নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো বদলে যাই . . .

ইউরো-বাংলা

সবাই ভালো থাকুন।

ইউরো-বাংলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছি........................ছি.......................হাসিনা. . .

০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৮


জাতীয় গ্রিড লাইনে ত্রুটির কারণে সারাদেশে এই বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয় শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে। জানা গেছে, ভারত থেকে আনা ৫০০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়লে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে দ্রুত মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে বলে পিডিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

নিজস্ব উৎপাদনে দেশের কোথাও কোথাও স্বল্প পরিসরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা গেলেও বেশিরভাগ জায়গায়ই হয়ে পড়ে বিদ্যুৎহীন।

বিদ্যুৎ যাওয়ার পর দু/এক ঘণ্টা কাজ চললেও তারপর অধিকাংশ পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয় বলে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে আমরা অভ্যস্ত। তবে আজকের মতো দীর্ঘমেয়াদি লোডশেডিং অতীতে হয়নি। তাই দীর্ঘমেয়াদি লোডশেডিং মোকাবেলার প্রস্তুতি কোনো কারখানার ছিল না।

“প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা বা তার চেয়ে অল্প সময়ের জন্য লোডশেডিং মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সব কারখানার থাকলেও টানা ৫-১০ঘণ্টা মোকাবেলার প্রস্তুতি কারোই ছিল না।”

এ অবস্থায় অনেক কারখানাই দুপুরের দিকে ছুটি ঘোষণা করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “কোন কোন কারখানা ডিজেল কিনে জেনারেটর চালু রেখেছে। যে সব কারখানায় কাল-পরশু শিপমেন্ট আছে তারাই বিকল্প ব্যবস্থায় কারখানা চালু রাখতে বাধ্য হয়েছে। তবে লোডশডিং দীর্ঘ হয় তবে স্টকলট বেড়ে যাবে। শিপমেন্ট ফেল করবে।”

বিদ্যুৎ যাওয়ার দুই/তিন ঘণ্টার মধ্যেই জেনারেটরের জন্য ডিজেল নিতে রাজধানীর পেট্রোল পাম্পগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। সন্ধ্যার দিকে বাজারে মোমবাতিরও চাহিদা বেড়ে কোনো কোনো এলাকায় তার সংকট দেখা যায়।

কারখানার পাশাপাশি কাজ বন্ধ হয়ে গেছে প্রকাশনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও।

রাজধানীর বাংলাবাজারের টাইমস পাবলিকেসন্সের মালিক আবু নাঈম সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদ্যূত না থাকায় কম্পোজ, প্রিন্টিং,- বাইন্ডিংয়ের কাজ বন্ধ রয়েছে। প্রায় সব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে এই অবস্থা চলছে।”

বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসার মতো জরুরি সেবাও। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ডে রোগীদের গরমে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেলেও দুর্দশায় পড়েছেন রোগীরা; প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া অন্য সব সেবা বন্ধ হয়ে গেছে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

মিডফোর্ড হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

তবে নিজস্ব জেনারেটর না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা।

হাসপাতালের অনুসন্ধান বিভাগের কর্মকর্তা কালাম পাটোয়ারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় এখানকার রোগীদের খুব সমস্যা হচ্ছে। আমাদের এখানে বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেই।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল মজিদ ভূইয়া বলেন, “আমাদের এখানে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুত ছিল না। ওই সময় জেনারেল ওয়ার্ডে লাইট-ফ্যান বন্ধ ছিল। আইসিউ, অপারেশন থিয়েটারে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কার্যক্রম চলেছে।”

রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে নিজস্ব জেনারেটর থাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে সব কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।

ইউনাইটেড হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার মো. মোনাজিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমারা নিজেদের প্ল্যান্ট দিয়ে কাজ চালাই। আমাদের এখানে সমস্যা নেই।”

নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ, সিসিইউ ও পোস্ট সিসিইউ ইউনিটের কাজ চালানো হলেও সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে গরমে রোগীদের হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে।

দুয়েকটি ওয়ার্ডে বিরতি দিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও তা নিরবচ্ছিন্ন নয়।

হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শহিদুল গণি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে আইসিইউ, সিসিইউ ও পোস্ট সিসিইউ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

“কিন্তু এভাবে কতক্ষণ চালানো যাবে তা ভেবে আমি খুবই চিন্তিত। সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। একটু সমস্যা তো হচ্ছেই। জেনারেটর আর কত সময় চলবে তা বলতে পারছি না। এভাবে বেশি সময় চালানো হয়ত তো সম্ভব হবে না।”

