![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কর্ম ব্যস্ত রাজধানী ঢাকা প্রতিদিন শত শত নতুন নতুন মুখের আগমণ । এ যেন একটি কর্ম স্থলের জনবহুল কারখানা । গ্রামে মানব সভ্যতার নিয়মিত পাখীর কলরবে ঘুম ভাঙ্গে আর শহরিয় মানুষগুলোর ঘুম ভাঙ্গে যান্ত্রীক শব্দে ।
প্রতিদিনের মত সেদিনও বাসের অপেক্ষায় যাত্রী ছাউনীর নিচে দাঁড়িয়ে আছে রফিক।
রফিক এ শহরে এসেছে অল্পকিছু দিন ।এ শহর নিয়ে তার মনে অনেক স্বপ্ন ছিল । তবে শহর নিয়ে তার মনে ভিতর থাকা স্বপ্ন গুলোতে শহরের বিলাসীতার আচর লাগতে শুরু করেছে ।
একদিকে অপেক্ষাকৃত সময় অন্যদিকে ঘন গাড়ির নির্ঘত হওয়া কালো ধোয়া শাস
নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে ।মাঁঝে মাঁঝে দম বন্ধ হয়ে আসছে ।শহরে থাকা প্রতিটি কর্ম ব্যস্ত মানুষকে প্রতিদিন এভাবেই যাত্রীছাউনীর নিচে দাঁড়িয়ে শহরের যানবাহনের পরিসংখ্যান করতে হয় । এটাই নাকি শহরে থাকা মানুষের কর্ম ব্যস্তের সকাল বিকেলের একটি নিয়মমাফি রুটিন অথবা কারো কারো স্বভাবে পরিণত হয়েগেছে। তবে রফিক গত দুইমাসে বুঝে গেছে এশহর তার জন্য বড় বেমানান ।যে খানে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাঝে নিজের শরীরটাকে কখনও কখনও কেউ একটু ঝাড়া দিয়ে নিতে পারলে অমৃত থেকে ফিরে আসা মনে করেন ।সে জীবিত মানুষ রূপে অধ্য মৃতু মানুষের বসবাসই বেশি এ শহরে ।
সব একই কাড়িগরের নির্দেশে সৃষ্টি অথচ সাদা কালো কুড়ে আর দালানের কত ব্যবধান ।এ না হলে মানব সভ্যতার সভ্য শহরী জীবন ।এখানের লোকগুলও আজ কাল ঘুষ খেতে খেতে নিজেদের অনিয়ম করে তুলেছে । যেখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিককে প্রতিটি যন্ত্রে চালিত গাড়ি গতি বেগ নিয়মে
দৃর্শপট করার কথা সেখানেও দশ টাকার বিনিময় ট্রাফিক করছেন অনিয়ম । আর এই একটু অনিয়মে শহরীও কর্মব্যস্তত মানুষদের গুনতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ।
হঠাৎ রফিকের কানে চিৎকারের শব্দ ভেসে এলো পকেট মার পকেট মার ।
দুই তিনটি লোকের একটি দল একশ গজ দূরে সেও চিৎকার করে দৌড়ে চলছে পকেটমার পকেট মার তার একশ গজ পিঁছন পোনের বিশজন লোক তারাও পকেটমার পকেটমার শব্দে চিৎকার করতে করতে তাদের পিঁছন পিঁছন দৌড়াচ্ছে । এখানে দুই দলের চিৎকারের শব্দ একই সুতারং কে আসল কে নকল বোঝা বড় ব্যসামাল ।
পুরো দেশটাই ব্যসামাল হয়ে পড়েছে । বাংলাদেশের অনেকেই বলে এদেশে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দিলে দেশের রাজনীতি উন্নয়নশীল হয়ে যাবে এমন একটি ভাবনা আমাদের মধ্যে সে প্রাচীণকাল থেকে কাজ করে আসছে ।
আর আমরা অনেকেই সে ছাত্র রাজনীতি
বন্ধের পক্ষেই।আসলে এটা কতটুক যোক্তিক যে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দিলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ।আসলে আজও পযন্ত কেউ কোনদিন
ভেবে দেখেছি কি এদেশের জন্য সেই ৫২এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে
৭১এর মুক্তি যুদ্ধ এবং এখনও পযন্ত ছাত্রদের
এ দেশ গড়ার পিঁছনে রয়েছে কত অবদান।
আসল বিষয়টি হল ছাত্রদের রাজনীতি প্রেক্ষাপটে যারা পরিচালনা করবে তাদেরও রয়েছে ছাত্রদের শিখানোর অনেক ভুল ।তারা যেখানে ছাত্রদের সঠিক রাস্তা দেখাবেন সেখানে তারা তাদের নিজেদের সার্থ্যের প্রয়োজনে ছাত্রদের নিয়ে যাচ্ছেন ভুল পথে ।
অথচ দোষ পড়ছে ছাত্রদের ওপরে ।
এ যেন দেখে শুনে করছি মোরা বিষপাণ ।
কথায় কথায় দিচ্ছি শ্লোগাণ ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হউক ।ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হউক ।
©somewhere in net ltd.