নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসি কবি ও কবিতাকে
কবিতা সবার পড়ার দরকার নাই। আমি অনেককে চিনি জানি যারা স্কুলের বই ছাড়া আর কোন কবিতা পড়েন নাই এবং তারা দিব্যি ভালো আছেন। আমার থেকে ভালো আছেন। তাই, সকলের কবিতা পড়ার দরকার নাই। সাধারণ পাঠকের কোন দায় ও দরকার নাই কবিতা পড়বার। কবিতার যে অত গভীরতা সেটা আর কে বুঝবে কবি ছাড়া। সত্যি কথা বলতে, আমি কিছু কিছু কবিতা সাধারণ পাঠকের জন্য লিখি না। কেবল কবিদের জন্যই লিখি। আমার তো মনে হয়, যিনি কবিতা লিখেন একমাত্র তিনিই কবি নন, যিনি কবিতা পড়তে জানেন তিনিও কবি। কেননা, সবাই কবিতা পড়তেও জানেন না।
কবিতার মধ্যে বিষণ্ণতা থাকে, কিন্তু যখন আমি লিখছি তখন আমার মন ভালো থাকে। কবিতার এই দ্বি-মুখী আচরণটা তো একজন সাধারণ বা গণ পাঠক ধরতে পারবেন না। ধরতে পারার কথাও না। রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতার কয়েকটা লাইন পড়ার পরে আমার যদি মনে হয় এই বিচ্ছেদটা আমার, কবি আমার জন্যই লিখেছেন; তাহলে সেটা পাঠ করে আমি আমার তৃপ্তি টুকোই কেবল পাব। কবি যে সত্ত্বা থেকে লিখেছেন সেটা পাব না। সেটা পেতে হলে আমাকে কবিতার মধ্যে ঢুকে যেতে হবে, কবিতার শব্দ অক্ষর অলিগলি ঘুরে পৌঁছে যেতে হবে রবীন্দ্রনাথের বেডরুমে। লাবণ্যকে বিদায় জানিয়েছে অমিত, কিন্তু সেই অমিতকে ধারণ করতে কবির যে কষ্টটা হচ্ছে সেটা অনুভব করতে হবে।
ডেসডিমোনাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পরে ওথেলো তো আত্মহত্যা করে মুক্তি পেয়ে গেল কিন্তু দুই দুইটা খুন করে শেকসপিয়রের যে অপরাধ-বোধ নেই সেটা কে বলবে? সেই যন্ত্রণাটা অনুভব করতে হবে না প্রিয় পাঠক?
প্রেমের কবিতা যিনি লিখেন তিনি নিজে কতটা অপ্রেমে আছেন সেটা আগে অনুভব করতে হবে-
ক্ষুধার কাব্য যিনি লিখেন তিনি নিজে কতদিন না খেয়ে থেকেছেন- কত রাত তিনি নিজে জল খেয়ে কাটিয়েছেন সেটাও জেনে নিতে হবে। সাহিত্য বিচার লেখা বই না নভেল দিয়ে করা হলেও লেখকের ব্যক্তিগত জীবনকে উপেক্ষা করা একেবারেই উচিত নয়।
সবাই যদি বলেন যে,
কবির ব্যক্তিগত জীবন অচ্ছুত অস্পৃশ্য; ওটা ছোঁয়া যাবে না- তাহলে ঐ বেচারা কবিকে মরতে হবে না খেয়ে, প্রেমের কবিতা লিখতে হবে প্রেম না করেই। মৃত্যুর পরে তোমরা ব্যবচ্ছেদ করলে করবে- তোমাদের কৃপা।
রবীন্দ্রনাথ এত যে প্রেমের গান লিখেছেন তিনি নিজে কতটা প্রেম পেয়েছেন সেটাও ভেবে দেখতে হবে। কিংবা তিনি এই যে এত প্রেম পেয়েছেন, সেগুলো সত্যিই কি প্রেম? ঠিক তিনি যে রকম প্রেম চেয়েছেন সেই রকম প্রেম? মনে তো হয় না। পেলে আর এত কেন লিখবেন? যেটা পাওয়া যায় না সেটাই চাওয়া হয় কবিতায় গানে।
বলা হয়ে থাকে যে, বাংলা গানে রবীন্দ্রনাথ একই সাথে সর্বস্ব ও সর্বনাশ---
সর্বনাশের মাথায় বাড়ি দেয়ার আগে অবশ্যই অবশ্যই ভাবতে হবে সর্বনাশটা যে হলো, কেন হলো? এত আকুতি আর কারও গানে নেই কেন? রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল-সংগীত, লালনগীতি এরপরে আমরা আর কোন গীতির নাম শুনি না কেন?
আমাদের চাহিদা কি তবে মিটে গেছে? কে মিটিয়ে দিয়ে গেল?
আমার দেখা দশ জন কবির মধ্যে আট জন কবিতা লিখতে চান না। তারা এককথায় শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে লিখেন। এবং সেগুলো গার্বেজ ছাড়া আর কিছুই না।
এইবার, কবির কথা বাদ দিলে আমাদের কথা অর্থাৎ পাঠকের কথা ভাবতে হয়।
পাঠক কারা? যারা পড়েন তারা সবাই কি পাঠক?
যিনি দুই-চারটা কবিতা লিখে ফেললেন তিনিই কি কবি? হাজার হাজার কবিতা লিখে রেকর্ড করতে পারলেই কি তিনি কবি?
