![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেহরাব হাসান
মতের ভিন্নতা থাকেই, কথা হলো মৌলিক জায়গাতে কতোটুকু মিল আছে।
অনেকেই দেখা যায় একটা বিষয়ের উপর মতামত দিতে দিতে এমন এক যায়গায় নিয়ে গিয়ে হাজির করে যা মূল বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিগ নয়।
গণজাগরন মঞ্চ নিয়ে বলা যেতে পারে- সরকার পুলিশ দিয়ে মঞ্চ ভেঙে দিলো।
এখানে বিভন্ন মতামত আসতে পারে, সরকারের নিকট গণশক্তি পরাস্ত।কিংবা হেফজতের আগামী শক্তি সম্ভাবনার ভয়ে সরকার ভেঙে দিয়েছে।
তার মানে সরকার চাইলে অনেক আগেই ভেঙে দিতে পারতো।প্রমান হয় গণশক্তি সরকারের নিকট কিছুই না।যদিও পুলিশি পাহার, মিডিয়া সেল, খাবার ইত্যাদি নিয়ে নানান রকম মতামতের ভিন্নতা আছে।
সবকিছু ছাপিয়ে মৌলিক জায়গা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
এইখনে সরকারো এক।কাদের মোল্লার রায়ের প্রক্ষিতে সাঈদীর রায় গণশক্তির অর্জন বললে তা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে যায়।সরকার চাইলে যেকোন রায় দিতে পারতো।যেখনে সরকারই সকল ক্ষমতার উৎস্য।
১৭ কোটি মানুষের ১৭ কোটি মতামত।হে এইডা বলে, হে ঐডা বলে ইত্যাদি ইত্যাদি।মৌলিক বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে না গিয়ে মতামতের ফুলঝুড়ি।নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে মতামত হতে পারে না।
যেটা গরুদের সজাত প্রব্ৃত্তি।গরুরা নিরপেক্ষ থাকে।নিজস্ব চিন্তা শক্তি নাই।
খেটে খাওয়া মানুষেরা নাস্তিক না তারা আস্তিক।দিন শেষের ভেবাচেকা খাওয়া সংগ্রাম, অনুভূতি,অভাব,অভিযোগ নালিশ করার মতো আল্লাহ ছাড়া তাদের কেউ নেই।
মৌলিক চাহিদার কমতি অভাবে তাদের একমাত্র অবলম্বন আল্লাহ।
এখনেও মতের ভিন্নতা থাকতে পারে।
যে গণশক্তি গণমানুষের কথা বলে সেই গণমানুষ তাদের পক্ষে কিনা ব্যাপারটা জানা আসলে খুবই জরুরি।
গণমানুষের কথা বলে অথচ সেখানে গণমানুষ সপ্ৃক্ত না।
মগডালে পানি না ঢেলে পানিটা আসলে গোড়াতে ঢালা উচিত।
এই যে বিশাল একটি গোষ্ঠি আস্তিক তাদের কথা নাস্তিক হয়ে বলা,সেটা আস্তিকরা কিভাবে মেনে নেয়।সেটা আর প্রশ্ন নয় যা অস্থিত্বের সংকট।
©somewhere in net ltd.