![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেহরাব হাসান
তবুও জোৎস্না আসে
নিজের বয়সের সাথে জোৎস্নারো বয়স বাড়ে
দিন যায়-রাত আসে,জোৎস্না আসে।
রাত জেগে বাঁশি শোনানোর
সেই পারভিন নেই
যে বাঁশির সূর শোনার জন্য বিছানায় ঘাপটি মেরে জেগে থাকতো।
রফিক চাচা নেই
যার সঙে বসে তামাক খাওয়া যেতো
পাগল পবনটা নেই
মাঝরাতে সঙী করে জোৎস্না আলোয় হেঁটে চলা হতো।
কিন্তু জোৎস্নাটা আছে
অবিকল সেই আলোয় মাটিতে ছায়া পরে
কাঁচা ধানক্ষেত অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়
ঝিঁঝিঁ পোকা আর ব্যাঙের অবিকল ডাক শোনা যায়
মাঝরাতে ঘরে ফেরা পথিকেরা নীরবতাকে প্রশ্ন করে
সেই একই দ্ৃশ্যপট,অবিকল জোৎস্না
কিন্তু,মাথার উপর ভর করা-
দেশ,মানুষ,শাসন-শোষন আর অধিকারের প্রশ্ন।
যখন মানুষকে লাশ মনে হয়
মনে হয় লাশের উপর জোৎস্না শোভা পায় না
যখন ধানক্ষেত দেখে নায্য অধিকারের প্রশ্ন আসে
গাঁয়ের মানুষ গুলোর উপর জারি করা
ফতোয়ার কথা আসে
যখন সুফিয়া নাহার আর রেবেকার বোরখা নিয়ে
গ্রাম্য শালিস বসে
ফেলানী চাকমা আসে
যখন রাজাকার হটাও, হরতাল খেলা করে
চলে আসে খবরের হেডলাইন
চলে আসে যুক্তি দ্বন্দ আর সমাজতন্ত্র।
তবুও জোৎস্না আসে
যখন নিজের বয়সের সাথে জোৎস্নারো বয়স বাড়ে।
মেহরাব হাসান
চকেন্দাহার-২৪।০২।১৩
©somewhere in net ltd.