নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

,

বিশাল যন্ত্রণার অর্থ হচ্ছে বিশাল শুদ্ধতা

জাহাঙ্গীর.আলম

..................বিশাল যন্ত্রণার অর্থ হচ্ছে বিশাল শুদ্ধতা ৷৷ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জাহাঙ্গীর.আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাইকেল মধুসূদন দত্তের চতুর্দ্দশপদী কবিতাবলী পর্ব-৯ ( শেষ পর্ব )

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১২







মাইকেল মধুসূদন দত্তের চতুর্দ্দশপদী কবিতাবলী পর্ব-৯ ( শেষ পর্ব )



৮৭

সংস্কৃত

কান্ডারী-বিহীন তরি যথা সিন্ধু-জলে

সহি বহু দিন ঝড় তরঙ্গ-পীড়নে

লভে কূল কালে মন্দ পবন-চালনে

সে সুদশা আজি তব সুভাগ্যের বলে

সংস্কৃত দেব-ভাষা মানব-মন্ডলে

সাগর-কল্লোল-ধ্বনি নদের বদনে

বজ্রনাদ কম্পবান্ বীণা-তার-গণে 

রাজাশ্রম আজি তব  উদয়-অচলে

কনক-উদয়াচলে আবার সুন্দরি

বিক্রম-আদিত্যে তুমি হের লো হরষে

নব আদিত্যের রূপে  পুর্ব্ব-রূপ ধরি

ফোট পুনঃ পুর্ব্বরূপে পুনঃ পুর্ব্ব-রসে

এত দিনে প্রভাতিল দুখ-বিভাবরী

ফোট মহানন্দে হাসি মনের সরসে ৷

৮৮

রামায়ণ

সাধিনু নিদ্রায় বৃথা সুন্দর সিংহলে ৷

স্মৃতি পিতা বাল্মীকির বৃদ্ধ-রূপ ধরি

বসিলা শিয়রে মোর হাতে বীণা করি

গাইলা সে মহাগীত যাহে হিয়া জ্বলে

যাহে আজু আঁখি হতে অশ্রু-বিন্দু গলে ৷

কে সে মূঢ় ভূভারতে বৈদেহি সুন্দরি

নাদি আর্দ্রে মনঃ যার তব কথা স্মরি

নিত্য-কান্তি কমলিনী তুমি ভক্তি-জলে 

দিব্য চক্ষুঃ দিলা গুরু দেখিনু সুক্ষণে

শিলা জলে কুম্ভকর্ণ পশিল সমরে

চলিল অচল যেন ভীষণ ঘোষণে

কাঁপায় ধরায় ঘন ভীম-পদ-ভরে ৷

বিনাশিলা রামানুজ মেঘনাদে রণে

বিনাশিলা রঘুরাজ রক্ষোরাজেশ্বরে ৷

৮৯

হরিপর্ব্বতে দ্রৌপদীর মৃত্যু১০৩

যথা শমী বন-শোভা পবনের বলে

আঁধারি চৌদিক পড়ে সহসাসে বনে

পড়িলা দ্রৌপদী সতী পর্ব্বতের তলে ৷

নিবিল সে শিখা যার সুবর্ণ-কিরণে

উজ্জ্বল পান্ডব-কুল মানব-মন্ডলে 

অস্তে গেলা শশিকলা মলিনি গগনে ৷

মুদিলা শুখায়ে পদ্ম সরোবর-জলে ৷

নয়নের হেম-বিভা ত্যজিল নয়নে 

মহাশোকে পঞ্চ ভাই বেড়ি সুন্দরীরে

কাঁদিলা পুরি সে গিরি রোদন-নিনাদে

দানবের হাতে হেরি অমরাবতীরে

শোকার্ত্ত দেবেন্দ্র যথা ঘোর পরমাদে ৷

তিতিল গিরির বক্ষঃ নয়নের নীরে

প্রতিধ্বনি-ছলে গিরি কাঁদিল বিষাদে ৷

৯০

ভারত-ভুমি

Italia! Italia! O tu cui feo la sorte,

Dono infelice di bellezza !”