নগরীর কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিস্থিতি জানতে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার দাবি করেছেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক বলেছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় রাজধানীসহ সারা দেশের শহরগুলোর আবাসিক এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আফসানা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুপুরের পর থেকে বাসায় পানি নেই। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, বিদ্যুত না থাকায় ওয়াসার স্থানীয় পাম্প থেকে পানির সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।”

মিরপুর-১০ এলাকার বাসিন্দা শিরীন সুলতানা বলেন, “পানির সমস্যার কারণে বাসার দৈনন্দিন কাজে খুব অসুবিধা হচ্ছে।”

মহাখালীর হোটেল ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান বলেন, “দুপুর পর্যন্ত পানি কিনে হোটেলে রান্নার কাজ চালিয়েছি। কেনা পানি দিয়ে কতক্ষণ চালাবো?”

রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন কেপিআইভূক্ত এলাকায় হওয়ায় বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চলছে। তবে এখানকার কর্মকর্তাদের আবাসিক এলাকায় বিদ্যুত নেই।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি এবং বাংলাদেশ বেতারে বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে।

নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বিপণিবিতানগুলোতে বিদ্যুত সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে বলে ওই এলাকা ঘুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক আশিক হোসেন জানিয়েছেন।

সৌর বিদ্যুৎ ও নিজস্ব জেনারেটর থাকায় রেলে সিগন্যাল কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক তাফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন।

তবে গন্তব্যে পৌঁছানো ট্রেনগুলোতে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

সব মিলিয়ে দেশ এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত। নানাদিকে সন্ত্রাস, হাইজ্যাকের খবর শুনা যাচ্ছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাবধানে থাকার অনুরোধ করেছে সুশিল সমাজ।

সূত্র : বিডিনিউজ ২৪

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩১

দ্যা লায়ন বলেছেন: এমন বিদ্যুত বিভ্রাট পৃথিবীর সব বড় বড় দেশে হয়েছে। আর গোড়াশাল তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের গোলযোগের কারণে এমন হয়েছে সেখানে ভারতে বিদ্যুত কোথায় পেয়েছেন?

আর যেই ছবিটা দিয়েছেন সেটা কোথায় পেয়েছেন// ঢাকা শহরে কি কেউ নিজের রুমে একটা মোমবাতি জ্বালায়নি?এত অন্ধকার কোথায় পেয়েছেন?

দেশের যে কোন সমস্যা সহযোগীতা মুলক মন্তব্য গবেষণা আলোচনা করবেন, কখনো কারো ঘর পোড়া আগুনে খৈ ভাজতে যাবেননা।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১০

ইউরো-বাংলা বলেছেন: ফটো এবং তথ্য কোথায় পেয়েছি , তা কিন্তু লেখা আছে।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

রেশাদ১০৬ বলেছেন: "আর গোড়াশাল তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের গোলযোগের কারণে এমন হয়েছে সেখানে ভারতে বিদ্যুত কোথায় পেয়েছেন?"
এখানে থেকে পেয়েছি...

০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৭

ইউরো-বাংলা বলেছেন: লিন্কটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৪

খেলাঘর বলেছেন:

ঢাকা চট্টগ্রামে রাতে রাস্তায় বিজিবি দেয়া দরকার।

দেশবাসীর জন্য একটা ড্রিল হলো।

গ্রিডের কন্ট্রোলে নিরাপদ লোক রাখা দরকার; দেশের রাজনীতিবিদরা সন্ত্রাসী, সেটা মনে রাখা দরকার।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১০

ইউরো-বাংলা বলেছেন: একমত

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

রাতুল রেজা বলেছেন: একদিনের ব্যার্থতাকে বড় করে দেখার কিছু নেই বলে মনে করি। এতদিন আমরা অন্তত আগের দিনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেতে রক্ষা পেয়েছি যা বর্তমান সরকারের একটি ইতিবাচক দিক। তবে এর সাথে ভারতের নাম জরিয়ে যাওয়ায় এখন সাবধান হওয়া দরকার কারন যদি তাদের কারনেই এই অবস্থা হয়ে থাকে তাহলে এখন ই ব্যাবস্থা গ্রহন করা দরকার। আমার মনে হয় সরকার অবশ্যই উবপলব্ধি করেছে বিষয় টা।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৯

মাঈনুদ্দিন বলেছেন: একদিনের জন্য সমস্যাটা হতেই পারে। তবে সাবধান থাকা উচিত ছিল। আপনার টাইটেলটা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। যখন অত্যন্ত গরমেও বিদুৎ সরবরাহ যথেষ্ট ভালো ছিল, তখন মনে হয় না কখনও ধন্যবাদ দিয়েছেন।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১০

কৌতুহলী বয় বলেছেন: ব্লাক ডে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.