ধরুন, কোন একটা কারণে আপনার মনটা বেশ ভারী হয়ে আছে। একটা খাতা কলম টেনে কয়েকটা লাইন লিখলেন। তারপর আপনার মনে হলও যে, "নাহ ! খারাপ হয়নি"।
খারাপ যে হয়নি সেটা তো আপনিই বুঝলেন, কিন্তু কি হয়েছে সেটা কি জানেন? আপনি কি এটাকে কবিতা বলেই ভেবে নিয়েছেন? যদি ভেবে নিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার এই কবিতার পাঠক হবে তারাই যারা ঐভাবেই নিজেদের পাঠক ভাবেন।
আজকাল এই যত্রতত্র কবি গজিয়ে ওঠার দায় আর কারও নয়, কেবল ও একমাত্র পাঠকের।
কবিতা তো আসলে চাইলেই কেউ লিখে ফেলতে পারে না, সেটা একটা নিজস্ব কিছু, নিজের মধ্যে ধারণ করার মত।
সবাই প্রেম করছে - প্রেমিকা নিয়ে হাত ধরে ঘুরছে তাহলে আমারও একটা প্রেম করা দরকার; এটা ভেবে নিয়ে কাউকে ভালোবাসার কথা বললে সেটা যেমন শুধু প্রেমই হবে ভালোবাসা হবে না, তেমনি সবাই লিখেছে বলে আমিও লিখব এবং খারাপ তো লিখছি না, এটা ভেবে লিখলে আসলে সেটা সত্যিই হিজিবিজি ছাড়া আর কিছুই হবে না।
ভালো যেমন সবাই বাসতে পারে না, দুই একজন পারে। বাকীরা প্রেম করে, রিলেশনশিপ করে। তেমনি কবিতাও সবাই লিখতে পারেন না, এক আধজন পারেন বাকীরা খিস্তিখেউড় করেন।
কবিতা কেন লিখতে হয়, কিভাবে লিখতে হয়, কতটুকু লিখতে হয় এসব যেমন ভাববার কোণ বিষয় নয়, তেমনি না ভেবেও লেখা উচিত না। আপনি আপনার কবিতার আয়ু কতটা চান সেটা আপনার ফুসফুসের দমের উপরেই নির্ভর করে।
এত এত কথা কেন লিখলাম সেটা একটু বলা উচিত। আমার এই বালখিল্য-পনা তো কেউ শুনতে বা পড়তে চায় নি। অনেক গার্বেজ তো লিখে ফেলেছি। আসলে এতকিছু লিখলাম কারণ, প্রায় দুই দিন ধরে একটা কবিতা লেখার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ফলাফল লবডঙ্কা।
আপনারা যারা বই-টই বের টের করছেন, তারা একটু বলবেন, কার পয়সায়? নিজের নাকি প্রকাশকের?
আমি তেমন বিশেষ কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কবিতা লিখি না। লেখালেখি করে দেশটাকে পালটে দেয়ার মত মহৎ কোন ইচ্ছে আমার নেই। আমি লিখি কারণ আমার লিখতে ইচ্ছে করে। মন খারাপ থাকলে লিখি, মন ভালো থাকলেও লিখি।
আপনারাও লেখেন, আপনাদের লেখাগুলো পড়ি। ভালো লাগলে জানাই। ভালো না লাগলেও মাঝেমধ্যে জানাই।
আপনারাও আমার লেখা পড়েন, ভালো লাগলে হাতে তালি দিবেন আর খারাপ লাগলে জানাবেন- সার্কাসের জোকার না হয়ে আর থাকতে পারলাম কই?
পুনশ্চঃ কবির মাহাত্ম্য দেখাতে গিয়ে এখানে সার্কাসের জোকারকে কোনভাবেই হেয় করা হয়নি। কেবল সঙ সাজা যে কবিদের সাজে না সেটাই লেখা হয়েছে। ক্লাউন নিশ্চয়ই একটি অন্য প্রাণ। জোকারের মূল্যও কোনো অংশেই কম নয় ।
-------------------------
কবি অথবা সার্কাসের জোকার
@জাহিদ অনিক
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯
জাহিদ অনিক বলেছেন:
ধন্যবাদ ব্রাদার
শুভেচ্ছা নিবেন
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
কবিতা কিসের ঢেউ.....????
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনিই বলুন
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩
চিটাগং এক্সপ্রেস বলেছেন: নতুনরা নিজের টাকায় বই প্রকাশ করে। এরাই আবার মাহফুজ রহমানের গান নিয়ে মজা নেয়।
কবিতার বই সবচেয়ে বেশি ছাপা হয় আবার কবিতার বই সবচেয়ে বেশি অবিক্রীত থাকে।
আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত কবিতা লিখতে পারি নি ।
যে কোন কাজের ক্ষেত্রে নিজের সন্তুষ্টি আমার কাছে প্রধান বিষয় ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০০
জাহিদ অনিক বলেছেন: যে কোন কাজের ক্ষেত্রে নিজের সন্তুষ্টি আমার কাছে প্রধান বিষয় ।-- হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই চিটাগং এক্সপ্রেস
মন্তব্য ভালো লাগলো।
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন ব্রাদার।
ঠিকই বলেছেন, কবিতা অনেকেই লেখে কিন্তু কবিরা দূরদর্শী। তাঁরা যুগের কথা বলেন। আমার ধারনা, কবিরা ভীষণ একা। যে নিঃস্বতা তাকে কবিতার রাজ্যে স্বাচ্ছন্দ্যতা দান করে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: ভাই পদাতিক চৌধুরি, আপনার কথাটা সত্য। কবিরা ভীষণ একা কিন্তু কবিরা তো বহুবচন। এইভাবে সমষ্টিগতভাবে কেউ একা হতে পারে না। আমার মনে হয় এককভাবে - ইন্ডিভিজুয়ালি কবি একা। তাই, কবি ভীষণ একা।
ধন্যবাদ ব্রাদার। শুভেচ্ছান্তে
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
পরে পড়বো বলে গেলাম!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ ইসলাম। আশা করি পরে পড়ে নিবেন।
শুভেচ্ছান্তে
৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুরুতেই মনে হচ্ছিল, আজ বোধহয় কোনো কারণে আপনার মন বিক্ষিপ্ত বা ক্ষিপ্ত। কখনো মনে হলো কবিদের উপর, শেষের দিকে মনে হলো পাঠকের উপরও, এবং প্রকাশকদের উপরও ক্ষোভ থাকতে পারে। বাট, ফাইনালি দেখা গেলো ক্ষোভটা আসলে আপনার নিজের উপরই গত দুইদিন ধরে চেষ্টা করেও কবিতা লিখতে পারছিলেন না বলে
আমার মনে হয়, এ নিয়ে চিন্তিত হবার কোনো কারণ দেখি না। লেখা আপনাআপনিই আসবে, যখন লেখাটি জন্ম নেবার কোনো উপলক্ষ সৃষ্টি হয়। আমি নিজেই দেখেছি, মাসের পর মাস কেটে গেছে, পড়তেও মন বসছে না, লিখতেও উৎসাহ পাচ্ছি না। কিন্তু হঠাৎ করে মগজে একটা পোকা ঢুকে গেলো, অমনি দেখি লেখা আর থামছেই না যদিও তা গার্বেজ ছাড়া আর কিছুই না
আমার মতে, পৃথিবীর প্রতিটা মানুষই কবি হয়ে জন্মায়। কবিতা লিখলেই যে তিনি কবি, আমার কাছে তেমনটা মনে হয় না। 'কবিত্ব' হলো একটা বিশেষ আবেগের অনুভূতি ও বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি। কবিত্বের প্রকাশ অন্য যাবতীয় প্রকাশের চেয়ে স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত। এটাকে বিশেষভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, কিন্তু যিনি 'কবিত্ব' জিনিসটা বুঝতে পারেন, তিনিই কেবল তার দুরবিন অনুভূতিতে টের পান- পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শুধু কবিতা আর কবিতা।
কবিতার পাঠক কারা? পাঠকরাই কবিতার পাঠক। সেই পাঠক নিজেও একজন কবি হতে পারেন, কিংবা অভিনেতা বা সাধারণ কর্মজীবী মানুষ হতে পারেন। শুধুই কবিদের জন্য কবিতা লেখা?- টার্গেট হয়ত মিস হয়ে যাবে ঠিক এই উদ্দেশ্যে লিখলে। এত শত কবির মধ্যে আপনার কবিতাটা কতজন কবি পাঠ করবেন, সেটা নির্ণয় করা দুরূহ।
কবিতা সবাই পড়েন না, এটাই ঠিক। গল্প বা উপন্যাসই বা কতজন পড়েন? আমাদের পড়ার বাতিক তো এমনিতেই অত্যন্ত অপ্রতুল। পড়ার প্রতি আমাদের এই অনীহার দিকটা বিবেচনায় রেখেই লেখালেখি করতে হবে। একজন কবির সব কবিতা কালের খাতায় 'নির্বাচিত' পাতায় স্থান পাবে না (ব্লগের 'নির্বাচিত' কথাটা মনে পড়লো ), একটা-দুটো কবিতাও যদি তাকে টিকিয়ে রাখে, আমি মনে করি তবুও তিনি সার্থক। আমারা ছোটোবেলায় পাঠ্যবইয়ের বাইরের বই পড়ার সুযোগ এম্নিতেই খুব কম পেয়েছি। এখন ফেইসবুক আর ব্লগের কারণে বই কেনার দরকারও তেমন নাই। আমি যেটা কিনে আনবো, সেটা নগদে আগেই পড়ে ফেলছি। কবির বইতে যেটা পাব, সেটা আগেই ব্লগে বা ফেইসবুকে পড়া হয়ে গেছে। বই কেনার কী দরকার?
আজ সকালেই মনে মনে ভাবছিলাম, আজকাল খুব অল্প সময়েই একজন কবি শিরোমণি হয়ে উঠছেন, আবার অল্প সময়েই তিনি হারিয়ে যাচ্ছেন। গত ৫০ বছরে ৫০ হাজার কবি কবিতা লিখেছেন, ৫০ হাজার কবিতার বই বের হয়েছে। আমরা কয় জন কবির নাম জানি, কয়টা বই কিনে কয়টা কবিতা পড়েছি? একটা তালিকা করে দেখতে পারেন এ বছর মোট কয়জন কবির কয়টা কবিতা পড়া হয়েছে। শুধু নিজে নিজে এ তালিকাটা করে নিজের মূল্যায়নের জন্য আমরা যে-কেউ এটা করতে পারি। আজ থেকে ১০ বছর আগে যাদের দাপট দেখেছি, আজ তাদের খোঁজ নাই। আবার আজ যাদের দাপট দেখা যাচ্ছে, কাল পরশু তারাও কোথায় নিমজ্জিত হবেন কেউ জানে না।
একটা কবিতা একই সঙ্গে অখাদ্য বা গার্বেজ এবং একটা অনবদ্য কবিতাও। এটা খুব মজার একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। আমি নিজেকে নিজেই রবীন্দ্র, নজরুল, শামসুর রাহমানের সাথে তুলনা করে তাঁদের ছাড়িয়ে গেছি বলে খুব তৃপ্তিবোধ করছি। কিন্তু সমাজ আমার কবিতার দিকে ফিরেও তাকালো না। অন্য একজনের লেখাকে সহজেই গার্বেজ বলে ছুঁড়ে ফেলছি, আর আমার ওস্তাদেরা আমার কবিতাকেও গার্বেজ ভেবে আমাকে তাচ্ছিল্য করছেন। এরকম সবকালে সব জায়গায়ই থাকবে। সাহিত্যে আজকাল ওস্তাদগিরি একটা ভালো ব্যাধি হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে।
দেখতে দেখতে অনেক বড়ো কমেন্টই লিখে ফেললাম। কী লেখলাম কমেন্ট পোস্ট করার পর পড়ে দেখবো নে।
তবে, সুন্দর লিখেছেন এবং অনেকের মনের কথাই আপনি নিজের ভেতর থেকে ফুটিয়ে তুলেছেন।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১০
জাহিদ অনিক বলেছেন: কবিত্বের প্রকাশ অন্য যাবতীয় প্রকাশের চেয়ে স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত। এটাকে বিশেষভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, কিন্তু যিনি 'কবিত্ব' জিনিসটা বুঝতে পারেন, তিনিই কেবল তার দুরবিন অনুভূতিতে টের পান- পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শুধু কবিতা আর কবিতা। বাহ ! একজন কবির পক্ষেই কেবল এমনকরে ভাবা সম্ভব।
সাহিত্যে আজকাল ওস্তাদগিরি একটা ভালো ব্যাধি হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। আমার এখন পর্যন্ত এইটা ভালো লেগেছে যে, ব্লগে কেউ আমাকে বিন্দুমাত্র কটুভাবে বলেননি যে, তুই ব্যাটা দুইটা কবিতা লিখে এত বড় বড় বাতেলা কেন দিচ্ছিস !
