![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ব- দরবারে বাংলাদেশ -ভারতের খুব ভাল বন্ধু এবং প্রতিবেশি দেশের ভাষায় ও প্রচারে তা খুব ভালভাবে প্রকাশ করতে চাই এবং দুই দেশের সরকারের প্রতিষ্ঠান সমূহ এই সুন্দরতম বিষয়টি আত্নবিশ্বাসী নিয়ে প্রকাশ করে । বন্ধু মানে উজান স্রোতে সোনার তরী বাওয়া -মন খারাপের অন্ধকারে একটু খুশির হাওয়া, বন্ধুতের প্রতি ভালবাসায় আমাদের মন খুশি হয়ে যায়।
গত ০৭ জানুয়ারী ২০২০ইং তারিখে ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী খাতুনের ০৯ বছর মৃত্যুবার্ষিকীর সম্পন্ন হয়েছে।২০১১ সালে, এই দিনে, বিএসএফ সদস্যরা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলানী খাতুনকে গুলি করে হত্যা করে এবং তার মরদেহ কাটাতারের বেড়া থেকে ঝুলিয়ে দেয়। এশিয়া ফোরাম অব হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেবেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া ) সূত্র মতে এই হত্যার মূল আসামি বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ এবং তাঁর উচ্চতর অফিসারগন যারা সরাসরি ফেলানির হত্যায় জড়িত ছিল তাদের শাস্তি দেওয়া হয়নি। ফেলানির হত্যার প্রহসনের বিচার প্রথমে বিএসএফের অভ্যন্তরীণ আদালত, জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট (জিএসএফসি) লিপিবদ্ধ হয় এবং বিচারের অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে খালাস দেওয়া হয়েছিল এবং পরিবর্তিতে পরে একই আদালত রায় পুনর্বিবেচনা করার পরেও তাদের পূর্বের রায় বহাল রেখে অমিয় ঘোষকে খালাস প্রদান করেন।
আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব যত আন্তরিক হয়েছে ,ততই সীমান্তে নিহত এবং আহত পরিমাণ বহুগূনে বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্তে বাংলাদেশি শিশু হত্যা ও নির্যাতন বিএসএফের কাছে নতুন কিছু নয়। ২০১০ সালে, হাসনাত হালশাম (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে বিএসএফ সদস্যরা নির্যাতন করে হত্যা করে।বিএসএফ সদস্যরা ২০১৫ সালে স্কুল ছেলে হাসানুজ্জামান (১৬) কে হত্যা করেছে এবং ২০১৩ সালে সোহেল রানা ও হারুন উর রশিদ নামে আরও দুটি স্কুল ছাত্র এবং ২০১৮ সালে সোহেল রানা বাবুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নিজস্ব সীমানা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা প্রবল দুর্বল । ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশীদের উপর হত্যা, নির্যাতন ও নির্যাতনের ঘটনা সীমা অতিক্রম করেছে। প্রতিবছর, বিএসএফের গুলিতে বা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত ও আহত হচ্ছে। এমনকি বিএসএফ সদস্যরা অবৈধভাবে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অপরাধ, হত্যা, নির্যাতন ও দেশের অভ্যন্তরে লুটপাট করেছে। তবে উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সম্পর্কিত চুক্তি অনুসারে, যদি কোনও দেশের নাগরিক অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে, তবে তাকে অনুপ্রবেশ হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত এবং সেই অনুযায়ী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে সিভিল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। তবে ভারত দীর্ঘদিন ধরে এ জাতীয় বোঝাপড়া ও চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে।
অধিকারের (হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ) সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী মোট ৪৫৫ জন নাগরিককে হত্যা করেছে। তদুপরি, বিএসএফ এ সময়ে ৬৫৭ জন বাংলাদেশী আহত এবং ৫১৮ বাংলাদেশিকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালে,৪১ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী দ্বারা নিহত হয়েছেন ।
প্রথম আলোর পত্রিকায় ১১ই ফেব্রুয়ারি ,২০২০ সম্পাদকীয় কলাম হতে জানা যায় , বাংলাদেশ –ভারত সীমান্ত হল একটি বিশ্ব প্রানঘাতী সীমান্ত হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে ( ২০১৩ সালে ব্রিটেনের চ্যানেল ফোর এর একটি প্রতিবেদনে এই চিত্র ফুটে উঠেছে) । ৮ ফেব্রুয়ারি ,২০২০ সালে প্রথম আলোর সূত্র মতে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদয়ে কথায় ভারতের এই অমানবিক আগ্রাসনের কথা ফুটে উঠেছে। তবে গত জানুয়ারী ২৫ ইং তারিখে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে এক দিনেই তিনজনের মৃত্যু ঘটলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বন্ধুরাষ্ট্র এর কোনো দোষ দেখেননি। তিনি বলেছিলেন “ আসলে আমাদের চরিত্র ভালো না হলে পরের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই।
