![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা অস্থিতিশীল সরকার ব্যবস্থা একটা দেশের অর্থনীতি কে কতটুকু ক্ষতি করতে পারে সেটা বোধহয় বাংলাদেশের ৩০০ জন এম.পি..আর ১০০' র বেশি মন্ত্রী বুঝতে পারেন না আর না বুঝে ও না বুঝার ভান করে ..দেশটা চুলয় যাক যে কদিন ক্ষমতায় আছি সে কদিন নিজের আখের গুছিয়ে শেষের দিকে লন্ডন..কানাডা , আমেরিকায় কেনা সম্পত্তিতে বসবাস কারা ধান্দায় মত্ত। আর এ দিকে এ দেশের অর্থনীতি চালিকা শক্তির মুল চাকা...বিগত ২ বছরে রাজনৈতিক অস্থিরতায় হাজার হাজার ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়েছে কোটি কোটি ডলার এর অর্ডার হাতছাড়া হয়েছে এ সব কিছুর কারন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আক্রােশ..ক্ষমতার লোভ..বাংলাদেশকে নিজের বাপ..স্বামীর সম্পত্তি মনে করা....
আজকে সকালে আমার এক বন্ধু যে কিনা ইউরোপ এর বিশাল এক বায়ার এর কর্মকর্তা .তার সাথে ফেসবুকে কথা বলছিলাম..কথা প্রসঙ্গে সে বললো তারা বাংলাদেশ থেকে অর্ডার সব মুভ করে মায়ানমার এ নিয়ে যাচ্ছে.... এবং মায়ানমার এ এখন প্রতিদিন নতুন নতুন ফ্যাক্টরী হচ্ছে.... যাদের সমগ্র প্রকার সাহায্য করছে...পাশ্ববর্তী দেশ চীন.... যার কারনে হয়তো দেখা যাবে আগামী পাচঁ বছরে বাংলাদেশ গার্মেন্টস রপ্তানী অর্ধেক এ নেমে আসবে....আর মায়ানমার চীন এর সহযোগীতায় গড়ে উঠবে গার্মেন্টস শিল্পে বিশার বাজার...
ভৌগলিক কারনে মায়ানমার অনেক সুবিধা..কারণ তারা সব গার্মেন্টস এর সকল প্রকার কাচামাল..যন্ত্রপাতি বাই রোড এ চীন থেকে আনতে পারবে যা সময়মত রপ্তানীতে একটা বিশাল প্লাস পয়েন্ট... এখন বড় বড় সব গার্মেন্টস বায়ার রা মায়ানমার এ অফিস খুলা শুরু করেছে, তারা বেনিয়ার জাত যেখানে সুবিধা পাবে সেখানে তারা যাবে এটায় বাস্তবতা....আমি ব্যক্তিগত ভাবে গার্মেন্টস শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় ১২ বছর ধরে...আমার মতে নিন্মোক্ত কারনে আমাদের এ শিল্পের অবনতি হচ্ছে...
১. রাজনৈতিক অস্থিরতা--- এটা সবচেয়ে বড় কারন...সবাই যত যত বড় বড় কথা বলুক না কেন কোন সরকার এ শিল্পের জন্য তেমন আহমারী কিছু করে নাই। একটু উদাহরন দিয়ে বলি বেপার টা....
---- বাংলাদেশে শতকরা ৭০-৮০ ভাগ গামেন্টর্স ইপিজেড এর বাইরে অবস্থিত....
ঢাকা/গাজীপুর এর - কেউ যদি লক্ষ্য করলে সরকার এর কোন সহযোগীতা নাই....গার্মেন্টস জোন গুলাের রাস্তাঘাট এর অবস্থা খুব বাজে...বিদ্যুত এর অবস্থা পুরা দিনে অর্ধেক টাইম থাকে না...যার কারনে পেটল্রার / ডিজেল কিনে কিনে ফ্যাক্টরী চালাতে যার যার কারনে কস্ট অব প্রোডাক্শন অনেক বেড়ে যায়, এ দিকে সরকার এর কোন খেয়াল নাই... প্রতি বছর একজন ফ্যাক্টরী মালিককে কমপক্ষে ১০-১৫ লক্ষ টাকা বিভিন্ন অনিয়ম করার জন্য সরকারী কর্মকর্তা কে দিতে হয় (যেমন কারেন্ট বিল মওফুক, গ্যাস বিল, পরিবেশ অধিদপ্তর, কাষ্টমস্ বন্ড আরো যারা সরকারী প্রতিষ্টান আছে সবাইকে)। রাস্তা ঘাট এর বাজে অবস্থা, বিদ্যুত এর সমস্যা এ সব কিছু সরকারের কারনে।
২. ফ্যাক্টরী মালিকদের অতিলোভ -- বাংলাদেশে প্রেক্ষিতে একটা প্রবাদ আছে... টাকা দিয়া টাকা কামানো খুব সহজ.....এই প্রবাদ টা গার্মেন্টস এর ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য. একটু উদাহার দিয়ে বলি..
