![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় আমরা সবাই মানুষ ছিলাম।হঠাৎ করে তখন এক ভণ্ডু খোদার আবিষ্কার হল।শুরু হয়ে গেলে ধর্মের/খোদার দলের দালালী(মানুষের মধ্যে মারামারি হানাহানি)ভণ্ডু খোদার এক বিশেষ দালাল হল ইসলামধর্মের নবী মুহাম্মদ।ধর্মিয় বই নাকি আসমান থেকে এসেছ,আরে বোকার দল তাহলে তদের মালিককে বল আমাকে একটি আইটির বিশেষ বই দিতে।আমি আইটির ব্যবহার ও উন্নত মান দিয়ে তোদের খোদা হওয়ার দাবী করব।তোমরা বল কোরান,বাইবেল, গীতা আরও কত্তকিছু উপর হতে এসেছে।তোমরা কি দেখনা এখন মানুষ উপর(চন্দ্র,মংগল ইত্যাদিতে ভ্রমণ করছে)চোখ খুল মানুষ, চোখ খুল।
কেমন হবে দারুল ইসলাম?
১৭৪৫ সালে শিখ সম্প্রদায়ের একজন মানুষ ভাই তারু সিংহকে হত্যা করে মোগল শাসকেরা, তখন পাঞ্জাবের শাসক ছিলেন জাকারিয়া খান। সে সময় পাঞ্জাব অঞ্চলে মোগল তহশিলদারদের অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল, তারা শিখদের ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করছিল। এর প্রতিবাদে কিছু শিখ একত্রিত হয়ে বিদ্রোহ করেছিলেন, তারু সিংহ ছিলেন সেই বিদ্রোহীদের একজন। তারু সিংহ পেশায় ছিলেন একজন কৃষক, মোগলদের অত্যাচার কোন পর্যায়ে পৌঁছালে একজন সাধারণ কৃষকও বিদ্রোহী হয়ে হঠে তা ভাবতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বিদ্রোহী তারু সিংহ মোগলদের হাতে ধরা পড়ে যান, প্রথমে তাকে জেলে বন্দী রাখা হয়, তারপর তাকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হবার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারু সিংহ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। এরপর শুরু হয় তারু সিংহের ওপর নৃশংস নির্যাতন। তার চুল সমেত মাথার খুলির ওপরের অংশ তুলে নেওয়া হয়, এই অত্যাচারেই ১৭৪৫ সালে লাহোরে ভাই তারু সিংহ মারা যান। পরে শিখরা তার স্মরণে সেখানে শহীদি আস্তান ভাই তারুজি গুরুদ্বার নির্মাণ করে। স্থানীয় মুসলমান এবং পাকিস্তান সরকার এখন সেই গুরুদ্বারটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছে।
কিছুদিন আগে পাকিস্তানের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য রাজধানী ইসলামাবাদে কৃষ্ণ মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিল ইমরান খানের সরকার। মন্দির গড়ার জন্য দশ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল পাকিস্তান সরকার। শুরু হয়েছিল মন্দিরের নির্মাণকাজও। কিন্তু তারপর? ইসলামী সংগঠন জামিয়া আশরাফিয়া ফতোয়া জারি করে সেখানে মন্দির নির্মাণ করা যাবে না, মন্দির নির্মাণ করলে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মন্দির নির্মাণবিরোধীদের আন্দোলনের ভয়ে ইমরান খানের সরকার তড়িত গতিতে মন্দিরের নির্মাণ কাজ স্থগিত করে।
আমাদের বাংলাদেশের কোনো কোনো মুসলমান হয়তো বলবেন, ‘ইসলাম ইহা সমর্থন করে না, ইহা সহি ইসলাম নহে।’
আসুন দেখি এ বিষয়ে ইসলামী পণ্ডিতরা কী বলেন। পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ আলেম মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানী এবং দেশটির চাঁদ দেখা কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা মুনিবুর রহমানসহ দেশটির একাধিক শীর্ষ আলেম বলেছেন, ‘মুসলিম সরকারের পক্ষ থেকে অমুসলিম সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ের সংস্কারকাজে সহায়তা করা বৈধ থাকলেও সরকারি জমিতে ও সরকারি অর্থায়নে অমুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য নতুন করে উপাসনালয় নির্মাণ করে দেয়া বৈধ নয়। ইসলাম এ কাজ সমর্থন করে না।’ তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর অনলাইন, ৪ জুলাই, ২০২০।
হ্যাঁ ভাই, এটাই সহি ইসলাম। নবী মুহাম্মদও কোরাইশদের কাবা মন্দির দখল করেছিলেন। এটাই ইসলামী সংস্কৃতি। পৃথিবীর সমস্ত ইসলামী দেশে এবং ভারতবর্ষে এভাবেই অসংখ্য মন্দির, গীর্জা, গুরুদ্বার, প্যাগোডাকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ইসলামাবাদে কৃষ্ণমন্দিরটি নির্মাণ করতে দেওয়া হলে সেটাই হতো ইসলামাবাদের প্রথম মন্দির! খেয়াল করুণ, প্রথম মন্দির! কী অদ্ভুত না? ইসলামাবাদের ভূ-খণ্ড তো আর আরব থেকে এনে বসিয়ে দেওয়া হয় নি, সেখানে অমুসলিমরা বাস করতো, তাদের ধর্ম ছিল, সংস্কৃতি ছিল, উপাসনালয় ছিল। সে-সব কোথায় গেল? জবরদস্তিমুলক রূপান্তরের চক্রে হারিয়ে গেছে!
