নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাকির হোসেন বিডি

'আমি স্বপ্ন দেখি না; বাস্তবতার মাঝে স্বপ্নকে খুঁজি!'

জাকির হোসেন বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

যোধা আকবর : পরিপুর্ন ব্যক্তিত্তের এক অপুর্ব সমন্নয় ।

২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:৫৭

আমি সিনেমা টা বেশ কয়েক বার দেখেছি। অনেকেই হয়ত দেখেছেন।

সিনেমা টা মুঘোল বাদশা হুমাঊনের সুযগ্য পুত্র বীর যোদ্ধা জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর ও

তার স্ত্রী হিন্দু রাজপুত যোধা কে নিয়ে নির্মিত।

বাদশা হুমাঊন সপ্ন দেখেছিলেন ভারতবর্ষে মুঘোল সম্রাজ্জ্য প্রতিষ্ঠা

করতে আর সেই সপ্ন পুরন করেছিলেন সু্যগ্য পুত্র জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর।

হিন্দু সম্প্রদায়ই ভালবেসে তাকে আকবর নাম দিয়েছিল।

তারপর আকবর ও যোধা সৃষ্টি করেছিলেন হিন্দুস্তানের এক কিংবদন্তির ইতিহাস, আকবর

একজন মুসলিম সম্রাট হয়েও হিন্দু প্রধান রাষ্ট্রে মুঘোল সম্রাজ্জ্য কে করেছেন গৌরাবান্নিত।



উনার পুথিগত কোন শিক্ষায় ছিল না, এমনকি অক্ষর জ্ঞানও ছিল না! তবুও

সবসময় উনার যুগোপযোগী উদার ও সঠিক সিধান্ত,কখনো শিশুর মত কোমলতা, মহানুভবতা,সততা,

উদারতা,মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা,বদান্যতা, সরলতা, শুধু তাই নয় উনার

দৃড় চেতা, পর্বত সম অটলতা,কখনো বজ্জ্রের মত কঠিনতা তাকে এক পরিপুর্ন ব্যাক্তিত্ত দিয়েছিল।



সত্যি বলতে, আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিপুর্ন ব্যক্তিত্ত বলতে যেটা বিশ্বাস করি ও বুঝি,

আমার কাছে মনে হয়েছে তার সবকিছুই উণার মধ্যে সঠিক মাত্রায় ছিল।



তিনি শুধু একজন মহান সম্রাট ই ছিলেন না, উনি ছিলেন একজন অনুকরনীয় আদর্শ।



উনার সহধর্মিণী যোধাও কোন অংশে কম ছিলেন না! রুপে, গুনে , বিচার বিবেচনায় তিনিও ছিলেন

অনন্যা। তিনি ছিলেন একজন পুর্ন ব্যাক্তিত্তের পরিপুর্নতা।

তিনি আকবর কে আরও বেশি পরিপুর্নতা দিয়েছিলেন ঝর্নার মত ভালবাসা দিয়ে,একজন বিশস্ত বন্ধুর মত ভালবাসায় সিক্ত সুচিন্তিত পরামর্শ দিয়ে।

যাহা আকবরকে করেছিল আরও বেশি উদার, মহান ও পরিপুর্ন।



মহান আল্লাহ যোধা ও আকবর কে জান্নাত নছিব করুন। যেন যুগ যুগ ধরে তাদের মত লাখো লাখো ছায়া মানবের জন্ম হয়।



:)

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-৪

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:০৪

সজল শর্মা বলেছেন: মুঘলদের সবাই কমবেশি ভাল কাজ করে গেছেন। তবে হারামী ছিল আওরঙ্গজেব যে নিজের তখতের লোভে নিজের ভাইদেরও অন্যায়ভাবে হত্যা করে আর কট্টুর সাম্প্রদায়িক ছিল।

আকবর নামের মতই মহান ছিলেন, তাই তো তাকে বলা হয় আকবর-ই-আযম মানে মহান আকবর।

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:০৪

বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: :) ভাল লাগল ভাইয়া।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:১৬

এনটনি বলেছেন: এক যোধা-আকবর সিনেমা দেখেই আপনে কাইত??
পুরা খোজ নেন ভাই, আকবর এর আরো ধর্মের বউ আছে...তাদের বেহেস্তে নসিব এর দোয়া দিবেন না?

