![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
..................বিশাল যন্ত্রণার অর্থ হচ্ছে বিশাল শুদ্ধতা ৷৷ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
মি. প্লোশাল শব্দের সংগ্রাহক ৷ ছাপ্পান্ন বছর বয়সে প্রথম এক প্রেমের কবিতাসমগ্র পাঠ করেই এ অভ্যাসের সূত্রপাত ৷ ছোট আকৃতির সেটির মোড়কের উপরে সম্বলিত ছিল সুদৃশ্য এক গোলাপী রঙের ফুলের প্রতিকৃতি ৷ যদিও সেই ছবির বিপ্রতীপে যেন ভিন্ন কোন গন্ধের আভাস ছড়িয়ে পড়ছিল ৷ শক্ত বাঁধাই, সোঁদা গন্ধেই বোঝা যাচ্ছিল দীর্ঘদিন পুরোনো বইয়ের দোকানের পাতাল কক্ষে ছিল যার অবস্থান ৷ মি. প্লোশাল অবশ্য সেই সমগ্রটি কিনেন নাই ৷ যদিও মাঝে মাঝে সে বইয়ের দোকানটায় ঘুরে আসতেন, কদাচিৎ বই কিনতেন আর এমন হলে সেটি বেশ ভিন্নরকমের ছিল ৷ তার বাসার ক্ষুদ্র লাইব্রেরীতে নির্দেশিকা বই দিয়ে ঠাঁসা ছিল ৷ যেমন, বাসায় লাগানো গাছদের জন্য যদিও এমন কিছুই ছিল না তার, তবু নিজেকে বিশেষজ্ঞ মনে করত এ বিষয়ে ৷ অথবা বিড়ালের ক্ষেত্রে, তবে একটিও ছিল না নিজের কারণ লোমের প্রতি এ্যালার্জি তার ৷ যদিও কেউ জিজ্ঞাসা করলে নানান উপকারের দিকটি তুলে ধরেন স্বাচ্ছন্দে ৷ আরও ছিল ফ্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের বই ৷ সত্যি বলতে কি, ফ্রিজের কোন দরকারই ছিল না তার তবে লব্দজ্ঞান প্রয়োগের ক্ষেত্রটিও নেই ৷ মোড়কটির ছবিটি দেখেই সিদ্ধান্ত নিল সমগ্রটি সে কিনবে ৷ বেশ আশ্চর্যজনক ভাবে প্রচ্ছদটি তার মনে আকর্ষণ করে ফেলল ৷ যদিও একজন বৃক্ষবিশারদ হিসেবে তার জানা ছিল এমন ফুলের অস্তিত্বই কোথাও নেই ৷ দ্বিধাগ্রস্থ ভাবে বইটা নিয়ে হিসাবরক্ষকের দিকে এগিয়ে যান ৷ এমন বয়সী মানুষের প্রেমের কবিতার প্রতি পক্ষপাত খানিকটা অভূতপুর্বই বলে মনে হয় ৷ যেন নিষিদ্ধ বই খরিদ করছেন ৷ সৌভাগ্যবশতঃ মেয়ে বিক্রয়কর্মীটি শিরোনামটি লিখতে ভুলে গিয়েছিল সে মুহূর্তে ৷ শুধু দামটি দেখে বলল যার পরে সমপরিমান অর্থই তুলে দিল তার হাতে ৷
অবশ্য প্রেম সমন্ধে দু'একটা ধারনা তার জানা ছিল ৷ এখানে কি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জানানো খুব কি প্রয়োজন ? এমন সতর্ক ভাবনা নিয়েই বেশিরভাগ মানুষ জন্মগ্রহণ করে থাকে ৷ এর ব্যতিক্রম কি নেই ? কম বেশি ৷ যখন বইটা পড়তে উদ্যোগী হল ততক্ষণে যেন একটা বিষন্ন ঘোরের পরিবেশে ছেয়ে গেল পুরো দোকানটায় ৷ যদিও সে তখন একাই ছিল সেখানে ৷ বেশ রাঙা হয়ে উঠল তার মুখোবয়ব ৷ খানিকটা স্বস্তি পেল এই ভেবে যে সমগ্রটি তার কাছে প্রেমের প্রাথমিক ধারণার উপযোগী পাঠউপযোগী ৷ ফলে ধীরে ধীরে সবকিছু সহজ আর আনন্দময় হয়ে উঠল ৷