আপনার যদি সম্পত্তি থাকে তাহলে সব বেসরকারী ব্যাংক আপনাকে শত শত কোটি টাকা লােন দিতে রাজি, সরকারী ব্যাংকে তো এ ক্ষেত্র এগিয়ে আছে... সরকারী ব্যাংক কিংবা বেসরকারী ব্যাংক এর শত শত কোটি টাকা লোন নিয়া মালিক রা কি করে? মনে করেন হলমার্ক হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়া কিভাবে গিলে ফেলল... হলমার্ক এর মত হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান আছে যারা কোটি কোটি টাকা নিরবে লোপাট করছে.... কিভাবে?
উক্ত টাকার মধ্যে একটা বিশাল অংশ হংকং, আমেরিকা, কানাডা, সুইস ব্যাংক এ জমা পরে একটা, মুলত দেশের ভঙ্গুর ব্যাংকিং সিষ্টেম পয়সাওলাদের আরো পয়সা বানানোর সুযােগ করে দিচ্ছে.।
৩. বিজিএমইএ---ইহা আসলে পয়সাওলাদের একটা ফুর্তি করার ক্লাব...ঢাকা ক্লাব..চিটাগাং ক্লাব এর মত....আপনি যদি কোন দিন ঢাকা কিংবা চিটাগাং এর বিজিএমই এ অফিস এ যান তাহলে স্বচক্ষে দেখতে পারবেন দৈনিক এই জায়গায় লাখ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেন হয়...আর যেখানে ঘুষ সেখানে ২ নম্বর কিছু তো থাকেই...।
৪. ভারত এর বিভন্ন দালাল------ দু:খজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতার জন্য ভারতে অনেকগুলাে পেইড দালাল চক্র কাজ করছে...তাদের কাজ হল এ শিল্পে অস্থিরতাকে জিইয়ে রাখা..
সর্বপোরী বাংলাদেশে এ সেক্টরেরর ভবিষ্যত লোড শেডিং এ ভরা যদি উপর ওয়ালা কোন কেরামতি না দেখান তাহলে হাজার হাজার লাখ লাখ বেকার শ্রমিক বোটে করে..সাগর পথে এ দেশ ছেড়ে ইন্ডিয়া..মায়ানমার কাজের সন্ধানে বের হবে...আর বাংলাদেশ পরিনত হবে ঠুনকো রাজার দেশে, যে দেশে বড় বড় বুলি থাকবে কিন্তু তলা থাকবে না।..
ধন্যবাদ
২| ৩১ শে মে, ২০১৫ ভোর ৫:৫৫
মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: সহমত
৩| ৩১ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
বিট বলেছেন: আমরা (বাংগালিরা) বৃটিশ আমলে শোষিত ছিলাম, পাকিস্তান আমলে লাঞ্চিত ছিলাম আর এখন স্বাধীন বাংলাদেশে ভোট দিয়ে সরকার গঠন করে বঞ্চিত রয়েছি। আমাদের ভাগ্য বদলের জন্য ক্ষমতাসীনরা কখনোই কিছূ করেনি এবং ভবিষ্যতে করবে কিনা একমাত্র উপরওয়ালা বলতে পারবে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১৫ ভোর ৪:০৬
শিশির খান ১৪ বলেছেন: দেখেন এটা সত্তি যে গার্মেন্টস আর রেমিটেন্স থেকে আয় এর উপর নির্ভর করে আমরা বাইচা আছি যারা সৌদি আরব যায় তারা খরচ বাদে সব টাকা দেশে পাঠায় আর যারা লন্ডন আমেরিকা যায় তারা হুন্ডি কইরা টাকা নিয়া ওইখানে বাড়ি কিনে দেশে টাকা আনার নামও নেয় না। সব এমপি মন্ত্রীর ছেলেরা তো বিদেশে পরে বিদেশে থাকে কয় জন দেশে থাকে ?এইবার আসেন গার্মেন্টস এর কোথায় যে ভাবে খরচ বারতাছে বা বেতন বারতাছে তাতে লাভের মাত্রা দিন দিন কমতাছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো এখনো সুদের হার কমাইতে পারতাছে না যা খুব দুঃখজনক তবে এভাবে খরচ বাড়লে বায়াররা মিয়ানমার আর আফ্রিকা তে চলে যাবে এটা খুব স্বাভাবিক।আমার ধারণা ১৫ বছর পর বাংলাদেশেও আর কোনো গার্মেন্টস না থাকার কথা। এভাবে চায়না শ্রীলংকা বাজার হারাইছে আমরাও হারাবো তাই এখনি গার্মেন্টস এর পরিবর্তে অন্য খাতে টাকা বিনিয়োগ করলে লাভ অনেক বেশি ও দির্ঘ স্থায়ী হবে।