![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
।জ্ঞানের প্রতি বিপুল আগ্রহ । সংগ্রাম মুখর আমার জীবন ।
সব সময় বলা হয় যে, আসমানী কিতাব চারটি - তাওরাত, যাবুর, ইন্জিল এবং কোরআন । এটা কিভাবে সম্ভব যে, হযরত আদম (আঃ) থেকে হযরত মূসা (আঃ) পর্যন্ত হাজার হাজার বৎসর অতিবাহিত হয়েছে, অথচ এই বিশাল সময়সীমার মধ্যে কোন নবী আসমানী কিতাব নিয়ে আসেন নি !
আল-কুরআন বলছে- "প্রত্যেক উম্মাতের জন্য রাসূল এসেছে, প্রত্যেকটি জাতির জন্যই এসেছে হেদায়াতকারী ।"
বলা হয়ে থাকে যে, উক্ত চার কিতাবের পূর্বে কোন কিতাব অবতীর্ণ হয়নি বরং সহীফা নাযিল হয়েছে । কুরআন মজীদে আমরা যখন পূর্বের কিতাবের আলোচনা অন্বেষণ করি তখন আমরা তাওরাত, যাবুর, ইন্জিল ব্যতীত পূর্বের কিতাবের জন্য 'সুহুফে উলা' এবং 'যুবুরুল আউয়ালীন' শব্দ পাই যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে - " সবচেয়ে পুরনো সহীফা সমূহ বা সবচেয়ে প্রাচীন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পৃষ্ঠা সমূহ ।" হিন্দুদের দাবি তাদের কাছে রয়েছে আদিগ্রন্হ এবং আদি জ্ঞান , যাকে আমরা 'সুহুফে উলা' বলতে পারি ।
এখানে এ কথা বলা উচিত যে, যদি আমরা কুরআন মজীদে বেদ নামের কোন কিতাব অন্বেষণ করি তাহলে সেটা পাওয়া যাবে না । বর্তমানে দাউদ (আঃ) এর উপর অবতীর্ণ কিতাবের নাম Psalm- সাম বলা হয় । এখন যদি সাম নামে কুরআন মজীদে হযরত দাউদ (আঃ) এর সহীফা খোঁজা হয় তবে স্পষ্টতই তা মিলবেনা । কুরআন মজীদে এর নাম 'যাবুর' রেখেছে । এটা এমন ব্যাপার যেমন বর্তমানে কোন খৃষ্টান নিজেকে নাসারা বলেনা । কিন্তু আমরা জানি পবিত্র কুরআন উক্ত কওমকে নাসারা নামে সম্বোধন করেছে । যারা নিজেদের নাসারা বলে না তাদের কে আমরা নাসারা নামের মাধ্যমে চিনি এবং যে কওম স্বীয় কিতাবকে যাবুর বলে না সে কিতাব কে আমরা যবুর হিসেবে চিনি ।
সুতরা একটা বিরাট জাতি কুরআন নাজিল হওয়ার অনেক পূর্ব থেকেই এ দাবি করে আসছে যে তাদের নিকট আদি গ্রন্হ বা 'সহুফে উলা' রয়েছে । তারা তাদের নিজেদের ভাষায় স্বীয় কিতাবকে সম্বোধন করে । আর আমরা ১৪০০ বৎসর থেকে তাহকীক না করেই এবং উক্ত আদি গ্রন্হ না পড়েই বলে আসছি যে, 'সুহুফে উলা' বা 'যুবুরুল আউয়ালীনের' কোন অস্তিত্ব দুনিয়াতে নেই ।
আউয়ালীনের সহীফার অস্তিত্বের বিষয় কুরআন মজীদের নিম্নলিখিত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে--
'এবং তারা বলে যে, এ ব্যক্তি স্বীয় রবের তরফ থেকে আমাদের নিকট অসাধারণ কোন প্রমাণ কেন আনে না ? অথচ তাদের নিকট রক্ষিত সুহুফে উলার মধ্যে যা কিছু আছে তা-কি স্পষ্ট দলীল এসে যায় যায় নি ?"
এ আয়াতই এ কথার প্রমাণ যে, আউয়ালীন সহীফা অথবা আদি গ্রন্হ গায়েব হয়ে যায়নি । বরং দুনিয়াতে আজ পর্যন্ত তা মজুদ আছে । এ কথাকে কুরআন ষ্পষ্টভাবে দলিল এবং মোজাজারুপে পেশ করছে । আউয়ালীন সহীফার দুনিয়ায় মজুদ থাকার দলিল যেসব লোক অন্বেষণ করে তাদের জন্য এ আয়াতের মধ্যে আল্লাহ সুষ্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন ।
চলবে...........
তথ্য সূত্র---জগদগুরু মুহাম্মদ (সাঃ) , শায়খুল উবুদিয়া ইমাম সাইয়েদ মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ ইবনে আবদুহু আল-হোসাইনী । রেনেসাঁ পাবলিকেশন্স ।
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫৪
জেমসবন্ড বলেছেন: অপেক্ষা করুন দয়া করে , আমি আস্তে আস্তে লিখব । আমার নিজের কিছু কাজ ও পড়াশুনা আছে ।
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫৫
কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: আপ্নি কেম্নে কৈলেন সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে "সুহুফে ঊলা" আচে?
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১৭
অচেনা বাঙালি বলেছেন: হা হা হা। মজা পাইলাম চালায় যান।
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:২৬
ওসমানজি২ বলেছেন: জটিল।
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:৫১
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
এই সব গাজাখুরি গল্প বাঁদ দিয়ে- নিজের দৃষ্টিকে পরিষ্কার করুন।
বিভিন্ন যুগে অসংখ্য মানুষ অসংখ্য গ্রন্থ লিখেছে, প্রতিটি গ্রন্থই নিজ সময়ের ও নিজ অঞ্চলের গণ্ডির বাইরে যেতে পারেনি। আপনি যেগুলোরে আসমানী কিতাব আর কি কি সব বলছেন- সেগুলোও মানুষের লিখিত একেকটা গ্রন্থ।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:০২
শেখ চয়ন বলেছেন: ♦️ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে সর্বমোট আসমানী কিতাব পাঠানো হয়েছে ১০৪টি। তার মধ্যে ৪টি হলো প্রধান আসমানী কিতাব ও বাকি ১০০টি সহীফা। তবে কুরআন ও প্রধান হাদীসগ্রন্থ গুলোতে সব আসমানী কিতাবের সংখ্যা উল্লেখ নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫২
রাঙা মীয়া বলেছেন: আরো বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো। +++++++++