সে বেশ অবাক হয়ে খেয়াল করল বইয়ের শব্দেগুলো তার কাছে বেশ চমকপ্রদ লাগতে লাগল ৷ তত বেশি যতটা না আগ্রহ ও উত্তেজনা বোধ করছিল ৷ হঠাৎ করে বুঝতে পারল কিছু একটা অজান্তেই হারিয়ে যাচ্ছিল ৷ মুগ্ধ শব্দদের অস্তিত্ব ৷ তারা বিশেষ কিছু না বা অচেনাও নয় বটে ৷ অনেক পরিচিত শব্দগুলো যাদের অন্য বইতে খুঁজে পাওয়া যায় ৷ কিন্তু ভিন্ন কোন কারণে নয়ত অন্য কিছুর জন্য এত সুন্দর লাগেনি কখনও ৷ হয়ত আগে তাদের সৌন্দর্য এমন করে তার চোখে ধরা দেয়নি ৷ যতই পড়ছিল ততই কোন কিছু হারানোর ভয় পেয়ে বসচ্ছিল তার মাঝে ৷ এক এক পাতা উল্টাচ্ছিল আর মনে হতে লাগল ফেলে আসা শব্দেরা বিমূর্ষ ও বিলীন হয়ে যাচ্ছে অজানায় ৷ পরে হয়ত অন্যরা সে জায়গায় আসে তবু কোথায় যেন অপূরণীয় ক্ষত রয়ে যাচ্ছে ৷ যে কোন ভাবে আগেরগুলোকে ধরে রাখতে চায় সে ৷ ফলে আর তাদেরকে মিলিয়ে যেতে দিল না ৷ তাদের মাঝে ফেরত যাওয়া যায় কিন্তু এ করে বইটা পড়া শেষ হবে না কখনও ৷ না, ভাল কোন সমাধান দরকার এ সমস্যার ৷ পরক্ষণেই পেয়ে গেল আলোকচ্ছটার ঝলকানি ৷
কিনে আনলো চামড়ায় মোড়ানো বড় লাইনটানা খাতা ৷ সুন্দরতম শব্দদের চেয়ে আর কিছুই এতটা আশ্চর্যজনক নয় ৷ আর বুঝে আসল না কিভাবেই সে তাদেরকে লিখে রাখবে এমন এক সাধারণ খাতায় ৷ এক্ষেত্রে অনেকটা ধর্মদ্রোহীর মত নিজেকে মনে হল ৷ আবার প্রথম থেকে পড়া শুরু করল সাথে সামনে খুলে রাখল খাতাটা ৷ যখনই চোখে পড়ল নান্দনিক কোন শব্দের সাথে সাথে টুকে রাখল তার ফাউন্টেন কলমের খোঁচায় ৷ গুছিয়ে সাজাতে লাগল যেন স্বর্ণ কারিগরের নিঁখুত কারুকাজ ৷
তার হাতের লেখা ছিল সুচারু, জটিল নয় তবে যথার্থ পূর্ণতায় ভরপুর, খানিকটা নিয়মানুবর্তী ৷ সুন্দর শব্দগুলোকে তুলে ধরতে যেমনটা দরকার তেমনি লিখনশৈলী তার ৷ বেশি আবছায়ায় আরোপিত নয় বরং অনেক ভারসাম্যপূর্ণ ৷ সাধারণত সে বড় বড় অক্ষরে লিখে থাকে তবে এক্ষেত্রে বেছে নিয়েছে ছোট অক্ষরকে ৷ যদিও অজানা কতগুলো সুন্দরতম শব্দের সন্ধান পাবে সে ৷ তারপর চিকন খাতায় বেশ যত্ন নিয়েই এগুতে লাগল ৷
