![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেহরাব হাসান
সময়ের সাথে সাথে হালখাতার স্থলভিষিক্ত হয়েছে রং ছোড়া ছুড়ি,রং বেরং এর শাড়ি,পাঞ্জাবী,পান্তা ইলিশ,হরেক পদের লোভনীয় খাবার ইত্যাদি।সময়ের সাথে সংস্কৃতি পরিবর্তীত হয়,সংযোজন বিয়যোজন হয়।
বার্গার স্যান্ডুইচ ডিজে পার্টিতে বাংলা নববর্ষ চলে আসবে কিনা কিংবা চলে আসছে কিনা সেটা বল মুশকিল।
স্বাগতম বাঙালীর প্রানের দিন হাজার বছরের ঐতিহ্য শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪২০
নাস্তিকতা মানুষের নিকট হুমকি স্বরূপ,নাস্তিকতা মানেই খারাপ ব্যাপার, জাত গেলো জাত গেলো টাইপের।নাস্তিকতা মানুষজন কিভাবে নিচ্ছে তা ফটিকছড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনা দেখলেই বোঝা যায়।যদিও বিষয়টা মিথ্যাচার প্ররোচনা।তবুও ভাববার মতো -কিভাবে মানুষজন নাস্তিক বিরোধি হয়ে হামলা চালায়?সম্প্রতি আমারদেশ পত্রিকা সহ গণমাধ্যমে নাস্তিকতা ফলাও করে প্রকাশ পেয়েছে।বিশেষ করে আমারদেশ পত্রিকা নাস্তিকতা ইসলামবিদ্দেষী হিসাবে উপস্থাপন,সেই সাথে জাত গেলো জাত গেলো ভাবে নিয়ে আসা হয়েছে।নাস্তিক দেখলেই মারো ইত্যাদি ইত্যাদি।প্রমান করা হয়েছে নাস্তিকতা হুমকি স্বরূপ শুধুমাত্র ইসলাম বিরোধী।যদিও নাস্তিকতা কারো নিকট যৌতিক,কারো নিকট হেয়ালীপনা বা কারো নিকট একেবারেই হালের ফ্যাশন যা হালের প্রগতিশীল নামের মিথ্যাচার।
শহরের মঙলযাত্রা,রমনা বটমূল,শাড়ি,পাঞ্জাবী রং বে রং এর ফানুস পান্তা ইলিশ ইত্যাদি পেরিয়ে গ্রামের পান্তা ভাতে নববর্ষ উদযাপন বৈশাখী উপলক্ষে মেলা নাগর দোলা জিলাপী ইত্যাদির মধ্য পার্থক্য বিদ্যমান।গ্রাম শহরের বিভাজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে ভিন্নতা থাকলেও উভয়ের মধ্য যে বাঙালীয়ানা বিদ্যমান এ বিষয়ে কোন সংশয় নাই।
সবশেষে বাংলা নববর্ষ বাঙালীর প্রানের উৎসব হলেও তাতে যে নাস্তিকতার দাবি উঠানো হবে না এই আশঙ্খা না করাও বোকামি।কারন হিসাবে আস্তিক নাস্তিক দ্বন্দ।ব্যবসায়ীদের গণমাধ্যম দিয়ে নাস্তিকতা প্রোপাগান্ডা উষ্কে দিয়ে কোমল মনে আঘাত করা।
সবকিছু কাটিয়ে বাঙালী ঐতিহ্য বাঙালীপনা বেঁচে থাকুক প্রানে প্রানে এই কামনায় শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪২০।
©somewhere in net ltd.