নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো বদলে যাই . . .

ইউরো-বাংলা

সবাই ভালো থাকুন।

ইউরো-বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসতে হাসতে খুন করে তারেক

৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৯



বামে যুবলীগ নেতা খুনি তারেক, ডানে নিহত যুবলীগ নেতা মিল্কি।

সিসি ক্যামেরায় ধরানকৃত ভিডিওটি নিচে দেওয়া হল, দয়াকরে দূর্বল চিত্তের কেউ দেখবেন না।

আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভয়ঙ্কর কিলার তারেক। শত শত মানুষের সামনে হাসতে হাসতে খুন করার রেকর্ড তার অনেক দিনের। কতগুলো খুন করেছে তারও কোনো হিসাব নেই। এ কারণে শীর্ষ সন্ত্রাসীরাও তার সাহসের কাছে হার মেনে চলে। মিল্কি হত্যাকান্ডের ভিডিওতে দেখা যায় মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে সে এক হাতে গুলি চালাচ্ছে। ওই দৃশ্য দেখে মানুষ হতবাক হলেও যারা তারেককে আগে থেকে চেনে তারা মোটেও অবাক হননি। ইতোপূর্বে এভাবেই ৬০টির বেশি হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে সে। ভয়ঙ্কর এই সন্ত্রাসী এক সময় কালা জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল।



সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থাকার পর গত বছর দেশে ফেরে তারেক। হাতেগোনা কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে একটি গ্রুপ গঠন করার পর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আন্ডারওয়ার্ল্ড। শুরু করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখল, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকা-। মতিঝিল এলাকার আধিপত্য নিয়ে যুবলীগ নেতার মিল্কির সাথে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়।



গোয়েন্দা সূত্র জানায়, জাহিদ সিদ্দিকী তারেক বিদেশ থেকে আসার পর পরই মিরপুরে শাহাদত গ্রুপের দুজন, পুরান ঢাকায় ডাকাত শহীদ গ্রুপের একজন, শ্যামপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী সানাউল্লাহসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী জামিনে বেরিয়ে আসে। এদের তৎপরতায় অশান্ত হয়ে ওঠে আন্ডারওয়ার্ল্ড। তবে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বিচরণ করায় পুলিশ এদের অবস্থান জানলেও কখনও গ্রেফতারের চেষ্টা করেনি। ভুক্তভোগী কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী তারেক ফিরে আসায় রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও শাহজাহানপুর এলাকার বাসিন্দারা তো বটেই, এমনকি পুলিশ প্রশাসনও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।



পুলিশ ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, কিলার তারেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা ও চাঁদাবাজির মামলা আছে। তার দলের সদস্যদের কাছে আছে অর্ধশতাধিক অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। পুরান ঢাকায় শাহাদত কমিশনার ও আইনজীবী হাবিব মন্ডল, মতিঝিলে দর্পণ, পলাশ, শাহজাহানপুরে রাজীব, ধানমন্ডিতে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত, আগারগাঁওয়ে পুলিশের এসআই হুমায়ুন কবীর, ছাত্রলীগ নেতা তপন, আঁখি এবং মগবাজারের ওয়ার্ড কমিশনার খালিদ ইমামসহ রাজধানীর অনেক চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের সঙ্গে তারেক সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।



কেউ না জানলে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীরা তারেককে ‘সিরিয়াস সাহসী’ বলে জানতো। আলাপকালে একজন জানান, কয়েক বছর আগে তারেক একজনকে গুলি করে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে নির্দ্বিধায় র‌্যাব-পুলিশের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে গেছে। নিহত যুবকের পেছনে আরেক যুবক বসা ছিল। তারেক নিজে মোটরসাইকেল চালায়। ধানমন্ডিতে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে একজনকে খুন করে।