আপনার মন্তব্য পেয়ে নিঃসন্দেহে ভালো লাগলো।
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
শায়মা বলেছেন: জোকার হওয়া দারুন কঠিন....
কবি হওয়ার চাইতেও .....
জোকারের মূল্যও কোনো অংশেই কম নয় .....
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
জাহিদ অনিক বলেছেন:
দ্যাখো দ্যাখো--- তোমার জন্য পোষ্টের নিচে পুঃনশ্চ দেয়া হয়েছে।
পুনশ্চঃ কবির মাহাত্ম্য দেখাতে গিয়ে এখানে সার্কাসের জোকারকে কোনভাবেই হেয় করা হয়নি। কেবল সঙ সাজা যে কবিদের সাজে না সেটাই লেখা হয়েছে। ক্লাউন নিশ্চয়ই একটি অন্য প্রাণ। জোকারের মূল্যও কোনো অংশেই কম নয় ।
৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯
সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১
জাহিদ অনিক বলেছেন:
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সনেট কবি
৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
সুমন কর বলেছেন: কবি যে কোন চুলোয় যাবে কেউ জানে না, কেউ জানে না....... তাই হয়তো কেউ কবি হতে চায় না, কবিতা পড়তে চায় না, কবিতায় মন্তব্য করতে চায় না.....
সুন্দর কিছু কথা বা মতামত তুলে ধরেছ। ভালো লাগল।
+।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: কবি যে কোন চুলোয় যাবে কেউ জানে না, কেউ জানে না. --- সত্যিই কেউ জানে না। কেউ জানে না।
ধন্যবাদ সুমন দা।
ভালো থাকুন সর্বদা।
১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! কবিতা লেখা বিরল একটি প্রতিভা আমি মনে করি।
শুধু কবিতা না প্রত্যেক লেখাই লেখকের নিজের আনন্দের জন্য লেখা উচিৎ, তাহলে লেখায় আনন্দ পাওয়া যায়।
+++
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫০
জাহিদ অনিক বলেছেন: হ্যাঁ কবিতা লেখা একটা বিরল প্রতিভা তো বটেই- কবিতার মূল্যায়ন করাটাও। তবে চর্চা করে গেলে অসম্ভব তো আর কিছুই না।
ধন্যবাদ কাছের-মানুষ।
১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ল বলেছেন: শুভেচ্ছা নাগরিক কবি জাহিদ অনিক,
লেখাটা দু বার পড়লাম, মনে হলো আত্মজীবনী লিখছেন।
চিঠাগাং এক্সপ্রেস ও সোনা ধুলো, সুমন কর গুরুদেব দের মন্তব্য অনেক ভালো লাগল।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ ! আপনি তো আমাকে শামসুর রাহমান'এর উপাধি দিয়ে দিলেন ! নাগরিক কবি। না হে, ঐটি আমি এখনো হয়ে উঠতে পারি নাই।
আপনার মন্তব্য ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছান্তে
১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১০
অভিজিৎ দাস বলেছেন: ভাল লাগলো । কবিতা পড়ার আগ্রহ জন্মাল ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ ! কবিতা পড়তে আগ্রহ জন্মালো। এত বেশ চমৎকার !
শুভেচ্ছনাতে অভিজিৎ দাস
১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শুভ কামনা ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
শুভেচ্ছান্তে
১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১
শিখা রহমান বলেছেন: জাহিদ আমারতো প্রায়ই অস্থির লাগে। কিন্তু কই এমন সুন্দর শব্দমালারা এভাবেতো ধরা দেয় না। এখানেই কবি আর অকবির পার্থক্য!!
প্রিয় কবি তোমার সাথে, কবিতার সাথে আমার হাঁটা সুন্দরের সীমারেখা ছুঁয়ে ছুঁয়ে, ঠিক যেমনটা সার্কাসের তাবুতে অনেক ওপরে সরু তারের ওপরে একজোড়া মানুষ হাঁটে। কি ভয়ংকর সুন্দর!!! ভয় লাগলেও চোখ ফেরানো যায় না। কবিতা মানেই ভয়ংকর সুন্দর কিছুর কাছাকাছি যাওয়া...জানোতো কবি?