FILICAIA১০৪

কে না লোভে ফণিনীর কুন্তলে যে মণি

ভূপতিত তারারূপে নিশাকালে ঝলে ?

কিন্তু কৃতান্তের দূত বিষদন্তে গণি

কে করে সাহস তারে কেড়ে নিতে বলে ?

হায় লো ভারত-ভূমি  বৃথা স্বর্ণ-জলে

ধুইলা বরাঙ্গ তোর কুরঙ্গ-নয়নি

বিধাতা ? রতন সিঁথি গড়ায়ে কৌশলে

সাজাইলা পোড়া ভাল তোর লো যতনি 

নহিস্ লো বিষময়ী যেমতি সাপিনী

রক্ষিতে অক্ষম মান প্রকৃত যে পতি

পুড়ি কামানলে তোরে করে লো অধীনী

( হা ধিক) যবে যে ইচ্ছে যে কামী দুর্ম্মতি 

কার শাপে তোর তর ওলো অভাগিনি

চন্দন হইল বিষ সুধা তিত অতি ?

৯১

পৃথিবী

নির্ম্মি গোলাকারে তোমা আরোপিলা যবে

বিশ্ব-মাঝে স্রষ্টা ধরা  অতি হৃষ্ট মনে

চারি দিকে তারা-চয় সুমধূর রবে

( বাজায়ে সুবর্ণ বীণা ) গাইল গগনে

কুল-বালা-দল যবে বিবাহ-উৎসবে

হুলাহুলি দে মিলি বধূ-দরশনে ৷

আইলেন আদি প্রভা হেম-ঘনাসনে

ভাসি ধীরে শূন্যরূপ সুনীল অর্ণবে

দেখিতে তোমার মু ৷ বসন্ত আপনি

আবলিনা শ্যাম বাসে বর কলেবরে

আঁচলে বসায়ে নব ফুলরূপ মণি

নব ফুল-রূপ মি করবী উপরে ৷

দেবীর আদেশে তুমি লো নব রমণি

কটিতে মেঘলা-রূপে পরিলা সাগরে ৷

৯২

আমরা

আকাশ-পরশী গিরি দমি গুণ-বলে

নির্ম্মিল মন্দির যারা সুন্দর ভারতে

তাদের সন্তান কি হ আমরা সকলে ?

আমরা দুর্ব্বল ক্ষীণ কুখ্যাত জগতে

পরাধীনহা বিধাতাঃ আবদ্ধ শৃঙ্খলে ?

কি হেতু নিবিল জ্যোতিঃ মণি মরকতে

ফুটিল ধুতুরা ফুল মানসের জলে

নির্গন্ধে ? কে মোরে ? জানিব কি মতে

বামন দানব-কুলে সিংহের ঔরসে

শৃগাল কি পাপে মোরা কে কবে আমারে ?

রে কাল পূরিবি কি রে পুনঃ নব রসে

রস-শূন্য দেহ তুই ? অমৃত-আসারে১০৫

চেতাইবি১০৬ মৃত-কল্পে ? পুনঃ কি হরষে

শুক্লকে১০৭ ভারত-শশী ভাতিবে সংসারে ?

৯৩

শকুন্তলা

মেনকা অপ্সরারূপী ব্যাসের ভারতী

প্রসবি ত্যজিলা ব্যস্তে ভারত-কাননে

শকুন্তলা সুন্দরীরে তুমি মহামতি

কণ্বরূপে পেয়ে তারে পালিলা যতনে

কালিদাস  ধন্য কবি কবি-কুল-পতি 

তব কাব্যাশ্রমে হেরি এ নারী-রতনে

কে না ভাল বাসে তারে দুষ্মন্ত যেমতি

প্রেমে অন্ধ ? কে না পড়ে মদন-বন্ধনে ?

মন্দনের পিক-ধ্বনি সুমধুর গলে

পারিজাত-কুসুমের পরিমল শ্বাসে

মানস-কমল-রুচি- বদন-কমলে

অধরে অমৃত-সুধা সৌদামিনী হাসে

ক্নতু ও মৃগাক্ষি হতে যবে গলি ঝলে

অশ্রুধারা ধৈর্য্য ধরে কে মর্ত্ত্যে আকাশে ?