ভারতের সঙ্গে যেসব রাষ্ট্র এর মধ্যে সবচেয়ে বৈরী সম্পর্ক যে দেশটির সেটি হচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকিকেই ভারত তার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে অথচ সেই পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত সেখানে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়া শূন্যের ঘরে।
ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) সন্দেহভাজনদের অধিকাংশকে গ্রেফতার থেকে বিরত ছিল, ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) আত্মরক্ষায় জন্য তাদের গুলি চালাতে হয়েছিল।হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তদন্ত করে বলেছে, অভিযুক্ত অপরাধীরা ছাড়া কিছুই নিয়ে সজ্জিত ছিল না এবং কাস্তে, লাঠি, এবং ছুরিগুলি সাধারণত এলাকার গ্রামবাসীরা বহন করে থাকে ।
এখন আমরা একটি কেস স্টাডি অনুধাবন করতে পারি- ‘ মনিরুল ইসলামের হত্যা’
চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার তারাপুর মুন্নাপারাই বসবাসকারি মনিরুল ইসলাম( ২৩), ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) দ্বারা নিহত হয়েছেন । তার পিতা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম জানায় “ আমার ছেলে আমার সাথে কাজ করছিল এবং এক সাথে রাতের খাবার শেষ করি। রাত ০৯ টার দিকে আমি ঘুমানোর জন্য বিছানা যায় । তিনি এখন মনে করে নিয়েছেন যে তার ছেলে রাতের গরু গুলোর দেখা জন্য যায়।
নিহত মনিরুল সাথে থাকা আবদুল লতিফ জানায়, আমরা আমাদের গুরু গুলো আনার জন্য মাঝ রাতে আমরা ভারতের সীমান্তের ভিতরের প্রবেশ করি । আমরা সকাল ৬.৩০ ঘটিকার পাশের শিং নগর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করি। এমন সময় আমরা দেখতে পাই ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) আমাদের ধাওয়া করেছে। সে সময় আমরা চুলকানী বিল পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে ২০০ গজ এরিয়া মধ্যে ছিলাম । ইতোমধ্যে –নো ম্যান ল্যান্ড জায়গা হতে ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) আমাদের দিকে গুলি করে । গুলি চালানো ফলে আমরা এই দিক ওদিক ছুটাছুটি করছিলাম কিন্তু মনিরুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে । মনিরুলের বুকে গুলি লাগে। ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) মনিরুল লাশ ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল ,কিন্তু আশেপাশে গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে যাওয়া ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) লাশটা ঐ স্থানে রেখে চলে যায়। শিং নাগরের ২৯ ব্যাটেলিয়ানের বিডিয়ার কমান্ডার মেজর নজরুল ইসলাম জানায় ০৯ জানুয়ারি ২০১০ সালে চুলকানি বিলে বুকের বাম দিকে বন্দুকের গুলির করা একটি লাশ পাই , এটি মনিরুল ইসলামের লাশ বলে অবহিত করে এবং মনিরুল একজন পশু দেখে শুনা করতে বলে অবহিত করেন। শীবগঞ্জের পুলিশ স্টেশনের কনস্টেবল ইয়ামিন আলী জানান, ২০১০ সালের ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের ভিতরে বিএসএফ গুলিবিদ্ধ হয়েছে লাশ পাওয়া গেছে। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনিরুল ইসলাম গবাদি পশু পাচারকারীদের সাথে জড়িত থাকতে পারেন।
অধিকার ফোরাম তাদের “ ট্রিগার হ্যাপিতে” সুপারিশমালা পেশ করেছেন তাদের ২০১০ সালের প্রতিবেদনে।
ভারত সরকারের জন্যঃ
• ভারত সরকারের উচিত প্রকাশ্যভাবে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং অন্যান্য সুরক্ষা বাহিনী ব্যবহারের বিষয়ে জাতিসংঘের বেসিক নীতিমালা মেনে চলবে ।
• আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের এমন আবেদন করা প্রয়োজন যতদূর সম্ভব, শক্তি এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার অবলম্বন করার আগে অহিংস উপায় সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা।
• আত্মরক্ষা ও আগ্নেয়াস্ত্রের উদ্দেশ্যমূলক প্রাণঘাতী ব্যবহার কেবলমাত্র যখন কঠোরভাবে করা যেতে পারে জীবন রক্ষার জন্য অনিবার্য। আন্তর্জাতিক আইন এছাড়াও সুরক্ষা বাহিনী প্রয়োজন আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এবং একটি সমর্পণ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার বিষয়ে একটি স্পষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ।
• বিএসএফের অভ্যন্তরীণ বিচার ব্যবস্থাটির নিজস্ব বিচার করার ক্ষেত্রে অনেক ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তাই বেসামরিক কর্তৃপক্ষ দ্বারা তদন্ত করা উচিত।