ভালো থেকো কবিতাদের সাথে নিয়ে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: কবিতা মানেই ভয়ংকর সুন্দর কিছুর কাছাকাছি যাওয়া...জানোতো কবি? হ্যাঁ শিখা আপু। কবিতা মানে ভয়ংকর সুন্দর। কবিতা মানে আলতো ছোঁয়া, কবিতা মানে অপ্রাপ্তি, কবিতা মানে নিজস্বতা, কবিতা মানে শাসন, কবিতা মানে প্রিয় কবির মন্তব্য।
১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১০
আখেনাটেন বলেছেন: অাপনি কবিকে উপরে উঠাতে গিয়ে চরম শারীরিক পরিশ্রম ও মেধার পেশা সার্কাসের জোকারকে নিচে নামিয়ে দিয়েছেন। এটা মানতে পারলুম না কবিবর।
পেশা হিসেবে সাহিত্য লেখালেখি এখন গোটা পৃথিবীতেই নিম্নগামী। তার উপর কবিতাকে অনেকেই ডাইং অার্ট বলে উপহাসও শুরু করেছে। যদিও ভালো মানের কবিতা লেখা সবচাইতে কঠিন কাজ। আর এই কঠিন কাজটি করতে গিয়ে বেশির ভাগই গুবলেট পাকিয়ে ফেলে।
এমনিতেই জাতি হিসেবে আমরা খুব একটা পড়ুয়া না। তাই এখানে বেশি অাশা করাও মুশকিল।
আপনার সম্ভাবনা আছে। এবং ভালো জিনিসের কদর আছে এটুকু মনে রাখলেই চলবে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: না না না, আমি একদম সার্কাসের জোকারকে হেয় করিনি।
হাতি নয় ঘোড়া নয়, বাঁদরের নাচ নয়, ব্যান্ডের তালে তালে ভ্যাপু ভ্যাপু শব্দ- চোখ জোড়া আটকে যায় রিং ধরে হেঁটে যাওয়া সার্কাসের ক্লাউনে।
সেজন্যই নিচে আবার এডীট করে লিখেছি। যদিও এটা আগেই লেখা উচিত ছিল;
পুনশ্চঃ কবির মাহাত্ম্য দেখাতে গিয়ে এখানে সার্কাসের জোকারকে কোনভাবেই হেয় করা হয়নি। কেবল সঙ সাজা যে কবিদের সাজে না সেটাই লেখা হয়েছে। ক্লাউন নিশ্চয়ই একটি অন্য প্রাণ। জোকারের মূল্যও কোনো অংশেই কম নয় ।
ধন্যবাদ প্রিয় আখেনাটেন
১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কবিতার মৃত্যু নেই!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: কিন্তু আশ্চর্য, কবির আছে।
১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: রজনীগন্ধা হতে পেরেছ !!!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনি আমার সেই কবিতাটা মনে রেখেছেন, কবি অথবা রজনীগন্ধা। আমি মুগ্ধ।
কিন্তু, রজনীগন্ধা আর হতে কই পারলাম।
ধন্যবাদ কবি
১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৫
নীলপরি বলেছেন: দারুণ লাগলো ।যথার্থ বলেছেন । আমি তো অনুভব শেয়ার করি তাও পারি না ।++
শুভকামনা কবি
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭
জাহিদ অনিক বলেছেন: কবিতাই তো কবিদের অনুভব।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা কবি
ভালো থাকুন
১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৩০
সোহানী বলেছেন: এইটা তুমি কি লিখলা জাহিদ, আমি মুগ্ধ...........।
যে অনুভূতির কথা বলছো সে অনুভূতি অনুভবের জন্য একটা সিন্দুকে ভরা কিন্তু নরম তুলতুলে একটা মন থাকতে হয়। সে মন হাজারে কতজনে থাকে জানো??? আমার বিশ্বাস খুব কম। সেই কম মানুষদের খোঁজ কখনো যদি পাই সেটা আমার সৈাভাগ্য আর যদি না পাই সেটাই স্বাভাবিক বলে ধরে নেই। এটা নিয়ে হিসেব নিকেশ করা শুধু সময়ের নষ্টই শুধু নয় নিজের কবি মনের সর্বনাশ ডেকে আনা।
ভালো থাকো.... এতো ব্যালেন্সসিট মিলানোর চেস্টা না করে যেভাবে চলছে সেভাবেই চলো। নিজের ভালো লাগা মন্দলাগাকে অক্ষরে সাজিয়ে চলো........। আর জোকার!!! আমরা সবাই জোকারের ভূমিকায়, কখনো প্রকাশ্যে কখনো বা অপ্রকাশ্যে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ ! সোহানী আপু কি চমৎকার করে লিখলেন।
এটা নিয়ে হিসেব নিকেশ করা শুধু সময়ের নষ্টই শুধু নয় নিজের কবি মনের সর্বনাশ ডেকে আনা। - ঠিকই বলেছেন। কবি মনের সর্বনাশ, এটা কয়জনে বোঝে।
আমরা সবাই জোকারের ভূমিকায়, কখনো প্রকাশ্যে কখনো বা অপ্রকাশ্যে। গভীর জীবনবোধ থেকে বলেছেন এই কথাটা।
আমার ধারনা আপনি কবিতা খুব ভালো লেখেন। কিন্তু আপনার কোণ কবিতা ব্লগে নেই।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
দারুন ভাবনা শেয়ার করেছেন। মুগ্ধতা, কবি জাহিদ অনিক। শুভাশীষ অন্তহীন।
চিটাগং এক্সপ্রেস, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, সুমন কর, পদাতিক চৌধুরি, সোহানী, ল, শিখা রহমান, আখেনাটেনসহ অনেকের মন্তব্য বেশ ভালো লাগল।
পোস্টে +++
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: ব্লগে মন্তব্যই লেখার প্রাণ।
আপনি সেই প্রাণরস নিয়েছেন।
ধন্যবাদ নতুন নকিব। শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।