৯৪

বাল্মীকি

স্বপনে ভ্রমিনু আমি গহন কাননে

একাকী ৷ দেখিনু দূরে যুব এক জন

দঁড়ায়ে তাহার কাছে প্রাচীন ব্রাহ্মণ

দ্রোণ যেন ভয়-শূন্য কুরুক্ষেত্র-রণে ৷

চাহিস্ বধিতে মোরে কিসের কারণে ?

জিজ্ঞাসিলা দ্বিজবর মধুর বচনে ৷

বধি তোমা হরি আমি লব তব ধন

উত্তরিলা যুব জন ভীম গরজনে ৷

পরিবরতিল স্বপ্ন ৷ শুনিনু সত্বরে

সুধাময় গীত-ধ্বনি আপনি ভারতী

মোহিতে ব্রহ্মার মনঃ স্বর্ণ বীণা করে

আরম্ভিলা গীত যেন মনোহর অতি 

সে দুরন্ত যুব জন সে বৃ্দ্ধের বরে

হইল ভারত তব কবি-কুল-পতি 

৯৫

শ্রীমন্তের টোপর১০৮

শ্রীপতি

শিরে হৈতে ফেলে দিল লক্ষের টোপর ৷৷

চন্ডী ৷

হেরি যথা শফরীরে স্বচ্ছ সরোবরে

পড়ে মৎস্যরঙ্ক১০৯ ভেদি সুনীল গগনে

(ইন্দ্র-ধনুঃ-সম দীপ্ত বিবিধ বরণে)

পড়িল মুকুট উঠি অকূল সাগরে

উজলি চৌদিক শত রতনের করে

দ্রুতগতি  মৃদু হাসি হেম ঘনাসনে

আকাশে সম্ভাষি দেবী সুমধুর স্বরে

পদ্মারে১১০ কহিলা দেখ দেখ লো নয়নে

অবোধ শ্রীমন্ত ফেলে সাগরের জলে

লক্ষের টোপর১১১ সখি  রক্ষিব স্বজনি

খুল্লনার ধন আমি ৷আশু মায়া-বলে

স্বর্ণ ক্ষেমঙ্করী-রূপ লইলা জননী ৷

বজ্রনখে মৎসরক্ষে যথা নভস্তলে

বিঁধে বাজ টোপর মা ধরিলা তেমনি ৷

৯৬

কোন এক পুস্তকের ভূমিকা পড়িয়া১১২

চাঁড়ালের হাত দিয়া পোড়াও পুস্তকে 

করি ভস্মরাশি ফেল কর্ম্মনাশা-জলে 

সুভবের উপযুক্ত বসন যে বলে

নার বুনিবারে ভাষা  কুখ্যাতি-নরকে

যম-সম পারি তারে ডুবাতে পুলকে

হাতী-সম গুঁড়া করি হাড় পদতলে 

কত যে ঐশ্বর্য্য তব এ ভব-মন্ডলে

সেই জানে বাণীপদ ধরে যে মস্তকে 

কামার্ত্ত দানব যদি অপ্সরীরে সাধে

ঘৃণায় ঘুরায়ে মুখ হাত দে সে কানে

কিন্তু দেবপুত্র যবে প্রেম-সুধা হরষে সে দানে ৷

দূর করি নন্দঘোষে ভজ শ্যামে রাধে

ও বেটা নিকটে এলে ঢাকো মুখ মানে ৷

৯৭

মিত্রাক্ষর

বড়ই নিষ্ঠুর আমি ভাবি তারে মনে

লো ভাষা পীড়িতে তোমা গড়িল যে আগে

মিত্রাক্ষর-রূপ বেড়ি  কত ব্যথা লাগে

পর যবে এ নিগড় কোমল চরণে

স্মরিলে হূদয় মোর জ্বলি উঠে রাগে 

ছিল না কি ভাব-ধন কহ লো ললনে

মনের ভান্ডারে তার যে মিথ্যা সোহাগে

ভুলাতে তোমারে দিল এ কুচ্ছ ভূষণে ?