এভাবে চলতে লাগল যতক্ষণ না সমগ্রটির সব সুন্দর শব্দ লিখে সন্তোষজনক মনে হল পরিশেষে ৷ একবার মনে হল তার খাতায় কি তাদের সৌন্দর্য কি ধরা গেল অথবা হারিয়ে কি গেল তারা ? খাতাটা খানিকটা সামনে ধরে থেকে মুক্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলে তাকিয়ে রইল পরিপূর্ণ চারটি পৃষ্টার দিকে ৷ যেন শুধু তাদের সৌন্দর্যই সংরক্ষিত রইল না বরং আরো বিকশিত মনে হল ৷ হয়ত কেবল সুন্দর শব্দেরা দাড়িয়ে রইল অন্য কুৎসিত শব্দের অপেক্ষা এমনটি নয়, অপরগুলো থাকতেই পারল না কোন ভাবেই ৷ খাতাটি পরিপূর্ণভাবে সৌন্দর্যকে ধারণ করে রইল ৷
সমগ্রটা শেষ করে সে বুঝতে পারল না এবার কি করা উচিত তার ৷ খাতাটি পরিপূর্ণ, এখন একে সম্মানের স্পর্শ দেখানো উচিত ৷ এভাবে কি ফেলে রাখবে ? এমনটি হয়ত হত যদি তাদের সুন্দরের খাটতি রাখত সে ৷ কিন্তু না, তাকে এগুতেই হবে ৷ আরো বহু সুন্দর সুন্দর শব্দেরা অপেক্ষারত ৷ তারা একত্রে থাকার দাবি রাখে ৷ তবে কোথায় খুঁজবে সে তাদেরকে ?
স্বাভাবিকভাবে প্রথমই মনে হল আরো কোন কবিতার সমগ্রের কথা ৷ নিজেই আবিষ্কার করল প্রেমের কবিতায় চমৎকার শব্দেরা নানান অভিব্যক্তি ফুঁটিয়ে তোলে ৷ কিন্তু এধরনের বই যদি কিনতেই থাকে তবে সে অতিশীঘ্রই হয়ে পড়বে দৃষ্টি আকর্ষণীয় কেঁউকেটা ৷ দু'তিনটা বই কেনা হয়ত চোখে পড়বে না কিন্তু লাইব্রেরির ক্যটালগের তিনশ পয়ত্রিশ সংখ্যাটি ভাবলে নিজেকে উপহাসে পাত্র বলে মনে হতে লাগল ৷ ভিন্ন কিছু ভাবা দরকার ৷ এরপরই দ্বিতীয় উৎসাহী ঝলকটি জেগে উঠল মনে ৷
কে বলেছে সুন্দর শব্দেরা শুধুমাত্র কবিতার সঙ্কলনেই থাকবে ? তারা অবশ্য অন্য বইয়েও বিদ্যমান রয়েছে ৷ এমনকি নির্দেশিকা বইয়ে থাকতেই পারে ৷ এরিমধ্যে সে তো চির সত্যকে হস্তগত করার মত অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছে ৷ সুন্দর শব্দেরা রয়েছে সব জায়গায় ৷ বই পছন্দে পারদর্শিতা নেই, রয়েছে শব্দেদের সন্ধানে ৷ তাদের জন্য মনযোগী চোখ থাকা আবশ্যক ৷ ভেবে প্রীত হল তার এমনটি সঙ্গে আছে বলে ৷ খুব সাধারণ ভাবে যাচাই করা যায় সেটা ৷ হাতের কাছের নির্দেশিকাটি তুলে মেলে ধরল ৷ পর মুহূর্তেই সুন্দর শব্দদের ঝলকানিতে চোখ আলো হারাল যেন কেউ উজ্জ্বল মার্কার দিয়ে স্থানগুলি বিশেষায়িত করে রেখেছে আগেই ৷
তার পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে গেল নির্দেশিকাটি ধরে রাখতে ফলে তৎক্ষণাৎ লিখতে শুরু করে দিল ৷ তার আত্মগর্ববোধ সতর্কতা সহযোগে থামিয়ে দিল তার পরই ৷ কারও কারও পক্ষে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয় ৷ অনির্দিষ্ট দিকে এগিয়ে যাবে সে কি ? মুহূর্তেই দ্বিধাবোধ জেঁকে বসল ৷ নিঁখুত ও নিয়মানুসারে অগ্রসরের প্রয়োজন বোধ করল সে ৷ তারপর গভীর মনযোগে অবস্থা বিবেচনা করে তৎক্ষণাৎ সমাধান উৎসাহের ঝলকে জেগে উঠল ৷