২১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: কবিকে দিও না দুঃখ, দুঃখ দিলে সে-ও জলে স্থলে হাওয়ায় হাওয়ায় নীলিমায় গেঁথে দেবে দুঃখের অক্ষর।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
জাহিদ অনিক বলেছেন: বাহ !! আমাদের সবার মধ্যেই হয়ত একটা কবি সত্ত্বা থাকে। বাঙালিদের মধ্যে তো আরও বেশি।
আপনার কাব্যিক মন্তব্যে ভালোলাগা রইলো।
ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই
২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: কবির পথই আত্মহননের। প্রত্যেকটা অক্ষর, শব্দ, বাক্য উদয় হয় ক্ষরণ ও হননপ্রক্রিয়ায়। তাকে নতুন করে মরার পথ বেছে নিতে হয় না। যারা নিরুপায়কে উপায় করে নিতে চায় তারা হয়তো মোটাদাগে উপকবি। স্থুল। আর যারা বেঁচে থাকবার মতো সামান্যকে অসামান্য করে নিজ দশাকে দুনিয়া থেকে খারিজ করতে পারেন তারা হয়তো মহান। কিন্তু এক জনমে বেঁচে থাকবার মহানন্দা থেকে কে চায় বঞ্চিত হতে! বাঁচুন।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: রাজীব ভাই- চমৎকার বললেন। কবির পথই আত্মহননের। নিরুপায়কে উপায় করে নিতে চায়।
শুভ সন্ধ্যা
২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩
শামচুল হক বলেছেন: কবি যত সহজে হওয়া যায় জোকার তত সহজে হওয়া যায় না। জোকার হতে যথেষ্ট মেধার প্রয়োজন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬
জাহিদ অনিক বলেছেন:
সব কাজেই মেধার দরকার ও পরিশ্রম।
ধন্যবাদ ভাই শামচুল হক। শুভেচ্ছান্তে
২৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কবি হওয়া কারও জন্য খুব কঠিন কারো জন্য সহজ।
কবিতা লেখা কারো জন্য পান্তাভাত কারো জণ্য পাহাড় সমান কঠিণ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জাহিদ অনিক বলেছেন: কবিতা কবিতা কবিতা -------------- কবিতা এত শক্ত না। আবার ডালভাতও না।
ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার
২৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার আক্ষেপ নতুন নয়। কবিদের স্ব-মূল্যায়নে কবিরাই শ্রেষ্ঠ।
আপনার জন্য জাতীয় কবির কৈফিয়তের কথা মনে পড়ে গেল।
সকলের সুবিধার্থে তুলে ধরছি
কাজী নজরুল ইসলাম
"আমার কৈফিয়ত"
বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই ‘নবী’,
কবি ও অকবি যাহা বলো মোরে মুখ বুঁজে তাই সই সবি!
কেহ বলে, ‘তুমি ভবিষ্যতে যে
ঠাঁই পাবে কবি ভবীর সাথে হে!
যেমন বেরোয় রবির হাতে সে চিরকেলে-বাণী কই কবি?’
দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী!
কবি-বন্ধুরা হতাশ হইয়া মোর লেখা প’ড়ে শ্বাস ফেলে!
বলে, কেজো ক্রমে হচ্ছে অকেজো পলিটিক্সের পাশ ঠেলে’।
পড়ে না ক’ বই, ব’য়ে গেছে ওটা।
কেহ বলে, বৌ-এ গিলিয়াছে গোটা।
কেহ বলে, মাটি হ’ল হয়ে মোটা জেলে ব’সে শুধু তাস খেলে!
কেহ বলে, তুই জেলে ছিলি ভালো ফের যেন তুই যাস জেলে!
গুরু ক’ন, তুই করেছিস শুরু তলোয়ার দিয়ে দাড়ি চাঁছা!
প্রতি শনিবারী চিঠিতে প্রেয়সী গালি দেন, ‘তুমি হাঁড়িচাঁচা!’
আমি বলি, ‘প্রিয়ে, হাটে ভাঙি হাঁড়ি!’
অমনি বন্ধ চিঠি তাড়াতাড়ি।
সব ছেড়ে দিয়ে করিলাম বিয়ে, হিন্দুরা ক’ন, আড়ি চাচা!’
যবন না আমি কাফের ভাবিয়া খুঁজি টিকি দাড়ি, নাড়ি কাছা!
মৌ-লোভী যত মৌলবী আর ‘ মোল্-লা’রা ক’ন হাত নেড়ে’,
‘দেব-দেবী নাম মুখে আনে, সবে দাও পাজিটার জাত মেরে!
ফতোয়া দিলাম- কাফের কাজী ও,
যদিও শহীদ হইতে রাজী ও!
‘আমপারা’-পড়া হাম-বড়া মোরা এখনো বেড়াই ভাত মেরে!
হিন্দুরা ভাবে,‘ পার্শী-শব্দে কবিতা লেখে, ও পা’ত-নেড়ে!’
আনকোরা যত নন্ভায়োলেন্ট নন্-কো’র দলও নন্ খুশী।
‘ভায়োরেন্সের ভায়োলিন্’ নাকি আমি, বিপ্লবী-মন তুষি!
‘এটা অহিংস’, বিপ্লবী ভাবে,
‘নয় চর্কার গান কেন গা’বে?’
গোঁড়া-রাম ভাবে নাস্তিক আমি, পাতি-রাম ভাবে কন্ফুসি!
স্বরাজীরা ভাবে নারাজী, নারাজীরা ভাবে তাহাদের আঙ্কুশি!
নর ভাবে, আমি বড় নারী-ঘেঁষা! নারী ভাবে, নারী-বিদ্বেষী!
‘বিলেত ফেরনি?’ প্রবাসী-বন্ধু ক’ন, ‘ এই তব বিদ্যে, ছি!’
ভক্তরা বলে, ‘নবযুগ-রবি!’-
যুগের না হই, হজুগের কবি
বটি ত রে দাদা, আমি মনে ভাবি, আর ক’ষে কষি হৃদ্-পেশী,
দু’কানে চশ্মা আঁটিয়া ঘুমানু, দিব্যি হ’তেছে নিদ্ বেশী!
কি যে লিখি ছাই মাথা ও মুণ্ডু আমিই কি বুঝি তার কিছু?
হাত উঁচু আর হ’ল না ত ভাই, তাই লিখি ক’রে ঘাড় নীচু!
বন্ধু! তোমরা দিলে না ক’ দাম,
রাজ-সরকার রেখেছেন মান!
যাহা কিছু লিখি অমূল্য ব’লে অ-মূল্যে নেন! আর কিছু
শুনেছ কি, হুঁ হুঁ, ফিরিছে রাজার প্রহরী সদাই কার পিছু?
