নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিন প্রতিদিন

জানা

জানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৈশভোজের সৌন্দর্য উপভোগের প্রতিক্ষায় আমরা ১৬কোটি

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২

ভাগ্যবান জাতি আমরা !



অবশেষে সর্বসাধারণের দীর্ঘ সময়ের মুখিয়ে থাকা চাওয়া এবং উপচে পড়া তীব্র উৎকন্ঠার অবসান ঘটলো বুঝি। আমাদের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের প্রাণপ্রিয় অভিভাবকদ্বয় পরষ্পরের সাথে দুটো আলাপ করলেন! হোক সে যন্ত্রের যোগাযোগ, হোক সে লাল কিংবা কালো যন্ত্রে; অপেক্ষা-প্রতিক্ষার কঠিন দেয়াল ভেঙে দিয়ে অন্তত অপেক্ষাকৃত নরম একটি 'আশা'র 'যোগ' যুগিয়েছেন আমাদের জান-মালের ইতিহাসে। সুদীর্ঘ সেই যন্ত্রালাপ ইতিহাস হলো। পরষ্পর কুশল বিনিময় হলো, একজন আরেকজনকে হাসিমুখে নিমম্ত্রণ করলেন। হোক সে গ্রহণ-প্রত্যাখানের দোটানা, হোক সে স্বেচ্ছায় তৈরী অচলাবস্থার বাহানা, হোক সে মান-অভিমানের ভিন্ন সংস্করণ। একটি নাটকীয় উৎকন্ঠাতো মোচন হলো। একজন আরেকজনের অতিথী হওয়ার অমূল্য সম্ভাবনাটি অন্তত প্রায় (!) তৈরী হলো। সেতো কম পাওয়া নয়! আমরা ১৬ কোটি ভাগ্যবানেরা এখন মৃদু আনন্দে দুলছি বৈকি 'আশা'র দোলনায়। নাটকের শেষ দৃশ্যটির যেন শুভ পরিণাম ঘটে।



'নিমন্ত্রণ' বা 'দাওয়াত' শব্দটি আমাদের বাঙালীর জীবনে,মননে একটি আন্তরিক, আনন্দময় এবং সুবাসময় আবহ মনে করিয়ে দেয়। অন্তরের সুবাস, স্পর্শের সুবাস, আলোর সুবাস। তার সাথে যুক্ত থাকে বাঙালীর ঐতিহ্য অনুযায়ী অবশ্যই দুটো ভাল-মন্দ খাবার-দাবার। হোক সে ঝিঙে, পটল, সজনে ডাটা, সরষে ইলিশের বাহারী কিংবা পোলাও, কোর্মা, কোপ্তা, কালিয়ার মোগলাই দাপট। নিমন্ত্রণ বলে কথা।



ঐতিহাসিক সেই নেমনতন্নের গল্পে কেবল একটি শ্বাসযোগ্য-বিশ্বাসযোগ্য সুবাতাসই আমাদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে পারে। নিমন্ত্রণকারীর আন্তরিকতা আর নিমন্ত্রিতের সততাই একত্রে বসে সেই নৈশভোজের সুস্বাদ নিশ্চিত করতে পারে। এই নেমন্তন্নে আমরা তন্ন তন্ন করে কোন স্বার্থপর/স্বার্থান্বেষী অমঙ্গলের আভাস যেন খুঁজে না পাই। মঙ্গলই আমাদের আলোময় আবাস হোক। বিশ্বাস করতে চাই, আমাদের অভিভাবকদ্বয় ১৬ কোটি মানুষের কথা ভেবে সেই শঙ্কাহীন মঙ্গলকর আলোময় আবাসটুকু নিশ্চিত করবেন আসন্ন নৈশভোজের পর।



মন্তব্য ১২৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতির এক দারুণ স্কেচ। +।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জানা বলেছেন:

ধন্যবাদ শরৎ। এতকিছুর পরও সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো হচ্ছে। কেউই কথা রাখছেন না, কেউ কথা রাখেননা। কিংবা কথা কেবল বলার জন্যেই বলা। কারোর কথার ওজন নেই, নেতৃপর্যায়ের মানুষগুলোর কোন মর্যাদাবোধ নেই...দায়িত্ববোধ আর থাকবে কিভাবে!!

আমাদের জীবন-যাপন, আমাদের অধিকার সবকিছু নিয়ে কেমন ছেলেখেলা চলছে। আমাদের তথা কথিত অভিভাবকদের স্বার্থ চিন্তা জাতিয় স্বার্থ চিন্তাকে প্রতিমুহূর্ত ক্ষুন্ন করে চলেছে। তা না হলে গতকালকের এই আলাপচারিতা আজকেই আমাদের ১৬ কোটির জীবনে স্বস্তি এনে দিতো।

তবুও আশা ছাড়ছি না। কারণ মানুষ, সত্যিকারের মানুষ কখনও সবটুকু বোধ-বিবেক স্বেচ্চায় বিসর্জন দিতে পারে না। মানুষের জয় হবেই।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

নেক্সাস বলেছেন: গনভবনে দাওয়াত খেতে চাই।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

জানা বলেছেন:

দাওয়াততো দিয়েই রেখেছেন মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী। এমন কী তিনি যতজন খুশী সাথে নিয়ে দাওয়াত খেতে যেতে বলেছেন। এখন শুধু মাননীয় প্রাক্তন প্রধাণমন্ত্রী তাঁর বিশাল একটি দল নিয়ে হাসিমুখে দাওয়াত রক্ষা করলেই হয়ে যায়। তাতে কোনভাবে যদি আপনার, আমার মত দু'একজন ঢুকে পড়তে পারি তাহলেতো আর কথা নেই।

;) :)

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

সুমন জেবা বলেছেন: হোক সে ঝিঙে, পটল, সজনে ডাটা, সরষে ইলিশের বাহারী কিংবা পোলাও, কোর্মা, কোপ্তা, কালিয়ার মোগলাই দাপট।
নিমন্ত্রণকারীর আন্তরীকতা আর নিমন্ত্রিতের সততাই একত্রে বসে সেই নৈশভোজের সুস্বাদ নিশ্চিত করতে পারে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

জানা বলেছেন:

নিমন্ত্রণকারীর আন্তরীকতা আর নিমন্ত্রিতের সততাই একত্রে বসে সেই নৈশভোজের সুস্বাদ নিশ্চিত করতে পারে- এটাইতো আমাদের সমস্ত উদ্যেগ ছাপিয়ে একটি শুভ উদ্যোগের শুভ পরিণাম আনতে বাধ্য।

আমরা হাল ছাড়ছি না। মঙ্গল আসবেই।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




আমাদের দেশের দুই দেশ নেত্রী দুজনেই বাংলাদেশের এই ঐতিহ্যটিকে খুব সুন্দরভাবে বজায় রাখবেন এই প্রত্যাশা রইল।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

জানা বলেছেন:

আমাদের দু'জন নেত্রীর জীবনেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান অতীত রয়েছে। তাঁদের দু'জনের কেউই সেই অতীতকে অবজ্ঞা করে সর্বসাধারণের স্বার্থকে, জীবনকে ক্রমশঃ অন্ধকারে ঠেলে দেবেন না আশা করি এখনও।

গতকালকের টেলিফোনে তাঁদের আলাপে সব বিষয় নিয়ে আলোচনার আহবানের সাথে প্রধাণমন্ত্রীর নিমন্ত্রণটি মাননীয় বিরোধী নেতা গ্রহণ করলে জাতীয় জীবনে আজকে একটি ভিন্ন ইতিবাচক পয়েন্ট যোগ হতো। আর সেই ইতিবাচক সংযুক্তি বিরোধী দলের ঘরেই ফসল এনে দিতো। কারণ আমরা সাধারণ মানুষ কেউই হরতাল সমর্থন করিনা। এমন কি আলোচনার উদ্যোগে ওপক্ষ থেকে ফোন করা হলে হরতাল দেয়া হবেনা বলেও একটি দারুণ ইতিবাচক এবং দায়িত্বশীল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাননীয় বিরোধী নেতা। কিন্তু হায়! সব ইতিবাচকের গুড়ে স্বেচ্চায় বালি ঢেলে দিলেন তাঁরা স্বযত্নে। ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে; একগুচ্ছ প্রাণ হারিয়ে গেছে আজ। দেশে সার্বিক অশান্তি বয়েই চলেছে।

এই মুহূর্তে খুব জানতে মন চাইছে ক'টা জিনিস:

১। ৬০ ঘন্টার হরতাল কী এভাবেই চলবে/প্রলম্বিত হবে নাকি তাঁদের দেশের জন্য এবং সর্বসাধারণের জন্য মঙ্গল ভাবনা জাগ্রত হবে।
২। সরকার আর কি উদ্যোগ নিলে বিরোধীদল কথা কইতে রাজি হবেন বা দাওয়াত কবুল করবেন।

৩। এই শঙ্কটকালে সরকার পক্ষ এবং বিরোধী পক্ষ এঁদের কেউই কী নিজেদের মর্যাদাটুকু রক্ষার জন্য পরষ্পর খোঁচাখুচির রাজনীতি থেকে সরে দায়িত্বশীলতার পরিচয় রাখবেন না? কে আসবেন এগিয়ে?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব।

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব বলেছেন:




আমাদের দেশের দুই দেশ নেত্রী দুজনেই বাংলাদেশের এই ঐতিহ্যটিকে খুব সুন্দরভাবে বজায় রাখবেন এই প্রত্যাশা রইল।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০১

জানা বলেছেন:

আমাদের সবার প্রত্যাশা দুই প্রধাণ নেতার মধ্যে একটি শান্তিপূর্ন ও ফলপ্রসূ আলোচনা হবে অচিরেই। শংকট কেটে যাবে। আমাদের সবার এই চাওয়া সত্য হোক, সফল হোক।

ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

না পারভীন বলেছেন: চমৎকার লেখনী , খুব ভাল লাগলো .

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

জানা বলেছেন:

অনেক ধন্যবাদ পড়বার জন্যে।


এই শঙ্কটের সময়ে আমাদের উচিত হবে সম্মিলিত ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা এবং তা প্রকাশ করা আন্তরীকতার সাথেই।

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:





জনতার চাওয়া পূর্ণ হোক এই নৈশভোজের মাধ্যমে। গড়ে উঠুক মানবতার চাদর গুড়িয়ে যাক সকল অনিয়ম।

পোষ্টে ++++

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

জানা বলেছেন:

অশেষ ধন্যবাদ।

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

আশিক মাসুম বলেছেন: onader upor allar rihmot najil hok... shuv bodh er udoy hok. ..