নির্দেশিকার প্রথম চার পৃষ্টায় আবার মনসংযোগে সে প্রচেষ্টাকে পুনরায় ধরার চেষ্টা করল ৷ কিন্তু ব্যর্থ হল সে ৷ পূর্বে ব্যবচ্ছেদকৃত নির্দেশিকায় এমন অজুহাতটি কাজে আসল না ৷ নূতন একখানা আবার কেনার কথা ভাবল ৷ বেঢপ আকৃতির বইয়ে হয়ত আকাঙ্খা পূরণ হবে তার ৷ যাতে থাকবে বিস্তারিত ব্যখ্যাসহ সঙ্গে ঝলমলে সূতার নির্দেশক যেখানটাই সে পাঠ বা লেখার বিরতির প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে ৷ পরের বিকট অভিধানে বিশাল ষোলটি খণ্ডের ছিল ৷ প্রথমটি খুলতেই সুন্দর শব্দদের ভীড়ের ঝলকানি তার চোখের উপর আঁচড়ে পড়ল ৷ যাইহোক এরপরের গুলোর গুরত্ব তাকে ভীত করতেই পারল না ৷ নিজেকে বেশ প্রস্তুতও রেখেছিল সে ৷ চোরাগলির সন্ধানের আশাও করেনি সে ৷ কমও নয় বেশিও নয় পরিপূর্ণ সময় নিয়ে ধীরে ধীরে সবগুলো লিখতে লাগল ৷ আসলে তারা তো ছিল বেদনাহীন বরঞ্চ প্রফুল্লময় ৷ সর্বোপুরি, সৌন্দর্যকে লিপিবদ্ধ করার চেয়ে উৎসাহব্যঞ্জক আর কিছু কি আছে ? কাজ শেষে মি. প্লোশাল নিজেকে ছাপ্পান্ন অপেক্ষা বেশি বয়োবৃদ্ধ হিসেবে আবিষ্কার করল ৷ যদিও সেটি তার আত্মসন্তুষ্টি ও মনোবাঞ্ছনা পূর্ণ হবার অপেক্ষা কিছুই ছিল না ৷ কত জন বয়সীই বলতে পারবেন জীবনটা বৃথা যায়নি অন্ততঃ সৌন্দর্য তো সংগ্রহ করা গেছে ৷ বাকি রইল মাত্র আর একটি কাজ তার ৷ লিখিত পুরো খাতার শেষ পৃষ্টায় অবশিষ্ট রইল দুটি শব্দের জায়গা ৷ যখন থেকে শুরু করেছিল এবার দু'দণ্ড ধীরে চলল তার লেখনী ৷ যদিও রইল শান্ত, সদয়, মনযোগী কঠোরতা ৷ শেষটায় স্বাক্ষরের অপেক্ষায় ৷ খাতার সমাপ্তিতে পেছনের মোড়কটা খুলে রাখল সে ৷ যেন ভারি চোখের পাতা নামিয়ে দিল ।
**********************************************************************
[জোরান জিভকভিকের জন্ম ১৯৪৮ সালে প্রাাক্তন যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেডে ৷ ১৮টি ফিকশনের রচয়িতা, উল্লেখযোগ্য The Fourth Circle (1993), Time Gifts (1997), The Writer (1998), The Book (1999), Impossible Encounters (2000), Seven Touches of Music (2001), The Library (2002), Steps through the Mist (2003), Hidden Camera (2003), Compartments (2004), Four Stories till the End (2004), Twelve Collections and the Teashop (2005), The Bridge (2006), Miss Tamara, The Reader (2006), Amarcord (2007), The Last Book (2007), Escher's Loops (2008) and The Ghostwriter (2009).
