নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ অনেক নীল । মানুষ অনেক লাল । মানুষ অনেক বাদামী ।

মানুষ অনেক নীল । মানুষ অনেক লাল । মানুষ অনেক বাদামী ।

জাহিদ ১৯৯

মেহরাব হাসান

জাহিদ ১৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঘ পত্র

২৭ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

আজ বহুদিন বৃষ্টি হয় না।অনেক কাকুতি মিনতি করেও মেঘ থেকে এক ফোটা বৃষ্টি ঝরানো গেল না।অথচ,কতই না মেঘে বৃষ্টি জমা হয়ে আছে।গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি,ঝপ ঝপ বৃষ্টি,অলস বৃষ্টি,আষাঢ়ের ধানের জমির প্লাবিত করার মতো অজস্র বৃষ্টি মেঘে জমা।কালো মেঘ ফ্যাকাসে ধলা মেঘ গুলো উত্তর থেকে দক্ষিন দিকে যায়, সেখান থেকে আকাশের পশ্চিম কোনায় ভীড় করে।মনে হয় যেখানে আকাশ শেষ হয়ে গেছে মেঘ সেখানেই আছড়ে পরছে প্রবল আক্রোশে।মাঝে মধ্য মেঘের গর্জন দেখে আফসোস হয়।

মনে পরে পরিবাগের চায়ের দোকানে বিকেল গুলোর কথা।মাঝে মধ্যই বৃষ্টির বিকেল গুলো পরিবাগকে আনমনা নীরব করে দিতো।নীরব স্বাক্ষী হয়ে অবলোকন করে গেছি বৃষ্টির শব্দের সাথে চায়ের কাপের মিল অমিল পার্থক্য গুলো।কখনো দু একটা স্টাফ বাস হ্যাংলা হয়ে পরে থাকতো টেলিফোন ভবনের সামনে।মঝে মধ্যই দ্রুত গামী গাড়ী গুলোর হর্ন বাজানোর সাথে মেঘের অমিল খুঁজে পাওয়া যেতো না।দুটোই একই মনে হতো।পার্শ্বশব্দের মতন মেঘের গর্জন বৃষ্টির ঝুপ ঝুপ বেজেই চলতো খেয়াল থাকতো না।মনোযোগ গাঢ় হতো চায়ের কাপে আরেকটি চুমুকে।দীর্ঘ আলোচনায় মাঝে মধ্যই পরীবাগ ওভারব্রিজের কথা চলে আসতো।সেতুর মতো লোক পারাপারের পায়ে হাঁটা পথটি অনেকেই দেখা যেতো উদাস হয়ে গাড়ী দেখছে।লাল জামা পরা মেয়েটির সাথে নেভি ব্লু শার্টের ছেলেটি পাশা পাশি দাঁড়িয়ে চুপচাপ থাকতো কোন কারণ ছাড়াই।বৃষ্টির নানান রঙ্গে শৈশব কৈশোর পেরলেও যৌবনের বৃষ্টি অধরাই থেকে যাচ্ছে।শৈশবের কলা পাতা মাথায় দিয়ে আম কুড়ানো বৃষ্টি কিংবা কৈশোরের কাদা জলে ফুটবল খেলার বৃষ্টির সাথে যৌবনের বৃষ্টির মিল নেই।অনেক চেষ্টা করেও বৃষ্টি ঝরানো গেল না।

প্রিয় মেঘ,

কতোদিন বৃষ্টি সহে বয়ে বেড়াবে?জানালার পাশে টগবগ করে উঠা সূর্যমূখী ফুলের উপর ঝুপ করে ফেলে দাও বৃষ্টি গুলো।অথবা জানালার গ্রিল ধরে অপেক্ষামান কোন তরুনীর বৃষ্টির গান গাওয়া পূর্ণ করো।যে ছেলেটা সুরের নানান পরিসরে রক,মেটাল শুনে যাচ্ছে তাকে একটু রবীন্দ্র সংগীত গুন গুন করবার জন্য নিঃসঙ্গ বিকেলে এক পশলা বৃষ্টি তোমাকেই দিতে হবে।ফার্মগেট থেকে ছ নম্বর বাসের জানালার পাশে ফোটা ফোটা বৃষ্টি দিয়ে ছেলেটি কে আনমনা করে দাও।অথবা খুব বেশি হলে ছাতা মাথায় শেওরা পাড়া বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা কোন তরুনীর হাতের গোলাপ থেকে চুইয়ে পরা কয়েক ফোটা বৃষ্টি।সবশেষে ছাদে জন্মানো লতানো পরগাছাটির জীবন বাঁচাতে বৃষ্টিকে দিতেই হবে।কামনায় কামনায় মিটে যাক মনের গতি প্রকৃতি।

ইতি তোমারই মেঘবালক

গোবিন্দগঞ্জ।

২৮।০৬।১৩

পুনশ্চঃআজ বহুদিন বৃষ্টি হয় না।নয় ভিতরে, নয় বাহিরে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.