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

জানা বলেছেন:


এটাই আমাদের সম্মিলিত প্রার্থণা হোক। অন্ধকারতো চিরস্থায়ী হতে পারেনা।

ধন্যবাদ আশিক।

৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

শ্যামল জাহির বলেছেন: বিশ্বাস করতে চাই, আমাদের অভিভাবকদ্বয় ১৬ কোটি মানুষের কথা ভেবে সেই শঙ্কাহীন মঙ্গলকর আলোময় আবাসটুকু নিশ্চিত করবেন আসন্ন নৈশভোজের পর।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০০

জানা বলেছেন:


তাঁরা দু'জনই সম্পুরকভাবে একটি জাতির ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্বে রয়েছেন। তাই আমাদের বিশ্বাস এবং আস্থাটুকু থাকছেই।


ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

মাহির ফয়সাল শাহী বলেছেন: গনভবনে দাওয়াত খেতে চাই :D

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০১

জানা বলেছেন:

আগে মাননীয় বিরোধী নেত্রী খেয়ে আসুন। তারপর আমরা নাহয় মিলেমিশে মিষ্টি খাবো। :)

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: যখন আর কিছু করার থাকে না, তখন আমরা শুধু আশা করতে পারি! আমরা আশায় রইলাম, সুন্দর কিছুর আশায়!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১০

জানা বলেছেন:

না, আর কিছুই করার নেই তা নয়। আমাদের উভয় পক্ষের সদিচ্ছা, দায়িত্বশীলতা আর পরষ্পর শ্রোদ্ধাবোধ জাগ্রত রাখলেই অনেকখানি কাজ হবে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টিতেই ইতিবাচক থাকাটাই বুদ্ধমত্তার হবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সকলের ইতিবাচক মনোভাবের পাল্লা যত ভারী হবে ততই সম্ভাবনা উজ্জল হবে।

ধন্যবাদ।

১২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: মিলুক তার।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

জানা বলেছেন:

মতের এবং চাওয়া-পাওয়ার যতবড় অমিলই থাকুকনা কেন, দু'টি প্রধাণ রাজনৈতিক দলের প্রধান দু'জন অন্তত পরষ্পর হাসিমুখে কথা বলেছে। ওনার আন্তরীকতার অভাব দেখা গেছে তো তেনার অসহিষ্ণুতা প্রষ্ফিতিত হয়েছে ইত্যাদি বকবকানি থেকে আমদের এই মুহূর্তে দূরে থাকা উচিত। ব্যক্তিগতভাবে আমি আশার আলোই দেখছি।

ধন্যবাদ।

১৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: আমাদের অভিভাবকদ্বয় ১৬ কোটি মানুষের কথা ভেবে সেই শঙ্কাহীন মঙ্গলকর আলোময় আবাসটুকু নিশ্চিত করবেন আসন্ন নৈশভোজের পর।

অনেক ধন্যবাদ জানাপু কে এই বিষয়টি নিয়ে মুল্যবান আলোচনার জন্য ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২১

জানা বলেছেন:

বিষয়টি নিয়ে আমাদের সবার মতামত প্রকাশ এবং খোলামেলা আলোচনার সুযোগ রয়েছে। অন্তত দু' নেতার মুখোমুখি বসবার সম্ভাবনাটকুতো তৈরী হয়ে গেছে। আর বিরোধী নেত্রী সময় নিয়ে দোটানায় পড়লেও প্রধাণমন্ত্রীর দাওয়াততো অগ্রাহ্য করেন নি। এটা পরিষ্কার ছিল। তবে আর সম্ভাবনা দেখবোনা কেন?

ধন্যবাদ নিপু।

১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্টের জন্য জানা আপাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়ার নৈশ ভোজের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হোক। হিংসা বিদ্ধেষ হানাহানি থেকে সরে আসুক দুই দল ।

বাংলাদেশ হোক একটি অহিংস অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র । সঠিক গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার ভূমিকায় দুই নেত্রী আলোচনার মাধ্যমে এক অনন্য নজির স্থাপন করবে এটাই একমাত্র কামনা।

ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ ও দেশের সকল মানুষ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৩

জানা বলেছেন:

আমাদের সম্মিলিত সৎ চাওয়া সত্যি হোক।

সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

এম ই জাভেদ বলেছেন: বিরোধীদলীয় নেত্রীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই দাওয়াতের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক শিষ্টাচারের ইতিহাসে বিরাট মাইল ফলক হয়ে থাকবে।

হ্যাপি এন্ডিং এর অপেক্ষায় উৎকণ্ঠায় সমগ্র দেশবাসী।

জানা আপু কে ধন্যবাদ বিষয়টি দারুণভাবে আলোকপাত করার জন্য

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

জানা বলেছেন:

বিরোধীদলের নেত্রীকে প্রধাণমন্ত্রী ফোন করবেন, আলোচনার প্রস্তাব করবেন, সেই মোতাবেক দু'জন যাঁর যাঁর নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সবার অংশ গ্রহণে একটি সুস্থ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রসারিত হবে- এইতো কথা ছিল, এটাইতো বিরোধী নেতার চাওয়া বা আল্টিমেটাম ছিল। প্রধাণমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সেই উদ্দোগের শুরুটা যেভাবে হওয়া উচিত ছিল তারতো ব্যাতিক্রম হয়নি। দুই প্রধাণ নেতাই হাসিমুখে কুশল বিনিময় করেছেন। ফোনে কথা বলার সময় (অন্তত যেটুকু আমরা মিডিয়ায় দেখেছি) মাননীয় প্রাক্তন প্রধাণমন্ত্রী হাসিমুখ আমাদের সবার ভাল লাগার মতই ছিল। অপরদিকে মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীর দাওয়াত দেবার ভঙ্গীটি ছিল অত্যন্ত সহজ সরল, আন্তরিক এবং আপনজনের মত। এতে আর কোন পক্ষেরই এটা-সেটার অভাব ছিল তো এটা হয়নি তো সেটা হওয়ায় এনার-ওনার মান ভাঙেনি- এসব হাবিজাবি বলে সময়ক্ষেপণ চুড়ান্ত বোকামী হচ্ছে। দুটি দলেরই পরষ্পরের প্রতি অপ্রয়োজনীয় বাঁকাকথা, ওজনহীন এটা-সেটা বাহানা তোলা, ফলাফলহীন তেতো বাক্য নিক্ষেপের ঘনঘটা ইত্যাদি এড়িয়ে সহিষ্ণু আচরণই এই মুহূর্তে দুটি দলের বুদ্ধিমত্তা, সততা ও আন্তরীকতার প্রকাশ হবে।

টেলিকথনের এক পর্যায়ে মাননীয় প্রধাণমন্ত্রীর আন্তরিক নেমতন্ন যেমন ইতিহাস মনে রাখবে তেমনি এই নেমনতন্ন গ্রহণ করে (যা বিরোধী নেত্রী করেছেনও) নিজের দেয়া আলটিমেটামের শর্ত নিজেই না ভেঙে ঠিক এই মুহূর্তে হরতালের মত জনবিরোধী কর্মসূচিটি প্রত্যাহার করে নিয়ে উভয় পক্ষের সম্মান এবং সর্বসাধারণের চাওয়াকে মূল্য দিলে সেটাও বি এন পি'র ইতিহাসে উজ্জল জায়গা করে নেবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পরষ্পর শ্রদ্ধাবোধের এই ইতিহাস জেনে গৌরববোধ করবে, শিক্ষা নেবে। তাই এখনই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া ফরজ হয়ে গেছে। আবারও বলি, এই পদক্ষেপ প্রকৃতপক্ষে বিরোধীদলের প্রতি মানুষের আস্থা আরও জোরদার হবে। ফসলের বড় অংশটি তাঁদের ঘরেই যাবে।

ধন্যবাদ।

১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ঐতিহাসিক সেই নেমনতন্নের গল্পে কেবল একটি শ্বাসযোগ্য-বিশ্বাসযোগ্য সুবাতাসই আমাদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে পারে


সহমত ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

জানা বলেছেন:

সেটিই আসল কথা।

আশা করি মাননীয় বিরোধী নেতা বিষয়টি ভাবছেন এবং হরতালের মত ভুল বিষয়টি তুলে নিয়ে আলোচনায় বসে আমাদের ১৬ কোটির কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবেন।

ধন্যবাদ মামুনভাই।

১৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

আমি ইহতিব বলেছেন: আপু উনারা যদি এতো উদার হতে পারতেন তবে আমাদের দেশটার বর্তমান চেহারা আরো সুন্দর থাকতে পারতো।

তবু আশাবাদী হতে চাই আপনার মতো করে।

শুভ কোন বার্তা বয়ে আনুক এই ঐতিহাসিক নৈশভোজ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৭

জানা বলেছেন:

অন্তত সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। ভাল থাকুন।

ধন্যবাদ।

১৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

এম মশিউর বলেছেন: তারা যেন আমাদের আশায় গুড়েবালি না দেয়!

তাদের উপর জনগন আর আস্থা রাখতে পারছে না। ক্ষমতা নিয়ে হানাহানি নয়; সুষ্ঠু দেশ পরিচালনা করুক, এটাই চাই।।


ধন্যবাদ সমসাময়িক বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৭

জানা বলেছেন:

ধন্যবাদ আপনাকেও।

১৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নৈশভোজের সৌন্দর্য উপভোগের প্রতিক্ষা?
আমি এতটা আশা করি না।

"এখন কি করবো" এটা নিজে বোঝার যোগ্যতাটা পর্যন্ত নেই!
যতক্ষন না পর্যন্ত সমসের মবিন, ফালু বা সফিক রেহমানরা তাকে দেখিয়ে না দিচ্ছেন।
এখন তো তাও পারেন না। জামাতি নেতাদের থেকে ok সিগনেল নিতে হয়।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির দিন সামান্য হরতাল প্রত্যাহার করতে ৬-৭ ঘন্টা লেগে গিয়েছিল!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

জানা বলেছেন:



বিরোধী নেত্রীর দেয়া আলটিমেটামের উদ্দেশ্য-বিধয় দুটোই কিন্ত আমরা দেখে ফেলেছি ইতিমধ্যেই। বলেছিলেন, আলোচনার উদ্যোগ নেয়া না হলে ৬০ ঘন্টার হরতাল দেয়া হবে। কিন্তু সে বিষয়টিতো মিটেই গেছে। প্রধাণমন্ত্রী ফোন করেছেন, দাওয়াত দিয়েছেন সব বিষয় নিয়েই কথা বলবেন এবং একসংগে একটু খাবেনও। সেই হিসেব অনুযায়ীইতো আজ থেকে আর হরতাল হবার কথা নয়।