এ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষায় ৬০এর অধিক অনুবাদের সংস্করণ বেড়িয়েছে নিকট ময়য়ে ৷ নানাবিধ সাহিত্য পুরুষ্কারে ভূষিত যার মধ্যে উপন্যাস 'দ্য লাইব্রেরির' জন্য the World Fantasy Award (2003) পান ৷ বর্তমানে সার্বিয়ার বেলগ্রেড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ে অধ্যাপনারত ৷ স্ত্রী মিয়া, জমজ ছেলে ঊরর্, অ্যানড্রেজা ও প্রিয় তিনটি পোষ্য বিড়াল নিয়ে বেলগ্রেডে বসবাস ৷ কিছুদিন পূর্বে একটি বিড়াল দেহত্যাগ করে ৷ ]
উপরের গল্পটি তাঁর Twelve Collections and the Teashop (2005) বইয়ের অন্তর্ভূক্ত ৷
সার্বিয়ান থেকে ইংরেজি ভাষান্তরঃ এ্যালিস কোপল তসিক
কৃতজ্ঞতাঃ আন্তর্জাল ৷
____________________________________________
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
অদৃশ্য বলেছেন:
চমৎকার লাগলো আমার কাছে গল্পটি... আপনার অনুবাদের জন্যই লিখাটি চমৎকার লাগলো...
আশাকরছি সামনে চমৎকার সব গল্প আমাদের উপহার দেবেন...
শুভকামনা...
৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
মামুন রশিদ বলেছেন: জীবনের সব সৌন্দর্য টুকে রাখলেও না দেখা সৌন্দর্য থেকেই যাবে । অসাধারণ লাগলো গল্প, সেই সাথে সুন্দর অনুবাদ ।
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: দুর্দান্ত শব্দ অভিযান। চমৎকার অনুবাদ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
যদিও কিছু জায়গায় মনযোগের অভাব ছিল ৷ আবারো দেখতে হবে ৷ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ৷
ভাল থাকুন ৷
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ব্যতিক্রমী ভাবনারা শব্দে যেন স্থান করে নিলো। ভালো লাগলো পড়তে
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
পাঠে ও মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন ৷
ভাল থাকুন আর সৃজনে সমৃদ্ধ হোন ৷
৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫২
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: অসম্ভব ভাল অনুবাদ হয়েছে। সাধারণত অনুবাদ আমাকে পীড়া দেয়। কেমন যেন কৃত্রিমতা থাকে ভাষার। কিন্তু আপনার পরিমিতিবোধ চমৎকার।
‘মুগ্ধকর শব্দেদের অস্তিত্ব ৷’ এখানে কি শব্দদের হবে?
