কলিজায় গিয়ে
বিঁধেছে দুইজনকে একই আঘাতের ভঙ্গিমায় আহত
করে, মন দিতে রাজী করিয়ে গেছে ৷ )
৬৮
লাজিব থা কি দেখো মিরা রস্তা
কোই দিন অওর,
তনহা গয়ে কিঁউ,
তাব রহো তনহা্ কোই দিন অওর ৷
( উচিত ছিল তোমার প্রতীক্ষা করা কিছুদিন আরো ৷ একেলাই চলে গিয়েছো কেন এখন একেলাই থাকো কিছুদিন আরও ৷)
৬৯
নাদান হ্যায়, যো কহেতে হ্যায়
কিঁউ জীতে হ্যায় ‘গালিব’,
মুঝকো তো হ্যায় মরনেকী
তমান্না কোই দিন অওর ৷
( ছেলেমানুষ সে, যে বলে কেন বেঁচে আছে ‘গালিব’ আরে আমায়
তো আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতেই হবে মৃত্যুর কামনায় ৷ )
৭০
হ্যায় বস্ কে হর ইক্ উনকে ইশারেমেঁ
নিশাঁ অওর
করতে হ্যায় মুহব্বত তো
গুজরতা হ্যায় গুমাঁ অওর ৷
( তার প্রতিটি ইশারায় আলাদা এক একটি ইঙ্গিত তাই
সে যখন ভালবাসে, সন্দেহ হয় যেন অন্য কিছু ৷ )
৭১
কসম জনাজেপে আনেকী
মেরে খাতে হ্যায় , ‘গালিব’ ,
হমেশা খাতে থে জো,
মেরী জানকী কসম, আগে ৷
( আমার মৃত্যুর র আমার শবাধারের সামনে আসারই শপথ নিয়েছে
সে এখন পূর্বে প্রায়শই যে আমারই প্রাণের নামে দিব্যি
করতো ৷ )
৭২
দর্দসে মেরে হ্যায়
তুঝকো বেকরারী হায় হায়,
ক্যা হুই জালিম তেরী
গফলত্-শিয়ারী হায় হায় ৷
( আমার বেদনাই কিনা হলো শেষ পর্যন্ত তোমার অশান্তির
কারণ হায় হায় হে নিষ্ঠুরা রমণী, কি কাজেই বা লাগলো
তোমার আমার প্রতি সেই উদাসীন অবহেলা হায় হায় !!)
৭৩
হর চন্দ হর ইক্ সয়মে
তু হ্যায়,
পর তুঝসী তো কোই
সয় নহীঁ হ্যায় ৷
( হে ঈশ্বর, আমি জানি এই দুনিয়ার প্রতিটি বস্তু, প্রতিটি অস্তিত্বে
তুমি আছো তবু তোমার তুলনা পা না কোথাও ৷ )
৭৪
দেখ কর গৈর কো
হো কিঁউ না কলেজা ঠন্ডা,
নালা করতা থা,
বলে তালিবে-তাসীর ভী থা ৷
( অপর-জনের দুরবস্থা দেখে কেনই-ই বা ঠান্ডা হবে
না কলজেটা আমার ? এমন প্রতিক্রিয়াই তো
হোক আমি চাইতাম ৷ প্রিয়ার প্রত্যাখ্যানে ,অশ্রু সাগরে
যখন আমি ডুবে থাকতাম ৷ )
৭৫
যাতে হুয়ে কহেতে হো
কয়ামত্ কো মিলেঙ্গে
ক্যা খুব, কয়ামত্ কা হ্যায়
গোয়া কোঁই দিন অওর ৷
( তুমি যাবার সময় বলে গেলে, আবার দেখা হবে ৷ শেষ-বিচারর দিনে ৷
আচ্ছা ভালো, তাহলে এখনও আর একটি দিন নির্দিষ্ট আছে শেষ বিচারের জন্য ?)