পাকিস্তান দ্রুত গতিতে দারুল ইসলামের দিকে এগিয়ে চলেছে। কেমন হবে দারুল ইসলাম? এই প্রশ্নের মোটামুটি একটা চিত্র পাওয়া যায় পাকিস্তানে, সেখানে জোর করে অমুসলিমদের ধর্মান্তর করা হয়, অমুসলিম তরুণীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কখনো বিয়ে করা হয়, কখনো অমুসলিম নারীদের ধর্ধষ করে হত্যা করা হয়! অমুসলিমদের উপাসনালয় নির্মাণ করতে দেওয়া হয় না, বরং উপাসনালয় ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এসবই দারুল ইসলামের দিকে এগিয়ে যাবার আলামত।
সারা পৃথিবীব্যাপী দারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় এই যে মুনিন ভাইয়েরা এতো খাটা-খাটনি করছে- বোমা বিস্ফোরণে মানুষ হত্যা করছে, গুলি করছে, জবাই করছে। এমনকি আত্মঘাতী বোমা মেরে নিজের জীবন পর্যন্ত উৎসর্গ করছে। এ কী কম পরিশ্রমে কাজ! এতো পরিশ্রম করে তারা যে ‘দারুল ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, কেমন হবে সেই ‘দারুল ইসলাম’?
দারুল ইসলামে কোনো ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, ভিন্ন মতাবলম্বী, ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ থাকবে না। সব পুরুষকে দাড়ি রেখে জোব্বা পরতে হবে। ওই শেভ করে গাল চকচকা রাখা, প্যান্ট-শার্ট বা টাই-কোট পরা ওসব চলবে না হে বাপু! গায়ে উল্কি আঁকা চলবে না। নারীদের বোরকায় আবৃত এবং ঘরে থেকে কেবল পুরুষকে যৌনসঙ্গ দেওয়া, বাচ্চা জন্ম দেওয়া এবং লালন-পালন করতে হবে। বাইরে গিয়ে কাজ করা চলবে না। স্বামীর সোহাগে সতীন আর দাসীদের ভাগ বসবে! ওসব ভ্রূ প্লাক করা চলবে না আপুনি, ঠোঁটে লিপস্টিক দেওয়া, রঙ-বেরঙের জামা পরে বাইরে যাওয়া সব ভুলে যেতে হবে। গান-বাজনা? তওবা তওবা, ভুলেও ওসব শোনা চলবে না। সিনেমা দেখা যাবে না। ভণ্ড মুমিন মুশফিক ভাইটির মতো ক্রিকেট খেলা চলবে না। তীর নিক্ষেপ, সাঁতার আর অশ্বদৌড় ব্যতিত সব খেলা হারাম। হয়তো চিকিৎসা বিদ্যার জন্য হাসপাতালে লাশ কাটাও নিষিদ্ধ হতে পারে! পাশ্চাত্যের কোনো দেশে জঙ্গিরা মানুষ হত্যা করলে খুশিতে পিচ্চি ছাগলের বাচ্চার মতো লাফানো মুমিন ভাইটি শোনো হে, নিজের স্বাধীন মতো চলতে পারবে না, জব্বার চাচার অবাধ্য হয়ে মোবাইলে এখনকার মতো পর্ণ রাখতে পারবে না, প্রেম করতে পারবে না!
আমাদের সামনে এখন দুটো পথ- হয় সভ্য জগত, নয়তো দারুল ইসলাম!
©somewhere in net ltd.