![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেহরাব হাসান
একজন মানুষকে চিহ্নিত করার নানান রকমের বৈশিষ্ট্য দ্বারা চিহ্নিত করা যায়।যেমন একজন কর্পোরেটের পোশাকি চিহ্ন হল সুটেড মুটেড থাকা,একজন ইলেকট্রিক মেকারের হাতে ড্রিল মেশিন থাকলে বোঝা যায় সে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি।তেমনি একজন জামাতি বা শিবিরের মাথায় টুপি থাকা বাধ্যতামূলক।
জামাত শিবিরের এই চিরচায়িত নিয়ম ভেঙ্গে চলে মনির।পোশাকি ঢঙ্গে দেখলে মনে হয় হিন্দী সিনেমার হিরো।চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়ায়।
ভাড়ায় মারামারি করে বেড়ালেও পোষায় না।একটা পাকাপোক্ত বন্দোবস্তের প্রয়োজন পরে মনিরের।গাঁজা, ফেন্সিডিল আর মাগীর নেশায় বুদ হয়ে থাকা মনিরের দিকে দিকে নাম ছড়াতে থাকে- এ পার্টির ওমুক নেতা, ঐ পার্টির তমুক নেতার মাঝে মধ্যই তলব করে মনিরকে।ইচ্ছে হলে সাড়া দেয়, না হলে দেয় না।শত্রুর মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকে,মনির কাউকে পরোয়া করে না।মূখের উপরেই বলে দেয় মাদারচোদ।
দিন দিন ভালোই যায়,বাহারী পোশাক।তেরে নামের মত বড়ো চুল।মেয়েদের কলেজের সামনে হোন্ড দাড় করিয়ে মেয়েদের পছন্দ করা।আপোষে না হলে জোর করে রেপ করা ।থানার খাতায় একাধিক কেস উঠলেও কোন কেসের হদিস হয় না।একবার হল কি নিজাম চাচার হালের গরু জোর করে হাটে নিয়ে গিয়ে বৃক্রি করে।নিজাম চাচার হাউমাউ ছাড়া কেউ কিছু বলে নি।
হঠাৎ একদিন এলাকার টুপি পরা মৌলভি বলে বাবা এসব খারাপ কাজ,জেনা নাফরমানি ছেড়ে দিয়ে আল্লার রাস্তায় আসো।এ জনমেও সুখ পাবা,পরের জনমেও পাবা।
নেশার ঘোরে মনিরের মৃত্যু ভয় ঝেকে বসে পরোকালের কঠিন আজাবের কথা চিন্তা করে মৌলবির কথায় রাজি হয়ে যায়।একদিন আসন্ন জামাত শিবিরের ডাকা হরতালে মনিরকে ককটেল হাতে জামাতে অভিষেক ঘটে।এরপর শুধু ইতিহাস।নিজের নামের আগে জামাতি টাইটেল দিয়ে দিকে দিকে প্রচার করতে থাকে।মনিরের একটা পাকা বন্দোবস্ত হয়ে যায়।চাঁদাবাজি,মারামারি,মদ,মাগী আর জামাতের শিবিরের ডাকা হরতালে তুখর ফাইটিং এই নিয়েই চলে জামাই মনিরের জীবন।
পার্টি টুপি পরার নির্দেশ দিলেও জামাতি মনির মানে না।তেরে নামের মত বড় বড় শখের চুল টুপি দিয়ে ঢেকে রাখতে নারাজ।মেয়েদের সামনে চুল ঝাকি দিয়ে সিগারেট না লাগালে মজা পায় না জামাতি মনির।তাই বার বার পার্টির কথা অমান্য করে।এর পর নেতারা জামাতি মনিরকে কিছু বলেও না।নেতারা বলে- থাক না একজন টুপিহীন জামাতি।
©somewhere in net ltd.