শরিক দল-টলের মতের উপর নির্ভর না করে একজন নেতার যথেষ্ট ক্ষমতা থাকার কথা যো কোন কর্মসূচী গ্রহণ বা বাতিল করার জন্য। গতকাল সন্ধ্যায় প্রধাণমন্ত্রীর ফোনকল পাওয়ার পর দ্রুতই সে ব্যাবস্থা নেয়া যেতো, সৎ উদ্দেশ্য। তাতে সর্বসাধারণের কাছে আরও প্রিয়তা পাবার অমোঘ সুযোগ ছিল। আমি বলবো, যেই সুযোগ এখনও রয়েছে সুস্পষ্টভাবেই এবং তার সদ্ব্যবহার করে মানুষের কাছে দায়িত্বশীলতার উদাহরণ হয়ে থাকুন। সাধারণ মানুষ 'আওয়ামী' আর 'বি এন পি'র রাজনৈতিক অংক কষার চেয়ে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিস্থিতিকেই চায়। সেদিকটা বিবেচনা করেও সেজে-গুজে বড় একটা দল নিয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দাওয়াত কবুল করে একসাথে বসা উচিত নির্দিষ্ট সময়েই।

ধন্যবাদ।

২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ভোরের সূর্য বলেছেন:
আশাকরি ফিফটি সিক্স কোর্সের লাঞ্চ বা ডিনার টেবিল যেখানেই হোক না কেন সমঝোতা হবে দুই নেত্রীর। আমি খুব ক্ষুদ্র একজন মানুষ কিন্তু আমিও দুই নেত্রীকে দাওয়াত দিলাম যদি আপনারা এমন লাঞ্চ বা ডিনার টেবিলে খেতে খেতে আলোচনা করে রাজনৈতিক সমাধান করতে চান তাহলে আমার তরফ থেকে এরকম লাঞ্চ বা ডিনারের আয়োজন আমিই করবো আপনাদের সম্মানে।আমরা খুব আশাবাদী মানুষ। সবাই তাকিয়ে আছি আপনাদের দিকে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

জানা বলেছেন:


যাবতীয় মঙ্গলের দিকেই চেয়ে আছি আমরা। সকলের ইতিবাচক মনোভাব সুফল আনবেই।

ধন্যবাদ।

২১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
কিছুদিন আগেও আমরা কেউ ফোনালাপ কল্পনা করিনি। কিন্তু ফোনালাপ হয়েছে।

আমাদের হতাশ হবার সুযোগ নেই। হতাশা পরিস্থিকে আরো কালোকুঠুরির দিকে টেনে নিয়ে যায়।

যদি আমরা ১৬ কোটি মানুষ একসাথে আশাবাদী হই, ভালো কিছু চিন্তা করি, তাহলে ছোট্ট ফোনালাপ থেকে তৈরি হওয়া শান্তির সম্ভাবনা একটি চমৎকার নৈশভোজের পর আমাদের সবার মিষ্টিমুখ হবার উপলক্ষে পরিণত হবে।

সেই অপেক্ষায় থাকলাম। আপনাকে নিরন্তর শুভেচ্ছা।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

জানা বলেছেন:

ঠিক এই কথাগুলোই বলছিলাম @অস্পিসাস প্রেইস।

দুই প্রধাণ নেতা একসাথে একটিবার বসতে সম্মত হয়েছেন- এটাই আপাতত আলোর আভাস। আমরা আশা করতেই পারি এই আলো গাঢ় হবে, উজ্জল হবেই।

ধন্যবাদ।

২২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ব্লগারদের কাছে বিনীত অনুরোধ, এটি সুস্থ এবং প্রাণবন্ত আলোচনার জন্য সবার অংশগ্রহণের।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

জানা বলেছেন:

ধন্যবাদ শরৎ।

২৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রশাসন দিয়ে সবদলের অংশগ্রহনের নিরপেক্ষ নির্বাচন এখন সবার দাবি।আশা করি দুই নেত্রী একমতে আসবেন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

জানা বলেছেন:

একটি সর্বদলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষে্য এই পর্যন্ত যে পারষ্পরিক প্রস্তাবগুলি রয়েছে তার মিশেল ঘটালে যা দাঁড়ায় তার অনেকটা ইতিমধ্যেই মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী তার প্রস্তাবে তুলে এনেছেন। কেবল সেই সময়টুকুতে কে নেতৃত্ব দেবেন বা কার নেতৃত্ব মানা হবে সেটি এবং আরো কিছু ছোট বিষয় এখন নির্ভর করছে দেশের স্বার্থে দু'পক্ষের 'ছাড়' দেবার আন্তরীকতা এবং সততা।

আমরা হাল ছাড়ছি না।
ধন্যবাদ।

২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৯

সাংবাদিক মানেই সাংঘাতিক বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নৈশভোজের সৌন্দর্য উপভোগের প্রতিক্ষা?
আমি এতটা আশা করি না।

"এখন কি করবো" এটা নিজে বোঝার যোগ্যতাটা পর্যন্ত নেই!
যতক্ষন না পর্যন্ত সমসের মবিন, ফালু বা সফিক রেহমানরা তাকে দেখিয়ে না দিচ্ছেন।
এখন তো তাও পারেন না। জামাতি নেতাদের থেকে ok সিগনেল নিতে হয়।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির দিন সামান্য হরতাল প্রত্যাহার করতে ৬-৭ ঘন্টা লেগে গিয়েছিল!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

জানা বলেছেন:


অতীতের পারষ্পরিক ভুল-ত্রুটি, ক্ষোভ-বিক্ষোভ তুলে এনে পরিস্থিতির গুরুত্ব হারানো আমাদের চুড়ান্ত বোকামী হবে। আমরা সবাই সবার যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছি। এটি এখনকার আলোচ্য বিষয় নয়। তবে, একটি প্রধাণ বিরোধী দলের নেতা সময়ের গুরুত্ব বিবেচনা না করে অসময়ে হরতালের মত সাংঘর্ষিক বিষয়টি প্রত্যহার করার তড়িৎ সিদ্ধান্তটি না নেয়া খুব দুঃখজনক। বিশেষ করে তাঁদের শরিক দল 'জামাত' এর মতামতের উপর নির্ভর করার বিষয়টি জনমনে প্রবল নেতিবাচক প্রভাব এনে দেয়। এখানেও আরেকটি বড় ভুল হচ্ছে বিরোধী দলের। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে তাঁরা জনমনে আরও বড় জায়গা করে নেয়ার সুযোগটি হাতছাড়া করছেন।

ধন্যবাদ।

২৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১২

যেড ফ্রম এ বলেছেন: রাজনিতি জনগনের কল্যানে না হয়ে বা রাজনৈতিক মত পার্থক্য জনগনমুখী না হয়ে যখন ব্যক্তি বা দল স্বার্থে হয় তখন সেটা আর সাদা-কালো রাজনিতি থাকেনা। ইচ্ছার অভাবে আজ এই পরিস্থিতি। আজ সারাদেশে যে ৫ জন মানুষ মারা গেল তার দায়ভার কার সে, তার অভিভাবকত্ব কাকে দেবো!

আমরা শুধু আশায় বুক বাঁধবো এবং আশাকে সাথে নিয়ে মরে যাবো, হয় পুলিশের গুলিতে নয় ককটেলের আঘাতে। এই আমাদের পরিনতি।

২০টা পোস্ট লিখেই ফেললেন শেষ পর্যন্ত! ও, আপনি বেশ অপটিমিস্টিক, আমি বাংলাদেশের রাজনিতি প্রশ্নে চরমভাবে প্যাসিমিস্টিক।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

জানা বলেছেন:

জনকল্যাণ ও গণমূখী রাজনীতির ধারণা বোধ করি যুগযুগ ধরেই মূমুর্ষু অবস্থায় ধুকছে। এই মর্মান্তিক পরিস্থিতির অবসান খুব কাছের বিষয় নয় তবে তার উন্নয়ন ঘটাতে আপনার সেই কথাটিই সবথেকে জরুরী, তা হলো 'স্বদিচ্ছা'। কোন দলই 'অমর' সরকার গঠন করতে পারেন না। বলতে চাইছি সব সরকারেরই একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা আছে, আছে সাংবিধানিক আচার-বিহার, আইন কানুন। সেখানে ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থে অন্ধত্ব, একগুঁয়েমী, দম্ভ-অহমিকা ইত্যাদিই আমাদের এই পশ্চাৎপদতার মূল।

দেশ জুড়ে এই সহিংসতা, অরাজকতা, প্রাণহানি ইত্যাদিতো পরষ্পর দায় চাপানো, দোষারোপ ইত্যাদিতো রাজনীতিতে প্রধাণ হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিতে দেখি আমরা। মানুষের প্রাণের মূল্যে রাজনৈতিক ফসল ঘরে তোলা যেন ডাল-ভাত বিষয় হয়ে গেছে আমাদের জীবনে। এব্যাপারে আমাদের কোন পক্ষেরই দায়বোধ নেই। এটাই আমাদের পরিনতি।

আমার মতে, প্যাসিমিস্টিক হওয়া ফলাফল সাধারণত খুব ভাল ফল দেয় না। বরং ফ্রাস্ট্রেশন ব্যক্তি পর্যায় থেকে সংক্রমিত হয়ে দলীয় পর্যায়ে বিপর্যয় আনতে পারে বলে আমার মনে হয়। পক্ষান্তরে, ব্যক্তি পর্যারের অপ্টিমিজম একটি ছোট্ট মোমের আলো হয়ে একসময় বড় আলোর পথ দেখায় বলে আমার বিশ্বাস।

ভাল থাকবেন যেড ফ্রম এ। শান্তি আসবেই।

২৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২০

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: এটা ১৮ দলের জন্য একটা ভয়ানক ট্রাপ ছিল। যদি তিনি ৬ টার আগে কল দিতেন তবে একটা আলচনা হত এবং সমাধানের একটা সম্ভাবনা থাকত। কিন্তু তিনি ফোনটা দিলেন ৬ টার পর কারন তাতে খালেদা জিয়াকে হরতাল প্রত্যাহার এবং একটা সময়ক্ষেপনের আলোচনা নামক নাটকের উপস্থাপনা করানোর জন্য চাপ দেয়া যাবে।

সংলাপ বা সমাধান কোনটাই আম্লিগ চাচ্ছে না এর প্রধান কারগুলো হল

১) তারা তাদের মাঠ পর্যায়ের অজনপ্রিয়তার একটা হিসাব পেয়ে গেছে।
২) আন্তর্যাতিক ভাবে ভারত এবং রাশিয়া ছারা কারো সওযোগিতা পাচ্ছেনা।( রাশিয়ার সাথে অস্ত্রকেনার চুক্তির সুবাদে)
৩) খালেদা জিয়ার ক্ষমা করার ঘোষনার উপর আস্থা রাখতে পারছে না।
৪) নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা চরম পর্যায়ে আছে। জুনিয়র এবং হাব্রিডদেরকে উপরে তুলে ত্যাগি এবং সিনিয়র দের নিচে নামিয়ে ফেলসে
৫) সেনাবাহিনির উপর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাষের কারনে। তিনি ভাবছেন জেনারেল পর্যায়ে ওনার কিছু লোক থাকার ফলে পুরো আর্মি ওনার কথায় চলবে। আর্মির হাতে ক্ষমতা দিয়ে উনি স্লিপ কাটতে পারবেন।
৬) প্রসাসনের উপর ওভারকনফিডেন্স।

তবে ভারত কিছুটা কনফিউশনে আছে বলে মনে হচ্ছে। ভারত চাচ্ছে জনসমর্থিত সরকারের উপর কন্ট্রোল স্থাপন করে ফায়দাগুলো আদায় করে নিতে। সেক্ষেত্রে খালেদার চেয়ে হাসিনাই বেশি নির্ভরজোগ্য। কিন্তু হাসিনার জনপ্রিয়তা কম থাকায় তাদের এই কনফিউশনটা হচ্ছে।

আমার ধারনা আওমিলিগ ঘোলাকরে শেষ পর্যন্ত পানি খাবে। এবং তাদের এই সাধের ক্ষমতা হারাবে।

শেষ করছি একটা ভবিষ্যতবানি দিয়ে। যদিও অনেকের ভাল নাও লাগতে পারে তাও বলছি। আইসিটিতে দন্ডপ্রাপ্ত বেশকয়েকজন মন্ত্রি হচ্ছেন। তারা হচ্ছেন সাকা, কাদের মোল্লা,......................................................................................................................................... স্যরি কিছু করার নাই।

২৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

এহসান সাবির বলেছেন: আমরা আশায় রইলাম, সুন্দর কিছুর আশায়!

২৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

সুমন কর বলেছেন: কি হয় দেখার অপেক্ষায় রইলাম?

২৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমরা আমাদের দেশের চেয়ে দলকে প্রাধান্য দেই বেশি। হ্যাঁ রাজনীতি করতে হলে দলের প্রাধান্য দিতেই হবে কিন্তু সেটা অবশ্যই দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে নয়। প্রতিবারই দেখা যায় এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন ব্যাবস্থা নিয়ে যে কোন সরকারের শেষ সময় এসে একটি অস্থিরতা বিরাজ করে। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তারপর রয়েছে সংবিধান পরিবর্তনের প্রচলিত ধারা। সরকার পরিবর্তন হলেই সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে শুরু হয়ে যায় ব্যাস্ততা। কোন দল বুকে হাত দিয়ে প্রতিজ্ঞা করার জন্য সচেষ্ট নয় যে তারা আন্দোলনের নাম করে হত্যাকান্ড চালাবেনা। হ্যাঁ আন্দোলন হতেই পারে তবে যে আন্দোলন জনগণের স্বার্থে তা নিশ্চয় জনগণের জানমালের ক্ষতি করে নয়। কোন দল কি এই চিরায়িত গন্ডি থেকে বের হতে পেরেছে ? পারেনি। এই নাপারার পেছনে একমাত্র যে দেশের এই রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষ দেয়া যাবে তাও নয় তার জন্য আমরা সাধারন জনগণ অবশ্যই জড়িত। যেখানে গ্রামের একজন সামান্য মেম্বার পদপ্রার্থীকে নমিনেশন পেতে হলে টাকা খরচ করতে হয়, আজও টাকার বিনিময়ে ভোট কিনে তারা জয় লাভ করে। তারপর ভোটে জয় লাভ করেই শুরু হয় অন্তত মুনাফা না হোক নির্বাচনে খরচ হয়ে যাওয়া টাকা তুলে আনার নষ্ট বানিজ্য সেখানে আরও বড় স্তরের মানুষদের দোষ দিয়ে কি লাভ ? প্রথমে দেশের এইসব জনগণ আর দলের প্রতি যাদের অন্ধ আনুগত্য তাদেরকে সচেতন হতে হবে এবং বড় স্তরের মানুষদের এইসব তৃনমূল পর্যায়ের প্রতি সচেতন হতে হবে।

যেহেতু আলাপন এবং নিমন্ত্রনের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে অতএব একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে চাইবো যেন ভবিষ্যতে আর অন্তত এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে কোন সংঘাত ময় পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তার জন্য এখনই একটি সুন্দর স্থায়ী ব্যাবস্থা নিয়ে দুপক্ষের মাঝে আলোচনা সাপেক্ষে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা। যখনই যে দল ক্ষমতায় থাকুক অথবা বিরোধী দলেই থাকুক না কেন তাদের মাঝে দেশের স্বার্থ নিয়ে দন্দ, আলোচনা, সমালোচনা হতেই পারে কিন্তু একদল আরেকদলের প্রতি হানাহানি কেন সৃষ্টি করবে ? এটা কোন রাজনীতির অংশ ? আর নির্বাচনের মাধ্যমেই যেহেতু আমরা আমাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার সুযোগ পাই অতএব সাধারন জনতা হিসেবে চাই এই নির্বাচন ব্যাবস্থার একটি স্থায়ী সমাধান যেন এরপর আর কোন দল এই নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে। সকল দলের অংশ গ্রহণই হচ্ছে গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র।

অতএব বর্তমান বিরোধী দল থেকে দেয়া প্রস্তাব এবং বর্তমান মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ফোনালাপ এবং তাঁর দেয়া নিমন্ত্রনে দুপক্ষের মধ্যে একটি নির্ভরযোগ্য আলোচনার মাধ্যমে আমরা দেশের জন্য মঙ্গল জনক কিছু পাবো এটাই একটি স্বাধীন জাতির জনতা হিসেবে আমার প্রত্যাশা। এখানে অপটিমিস্টিক বা প্যাসিমিস্টিক যে যাই ভাবি না কেন একটি ভালো ফল বের হয়ে আসাটা ভীষণ জরুরী। অতএব আমি প্রার্থনা করি যেন ভালো কিছুই এই আলোচনা থেকে আমরা পাবো। আর না পেলে রঙ্গমঞ্চে আমারই হয়ে যাবো কাঠের পুতুল।


৩০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: দাওয়াত খেতে না পারলেও দাওয়াত খাওয়া দেখতে চাই........।

৩১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১১

ডাঃ নাসির বলেছেন: রাজনীতিটা এখন বানিজ্যিক হয়ে গেছে। এটা আগে ছিল সেবা। আর এখন রাজনীতি মানে কাড়ি কাড়ি টাকা।

৩২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২২

মিতক্ষরা বলেছেন: আপনি আওয়ামী সমর্থক হয়েও সমাধান চাইছেন দেখে খুশী হলাম।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

জানা বলেছেন:
বেশ কৌতুহলপূর্ণ একটি মন্তব্য। তাই অনেকগুলো মন্তব্য টপকে এখানে আসলাম আগে।


আমার রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে আপনার সিদ্ধান্তই কিন্তু চড়ান্ত নয় :)। সমর্থন বা বিরোধিতার প্রশ্ন এই মুহুর্তে জন্য নয়, বরং দেশের স্বার্থ এবং সর্বসাধারণের স্বার্থের প্রশ্নের দই প্রধাণ নেতার দায়ভার নিয়ে যুক্তিযুক্ত আলোচনা করাই মুখ্য উদ্দেশ্য।

আমি মানুষকে সমর্থন করি। মানুষই আমার কাছে প্রধাণ। মানুষের জয় হোক।

ধন্যবাদ।

৩৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৩

তানভীর আরিফ বলেছেন: এই নিমন্ত্রন ঐতিহাসিক, তাই হয়তঃ নতুন ইতিহাস সৃষ্টির লক্ষ্যে একটু ধীরে সুস্থে দাওয়াত গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে। যার সাথে পাঁচ বছর কথা- বার্তা হয় না তার দাওয়াত এক কথায় গ্রহণ করা যায় কি? একটু সময় নিয়ে অভিমান কাটিয়ে তারপরই তো দাওয়াত কবুল করতে হয়। আমি, আপনার মত মানুষকে দাওয়াত দিলে আমাদের সাথে আলোচনা করে দাওয়াতের সময় ঠিক করার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলে কথা, এই পর্যায়ের লোকজনকে দাওয়াত দিতে হলে দাওয়াতের সময় উভয়ের আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক করতে হয় এটাই সৌজন্যতা বলে আমি জানি। আমিও আমজনতার কাতারের লোক বিধায় তাদের মতন সংলাপের সফলতা কামনা করছি।

৩৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: আমরা বিশ্বাস করি আর ধোকা খাই ।কারন আমরা ভুলে যাই রাজনৈতিক দলের কোন চরিত্র নেই !

৩৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: আমরা বিশ্বাস করি আর ধোকা খাই ।কারন আমরা ভুলে যাই রাজনৈতিক দলের কোন চরিত্র নেই ! সংলাপ থেকে রেজাল্ট বের হয়ে আসুক সংকটের নিরসন হোক ।

৩৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

আদার ব্যাপারী বলেছেন: দেখা যাক কি হয় ।আমরা তো আশায় আশায় বাধি খেলাঘর ।

৩৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৫

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: সুসভ্য পরিবর্তিত দিনের আশায় অপার চেয়ে রই ।

৩৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: দেশের প্রধান দুই নেত্রী ই আমাদের সাথে মাঝে মইধ্যে মসকরা করেন।তবে এইবার যেন সেরকম কিছু না হয়।পোস্টে পেলাচ

একটি অপ্রাসজ্ঞিক আলোচনা।
জনমত সৃষ্টি করা গরীব জাতির জন্য বিলাসিতা।
ব্লগে লেখা দেখাচ্ছে।
আপনি একজন নিরাপদ ব্লগার
আপনার লেখা সরাসরি সংকলিত পাতায় প্রকাশিত হবে তারপরও লেখা প্রকাশ হচ্ছে না।

৩৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১০

নিয়েল হিমু বলেছেন: রাজনিতীর টপিকে আশায় বুক বাধার মত ঘটনা খুব কম হয় । আরো একটা ঐতিহাসিক সময়ের শাক্ষি মনে হয় হতে যাচ্ছি ।

৪০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১৮

একজন আরমান বলেছেন:
বেশি কিছু চাওয়ার নেই আপু।

আপনি শুরুতেই লিখেছেন "ভাগ্যবান জাতি আমরা !"

বাক্যের শেষে যে আমরা "!" বদলে "।" দিতে পারি এইটুকুই আমার প্রত্যাশা।

৪১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২০

লুবনা ইয়াসমিন বলেছেন: যদি মাননীয় নেত্রীদ্বয় মনে করেন দেশে সমস্যা বিরাজ করছে এবং এর থেকে উত্তরন জরুরী দুজনের কথপোকথনের কোনো বিকল্প নাই। তাঁরা নিজেরাই যদি একে অপরকে বিশ্বাস না করেন তবে জনগন তাঁদেরকে কিভাবে বিশ্বাস করবেন? তথাকথিত সাংবাদিক শুধু স্বস্তা কাটতির জন্য যারপর নাই মরিয়া হয়ে সংবাদ পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে এইসব দেখলে হাসির বদলে কান্না পায়। আমরা এই সম্ভবনাময় দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি ? !