বন্ধু! তুমি ত দেখেছ আমায় আমার মনের মন্দিরে,
হাড় কালি হ’ল শাসাতে নারিনু তবু পোড়া মন-বন্দীরে!
যতবার বাঁধি ছেঁড়ে সে শিকল,
মেরে মেরে তা’রে করিনু বিকল,
তবু যদি কথা শোনে সে পাগল! মানিল না ররি-গান্ধীরে।
হঠাত জাগিয়া বাঘ খুঁজে ফেরে নিশার আঁধারে বন চিরে’!
আমি বলি, ওরে কথা শোন্ ক্ষ্যাপা, দিব্যি আছিস্ খোশ্-হালে!
প্রায় ‘হাফ’-নেতা হ’য়ে উঠেছিস্, এবার এ দাঁও ফস্কালে
‘ফুল’-নেতা আর হবিনে যে হায়!
বক্তৃতা দিয়া কাঁদিতে সভায়
গুঁড়ায়ে লঙ্কা পকেটেতে বোকা এই বেলা ঢোকা! সেই তালে
নিস্ তোর ফুটো ঘরটাও ছেয়ে, নয় পস্তাবি শেষকালে।
বোঝে না ক’ যে সে চারণের বেশে ফেরে দেশে দেশে গান গেয়ে,
গান শুন সবে ভাবে, ভাবনা কি! দিন যাবে এবে পান খেয়ে!
রবে না ক’ ম্যালেরিয়া মহামারী,
স্বরাজ আসিছে চ’ড়ে জুড়ি-গাড়ী,
চাঁদা চাই, তারা ক্ষুধার অন্ন এনে দেয়, কাঁদে ছেলে-মেয়ে।
মাতা কয়, ওরে চুপ্ হতভাগা, স্বরাজ আসে যে, দেখ্ চেয়ে!
ক্ষুধাতুর শিশু চায় না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত, একটু নুন,
বেলা ব’য়ে যায়, খায়নি ক’ বাছা, কচি পেটে তার জ্বলে আগুন।
কেঁদে ছুটে আসি পাগলের প্রায়,
স্বরাজের নেশা কোথা ছুটে যায়!
কেঁদে বলি, ওগো ভগবান তুমি আজিও আছে কি? কালি ও চুন
কেন ওঠে না ক’ তাহাদের গালে, যারা খায় এই শিশুর খুন?
আমরা ত জানি, স্বরাজ আনিতে পোড়া বার্তাকু এনেছি খাস!
কত শত কোটি ক্ষুধিত শিশুর ক্ষুধা নিঙাড়িয়া কাড়িয়া গ্রাস
এল কোটি টাকা, এল না স্বরাজ!
টাকা দিতে নারে ভুখারি সমাজ।
মা’র বুক হ’তে ছেলে কেড়ে খায়, মোরা বলি, বাঘ, খাও হে ঘাস!
হেরিনু, জননী মাগিছে ভিক্ষা ঢেকে রেখে ঘরে ছেলের লাশ!
বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ-জ্বালা এই বুকে!
দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে।
রক্ত ঝরাতে পারি না ত একা,
তাই লিখে যাই এ রক্ত-লেখা,
বড় কথা বড় ভাব আসে না ক’ মাথায়, বন্ধু, বড় দুখে!
অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছ সুখে!
পরোয়া করি না, বাঁচি বা না-বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে,
মাথায় উপরে জ্বলিছেন রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে।
প্রার্থনা ক’রো যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটি মুখের গ্রাস,
যেন লেখা হয় আমার রক্ত-লেখায় তাদের সর্বনাশ!
+++
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: কবিদের স্ব-মূল্যায়নে কবিরাই শ্রেষ্ঠ। খুব সত্য বলেছেন কবি। সত্য।
কবি নজরুল এই কবিতাটা কিভাবে লিখেছেন আমার কেবল সেই সময়ে তার পাশে গিয়ে বসে থাকতে গিয়ে ইচ্ছে করে।
অনেক আগে পড়েছি। আজ আবার পড়লাম। কি নেই এই কবিতায় ?
শুভেচ্ছান্তে ভায়া কবি।
২৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২১
তারেক ফাহিম বলেছেন: ব্লগটি লেখার সময় কবির মন অনেকটা ক্ষিপ্ত ছিল মনে হয়।
সহজ ভাষায় কবিতাগুলো বেশি পাঠ্য হয়।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১
জাহিদ অনিক বলেছেন: ঠিক ক্ষিপ্ত না, কিছুটা বিক্ষিপ্ত ছিলাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা তারেক ফাহিম
২৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক ,
একজন ব্যক্তি কবির অনুভবের কথাই বলেছেন ।
কবির ব্যক্তিজীবন কি আর তার কবিতার সারাৎসারই বা কি, এ দু'টো মিলিয়ে কবিতা মনে হয় কখনও পড়া হয়না । কবির ভাবনার সাথে সরাসরি পরিচিত হবার উপায় যদি আমাদের থাকতো তা হলে – স্থুলভাবে দেখতে গেলে – কবিতা পড়বার কোনও দরকারই আমাদের হতোনা । দরকার না থাকলেও আমরা কিন্তু কবিতা পড়ি - স্বাক্ষরবানেরাও পড়ে , নিরক্ষররাও অন্যের মুখে পড়েন অর্থাৎ শোনেন (পুথিঁ)। আসলে, যখন আমরা কবিতা পড়ি তখন আমরা কবিতাই পড়ি । কিন্তু কবিতার শব্দরূপের ভেতর দিয়ে যখন আমরা শব্দাতীত কিছু পেয়ে যাই তখন কবির দিকে ফিরতেই হয় । যে কারণে আমাদের বারবার ফিরতেই হয় রবীন্দ্রনাথ , সেক্সপিয়র , বোদলেয়ার এর দিকে । অমিত আর লাবন্যকে দেখতে হয় আলাদা চোখে । ম্যাকবেথ আর দেসদিমোনাকে কে দেখতে হয় খুটিয়ে খুটিয়ে । তারিয়ে তারিয়ে দেখতে হয় নিপাট ভদ্রলোক জাহিদ অনিক আর ঝিলমিলকে ।
তাই একজন পাঠক, কাব্যিক শব্দসুষমা কিম্বা আটপৌরে শব্দ সম্বলিত কথ্য ভাষা, যা্ দিয়েই কবিতার শরীর গাঁথা হোকনা কেন তা পরখ করে দেখেনা । দেখে, শব্দ-রূপের ভেতর দিয়েই শব্দাতীতের স্বাদ ।