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২২
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ভাল বলেছেন ৷ সাবলীলতা আনতে গেলে মূল ভাব মুছে যায় আবার মূল ধরত গেলে আড়ষ্ট হয়ে যায় ৷ পোস্ট দেওয়া বেশ কষ্টকর ৷ অনেক ঘাটতি রয়েছে ৷ আশা করি ধীরে ধীরে এডিট হয়ে যাবে ৷
পাঠে মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন ৷ ভাল থাকবেন ৷
৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৪
দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন ভাই।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৪
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
আপনার উপস্থিতি ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ৷
সু্ন্দর থাকবেন ৷
৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
জাহাঙ্গীর আলম,
অনুবাদটি পড়লাম। জোরানের গল্পটিতে যথারীতি অর্থহীনতা সমৃদ্ধ সুন্দরতম শব্দ-বোধের কারুকাজ ছিলো। ব্যাটা লিখে জটিল, ভাবনাময়তা জেঁকে বসে।
বোঝা যাচ্ছে জোরানে মজেছেন; হারিয়ে যাবে না যেনও।
শুভ কামনা।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৩
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
কতটুকু পেরেছি মহাকাল দেখবে প্রচেষ্টা ছিল অনেক ৷ পোস্ট দেয়া কষ্টসাধ্য কিছু সংযোজন দেওয়ার চেষ্টা থাকবে ৷
ভাল থাকুন সৃজনে ও সমৃদ্ধশালী সময়ে ৷
৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
অদৃশ্য বলেছেন:
বলতে গেলে অনুবাদের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক আগে থেকেই... এতে অনেক কিছুর ধারণা পাওয়া যায়... আর সেজন্য অনুবাদটাও হওয়া চাই ভালো... আপনার অনুবাদ ভালো লাগছে... তবে মনে রাখবেন, অনুবাদের সময় যেন কারচুপি না হয়... এতে কিন্তু পাঠক ঠকে যাবে...
আরও সুন্দর সব অনুবাদের অপেক্ষাতে থাকলাম...
শুভকামনা...
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২০
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
মূল দিকটি তুলে ধরেছেন ৷ সেটি মূলত দূর্বলতাবিহীন ও মৌলিকত্বের নিকটবর্তী হওয়া উচিিত ৷ আমার প্রচেষ্টা পরিপূর্ণ রাখার পক্ষে সতত ৷
আদতে তো তারই লেখা ৷ অনুবাদক আসলে কেউ নয় ৷ লেখকের টোনটা ধরতে চাওয়ার ইচ্ছা ৷ পোস্ট দেয়া কষ্টসাধ্য কিছু সংযোজন দেওয়ার চেষ্টা থাকবে ৷
মঙ্গল হোক প্রিয়জনদের ৷
১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
অদৃশ্য বলেছেন:
আরও একটি কথা... সেটা হলো যেসব লেখকদের অনুবাদ আপনি করছেন বা করবেন তাদের শর্টকাট একটি পরিচিতি যদি অনুবাদের আগে বা পরে দিয়ে দেনতো খুবই ভালো হয়...
শুভকামনা...
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
সংযোজিত হয়েছে ৷ পোস্ট দিতে সপ্তাহের অধিক লেগেছিল বিধায় গল্পটি আগে দেয়া হয়েছে ৷
সবসময়ের জন্য শুভেচ্ছা ৷ আপনার প্রিয় ক্ষুদে ব্যাটেলিয়ানদের জন্য আন্তরিক শুভকামনা বাকিদা ৷
১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
পূর্বের কিছু মন্তব্য
ডি মুন বলেছেন:
০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০৪
অনুবাদ খুব একটা সাবলীল হয় নি বলে মনে হচ্ছে, যদিও মূল গল্পটি আমার পড়া নেই। আপনার মাধ্যমে নতুন একজন লেখকের সাথে পরিচিত হলাম। অশেষ কৃতজ্ঞতা।
অদৃশ্য বলেছেন:
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
চমৎকার লাগলো আমার কাছে গল্পটি... আপনার অনুবাদের জন্যই লিখাটি চমৎকার লাগলো... আশাকরছি সামনে চমৎকার সব গল্প আমাদের উপহার দেবেন...শুভকামনা...