২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:২৯

জাকির হোসেন বিডি বলেছেন: আপনার আমার মত সাধারন মানুষের যদি ৪-৫ ধর্মের বউ থাকতে পারে! তাহলে সম্রাটের থাকাটা ত আরো সাভাবিক! :)

এখানে তার ধর্মের বঊ গননা করা হয়নি, তার সার্বিক ব্যক্তিত্ত তুলে ধরা হয়েছে। যেটা শুধু ছবিটাতে তুলে ধরা হয়েছে। যদি এতটাই খারাপ কিছু থাকত তাহলে পরিচালক কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করত।

পরিচালক ত তার ধর্মের ভাই নন, যে সব গোপন করার চেষ্টা করবেন !

:)

বেহেস্তে নসিবের জন্ন্য দোয়া সবার জন্যেই করা যায়। সম্রাট হবার ভাগ্য নিয়ে সবাই জন্মায় না।

:)

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:১৯

নকীবুল বারী বলেছেন: সব সম্রাদের হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে.................

২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৩৩

জাকির হোসেন বিডি বলেছেন: তলোয়ার আর রক্তের দাগ ছারা কখনো সম্রাট হওয়া যায় না, সম্রাজ্জ্য ও চালানো যায় না । :)

তাছারা এখানে সব সম্রাটের কথা বলা হয়নি , বিশেষ করে শুধূ আকবরের কথা বলা হয়েছে।

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:০৪

মহানাম বলেছেন: অনেক ভাল কাজ করেছে মোঘলেরা ঠিকই কিন্তু রক্তগঙ্গার স্রোতও কম বহায় নি, পাশবিকতায়ও এদের জুড়ি মেলা ভার। সুতরাং একতরফা প্রশংসাই তাদের প্রাপ্য নয়। এই মোঘল আমলেই অনেক মন্দির ভেঙে ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই মোঘল আমল থেকেই শুরু হয়েছে অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ের উপর মসজিদ তৈরী করা যা অদ্যাবধি করা হয়ে থাকে। সুতরাং সর্বপ্রথমে যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো আমাদের প্রতি প্রত্যেককে যথার্থ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। কে হিন্দু, কে মুসলমান এটা খুঁজে বের করা ধর্মান্ধতারই সামিল।

২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৪৪

জাকির হোসেন বিডি বলেছেন: কে মন্দির ভেঙ্গেছে আর কে মসজিদ গড়েছে, সেটা বলা হয়নি!
সিনেমা টাতে যাকে নিয়ে যতটুকো তুলে ধরা হয়েছে শুধু তার উপর মন্তব্য করা হয়েছে। আর তাতেই মনে হয়েছে মহান আর তাকে ওখানে মহান হিসাবে ই তুলে ধরা হয়েছে ।


:)

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:১৮

নিভৃত পথচারী বলেছেন:
আপনার উল্লেখ করা ছবি যোধা আকবর আমি দেখিনি আর তাই আকবর সম্বন্ধে সেখানে কি দেখানো হয়েছে তা বুঝতে পারছি না। তবে আপনার মন্তব্য পড়ে নিশ্চিত বুঝতে পারছি সেখানে বিকৃত ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। আশা করি এ বিষয়ে নিচের লেখাগুলো পড়লে বিশুদ্ধ ঐতিহাসিক বিবরণের সাথে অবিকল মিলিয়ে নিতে পারবেন।
আর মৃত্যু পূর্ব পর্যন্ত সে ছিল ইসলাম প্রত্যাখ্যানকারী ও ইসলামের প্রতিপক্ষদের অন্তর্ভূক্ত আর তাই বূতপূজারীদের আকবরকে নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই।
আর তাই মুসলিম হিসেবে তার জন্য কোনরূপ দোয়া করার সুযোগই আমাদের নেই।