কারো কারো মতে, তারেক এ পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি খুন করেছে। তারপরেও সে ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে। এর কারণ সম্পর্কে জানা যায়, তারেক লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করলেও কখনই বিলাসী জীবনযাপন করত না। গাড়িতে চড়ত না। টাউন সার্ভিস বাসে চলাচল করত। কখনও কখনও সাইকেলে চলাফেরা করত। রাতে কোথায় ঘুমাতো সে সম্পর্কে কাউকে কিছু জানতে দিত না। নিজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। অথচ তারেক সম্পর্কে পুলিশের নথিতে উল্লেখ আছে, ‘সে অতিমাত্রার ভয়ঙ্কর একজন শীর্ষ পর্যায়ের সন্ত্রাসী। স্মার্ট। সদলে দামি ও বিলাসবহুল গাড়িতে সশস্ত্র অবস্থায় চলাফেরা করে। তার সঙ্গে সবসময় দেহরক্ষী থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আরেক সন্ত্রাসী ডিশ বাবু ওরফে টমেটো বাবুর মাধ্যমে সে রাজধানীতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবসাও পরিচালনা করে।’



জানা গেছে, সন্ত্রাসী হিসেবে তারেকের উত্থান নব্বই দশকের দিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীরের হাত ধরে। কালা জাহাঙ্গীরের অবর্তমানে এখন সে আরেক সন্ত্রাসী চক্র বিকাশ-প্রকাশ গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, শাহজাহানপুর ও খিলগাঁও এলাকায় রয়েছে তার ৫০ সদস্যের একটি বিশাল সন্ত্রাসী গ্রুপ। আর এই গ্রুপ নিয়ে সে ‘কন্ট্রাক্ট কিলার’ হিসেবে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল।



ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, কিলার তারেক বহুদিন ধরেই রাজধানীর ত্রাস। দীর্ঘদিন দেশের বাইরে আত্মগোপন করে থেকে গত বছর সে দেশে ফেরে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, তাকে রাজধানীর মতিঝিল, ধানমন্ডি ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় কয়েকবার দেখাও গেছে। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জে এবং শ্বশুরবাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে সে কোথায় অবস্থান করে সে সম্পর্কে কেউ কোনো তথ্য দিতে পারেনি।



ভুক্তভোগীরা জানান, মতিঝিল-পল্টন এলাকার ব্যবসায়ীরা এই কিলার তারেকের ভয়ে তটস্থ ছিল। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে তারেককে মোটা অঙ্কের টাকা বা মাসোয়ারা না দিয়ে তাদের পক্ষে ব্যবসা করা সম্ভব ছিল না। কারণ তারেক এত বেশি মাত্রার ভয়ঙ্কর যে কেউ তার বিরুদ্ধে নতুন করে থানায় মামলা দায়ের করার সাহস কারো নেই।







সূত্র : বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও টিভি মিডিয়া।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

অশান্ত পৃথিবী বলেছেন: ভছের ইশটাইল টা জোশ হইছে । এরে তো ছি: নেমাই নামা দরকার আছিলো

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৪

নতুন বলেছেন: রাজনিতিক নেতারা আশ্রয় না দিলে এরা এত বড় হইতে পারেনা...

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৬

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: "দয়াকরে দূর্বল চিত্তের কেউ দেখবেন না"।
এই গুলো তো রুটিন ঘটনা - আমাদের চিত্ত অনেক strong ! ডোন্ট ওরি ব্রাদার!

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৪

ইউরো-বাংলা বলেছেন: ধন্যবাদ B:-/

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২০

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
তারেকের খেইলও খতম !

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪০

জাতির শ্বশুর বলেছেন: বচকে মরনাওর পদক দেয়া হোক

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১১

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: র‌্যাব যে কারণে ক্রসফায়ার দিক না কেন, তারেক যদি আসল খুনি হয় তাহলে ক্রসফায়ার করে ঠিক করেছে। যারা নির্বিচারে গুলি চালায় এভাবে তাদের সাথে সাথে খুন করে ফেলা উচিত।

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৫

ইউরো-বাংলা বলেছেন: এই খুনি তারেক বেঁচে থাকলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসত, সেই ভয়েই ক্রসফায়ার দেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.