মামুন রশিদ বলেছেন:
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮
জীবনের সব সৌন্দর্য টুকে রাখলেও না দেখা সৌন্দর্য থেকেই যাবে । অসাধারণ লাগলো গল্প, সেই সাথে সুন্দর অনুবাদ ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
অনেক সময় সাবলীলের ক্ষেত্রে স্বকীয়তা প্রশ্ন চলে আসে ৷ মূল ভাবটা প্রাধান্য পায় ৷ আদতে তো উনারই লেখা ৷ হয়ত ভাবান্তরে লেখকস্বত্ত্বা হারানোর আশঙ্কা প্রায়শঃই ৷ @ডি মুন
কিছুটা এডিট হবে এর পরই ৷ পোস্ট দেওয়া অনেক কষ্টকর ৷ আরো কিছু যোগ হবে ৷ জোরানের একটি সাক্ষাৎকার আছে পড়তে পারেন ৷ @অদৃশ্য
হয়ত সবটা তুলে আনা যায়নি ৷ পাঠে ও মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন ৷ ভাল থাকুন @মামুন রশিদ ৷
মন্তব্য ক্রুটির জন্য সবার নিকট দুঃখিত ৷ পরে সংশোধন ও সংযোজন করার ইচ্ছা রইল ৷
১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাল লাগল । লেখার ভেতরের স্বরটা ধরে রাখতে পেরেছেন । বেশ কয়েকবার
করলাম । শেষটায় বিষণ্ণতা গ্রাস করল । আবারো পড়ার জন্য প্রিয়তে ।
সংক্ষিপ্ত লেখক পরিচিতি পেলে ভাল হয় ।
শেষ সঙ্কলনে শেষ মহাভুল করেছি এ গল্পটিকে না নিয়ে ।
অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চাইছি।
প্রায়শ্চিত্ত করলাম ।
ভাল থাকবেন প্রিয় জাহাঙ্গীর ভাই ।
শুভকামনা ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩২
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
আপনার প্রাণময় অভিমতে ভালববাসা জানবেন ৷
আরো আরো পাঠ ও লেখায় সমৃদ্ধ হোক আপনার কলমের অঙ্গন ৷ পোস্ট দেয়া পরে ধীরে ধীরে সংশোধন হয় ৷
পাঠ করতেই ভাল লাগে প্রথমত ৷ অনেক লেখা আজও অপঠিত ৷ দেখা যাক সুুসময়েের অপেক্ষায় ৷
সৃজনে থাকুন, শ্রীবৃদ্ধি ঘটুক আপনার মননের ৷
১৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২
ফা হিম বলেছেন: মাঝে মাঝে শব্দও অনেক সৌন্দর্য নিয়ে ধরা দেয়। অনুবাদ প্রাঞ্জল ও সুখপাঠ্য হয়েছে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২২
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
স্বাগত ৷
প্রাঞ্জলতার উদ্দেশ্য ছিল কতটুকু অজানা থাকল ৷ তবে মূল লেখকের আঙ্গিকের ভাবখানা ধরার ক্ষীণ প্রচেেষ্টা বলা যায় ৷
পাঠে ও মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা রইল ৷
১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: আনুবাদ খানা পড়লাম... ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য....
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৪
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
স্বাগত ৷
পাঠ প্রতিক্রিয়ায় ধন্যবাদ জানবেন বন্ধু তুহিন ৷ ভাল থাকুন ৷
১৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০
লিরিকস বলেছেন: আমাকে করা আপনার মন্তব্য গুলির উত্ত আমি পরে দেব। ভালো থাকবেন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪০
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ব্যস্ততায় নিত্য শুদ্ধতায় থাকুন ৷
শুভকামনা ৷
১৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
পাঠক আমি অপেক্ষায়। একটা লেখা হতো যদি ...
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪২
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
সবপাঠক হলে তো ভাল হতো ৷ পড়ার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আমি নয়ত আপনি ৷
হা হা ৷
সুন্দর থাকুন ৷
১৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ধন্যবাদ। অনুবাদ বেশ হয়েছে। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০৪
ডি মুন বলেছেন: অনুবাদ খুব একটা সাবলীল হয় নি বলে মনে হচ্ছে, যদিও মূল গল্পটি আমার পড়া নেই।
আপনার মাধ্যমে নতুন একজন লেখকের সাথে পরিচিত হলাম।
অশেষ কৃতজ্ঞতা।