কি কাজ রঞ্জনে রাঙি কমলের দলে ?

নিজ-রূপে শশিকলা উজ্জ্বল আকাশে 

কি কাজ পবিত্রি মন্ত্রে জাহ্নবীর জলে ?

কি কাজ সুগন্ধ ঢালি পারিজাত-বাসে ?

প্রকৃত কবিতা-রূপী প্রকৃতির বলে

চীন-নারী-সম পদ কেন লৌহ-ফাঁসে ?

৯৮

ব্রজ-বৃত্তান্ত

আর কি কাঁদে লো নদি তোর তীরে বসি

মথুরার পানে চেয়ে ব্রজের সুন্দরী ?

আর কি পড়ে লো এবে তোর জলে খসি

অশ্রু-ধারা মুকুতার কম রূপ ধরি ?

বিন্দাচন্দ্রাননা দূতীক মোরে রূপসি

কালিন্দি পার কি আর হয় ও লহরী

কহিতে রাধার কথা রাজ-পুরে পশি

নব রাজে কর-যুগ ভয়ে যোড় করি?

বঙ্গের হৃদয়-রূপ রঙ্গ-ভূমি-তলে

সাঙ্গিল কি এত দিনে গোকুলের লীলা ?

কোথায় রাখাল-রাজ পীত ধড়া গলে ?

কোথায় সে বিরহিনী প্যারী চারুশীলা ?

ডুবাতে কি ব্রজ-ধামে বিস্মৃতির জলে

কাল-রূপে পুনঃ ইন্দ্র বৃষ্টি বরষিলা 

৯৯

ভূত কাল

কোন্ মুল্য দিয়া পুনঃ কিনি ভূত কালে

কোন্ মুল্য এ মন্ত্রণা কারে লয়ে করি ?

কোন্ ধন কোন্ মুদ্রা কোন্ মণি-জালে

এ দুর্ল্লভ দ্রব্য-লাভ ? কোন্ দেবে স্মরি

কোন্ যোগে কোন্ তপে কোন্ ধর্ম্ম ধরি ?

আছে কি এমন জন ব্রাহ্মণে চন্ডালে

এ দীক্ষা-শিক্ষার্থে যারে গুরু-পদে বরি

এ তত্ত্ব-স্বরূপ পদ্ম পাই যে মৃণালে ?

পশে যে প্রবাহ বহি অকূল সাগরে

ফিরি কি সে আসে পুনঃ পর্ব্বত-সদনে ?

যে বারির ধারা ধরা সতৃষ্ণায় ধরে

উঠে কি সে পুনঃ কভু বারিদাতা ঘনে ?

বর্ত্তমানে তোরে কাল যে জন আদরে

তার তুই  গেলে পায় কোন্ জনে ?

১০০

০০০০০০০০০০০০০০

প্রফুল্ল কমল যথা সুনির্ম্মল জলে

আদিত্যের জ্যোতিঃ দিয়া আঁকে স্ব-মুরতি

প্রেমের সুবর্ণ রঙে সুনেত্রা যুবতি

চিত্রেছ যে ছবি তুমি এ হৃদয়-স্থলে

মোছে তারে হেন কার আছে লো শকতি

যত দিন ভ্রমি আমি এ ভব-মন্ডলে?

সাগর-সঙ্গমে গঙ্গা করেন যেমতি

চির-বাস পরিমল কমলের দলে

সেই রূপে থাক তুমি  দূরে কি নিকটে

যেখানে যখন থাকি ভজিব তোমারে

যেখানে যখন যাই যেখানে যা ঘটে 

প্রেমের প্রতিমা তুমি আলোক আঁধারে 

অধিষ্ঠান নিত্য তব স্মৃতি-সৃষ্ট মঠে

সতত সঙ্গিনী মোর সংসার-মাঝারে ৷১১৩

১০১

আশা

বাহ্য-জ্ঞান শূন্য করি নিদ্রা মায়াবিনী

কত শত রঙ্গ করে নিশা-আগমনে 

কিন্তু কি শকতি তোর এ মর-ভবনে

লো আশা ৷নিদ্রার কেলি১১৪ আইলে যামিনী

ভাল মন্দ ভুলে লোক যখন শয়নে

দুখসুখসত্যমিথ্যা  তুই কুহকিনী

তোর লীলা-খেলা দেখি দিবার মিলনে

জাগে যে স্বপন তারে দেখাস্ রঙ্গিণি 

কঙ্গালী যে ধন-ভোগ তার তোর বলে

মগন যে ভাগ্য-দোষে বিপদ-সাগরে

( ভুলি ভূত বর্ত্তমান ভুলি তোর ছলে )