বাদশাহ আকবরের কীর্তি-১

বাদশাহ আকবরের মযহবনামা


আকবরনামা-৩- দীনে ইলাহি

বাদশাহ আকবরের চিঠি

২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৩৯

জাকির হোসেন বিডি বলেছেন: নানা মুনির নানা মত! নিজে যতটুক যা দেখেছি , বুঝেছি শুধু তার উপর মন্তব্য করেছি, খারাপ কিছু দেখলে খারাপ কিছু বলতাম । যা দেখানো হয়েছে তাই বলেছি।

:)

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৫০

নিভৃত পথচারী বলেছেন: একটা ব্যপার খেয়াল করবেন, বূতপূজারীগণ সর্বদা অপপ্রচার ও ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত যার বিরুদ্ধে তিনি হচ্চেন, বাদশাহ আকবরের পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে সবচেয়ে ধর্মপ্রাণ ও ন্যায়পরায়ন শাষক আওরঙ্গজেব। তিনি নিজ জীবন যাপন ব্যয় নির্বাহ করতেন হাতে কোরান শরীফের অনুলিপি তৈরী করে। অধিক ইবাদত এবং দীর্ঘকাল স্বল্পাহার -অনাহারের কারণে তার দীর্ঘ দেহ কাঠামো বাকা হয়ে গিয়েছিলো।

অথচ কালক্রমে বূতপূজারীদের তৈরীকৃত বিকৃত ইতিহাসে তাকে খল নায়ক হিসেবে দেখানোর প্রানান্তকর চেষ্টা করা হয়েছে।

কিন্তু অপপ্রচারকারীদের দূর্নাম রটনা হতে হতে আল্লাহতা'লা তাকে পবিত্র রেখেছেন। তিনি দ্বিসহস্রাব্দীর সংস্কারক হযরত মোজাদ্দেদে আলফেসানী শায়েখ আহমদ সেরহিন্দী (রঃ) এর খাস্ মোজাদ্দেদিয়া তরিকার একান্ত অনুসারী এবং একজন সুযোগ্য খলীফাও বটে।

আপনার পোস্টে প্রদানকৃত বিভিন্ন কমেন্টের মাঝেও এ ব্যপারটি লক্ষ্য করে থাকবেন।

২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:০৭

জাকির হোসেন বিডি বলেছেন: আসলে আমি অত ইতিহাস জানি না, তাছারা সত্ত্য মিথ্যা ইতিহাস ও জানি না। বিভিন্ন ইতিহাসবিদ বিভিন্ন ভাবে ইতিহাস তৈরি করে। দেখেন না, এই যুগেই আমাদের দেশেই কতজন, কতবার, কতরকম ভাবে সত্ত্য মিথ্যা ইতিহাস লিখছে !

যদি আপনার তথ্য সত্য হয় আর তিনি যদি সত্তিই একজন ভাল মানুষ, ভাল সম্রাট হয়ে থাকেন তবে আওরঙ্গজেব এর প্রতিও রইল সশ্রধ্য সন্মান। আল্লাহ ই সর্ব শ্রেষ্ট ও সঠিক বিচারক। তিনিই বিচার করবেন।


আমারা যা যতটুকো দেখি, শুনি শুধু তাই বলতে পারি, তার বেশী পারি না।

ভালদের জন্ন্য সবসময় ভাল শুভ কামনা রইল । তারা যেন জান্নাত বাসী হন ।


:)






৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:০১

সেতূ বলেছেন: সিনেমা দেখে তা বিচার করা ঠিক না ...
সিনেমা করা হয় ব্যাবসা করার জন্য পুরা ইতিহাস তুলে ধরা সন্ভব হয় না...
পাবলিক যে জিনিস খাবে তাই দেখানো হয়....
সিনেমা তৈরীতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয় ...
ব্যাবসা করার জন্য ..
চ্যারেটির জন্য নয়...
পাবলিকে জ্ঞান দেওয়ার জন্য নয় ...

২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:১২

জাকির হোসেন বিডি বলেছেন: ভাল কিছু খাবার পাব্লিক যেমন আছে খারাপ খাবার পাব্লিকও কিন্তু তেমন আছে!

পরিচাল কেরা দুটো বিষয় ই মাথায় রাখেন ।

:)

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:১৫

জেরী বলেছেন: ভালো লাগে নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.