• ভারত সরকারের উচিত একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ কমিশন প্রতিষ্ঠা করা বিএসএফ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের মারাত্মক লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্তের বিষয়টি প্রয়োগ এবং নিরক্ষণ করা উচিত ।
• বিএসএফ কর্তৃক মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমস্ত অভিযোগ তদন্ত ও বিচার করতে হবে এবং তদন্তের জন্য ঘটনার সাথে সাথে পুলিশকে অবিলম্বে কাজ এগিয়ে নেবার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা জারি করা প্রয়োজন।
• ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) খুব স্পষ্টভাবে জানতে হবে যে গুরুত্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমান হলে তাদের অপরিধাহিসাবে বিবেচনা করা হবে। এবং ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) নিজের মধ্যে লঙ্ঘনের তদন্তের জন্য সহযোগীতা করতে হবে।
• অপরাধ বিবেচনা হলে তাদের বরখাস্তের মুখামুখি করতে হবে ।
• Criminal ফৌজদারি কাজকর্মের জন্য সরকারী কর্মকর্তাদের মামলা থেকে দায়মুক্তি প্রদানের সমস্ত বিধি অপসারণের পরে নির্যাতন প্রতিরোধ বিল কার্যকর করতে হবে
• বেসামরিক আদালতে নাগরিক নির্যাতনের মতো লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারের জন্য সুপারিশ সমূহ
• বিএসএফ কর্তৃক অপব্যবহারের অবসান ঘটার পক্ষে জোরালোভাবে আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে । বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ অপরাধে জড়িত নিহত /আহত হলে বিএসএফ কর্তৃক ব্যক্তিদের সঠিক হয়েছে বা বৈধ হয়েছে লক্ষ্য বলে দাবিটি গ্রহণ করা উচিত নয়।
• প্রকাশ্যে বিডিআর এবং অন্যান্য সুরক্ষা বাহিনীকে জাতিসংঘের বেসিক মেনে চলার আদেশ প্রদান করতে হবে।
• বাংলাদেশে বা ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগুলি যার জন্য দায়বদ্ধ ভারতীয় নাগরিকদের উপর সহিংস হামলাগুলি যথাযথভাবে চিহ্নিত এবং তাদের বিরুদ্ধে বিচার করতে হবে তার দিকে নজর দিতে হবে ।
• বাংলাদেশী এবং ভারতীয় সীমান্তের জন্য মানবাধিকার সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখতে হবে । ভারতের সাথে সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনও দ্বিপক্ষীয় সংলাপের কেন্দ্রবিন্দুতে বাসিন্দারা অধিকার আদায় করতে পারে সে দিকে বাংলাদেশের নজর রাখতে হবে।
জাতিসংঘের জন্য সুপারিশ সমূহঃ
• জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশন বিভাগের একটি কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
বিদেশী জাতিসংঘের জন্য প্রস্তাবিত বিএসএফ বা বিডিআরের কোনও সদস্যের জন্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে শান্তিরক্ষা দায়িত্ব, বা বিদেশে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ, যে কেউ যার অধীনে তা নিশ্চিত করতে হবে।
• গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য তদন্ত বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
• জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অপারেশন বিভাগকে ভারতীয়কে অবহিত করতে হবে যে সরকার যে বিএসএফ সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী তা করা উচিত শান্তিরক্ষা দায়িত্ব থেকে যেন কোনভাবে বঞ্চিত না হন।
• ভারত ও বাংলাদেশ সরকারগুলির অনুরোধের ভিত্তিতে সম্মত হওয়া উচিত বিচারবহির্ভূত, সংক্ষিপ্তসার এবং স্বেচ্ছায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য বিশেষ দর্শনার্থী দর্শন দেশটি ভারতের জন্য ২০০০ সাল থেকে এবং ২০০ 2006 সাল থেকে বাংলাদেশের জন্য মুলতুবি। বিশেষ
পর্তুগিজ তার প্রোগ্রামের সাথে ভারতের সীমান্ত অঞ্চল পরিদর্শন করা উচিত
এবং বাংলাদেশ।
ভারত সরকার বাংলাদেশের সাফাল্যে খুশি হলেও , কিন্তু নিজেদের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে তাদের নাগরিকগন এক হয়ে কাজ করতে চাই ,এক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশ জাতিগত ঐক্যতা ক্ষেত্রে দারুন দুর্বল, রাজনৈতিক পরিমন্ডলে একজনের সিদ্ধান্ত অন্যজন মেনে নিতে অনীহা প্রকাশ করে। আমাদের মানুষের সুরক্ষা করতে অবশ্যই আমাদের জাতিগত ভাবে ঐক্যমত হতে এবং আমাদের স্বার্থ বিষয় জনগন সচেতন মনোভাব প্রকাশ করতে হবে। পরিশেষে আমরা ভারত সরকার হতে আমাদের সীমান্তবর্তি মানুষের অধিকার সুরক্ষা দিকে সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে হবে ,আমাদের একজন ভাল বন্ধু আমাদের নাগরিকদের এইভাবে হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে না। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় বলতে চাই –আমরা বন্ধুর কাছে মমতা চাই, সমবেদনা চাই, সাহায্য চাই ও সেই জন্যি বন্ধুকে চাই।
©somewhere in net ltd.