কালে তীর-লাভ হবে সেও মনে করে 

ভবিষ্যৎ-অন্ধকারে তোর দীপ জ্বলে

এ কুহক পাইলি লো কোন্ দেব-বরে ?

১০২

সমাপ্তে

বিসর্জ্জব আজি মা গো বিস্মৃতির জলে

(হৃদয়-মন্ডপ হায় অন্ধকার করি )

ও প্রতিমা  নিবাইল দেখ হোমানলে

মনঃ-কুন্ডে অশ্রু-ধারা মনোদুঃখে ঝরি 

শুখাইল দুরদৃষ্ট স ফুল্ল কমলে

যার গন্ধামোদে অন্ধ এ মনঃ বিস্মরি

সংসারে ধর্ম্ম কর্ম্ম  ডুবিল সে তরি

কাব্য-নদে খেলাইনু যাহে পদ-বলে

অল্প দিন  নারিনু মা চিনিতে তোমারে

শৈশবে অবোধ আমি  ডাকিলা যৌবনে

( যদিও অধম পুত্র মা কি ভুলে তারে?)

এবে ইন্দ্রপ্রস্থ১১৫ ছাড়ি যাই দুর বনে 

এই বর হে বরদে মাগি শেষ বারে

জ্যোতির্ম্ময় কর বঙ্গভারত-রতনে 








পাদটীকাঃ

১০৩ ৷ মহাভারতের মহাপ্রস্থান পর্বের প্রসঙ্গ ৷

১০৪ ৷ Filicaia ভিনচেৎসো ফিলিকাআ (১৬৪২-১৭০৭ খ্রীঃ) ইতালীর বিখ্যাত কবি ৷ সনেট রচনায় তিনিও ছিলেন দক্ষ ৷

১০৫ ৷ অমৃতধারায় ৷

১০৬ ৷ চেতনাদান করবে ৷

১০৭ ৷ শুক্লপক্ষে ৷

১০৮ ৷ কবিকঙ্কন চন্ডীর ধনপতি সদাগর শ্রীমঙ্গের প্রসঙ্গ ৷

১০৯ ৷ মাছরাঙা পাখি ৷

১১০ ৷ পদ্মাবতী ৷ চন্ডীদেবীর সহচরী ৷

১১১ ৷ লক্ষটাকা মূল্যের শিরোভূষণ মহামূল্য শিরোভূষণ ৷

১১২ ৷ কবির বিতৃষ্ণ মনোভাবের উৎস কোন্ পুস্তক তা এখনো পর্যন্ত উদঘাটিত হয়নি ৷

১১৩ ৷ সম্ভবত কবিপত্নী হেনরিয়েটার উদ্দেশ্যে কবিতাটি রচিত ৷

১১৪ ৷ খেলা ৷







কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল







( সমাপ্ত )

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: নাসায় তিল ফুল
হাসায় বিল কুল

কাজী নজরুল ইসলাম

এভাবে কিছু কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন। তাতে প্রতিটা লাইনে ৩টি শব্দ। আবার প্রতি লাইনের প্রথম শব্দটিতে ৩টি অক্ষর বাকি ২টি শব্দে ২টি করে অক্ষন।
এটা খুব সম্ভবত ১৯২১ইং সালে কুমিল্লায় থাকাকালীন সময়ে নজরুল লিখেছেন। বন্ধু বিশ্ব সাহিত্য বাংলার আশে পাশেও কারও অবস্থান নেই। আজ বাংলাদেশীরা বিদেশী সংস্কৃতি দেখে আধুনিক হবার চেষ্টা করছে দেখে আমার খুব কষ্ট হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.