নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ জামিল

দ্বীচক্রজান

মোহাম্মদ জামিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারণে দপ্তর হারালেন সৈয়দ আশরাফ-প্রথম আলো

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৮

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দপ্তর হারানোর গুঞ্জন শুরু হয় গত মঙ্গলবার একনেকের বৈঠকের পর। ওই বৈঠকে হাজির না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন-এমনটাই ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমে। ওই দিন খবরের সত্যতা কোনো সরকারি সূত্রে স্বীকার করা না হলেও আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন সত্যি হলো।
তবে সৈয়দ আশরাফকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ কী?-এ নিয়ে আজ আওয়ামী লীগের শীর্ষ ও মধ্যম পর্যায়ের আটজন নেতার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। অধিকাংশ নেতার মতে, মন্ত্রণালয়ে সৈয়দ আশরাফের অনুপস্থিতি, সাংসদদের ইচ্ছেপূরণ প্রকল্পে বাধা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি আনা এবং সর্বোপরি দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় করতে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দলটির একজন সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্যের মতে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সৈয়দ আশরাফ থাকতেই চাননি। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের প্রতি যাতে বেশি মনোযোগ দিতে পারেন, সে জন্য তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের বাইরে তিনি তাঁর কার্যালয়ে যাননি। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। এইভাবে কী মন্ত্রণালয় চলে? আমার কাছে মনে হয়, মন্ত্রণালয়ে তাঁর অনুপস্থিতি এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে কাজে গতি আনতে তাঁকে ওই পদ থেকে সরানো হয়েছে।’
ওই নেতার মতে, সৈয়দ আশরাফের মন্ত্রণালয়ে অনুপস্থিতির বিষয়টি নিয়ে এক মাস আগে থেকে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, হঠাৎ করে নয়, ভেবেচিন্তেই সৈয়দ আশরাফকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, সৈয়দ আশরাফ একজন নির্লোভ মানুষ। অন্য কাউকে যদি মন্ত্রী থেকে বাদ দেওয়া হতো তিনি কখনো বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে যেতেন না। তিনি সেখানে গেছেন, সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেছেন। এটা একজন নির্লোভ ব্যক্তি ছাড়া আর কারওর পক্ষে সম্ভব না।
দলের সম্পাদকমণ্ডলীর তিন সদস্য প্রথম আলোকে যা বলেছেন তাঁর মোদ্দা কথা, সৈয়দ আশরাফ মন্ত্রণালয়ে যান না, এটা একটা বড় কারণ। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সাংসদের ইচ্ছেপূরণ প্রকল্প নিয়ে সৈয়দ আশরাফের আপত্তি ছিল। কিন্তু ওই প্রকল্পে সায় ছিল প্রধানমন্ত্রীর। গত মঙ্গলবার একনেকের সভায় উত্থাপনের জন্য আটটি প্রকল্পের প্রথমেই ছিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’, যা সাংসদের ইচ্ছে পূরণ প্রকল্প নামে পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ থেকে আসার পর আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান সৈয়দ আশরাফ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফ বৈঠক করেন। এরপর বিকেলে সৈয়দ আশরাফকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৮

মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: মন্ত্রী সাহেব সারাদিন টাকিলার উপর থাকেন, অফিস করার টাইম কই!

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৮

বালুচর্ বলেছেন: বুঝা গেছে বিষয়টা।
ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.