আমাদের নিজেদের কত সমস্যা। আমাদের দেশের ৪০% এর উপরে শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এরা ভবিষৎ এ দেশের বোঝা হয়ে থাকবে। কোনো কর্মে এদের সাদরে গ্রহন করা হবে না। জীবিত মৃত জীবন যাপন করবে। এভাবেই চলছে দেশ।

ছেলে মেয়েদের পরীক্ষা সামনে । এই দিকটি বিবেচনায় রাখা অতীব জরুরী।

হরতালের নামে ক্ষয় ক্ষতি দেখলে শিউরে ওঠে মন। প্রায়ই ভাবি এরা কি এই দেশের জনগন নয়? কি করে একটি দেশের সম্পদ এইভাবে নষ্ট করে! এই সব অর্জন করতে তো অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
তবে কি এদের এইসব নাই বলেই কি এরা এত সহজেই ধ্বংসাযজ্ঞে নিবেদিত হয়!
এদের নিশ্চয় পরিবার নাই। বাবা কিংবা মা থাকলে কোনোদিন এভাবে এইসব ধ্বংসাযজ্ঞে যেতে দিত না। কিভাবে এইসব নিরীহ ছেলেপেলেগুলোকে ব্যাবহার করা হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।

দুই নেত্রী এক হউক। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কথা বলুক। অতীতের কটুক্তির জন্য দুজন দুজনকে সরি বলুক। যে কোনো ব্যাপারে দুজন ফোনে কথা বলুক এই কামনা করছি। একটি সমাধান নিশ্চয় বেরিয়ে আসাবে। আমরা আশাবাদি।

৪২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৯

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: একটু বিনুদন :-/

৪৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২৪

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: আর কিছু হোক বা না হোক , , এই বছরে লেখা ৩ টি পোস্টের মাঝে সবচেয়ে সুন্দর , , আপনার বাংলার আমি একজন বড় ফ্যান , , প্লিজ আমাদের জন্য হলেও মাসে একটি সুন্দর আর বড় লিখা পোস্ট করবেন , , অনুরোধ না দাবি রইলো , ,

৪৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

জিনান শুভ বলেছেন: আপু এরকম একটা পোস্ট স্টিকি করলেন?এরকম একটা ফালতু পোস্ট কেমনে স্টিকি করলেন?

সামুর এই বাজে অবস্থা?

৪৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:১৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপু দারুন একটা পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ। সমস্যটা হলো ব্যাক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থকে মুল্যায়ন না করতে পারা।

৪৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯

রাফি বিন তোফা বলেছেন: একটি নৈশভোজে বন্দি ষোলকোটি মানুষ!!!

৪৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:২৪

আশীষ কুমার বলেছেন: সংলাপে নয় সমাধান আসবে প্রলাপে।

৪৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

সোহেল রনি বলেছেন: সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে দ্রুতই,ফোনালাপের পর কোন পজিটিভ এ্যাক্টিভিটি দেখা যাচ্ছেনা।
তার পরেও,
নৈশভোজের সৌন্দর্য উপভোগের প্রতিক্ষায় আমরা ১৬কোটি,এই ১৬ কোটির ১জন হিসেবে এখনও আশা করি,কামনা করি ২ নেত্রী সেই সৌন্দর্য উপভোগ থেকে আমাদের বন্চিত করবেননা।

৪৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: আশা করি আমাদের দুই নেত্রীই নৈশভোজের মাধ্যমে একটি শান্তিময় সমাধানে আসতে পারবে।
আমরা আছি সেই কামনায়, এবং বলছি "মানুষ বাচে আশায়"।

৫০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: প্রথমত: আমি মনে করি দুই নেত্রী যে কথা বলেছে,,,কুশুল বিনিময় করেছে ,,,এই খড়ার মহুর্তে এটাই বা কম কিসে!!! ১৬ কোটি মানুষের কাছে এটাই অনেক কিছু,,,,,,,,এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে,,,,,,,,,,,,,,ভবিষ্যতে হয়তো এটাও কাজে লাগবে,,,,,,,,,,চর্চা শুরু হয়েছে,,,,,,,,,,,,
দ্বিতীয়ত: নৈশ ভোজ,,,,,,,,,হলে খুবই ভাল,,,,,,,ইয়াহু,,,,,,,,,!!!!!!!!! না হলে আমি অন্তত হতাশ হবো না,,,,,,,,,,,,,,আশা নিয়ে প্রতীক্ষা করবো,,,,,,,,,,,,,,,,,

৫১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: আমিও আশা রাখি আমাদের অবিভাবকরা তাদের অরিপক্কতা কাটিয়ে উঠে সঠিক রাজনৈতিক স্বীদ্ধান্তের মাধ্যমে ঐক্যমত্যে পৌছাক । আসলে বহুদিন ধরেই এই আশায় আছি ।

৫২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১০

আমিনুর রহমান বলেছেন:



বিশ্বাস করতে চাই, আমাদের অভিভাবকদ্বয় ১৬ কোটি মানুষের কথা ভেবে সেই শঙ্কাহীন মঙ্গলকর আলোময় আবাসটুকু নিশ্চিত করবেন আসন্ন নৈশভোজের পর।




আমার এক বন্ধু বলত সবসময়, পরস্পর দুজন মানুষ যখন দুরে থেকে একে অপরের বিরুদ্ধাচারন করছে যখন দেখবি। তখন তার নিকটে যাও তার পাশে গিয়ে বস তার সাথে কথা বল দেখবা অনেক অপ্রিয় সমস্যারও সমাধান হতে বাধ্য। আমাদের দুই নেত্রীতো শত্রু না ৯০ এর গন অভ্যুথানে রাজপথে পাশে থেকে কাধে কাধ মিলিয়ে এই দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছিল। আর আমরা দেশে গনতন্ত্র পেয়েছিলাম।


আশা বুক বাঁধলাম ইনশাআল্লাহ্‌ আমাদের দুই নেত্রী আবারো দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য একটা সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন।


পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

৫৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: এই নেমন্তন্নে আমরা তন্ন তন্ন করে কোন স্বার্থপর/স্বার্থান্বেষী অমঙ্গলের আভাস যেন খুঁজে না পাই। মঙ্গলই আমাদের আলোময় আবাস হোক। বিশ্বাস করতে চাই, আমাদের অভিভাবকদ্বয় ১৬ কোটি মানুষের কথা ভেবে সেই শঙ্কাহীন মঙ্গলকর আলোময় আবাসটুকু নিশ্চিত করবেন আসন্ন নৈশভোজের পর।


+++++++++++

৫৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

মনুমনু বলেছেন: এড্‌ওয়াড মায়া বলেছেন: দেশের প্রধান দুই নেত্রী ই আমাদের সাথে মাঝে মইধ্যে মসকরা করেন।
তবে এইবার যেন সেরকম কিছু না হয়।পোস্টে পেলাচ

একটি অপ্রাসজ্ঞিক আলোচনা।
জনমত সৃষ্টি করা গরীব জাতির জন্য বিলাসিতা।
ব্লগে লেখা দেখাচ্ছে।
আপনি একজন নিরাপদ ব্লগার
আপনার লেখা সরাসরি সংকলিত পাতায় প্রকাশিত হবে তারপরও লেখা প্রকাশ হচ্ছে না।

একই কথা আমিও জানতে চাই। পোস্ট করা বন্ধ কেন ?

৫৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

বিষন্ন পথিক বলেছেন: ব্লগ মাতার পোষ্টে ' উপছে' শব্দটার বানান একটু বেমানান।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

জানা বলেছেন:

ভুলটি ধরিয়ে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং ঠিক করে দিয়েছি।

ভাল থাকবেন।

ধন্যবাদ।

৫৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

জহির উদদীন বলেছেন: দুই নেত্রী ক্ষমতার মোহে আমাদের বালিশ চাপার মতো শ্বাসরোধ করে রেখেছেন আবার এরাই নাকি সমঝোতায় আমাদের এখন স্বস্তি দিচ্ছেন....অবাক হই ভেবে....
কিন্তু ঘটনাটা যদি এমন হতো কোন তৃতীয় শক্তি আমাদের আম জনতাকে শ্বাসরোধ করে রেখেছে, গনতন্ত্র ধ্বংস করছে, মানবাধিকার কেড়ে নিচ্ছে....তখন এই দুই নেত্রী তাদের মধ্য বৈরী মনোভাব ত্যাগ করে ৯০এর গণ আন্দোলনের মতো এক হয়ে সেই তৃতীয় শক্তি থেকে আমদের মুক্তি দিত, তাহলে এই ফোনালাপ বা নৈশভোজ আমাদের আর বেশী তৃপ্তি দিত.......অনেক বেশী আশ্বস্ত করতো.....ধন্যবাদ

৫৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

রেন বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে সহিংসতা, হিংসা আর অবিশ্বাস আজ সর্বগ্রাসী রুপ ধারণ করেছে।
আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা খুব বেশী আশাবাদী হতে পারছিনা।

যদিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রীর ফোনালাপের পর উনারা বঙ্গভবনে নৈশভোজের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করবেন বলে আশা করা হচ্ছে কিন্তু আমি মোটেই অবাক হবনা যদি-

১. বঙ্গভবনে প্রবেশের সময় বিরোধীদলীয় প্রতিনিধিদলকে বম্ব স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশীর পর প্রবেশ করতে দেয়, এবং

২. বিএনপির কোন ত্যাগী (!) নেতা প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশিত খাবার প্রথমে নিজে খেয়ে বিষ পরীক্ষণের পর ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে খেতে বলেন।

(বিঃদ্রঃ স্বজাতি নিয়ে অধিকতর হতাশা থেকে উপরোক্ত ২ খানা কাল্পনিক ঘটনা মনে উদয় হয়েছে, প্রকৃত অবস্থা এতটা খারাপ নয় বলেই আমার বিশ্বাস।)

৫৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

আহমেদ রশীদ বলেছেন: আমরা তীর্থ কােকর মত েচেয় আিছ েখা যাক িক হয়

৫৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২০

ডুয়েট বলেছেন: আশায় বুক বেধেঁ আছি আমরা সবাই,
কি বলেন আমাদের ম্যাডামরা।

৬০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নৈশভোজের সৌন্দর্য উপভোগের চিন্তা বৃথা

৩ দিনের বিরামহীন দাঙ্গায় রক্তাক্ত দেহ নিয়ে নৈশভোজে .. এসে কিসের সৌন্দর্য দেখাবেন?