পাঠক কবি তৈরী করেনা , কবিরাই পাঠক তৈরী করে ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: দেখে, শব্দ-রূপের ভেতর দিয়েই শব্দাতীতের স্বাদ চমৎকার বলেছেন। এটাই কবিতার শক্তি। শব্দের মধ্য দিয়ে শতাব্দীর স্বাদ প্রাপ্তি।
কবির ব্যক্তিজীবন কি আর তার কবিতার সারাৎসারই বা কি, এ দু'টো মিলিয়ে কবিতা মনে হয় কখনও পড়া হয়না। কথাটা ঠিক। কেউই এরকম পড়ে না। পড়া সম্ভবও না। যখন কবিতা পড়ছি তখন সেই একদিকেই ফোকাস করতে হয়। তবে কবিতার পটভূমি ও কবির মানসিক অবস্থা জানা থাকলে কবিতা নিজের মধ্যে অন্তঃস্থ করে নিতে সুবিধে হয়।
আপনার মন্তব্যটা বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলাম, পড়ছিলাম-- শেষ দিকে এসে আর না হেসে পারলাম না। বেশ লিখেছেন জনাব।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয়
২৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
এ.এস বাশার বলেছেন: অনিক ভাই, একদম বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন।
আমি মন্তব্য বাড়াতে চাই না ০১-২৭ পর্যন্ত মন্তব্য গুলি খুব মনযোগ দিয়ে পড়লাম।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
জাহিদ অনিক বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই এ.এস বাশার
পোষ্ট ও মন্তব্য সব পড়েছেন জেনে খুশি খুশি লাগছে।
২৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫
যবড়জং বলেছেন: মন্তব্য পড়ে এলাম , আর কি ! দুধ দিয়ে হলুদ খান কবিতা আসবে
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: মন্তব্য পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছান্তে যবড়জং
৩০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫০
রাকু হাসান বলেছেন:
পোস্টটি আগে পড়তে পারিনি বলে দুঃখ প্রকাশ করছি । মনে হচ্ছে লেখাটি অনেক দিন মাথায় ছিলো ,কাল রুপ নিলো পাঠকের জন্য ।
আমি লিখি ইচ্ছা করে ,মন খারাপ থাকলে লিখি ,ভাল থাকলেও লিখি
এই ইচ্ছাটি খুব ভালো লাগলো । এই ইচ্ছাটা একদিন মহৎ হয়ে উঠবে সেই কামনা । বিখ্যাতজনরা এমনটাই করে গেছেন ।
বেশ কয়েকজনের মন্তব্যে লাইক দিলাম । শিরোনাম নিয়ে কথা বলেছেন অনেকে । অন্য কোনো শিরোনামে লেখা দিলে খারাপ হতো না । যদিও আপনি পরিষ্কার করেছেন হেয় করার উদ্দেশ্যে লিখেন নি ।
@আহমেদ জী এস স্যার,আপনার পাঠক কবি তৈরী করেনা , কবিরাই পাঠক তৈরী করে বাক্যটি আমার খুব ভালো লেগেছে ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: আহা ! দুঃখ প্রকাশ করতে হবে কেন ভাই রাকু হাসান?
ব্যস্ততার জন্য আমরা সবাই ব্লগে সব সময় থাকতে পারি না। এরকম আমারও হয়। আপনার আন্তরিকতায় মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।
হ্যাঁ, আহমেদ জীএস, সোনাবীজ ভাইয়া, রাজীব নুর, সোহানী আপু বেশ চমৎকার মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্যগুলোই ব্লগের প্রাণ।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ব্রাদার।
৩১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
উম্মে সায়মা বলেছেন: তোমার পোস্ট পড়িয়া এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইলাম যে আমি কবিও নই, পাঠকও নই
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭
জাহিদ অনিক বলেছেন: হা হা,
আপনার পিঁপড়া দর্শনের কথা আমার এখনো মনে আছে। আপনি হয়ত বলছেন এমনি এমনি, আপনি কবিও নন, পাঠকও নন।
কথা সত্য কিছুটা-- ব্লগে হাজিরা দিচ্ছেন না নিয়মিত। হা হা
হাজিরা খাতা থেকে আপনার নাম প্রায় কাটা যায় যায় অবস্থা -
মধ্যবর্তী অবস্থান্তর অবস্থায় আছেন !
আপনি তাহলে ----- দার্শনিক ?
ওহ ! ফটোগ্রাফার !
৩২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যারা কবিতা পড়ে তারাও কবি,এই কথাটি ভাল লেগেছে।এখন থেকে তাহলে নিজেকে কবি বলে পরিচয় দিতে পারব।
কবি জাহিদ অনিকের কবিতা পড়ে আমি কবি
দারুন লিখেছেন।+++
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনি কবি। নিশ্চয়ই কবি। আপনার মধ্যে কবি সত্ত্বা আছে। আমি জানি।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা মোস্তফা সোহেল ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১০
বাকপ্রবাস বলেছেন: চমৎকার কথা বলেছেন। মনের কথাটাই বলেছেন। সবচেয়ে দারুণ কথা হল কবি আর সার্কাস এর মধ্যে যোগসূুত্র বের করেছেন সেটাই বড় পাওয়া।