![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেহরাব হাসান
মিরপুর থেকে বাসে করে ফার্মগেট ফিরছিলাম । ১০ টা পার হবার কারনে সিট পেতে খুব একটা বেগ পেতে হলো না । জায়গা হলো একজন চুল দাঁড়ী হীন ভদ্রলোকের পাশে । লোকটি উচ্চস্বরে কথা বলছেন । তার কথা শুনে মনে হলো খুব তিনি গুরুত্বপূর্ন একটি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন তার মেয়ের বিষয়ে । তিনি অদৃশ্য কারো সাথে একা একা বক বক করে চলছেন । তিনি ফিরে ফিরে একই কথা বলছেন আজকালকার মেয়েরা ভার্সিটি ভর্তি হবার পর নাকি বাপ মাকে ভূলে যায় ।
তার অতি মাত্রায় উচ্চস্বরের কারণে আশে পাশের লোকেরা তাকাচ্ছে । আমি অন্য একদিক হয়ে এমন ভাব নিয়ে বসে আছি যে লোকটির কথা আমার কান পর্যন্ত প্রবেশের পূর্বেই ফিরে যাচ্ছে । আমি মনে মনে ভাবছি কেমন করে লোকটির সাথে কথা বলি । কিন্তু লোকটির এমন মাত্রায় অদৃশ্য মানুষের সাথে কথা বলছেন যে আমার কথা বলার কোন সুযোগই নাই । কেমন করে কথা শুরু করবো সেটাও ভাবছি । শেওড়াপাড়া পার হবার লোকটি কে প্রথম জিজ্ঞেস করলাম আংকেল যাবেন কোথায় ? লোকটি এমন ভাবে তাকালো যে আমি ভয়ে ভূল কিছু বলে ফেলেছি । কিছুক্ষন পর লোকটি আমাকে বলে আমি কি করি ।
এক পর্যায়ে গিয়ে জানতে পারি লোকটির বাড়ি সিরাজগঞ্জ । ঢাকায় দুদিন আগে আসছে মেয়েকে দেখতে । বেশ কয় দিন যাবত মেয়ের খোঁজ না পেয়ে ঢাকায় এসেছে । তার মেয়ে একটি প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে বিবিএ পড়ছে,মনিপুরী পাড়ায় এক মহিলা হোস্টেলে থাকতো ।
গত দুই দিন যাবত সম্ভাব্য সব জায়গায় মেয়ের খোঁজ নিয়েছে ।তার মেয়ের এক বান্ধুবী মারফত জানতে পেরেছে তার মেয়ে নাকি রাতে ফেসবুকে নানান ছেলেদের সাথে চ্যাট করতো,মেয়ের নিখোজ হওয়ার জন্য বার বার ফেসবুককে দোষ দিতে থাকে । আমাকে এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করে আমার মোবাইল ফোনে ফেসবুক আসে কিনা । আমি কোন কথার উত্তর দেই না । কি বলবো বুঝতে পারছি না । আহরে ! লোকটির কথায় খুব ইমোশনাল হয়ে যাই। তিনি বলছেন তার মেয়ে গ্রামে যেতে চাইতো না । নানা রকমের অজুহাত দিতো । গ্রামে গেলে নাকি ফেসবুক চালানো যেত না,ভার্সিটি বন্ধু বান্ধব । ইত্যাদি নানান কথা । লোকটি সদরঘাট যাচ্ছে তার বড় মেয়ের বাসায়,সেখানে খোঁজ নিয়েই গ্রামে ফিরে যাবে । তারপর প্রতিজ্ঞা করবে মেয়ের মূখ কোনদিন দেখবে না । আমি লোকটির কাছ থেকে কেমন করে ছাড়া পাই সেই চিন্তা করতে থাকি ।
ভাগ্য সুপ্রস্নন হয় ফার্মগেট আসলে, ফার্মগেটে গাড়ির যাত্রী কিছুটা হালকা হলে সামনের দিকে যাই । যাবার পর মনে হয় ইস লোকটির তো নাম কি শোনা হলো না । অত্যন্ত কন্টাক নাম্বার নেয়া লাগতো । যদি কোনভাবে তার মেয়েকে খুঁজে পেতে সাহায্য করা যায় । ফার্মগেটে কিছুক্ষনের বিরতিতে গাড়ীটা অনেকটা ভরে যায় । বাংলামোটরের কাছা কাছি আসার পর পিছন দিকে ছিনতাইকারি ছিনতাইকারী চিল্লা চিল্লি শুরু হয়ে যায় । এক লোক একজন ছেলের পকেটে হাত দেবার সময় হাতে নাতে ধরা পরেছে । পিছন ফিরে লোকজনের ভীরে দেখতে পাই ঐ চুল দাড়ীহীন আংকেল কে চর থাপ্পর মারছে লোকজনে ।
মুহূর্তে আমি শক খেয়ে যাই । লোকজনকে যে বলবো ঐ লোকটি ছিনতাইকারি হতে পারেনা । এই কথাটি বলার মত সাহস হয় না । বাংলামোটর নেমে রিকশা নিয়ে মগবাজার দিকে যাত্রা শুরু করি । রিকশায় চড়ে ঘটনাটা কেমন যেন এলোমেলো মনে হয় ।
হয় লোকটি আসলেই ছিনতাইকারী, না হয় যে ছেলেটি তাকে ধরেছে । কি জানি আজকাল ছিনতাইকারী চরিত্রের ভিন্নতা নাকি অন্যকিছু । কিছুতেই মেলাতে পারছি না ।
ধূর সব জানি কেমন কেমন কাল্পনিক কাল্পনিক লাগে । ঠিকমত ছিনতাই কারী চরিত্রটা এখনো বুঝতে পারিনি ।
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৯
জাহিদ ১৯৯ বলেছেন: চুদুর বুদুর না হলেই হয়
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: মানুষ অনেক নীল । মানুষ অনেক লাল । মানুষ অনেক বাদামী ভাই কথা সত্য
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৯
জাহিদ ১৯৯ বলেছেন: কি জানি ভাই
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সবই তো আউলা ঝাউলা
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫০
জাহিদ ১৯৯ বলেছেন: ঝাউলা আউলা
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:০১
নষ্ট কাক বলেছেন: ভাই আফনে ঠিক আছেন তো ?
আধুনিক ছিনতাইকারী ফেসবুক নিয়ে কত সুন্দর গল্প শুনাইল । প্রথম ভাবছিলাম কি না কি প্রেম কাহিনী, পুরোটা পড়ে স্পীকার হয়ে গেলাম !