৭৬
মওত্ কী রাহ না দেখুঁ
কি বিন আয়ে ন রহে,
তুমকো চাহুঁ, কি না আয়ো,
তো বুলায়ে ন বনে ৷
( মৃত্যুর জন্য পথ দেখবো না কেন, জানি সে তো না এসে থাকতেই পারবে না ৷ তোমাকে ভালবাসি, নিবিড় করেও চাই ৷ তবু কাছে ডাকতে পারি না, জানি ডাকলেও তো আসবে না তুমি ৷ )
৭৭
আ হী যাতা ওহ
রাহ পর, ‘গালিব’
কোই দিন অওর ভী
জিয়ে হোতে ৷
( গালিব, কথায় কথায় সে অনিন্দিতা ঠিক তোমার পথেই এসে যেত ৷
যদি আরও কিছুদিন অন্তত সে বেঁচে থাকতো ৷ )
৭৮
ইস্ রঞ্জসে উঠাই কাল উসনে
‘অসদ’ কী লাশ,
দুশমনভী জিসকো দেখকে
গমনাক হো গয়ে ৷
( এমন বেদনার সঙ্গে সে কাল ‘অসদ’-এর মৃতদেহ কাধেঁ উঠলো
যা দেখে পরম শত্রুও দুঃখ-সাগরে ডুব দিলো ৷)
৭৯
দিলে-গুমগশতা
মগর ইয়াদ আয়া
কোই বারানী-সী
বীরানী হ্যায় ৷
( এ মন আমার কবেই হারিয়ে গেছে ৷ তবু মনে পড়লো, শূন্যতায় ঘেরা কোনো শূন্যতাও আছে ৷)
৮০
হম ওহাঁ হ্যায়,
জহাঁসে হমকোভী,
কুছ হমারী খবর
নহীঁ আতী ৷
( আমি এখন সেইখানে আছি. যেখান থেকে আমি নিজেও
পাইনা নিজের কোনো খবর ৷)
৮১
অব ম্যাঁয় হুঁ অওর
মাতমে ইক্ শহরে আরজু,
তোড়া যো তুনে আইনা,
তিমসালদার থা ৷
( এখন ভগ্নহৃদয় আমি আছি আর আমার শোক, যেন আশা-আকাঙক্ষায় ভরা একটি শহর ৷ ভাঙলে সেই আয়নাই তুমি,
যাতে প্রতিবিম্বিত ছিল ছবি তোমারই ৷ )
৮২
ম্যাঁয় সাদা-দিল,
আর্জুদগী-এ-ইয়ারসে খুশ হু
য়ানী সবকে-শৌক
মুকর্রব ন হুয়া থা ৷
( আমি সাদা সরল-হৃদয়, প্রিয় তমার উদাসীনতা নিয়েই খুশী ৷ হায় রে,
মানে এখনো প্রেম আসক্তির পাঠ যে সম্পূর্ণ হয়নি আমার ! )
৮৩
বাগ পা কর খফ্ কানী,
ওহ ডরাতা হ্যায় মুঝে,
সায়া-এ-শাখ-এ-গুল
অফ ই নজর আতা হ্যায় মুঝে ৷
( তার ভালবাসায় পাগল পেয়ে আমায় দেখো, বাগিচাও কেমন
ভয় দেখায় সুবাসিত ফুলের শাখার ছায়াও যেন সর্পময় মনে হয় আমার ৷ )
৮৪
খূঁ হো কে জিগর
আঁখসে টপকা নহীঁ এয় মর্গ
রহনে দে মুঝে য়াঁ
কি অভী কাম বহুত হ্যায় ৷
( আমার বেদনাহত কলজেটা পর্যন্ত এখনো রক্ত থেকে ঝরে পরেনি হে মূত্যু, বেঁচে থাকতে দাও আমায়, কাজ আমার এখনো শেষ হয়নি ৷ )
৮৫
দুশমনীনে মেরী
খোয়া গৈরকো,
কিস্ কদর দুশমন হ্যায়
দেখা চাহিয়ে ৷
( আমার প্রতি তার এ হেন শত্রুতায়, সে যে হারিয়ে
ফেলেছে নিজেকে ৷ হায় হায় , এ কেমন শত্রুতা কেউ বলে দাও
আমায় ৷)
৮৬
ওহ্ আয়ে ঘরমে হমারে,
খুদা কী কুদরত্ হ্যায়
কভী হম উনকো,
কভী আপনে ঘরকো দেখতে হ্যায় ৷
( সে আজ আমার ঘরে এলো, ঈশ্বরের লীলা সত্যি তুলনাহীন কখনো আমি আমার পরাণ-প্রিয়াকে দেখি, কখনো আমার গৃহের সৌভাগ্য
করি দর্শন ৷ )
৮৭
ইয়ে না থী হমারী কিসমত্
কে বিসাল-এ ইয়ার হোতা,
অগর অওরভী জীতে রহেতে
এ ইনতেজার হোতা ৷
( প্রাণ বন্ধুর মিলন আমার ভাগ্যে ছিল না ৷ যদি আরো কিছুদিন বেঁচে থাকতাম আমি, সঙ্গী হত শুধু এই প্রতীক্ষাই ৷)
৮৮
ওহ্ ফিরাক ঔর
ওহ্ বিসাল কহা,
ওহ্ শব-ও- রোজ-ও
-মাহ-ও-সাল কহা ৷
( সেই বিরহ আর সেই মিলনই বা কোথায় ? সেই রাত,
দিন,মাস, বছর-ই এখন আর কোথায় ? )
৮৯
হাল-এ দিল নহীঁ মালুম
লেকিন ইস্ কদর য়ানী,
হমনে বারহা ঢুন্ডা,
তুমনে বারহা প্যায় ৷
( আমার হৃদয় অবস্থা এখন জানা নেই আমার কিন্তু এ কথা জানা আছে, আমি আমার হৃদয়ে সন্ধানে থেকেছি বারবার ৷ আর সে হৃদয়
তুমি পেয়েছো বারেবারে ৷ )
ভাষান্তর-বহ্নিশিখা ভট্টাচার্য
(সমাপ্ত)
©somewhere in net ltd.