৬১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

রাতুল রেজা বলেছেন: খালেদা জিয়া নৈশভোজে না গেলে সেটা হবে তার জীবনের বড় রাজনৈতিক পরাজয়। আমরা আশা করি আমরা নৈশভোজ লাইভ দেখতে পারব :)

৬২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

অদৃশ্য বলেছেন:






আশা বেঁচে থাকুক অনন্তকাল... কিন্তু আমি বা আমরা একদিন মারা যাবোই... তাতে কি, নতুন প্রজন্ম আসবে আর তারাও আশাকে জিইয়ে রাখার চেষ্টা করবে অতঃপর তারাও মারা যাবে এই বলে যে আশা বেঁচে থাকুক অনন্তকাল... ... ...


জানাপার জন্য
শুভকামনা...

৬৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

সজল৯৫ বলেছেন: এমন ব্যবস্থা তৈরি/পাস করা দরকার যে, জনপ্রতিনিধি যারা নির্বাচিত হবেন তাদের বসার আসনে চারদিক থেকে আলপিন আটা থাকবে আর যে জনগনের কথা ভুলে একটু আরাম করতে চাইবে তার গায়ে আলপিনের খোচা লাগবে। এতে দুটো কাজ হবে ১) সব সময় জনগনের কথা মনে থাকবে, ২) সব সময় চাইবে কখন ক্ষমতা হস্তান্তর করব।

এ ব্যবস্থা করলে আর তত্ত্বাবধায়ক ও লাগবে না ক্ষমতার জন্য আর এত যুদ্ধ বিগ্রহ হবে না।

৬৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আমার মনে হয় না উনারা এক সাথে বসবেন। সত্যি বলতে আমার মনে হয় না উনাদের কখন একসাথে বসতে দেয়া হবে!! নুন্যতম কিছু বিষয়েও যদি তারা একমত হন তাহলে কমপক্ষে ১ কোটি চামচা - চাটুকার শ্রেনী ভাতে মরবে, পথে বসবে দুই বছরের মধ্যে। আর এই দেশের সামগ্রিক চেহারা (১৫ কোটি) পালটাতে শুরু করবে ৩ বছরের মধ্যে, যা অবশ্যই হবে উন্নতির দিকে।

এটা একটা আজাইরা পোষ্ট !!!!!!!!! সময় নষ্ট

৬৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

তওসীফ সাদাত বলেছেন: ফোন আলাপ তো হয়েছে !!! তবে দেখ করবেন কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে।

৬৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: আমি নেরাশ্যবাদি,বাস্তবে কিছুই হবেনা, প‌্যাচাল পেড়ে কি লাভ হবে? সমঝোতা হলে ডিনার ছাড়াই হয়।

৬৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

কুট্টী মামা বলেছেন: আশায় বসত করি, আশা নিয়ে বেচে থাকি।

৬৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

বাংলা মায়ের ছেলে বলেছেন: দু্ই নেত্রী তাদের বাহিনী নিয়ে যাতে সুষ্ঠ ভাবে এই দেশটাকে লুটেপুটে খেতে পারে, শুধু সেই প্রতিক্ষায় আছে ১৬ কোটি জনগন।

৬৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

দূর্যোধন বলেছেন: দাওয়াত গ্রহন করলাম । সন্ধ্যায় সপরিবারে দেখা হচ্ছে । :D

৭০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

ইজীটক বলেছেন: নৈশভোজ যদি সফল না হয় তাহলে যা দরকার ...।
Click This Link

৭১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
কি দূর্ভাগ্য আমাদের!!!

স্বাভাবিক সুস্ঠু আচরণও আশা করতে ভুলে গেছি!

রাজনীতির মিনিমাম ভদ্রতাটুকু হাওয়অয় মিশে গেছে বলেই আজ দুই যুগ পর একে অন্যকে কল করলে আমরা আমোদিত হই!!!!
কত ভীষণ দূর্ভাগা!!!

প্রত্যাহিক কর্মকে উন্নয়ন বলে জানতে হয়

স্বাভাবিক অধিকারের জন্য উৎকোচ দিতে হয়

সরকারের রুটিন ওয়ার্ক হয়ে যায় নির্বাচণী বিজ্ঞাপন।

তারা শুধু কথা বলবে! তারা নৈশভোজ করবে এ সবইতো স্বাভাবিক ভাবেই হবার কথা- আমরা হতভাগা বলেই এটাও ঘটা করে ভাবতে হয়- রাষ্ট্রের মৌলিক বিষয় বাদ দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যানেলর পর চ্যানেল এই নিয়া শত শত ঘন্টা ভ্যায় করে, অর্থ সম্পদ মেধা কেন্দ্রীভূত হয় পক্ষ আর বিপক্ষে!!!!!


প্রকৃত উন্নয়ন ভাবনা পরে রয় আতুর ঘরে নয় ছিনতাই হয় কোন প্রতারকের হাতে।
শিক্ষা নিয়ে কি দুর্দশা - কই একটা টিভি চ্যেনেলও দেখলামনা কয়েক ঘন্টা ব্যায় করেছে এই ইস্যুতে---

অথচ কোমলমতি শিশুদের কি ভয়ানক অবস্থা!

প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিটা পদে তারা আফিম নেশায় বুদ করে রেখেছে জনতাকে! বিভক্ত করে রেখেছে
ভাবনাকে স্ভতির করে রেখেছে

আর তাইতো সামনে বোধকরি হিরক রাজার দেশের মতো-
রাজা হাসলে বুঝি আমরা হাসব
রাজা কাঁদলে আমরা কাঁদব
রাজা বেজার হলে পুরা রাজ্য বেজার হয়ে বসে থাকবে
রাজার ঘুম না এলে সব সুশীলরা টকশোতে জেগে থাকবে!
ব্লা ব্লা ব্লা................

একটা বিপ্লব চাই।

পরিপূর্ণ, সফল, দেশপ্রেমপূর্ণ

একজন মাহাথির।

তখন হয়তো আর কারো নৈশভোজের খবর নিয়ে আমাদের উৎকন্ঠায় থাকতে হবেনা।


৭২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

বাংলার আকাশ বলেছেন: ঐ দুইজন ছাড়া আমাদের আর কোন কান্ডারি নাই ?

৭৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

টিভি পাগলা বলেছেন: নৈশভোজ লাইভ টেলিকাস্ট করা হোক, আমরা এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হতে চাই না।

৭৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আশাবাদী লেখা পড়তে ভালো লাগলো...

৭৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: hope so...apnar moto amra sobai ashabadi.

৭৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

পাললিক মন বলেছেন: টিভির রিমোট চাপতে চাপতে কাল সন্ধ্যায় চোখ হঠাৎ আটকে গেল বিটিভির পর্দায়। সংসদ অধিবেশন লাইভ দেখাচ্ছে। সুরন্জিত বাবু (ঘুষের টাকার বস্তার মালিক হিসেবে খ্যাত) তার স্বভাবসুলভ মুখ চোখ খিঁচিয়ে তার অমৃতবাণী বর্ষন করছেন। তারপর তোফায়েল (কনফিডেন্টলি মিথ্যা বলার ওস্তাদ), এর আগে নাকি জাসদের মঈনউদ্দিন বাদল (কাস্তে মার্কায় জুত করতে না পেরে নৌকায় আরোহন) চোখের পানিও ফেলেছেন! শেখ সেলিমের (শেখ বিশেষন ছাড়া যিনি ছন্নছাড়া) 'মাইম শো' শুরু হওয়ার আগেই আমি অন্য চ্যানেলে চলে যাই। পত্রিকান্তরে, জানলাম শেখ হাসিনাও তার এসব ডেপুটিদের সাথে সুরে সুর মিলিয়ে বেগম জিয়ার চৌদ্দগুস্টি উদ্ধার করেছেন। এটাই হল কথিত 'সংলাপের' হোস্টদের আপডেটেড অবস্থান (২৭/১০/২০১৩, সন্ধ্যা ৭ টা)।

বাংলাদেশ কেন পৃথিবীর কোন জাতি-গোস্টির দেশেরই এমন হোস্টের বাসায় অভুক্ত ভিখারীও যায় না, যাবেনা। আর কেউ যদি যায়, তবে তার বা তাদের 'সেন্স অব হিউমিনিটি' নিয়ে প্রশ্ন আছে। রাজনীতি বা কুটনীতির খতিয়ানে তাদেরকে নাবালক বলাই শ্রেয়:।

যে নিদারুন অপরাধটি বেগম জিয়া করেছেন বলে আওয়ামীলীগারদের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা বেগম জিয়াকে টেলিফোন করে গণভবনে ভাতের দাওয়াত দিয়েছেন সোমবার রাতে। প্রত্যুত্তরে (সম্ভবত:) বেগম জিয়া সেদিন হরতাল, তাই পরের দিন সন্ধ্যা ৬ টার পর যেকোন সময়ে যেতে পারবেন বলে সম্মতি দেন। পাল্টা যুক্তি দিয়ে হাসিনা হরতাল প্রত্যাহার পূর্বক আসার অনুরোধ করেন ও বেগম জিয়া অপারগতা জানিয়ে তা মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ/ বা তারপরে দাওয়াত গ্রহনের ব্যাপারে অটল থাকেন। শোভনীয় যুক্তি হিসেবে জোটের কালেকটিভ ডিসিশন (লীগের ভাষায় জামাতের অনুমতি!) কে তিনি উপস্থাপন করেন। তাদের টেলি আলাপের বাদবাকি বিস্তারীত বিত্তান্ত লীগপন্থি মিডিয়ার কাছে শেখ হাসিনা ফাঁস করলেও, আমরা জানিনা!

এনালাইসিস:
-২৮ অক্টোবর সোমবার শেখ হসিনার জন্ম বা বিবাহবার্ষিকী গোছের কিছু নয়। এবং প্রোএকটিভলি সে ধরনের কোন সামাজিক অনুস্টানে তিনি আন্তরিকতা নিয়ে বেগম জিয়াকে দাওয়াত দেননি যে, এ তারিখ হোস্ট কতৃর্ক অপরিবর্তনীয়।
-শেখ হাসিনার দাওয়াতকে 'এমনি এমনি' দাওয়াতের পর্যায়ভুক্ত করা যায়। যেমনটি আমরা বলি থাকি 'বাসায় এসো, নেক্সট উইকে একদিন আমাদের সাথে ডিনার করো' ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব ক্যাজুয়াল দাওয়াতে গেস্টের ইনকনভেনিয়েন্স বিবেচনায় না নিয়ে তাকে জোরাজুরি করা, সেদিন দাওয়াতে আসতে না পারলে গালাগালি করা কোন সুস্থ হোস্টের লক্ষন নয়
-অবশ্য শেখ হাসিনার এ দাওয়াত পুরোপুরি এমনি এমনিও নয়। বরং তা শুক্রবার ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশের হুমকির ফসল। সেদিন বেগম জিয়া বলেছেন, নেক্সট ২ দিনের মধ্যে ট্রানজিশনাল গর্ভমেন্টের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহন না করলে রোববার থেকে ৩ দিনের লাগাতার হরতাল (যা এখন চলছে)। সুতরাং এ দাওয়াত পুরাপুরিই মেকী। ট্রানজিশনাল সরকারের অর্থবহ উদ্যোগ নামক 'ভারী' বস্তুটাকে যারা দু নেত্রীর ফোনের 'হালকা ও সরস' বস্তুর সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন তারা মূল সমস্যাকে ওভারলুক করছেন।
-হাসিনার ফোন পেয়েই যদি হরতাল প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়া পড়িমরি করে গণভবনে ছুটে যেতেন তাতে কি ১৮ দলীয় জোটের নেত্রীর দিগ্বিজয় হত!
-সোমবারের স্থলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাওয়াত কবুল করার পর কথা না বাড়িয়ে আয়োজনে চলে যাওয়াই হোস্টের কাজ। অথচ, তার পরিবর্তে এখন চলছে গীবতের মচ্ছব!

