নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিভৃতচারী, ঘুরে বেড়াই পথে-প্রান্তরে।।

জমীরউদ্দীন মোল্লা

ওরে ও তরুণ ঈশান! বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ। ধ্বংস-নিশান উঠুক প্রাচী-র প্রাচীর ভেদি’॥

জমীরউদ্দীন মোল্লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি নগণ্য, কিন্তু সম্মানিত!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮



ছোট বেলা থেকেই ম্যাপের প্রতি আমরা একটা ফ্যাসিনেশন কাজ করতো। সেই সুবাদে ভূগোলের প্রতি ও একটা আলদা টান ছিলো। সাধারন জ্ঞানের বই থেকে ভুগোল রিলেটেড টুকাটাক জিনিস জানার, চেষ্টারও কমতি ছিলো না।

যে প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম সেখানে দেয়ালে বাংলাদেশের একটা ম্যাপ আঁকা ছিলো। স্কুলে গিয়ে ফ্রেন্ডেদের সাথে বেশ একটা কম্পিটিশন হইতো, কে কত আগে ম্যাপের মধ্যে থেকে জেলা খুঁজে বের করতে পারবে। প্রাইমারীতে থাকতেই বাংলাদেশের ম্যাপ মোটামুটি মুখস্ত।

তারও কিছু পরে যখন পৃথিবীর ম্যাপে বাংলাদেশকে ম্যাগ্নিফাইং গ্লাস দিয়ে খুজতে হইতো খুব ই কষ্ট লাগত যে আমার প্রিয় দেশটা এতো পিচ্চি কেন।

ভুগোল ও জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে আমার পড়াশুনা শূন্যের কোঠায় তারপরও যতটুকু জেনেছি যে, পৃথিবীর ম্যাপে বাংলাদেশ যেমন ক্ষুদ্র আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথে পৃথিবীও তেমন একটা ধূলিকণা সমতুল্য।

এরপর থেকে আকাশ আমার কাছে এক বিস্ময়! রাতে পরিস্কার আকাশ থাকলে, অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতাম। আর ভাবতাম ওই গ্রহ নক্ষত্রগুলো না জানি কেমন।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলে, তারা ইউনিভার্সের খুব কম অংশই অবসারভ করতে পেরেছে আর তাতেই ছায়াপথের সংখা বিলিয়নস! আর প্রতিটি ছায়াপথে অসংখ্য গ্রহ,নক্ষত্র ও কৃষ্ণগহ্বর এর সমন্বয়ে গঠিত।

আজকে ফজর পরে বের হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি ধূসর হয়ে আছে। কিন্তু এই ধূসরতা আকাশের বিশলতা সামান্যতম মলিন করতে পারেনি।

এত বিশাল আকাশ, অসংখ্য গ্রহ, নক্ষত্র এসব কিছুর যিনি স্রষ্টা তিনি আমার ও স্রষ্টা। বরংচ এত বিলিয়নস-ট্রিলিয়নস সৃষ্টির মাঝে তিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত বানিয়ে সম্মানিত করেছেন।

একজন উচ্চপদস্ত লোকের আত্মীয় হলেই আমরা কেমন নির্ভার(তাওয়াক্কুল) হয়ে থাকি। অথচ আমি সেই মহান স্রস্টার প্রিয় সৃষ্টি হয়ে তার উপর ভরসা রেখে নির্ভর হয়ে থাকতে পারি না!

এইজন্যই আল্লাহ বলেন, হে মানুষ! কিসে তোমাকে তোমার মহান প্রতিপালক সম্পর্কে ধোঁকায় ফেলে দিয়েছে? যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুঠাম করেছেন, অতঃপর তোমাকে করেছেন ভারসাম্যপূর্ণ। [সূরাঃ আল-ইনফিতার, আয়াত: ৬-৭]

এই দুনিয়ার সামান্যতম ভোগ- বিলাস কিংবা সামান্যতম সম্পদ অর্জনের জন্য আমাদের চিন্তার শেষ নাই। অল্প কিছু টাকা পয়সার জন্য চিন্তা করে ব্লাড প্রেশার হাই করে দিচ্ছি ফলশ্রুতিতে স্ট্রোক। অথচ যে স্রষ্টা এত বিশাল বিশাল সৃষ্টির মালিক। যিনি আমাদেরকে একমাত্র তারই ইবাদত করার জন্য এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। অথচ আমরা তারই ইবাদত থেকে গাফিল হয়ে আছি।

মহান রব আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দিক। -আমিন

[বিঃদ্রঃ খুব সম্ভবত আমি ক্লাস সেভেন এ থাকতে এই গ্লোব কিনেছিলাম]

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মনে শান্তি আনা লিখা
মুগ্ধ হলাম ভাইয়া

জাজাকাল্লাহ খাইরান
ভালো থাকুন

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬

জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: ওয়া আনতুম ফা জাজাকিআল্লাহু খাইরান।
আপনি ও ভালো থাকবেন।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার আব্বাজান বিয়ে না করলে, আপনার জন্ম হতো না; আপনার আম্মা ও আব্বাকে ধন্যবাদ দেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮

জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব।

আমার আব্বা বিয়া না করলে যে আমার জন্ম হইতো না, আপনি না বললে আমি জানতামই না।

ধন্যবাদ দিয়ে দিবো।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ মালিক।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৯

জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: হ্যাঁ, আল্লাহ মালিক।

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



নাকি আপনি যীশুর মতো আরেকজন?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩২

জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: আমি আর বাকি দশজনের মতই। আর আমি জানি আমার আব্বা বিয়া করছে বলে আমি জন্ম নিসি। এটা তো আপনার মনে করিয়ে দিতে হবে না?

আপনি হয়তো ব্যাঙ্গাচি থেকে বিবর্তন হইছেন তাই বলে বাকিদের রিমাইন্ডার দেয়ার দরকার নাই।

ধন্যবাদ।

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যাঁ, আল্লাহ মালিক।

তাই বলে আমাদের হাত পা নিয়ে চুপ করে বসে থাকলে চলবে না।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৯

জমীরউদ্দীন মোল্লা বলেছেন: কেন আমরা চুপ করে বসে থাকবো?!
আল্লাহ আমাদের মালিক এবং রিযিকের জন্য তিনি ই আমাদের দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়তে বলছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.