আমি মনে করিনা, বিদ্যমান বাস্তবতায় হাসিনা খালেদার মাঝে কথা বলার বা একসাথে ভোজনের কোন দরকার আছে বা তাতেই সব কিছু সমাধান হয়ে যাবে। নেগোসিয়েশন হয় পার্টিদের বার্গেইনিং পাওয়ারের উপর। লেট আস সী..................।

৭৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

পুলক ঢালী বলেছেন: আশায় আশায় দিন যে গেলো আশা পূরন হলোনা এমনটি যেন না হয় । আমরা আশায় বুক বেধে আশা নিয়ে বাচতে চাই । রাজনৈতিক সমস্যার বস্তুনিষ্ঠ সমাধান হোক আমরা শান্তিতে থাকতে চাই ।

৭৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

কারাবন্দী বলেছেন: কোন মন্তব্য নাই। বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী এখন মিজনা!! আর রাজধানী দিল্লী

৭৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩

তোমোদাচি বলেছেন: চমৎকার বলেছেন !!! ;)

৮০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

কয়েস সামী বলেছেন: অভিভাবক বলতে ঘেন্না হয়।

৮১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আশা করি ওনারা দলীয় সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে এসে , সেক্রিফাইস করবেন আসন্ন সংলাপে দুই জন ই !

৮২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: প্রিয় স্বদেশ বাসী ,
*******************
একদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অরক্ষিত , নেই সিমান্ত সুরক্ষা আর
অন্যদিকে বাংলাদেশের অশান্ত রাজনীতির কারনে সারা দেশ অচল ।
বাঙালীর বিবেকের নিকট প্রশ্ন , ক্ষমতার লোভ কি নারকীয় হত্তা কাণ্ড আর রক্তের চাইতেও মুল্যবান ।।
যদি তাই না হবে তবে কেন সারাদেশ এর মানুষ আজ আতংকিত ।।
দুই বড় জুট এর প্রধান , ১৮ এবং ১৫ দলের যারা অভিভাবক , তাদের বিবেকের নিকট আমার আওয়াজ , আর কত মানুষ খুন হলে
আপনারা ক্ষমতা ভাগাভাগি করবেন বা এক সিদ্ধান্তে আসবেন ।

১৮ দলের ৬০ ঘণ্টা হরতালে এ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে প্রায় ২০ জনের অধিক মানুষ প্রকাশ্য দিবালোকে মধ্য যোগীয় কায়দায়
হয়েছে খুন , শত শত ককটেল মেরে সাধারন মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ এবং আতঙ্কে জনজীবন অতিষ্ঠ ।।
চত্রগ্রাম , কুমিল্লা , ও মউলুবিবাজার সহ অনেক জায়গায় বাধ্য
হয়ে স্থানীয় প্রশাসন , টি ,এন , ও বা ডিসি কার্যালয় , বাংলাদেশ হাই কমান্ড চিফ অফ স্টাফ এর নির্বাহী আদেশে সুপ্রিম
ক্ষমতা প্রধানের মাধ্যমে , গোলযোগ পূর্ণ নিজস্ব এলাকায় সহিংসতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত উত্তেজিত প্রত্যক টা স্থানে ১৪৪
দ্বারা জারী করা হয় ।।

এতে বাংলাদেশের সকল আইন শ্রিংখলা বাহিনী , পুলিশ ,র‍্যাব , বিজিবি , আনসার ভি, ডি , পি সহ , ম্যাজিষ্টেট বা নিম্ন আদালত এর বিচারক
কর্তৃক তারা তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সহিত পালন করবে ।।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সাবেক ও বর্তমান {তিন বাহিনী } ১১ জন কর্মকর্তা কে নিয়ে গঠন হয় , বাংলাদেশ হাই কমান্ড ।।
তারা মাঠ পর্যায়ে নির্বাহী দায়িত্ব পালনে ১৮ দল এবং ১৫ দলের
মধ্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে শুষট ও নিরপ্রেক্ষতা আনয়নের লক্ষ্য সব দল কে আলোচনার টেবিলে সমঝোতায়
নিয়ে আসবে , এবং ৯০ দিনের মধ্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ অর্জনে
আগামি দশম জাতীয় সংসদ এর স্থায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ে , নিরপ্রেক্ষ সরকার এর ভুমিকা
গঠন করবে ।।
প্রস্তাবিত আলোচনায় অংশ গ্রহনের জন্য , সকল দলের প্রধান
এর দৃষ্টি আকর্ষণ এবং আলোচনায় দেশের সহিংসতা বন্ধে
উক্ত প্রজ্ঞাপন স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরে না আশা পর্যন্ত বলবৎ
থাকবে ।।
প্রজ্ঞাপনে
জেনারেল , বাংলাদেশ হাই কমান্ড চিফ অফ স্টাফ ।।

৮৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

টুম্পা মনি বলেছেন: হু আমরা সবাই আশাবাদী। আশা করি ভালো কিছুই হবে। দেশ সংঘাত, রক্তপাত ছাড়াই একটা সুন্দর নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে।

৮৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ফোনালাপ এবং নেমত্তন্ন অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক যদি সেটা শিশুতোষ বলখিল্যতা না হয়। আয়োজনের সাথে সাথে আন্তরিকতার প্রকাশও সবার মাঝে থাকতে হবে। সর্বাগ্রে প্রয়োজন সকলের সহনশীলতা। আসলে বর্তমান সময়ে আমাদের যে রাজনৈতিক অস্থিরতা বা পারষ্পরিক বিদ্বেষ সেটার মূল কিন্তু আমরাই। কেননা যেভাবেই হোক স্থানীয় পর্যায়ের ক্ষমতা এখনও জনগণের হাতে। আর সেখান থেকেই শুরু হয় রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তিপ্রস্তর। আর আপনি আমি ভালো করেই জানি বঙ্গসমাজে ভোটের উৎসব বা নির্বাচন সংস্কৃতিতিটা কেমন। ভারতবর্ষের রাজনীতি অনেকটাই পরিবার নির্ভর। কিন্তু রাজনীতি চালাতে হলেও পরিবারগুলোর জনগণের মানসিকতা বুঝে তারপরই সেটা করতে হয়। সেটা কংগ্রেস হোক, পিপিপি হোক বা আওয়ামীলীগ বিএনপি হোক। এখন আমরা সার্বিক ভাবে সবসময় রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের অসহনশীল এবং দুর্নীতিপরায়ন আচরণের জন্য দোষারোপ করি। কিন্তু বাস্তবে এ সমস্যার উৎপত্তি নিয়ে বা এখানে সাধারণ জনগণ হিসেবে কিভাবে আমরাই এসব তৈরী করি তার কোন আলোচনা থাকেনা। রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আদতে আমরা দায়মুক্তি নেই। আর একই সাথে আড়ালে পড়ে যায় রাষ্ট্রযন্ত্রের সেইসব কর্মকর্তা কর্মচারীদের সার্বিক অপরাধ যাদের প্রতিটি রক্ত বিন্দুতে ঘুষ দুর্নীতির জীবাণু। হ্যাঁ, সরকারী আধা-সরকারী চাকুরেদের কথা বলছি। আমরা আমাদের নিজেদের সমালোচনা না করে, আকিজ বিড়ি খাওয়া বা টাকা খাওয়া অসচেতন ভোটার যারা মূল ভিত্তিটা স্থাপন করে তাদের দিকে মনোযোগ না দিয়ে, সবসময় লোকচোক্ষের আড়ালে থেকে দুর্নীতির পাহাড় তৈরীকারী সরকারী আমলা প্রশাসকদের দিকে দৃষ্টিপাত না করে শুধুমাত্র যদি বৃহত্তর নেত্রীবৃন্দের সদিচ্ছার আশায় থাকি তাহলে সেটার স্থায়ী কোন সমাধান হওয়া আদৌ কি সম্ভব। তবে ঐযে দু'আনা আশা তো রাখতেই হয়। সেক্ষেত্রে আপনার মতো আমরাও আশাবাদী হয়তো কোন একদিন সমাধান আসবে। কিন্তু কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি বা নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করার আমাদের যে জাতিগত অভ্যাস রয়েছে সেটাও কারো ভুলে গেলে চলবেনা।

শুভ সুন্দর প্রত্যাশিত পোষ্টে অনেক ভালোলাগা। দীর্ঘদিন ধরে প্লাস বাটনটা কাজ না করায় মৌখিক ভালোলাগাটুকু জানিয়ে গেলাম শুধু।

৮৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৬

নীল জানালা বলেছেন: ১৬ না ২৫

৮৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

তারিন রহমান বলেছেন: বি. এন. পি. র কেউ প্রতিবাদ করছেন না কেন !!!
Click This Link



আপনার বক্তব্য কী ?

৮৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
পরিবেশ বন্ধুর কমেন্টে প্লাস! B-)

৮৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: গান শুনতে সবসময়ই ভালবাসি। গত কয়েকদিন একবারও গান শোনার কথা ভাবিনি। বাসা হতে বের হই নিরাপদে ফিরব কিনা এ শন্কা নিয়েই। সন্তান অসুস্হ হলে পিতামাতা ডাক্তারের কুশল জানতে চাননা , দ্রুত ডাক্তারের সিদ্ধান্ত চান। আমি দুঃখিত এ লেখাটি ভাললাগলোনা বলে। এ সময় অন্যরকম লেখাই আশা করি আপনার কাছে।
নিরোর বাঁশি বাজানো কোনকালেই কারো ভাল লাগেনা, লাগবেনা।এত মৃত্যু , রক্ত , ধ্বংস - এর মধ্যে দাওয়াত - নিমন্ত্রন শব্দ উচচারন পাপ মনে হয়। সংকটকালীন সময় এটা , মানুষের জীবন মৃত্যুর প্রশ্ন জড়িত। দাওয়াত দেয়া , গ্রহন করা - এসব দেখার সময় ,মন কোনটাই মানুষের নাই । শান্তি আনতে হবেই এটাই চান বিবেকবান মানুষ।

৮৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৮

মাহবু১৫৪ বলেছেন: এই মুহুর্তে শুনছি ৭১ টিভির সৌজন্যে উনাদের টেলিফোন আলাপ।

আপনার পোস্টটি অনেক আশাব্যাঞ্জক হলেও তাদের কথালাপ আমার কাছে আশাব্যাঞ্জক মনে হয় নি। এত কথা কাটাকাটি, এত রাগ সবকিছু ঝরে পরছে। কেউ কাউকে ঠিকমত কথা বলতেই দিচ্ছে না।

আমরা পোড়াকপাল জাতি। :(

৯০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩০

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন:
ফোনালাপের সৌন্দর্যেই অভিভুত হইছি। নৈশভুজে নিশ্চয়ই এরকম আরো কত সৌন্দর্য অপেক্ষা করে আছে। :P

৯১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমি এই মুহুর্তে আমাদের সময়ে দেয়া ফোনালাপ শুনছি। আমি যে আওয়ামী সমর্থক নই এটা আপনারা সবাই জানেন। আমার কিন্তু হাসিনাকে বেশী বিনয়ী এবং আপোষকামী মনে হচ্ছে। খালেদা দেখি অতীত নিয়ে টানছেন এবং বেশ রুক্ষতা রয়েছে তার কন্ঠে। এরকম হলে সংলাপ কি করে সফল হবে?

৯২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

শহিদশানু বলেছেন: ঐতিহাসিক সেই নেমনতন্নের গল্পে কেবল একটি শ্বাসযোগ্য-বিশ্বাসযোগ্য সুবাতাসই আমাদের স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে পারে

৯৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “নিমন্ত্রণকারীর আন্তরিকতা আর নিমন্ত্রিতের সততাই একত্রে বসে সেই নৈশভোজের সুস্বাদ নিশ্চিত করতে পারে।”

৯৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: "বিষয় বস্তু একটাই। কিভাবে আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল রেখে, আমার পছন্দের সব কিছু ঠিক ঠাক রেখে, আপনার সাইডের কিছু লোমহীন নেতাকে মন্ত্রী বানিয়ে , আমার অধীনে নির্বাচন করে, কিভাবে আমাকেই আবার প্রধানমন্ত্রী বানানো যায়। এটাই আলোচনার বিষয়বস্তু। আপনি এসবে রাজী হয়ে আমার রান্না খেতে চলে আসেন।"

৯৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পাললিক মন বলেছেন: টিভির রিমোট চাপতে চাপতে কাল সন্ধ্যায় চোখ হঠাৎ আটকে গেল বিটিভির পর্দায়। সংসদ অধিবেশন লাইভ দেখাচ্ছে। সুরন্জিত বাবু (ঘুষের টাকার বস্তার মালিক হিসেবে খ্যাত) তার স্বভাবসুলভ মুখ চোখ খিঁচিয়ে তার অমৃতবাণী বর্ষন করছেন। তারপর তোফায়েল (কনফিডেন্টলি মিথ্যা বলার ওস্তাদ), এর আগে নাকি জাসদের মঈনউদ্দিন বাদল (কাস্তে মার্কায় জুত করতে না পেরে নৌকায় আরোহন) চোখের পানিও ফেলেছেন! শেখ সেলিমের (শেখ বিশেষন ছাড়া যিনি ছন্নছাড়া) 'মাইম শো' শুরু হওয়ার আগেই আমি অন্য চ্যানেলে চলে যাই। পত্রিকান্তরে, জানলাম শেখ হাসিনাও তার এসব ডেপুটিদের সাথে সুরে সুর মিলিয়ে বেগম জিয়ার চৌদ্দগুস্টি উদ্ধার করেছেন। এটাই হল কথিত 'সংলাপের' হোস্টদের আপডেটেড অবস্থান (২৭/১০/২০১৩, সন্ধ্যা ৭ টা)।

বাংলাদেশ কেন পৃথিবীর কোন জাতি-গোস্টির দেশেরই এমন হোস্টের বাসায় অভুক্ত ভিখারীও যায় না, যাবেনা। আর কেউ যদি যায়, তবে তার বা তাদের 'সেন্স অব হিউমিনিটি' নিয়ে প্রশ্ন আছে। রাজনীতি বা কুটনীতির খতিয়ানে তাদেরকে নাবালক বলাই শ্রেয়:।

যে নিদারুন অপরাধটি বেগম জিয়া করেছেন বলে আওয়ামীলীগারদের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা বেগম জিয়াকে টেলিফোন করে গণভবনে ভাতের দাওয়াত দিয়েছেন সোমবার রাতে। প্রত্যুত্তরে (সম্ভবত:) বেগম জিয়া সেদিন হরতাল, তাই পরের দিন সন্ধ্যা ৬ টার পর যেকোন সময়ে যেতে পারবেন বলে সম্মতি দেন। পাল্টা যুক্তি দিয়ে হাসিনা হরতাল প্রত্যাহার পূর্বক আসার অনুরোধ করেন ও বেগম জিয়া অপারগতা জানিয়ে তা মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ/ বা তারপরে দাওয়াত গ্রহনের ব্যাপারে অটল থাকেন। শোভনীয় যুক্তি হিসেবে জোটের কালেকটিভ ডিসিশন (লীগের ভাষায় জামাতের অনুমতি!) কে তিনি উপস্থাপন করেন। তাদের টেলি আলাপের বাদবাকি বিস্তারীত বিত্তান্ত লীগপন্থি মিডিয়ার কাছে শেখ হাসিনা ফাঁস করলেও, আমরা জানিনা!

এনালাইসিস:
-২৮ অক্টোবর সোমবার শেখ হসিনার জন্ম বা বিবাহবার্ষিকী গোছের কিছু নয়। এবং প্রোএকটিভলি সে ধরনের কোন সামাজিক অনুস্টানে তিনি আন্তরিকতা নিয়ে বেগম জিয়াকে দাওয়াত দেননি যে, এ তারিখ হোস্ট কতৃর্ক অপরিবর্তনীয়।
-শেখ হাসিনার দাওয়াতকে 'এমনি এমনি' দাওয়াতের পর্যায়ভুক্ত করা যায়। যেমনটি আমরা বলি থাকি 'বাসায় এসো, নেক্সট উইকে একদিন আমাদের সাথে ডিনার করো' ইত্যাদি ইত্যাদি। এসব ক্যাজুয়াল দাওয়াতে গেস্টের ইনকনভেনিয়েন্স বিবেচনায় না নিয়ে তাকে জোরাজুরি করা, সেদিন দাওয়াতে আসতে না পারলে গালাগালি করা কোন সুস্থ হোস্টের লক্ষন নয়
-অবশ্য শেখ হাসিনার এ দাওয়াত পুরোপুরি এমনি এমনিও নয়। বরং তা শুক্রবার ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশের হুমকির ফসল। সেদিন বেগম জিয়া বলেছেন, নেক্সট ২ দিনের মধ্যে ট্রানজিশনাল গর্ভমেন্টের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহন না করলে রোববার থেকে ৩ দিনের লাগাতার হরতাল (যা এখন চলছে)। সুতরাং এ দাওয়াত পুরাপুরিই মেকী। ট্রানজিশনাল সরকারের অর্থবহ উদ্যোগ নামক 'ভারী' বস্তুটাকে যারা দু নেত্রীর ফোনের 'হালকা ও সরস' বস্তুর সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন তারা মূল সমস্যাকে ওভারলুক করছেন।
-হাসিনার ফোন পেয়েই যদি হরতাল প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়া পড়িমরি করে গণভবনে ছুটে যেতেন তাতে কি ১৮ দলীয় জোটের নেত্রীর দিগ্বিজয় হত!
-সোমবারের স্থলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাওয়াত কবুল করার পর কথা না বাড়িয়ে আয়োজনে চলে যাওয়াই হোস্টের কাজ। অথচ, তার পরিবর্তে এখন চলছে গীবতের মচ্ছব!

আমি মনে করিনা, বিদ্যমান বাস্তবতায় হাসিনা খালেদার মাঝে কথা বলার বা একসাথে ভোজনের কোন দরকার আছে বা তাতেই সব কিছু সমাধান হয়ে যাবে। নেগোসিয়েশন হয় পার্টিদের বার্গেইনিং পাওয়ারের উপর। লেট আস সী..................।

++++++++++

৯৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

ইউরো-বাংলা বলেছেন: এইচ টি ইমাম বলেছিলেন, হাসিনার সাথে ফোনালাপে খালেদা নাকি বলেছেন- মুক্তিবাহিনী গণহত্যা চালিয়েছেন

সেটা নিয়ে অনেক কথা হলো। ফেসবুক ও ব্লগে ঝড় উঠলো।

কিন্তু ফাঁস হয়ে যাওয়া ফোনালাপে ওরকম কোন কথা শোনা গেলো না।

৯৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

বাংলার আকাশ বলেছেন: আমাদের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের অভিভাবক বলতে আপনি এবং আপনারা কি বলতে চান বুঝি না । ওরা অসৎ রা আমাদের জন্য এ পর্যন্ত কি করেছে বলতে পারেন ? ওরা কু চক্রি , খমতার জন্য ওরা সব পারে, সবাই সব জানে , বুঝে । এতো মিডিয়া, পত্রিকা , এতো দেশ প্রেমিক , এতো টকেটিভস কেউ কিছু করতে পারলো না। এর কারন হিসাবে কি মনে হ্য় জানেন ? আমাদের রক্তই খারাপ, আমারা মির জাফর এর বংশ , ইনডিয়া, পাকিস্তান, ব্রিটিশ, পুর্তগজ, মারাঠা দের রক্ত আমাদের জারজ এর চাইতে খারাপ করে তুলেছে ।

৯৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওরা আলোচনা করবে এমন আশাবাদী আমি না, সবই ফালতু।

৯৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

মাহমুদ ইমতিআজ বলেছেন: আর কিছু নাহোক ফোনালাপটি চমৎকার। এমন একটি বাক্যবিনিময় জাতির কাছে অনেক কিছু পরিষ্কার করে দিয়েছে। আমরা আশা করব এমন রাগ অভিমানের মধ্য দিয়েই একদিন ধুয়ে মুছে যাবে আমাদের সকল কলঙ্ক।

সকলের প্রয়োজনে ফোন আলাপের পূর্ণ বিবরন দিলাম। এই লিংক এ গেলে পাবেন : দুই নেতৃর ফোনালাপ : নৈশভোজের সৌন্দর্য উপভোগের প্রতিক্ষায় ১৬কোটি মানুষ

১০০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

আরজু পনি বলেছেন:
:|

১০১| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি চাই আপনি ব্লগে নিয়্তমি লিখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.