নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিন প্রতিদিন

জানা

জানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে

১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

নানান কারণে ফেইসবুকে প্রায় যাওয়াই হয়না, মন চায়না একেবারেই। কারণগুলোর অন্তত একটা হলো, "ভাইরাল"। যৌক্তিক-অযৌক্তিক, প্রচার-অপপ্রচার-মিথ্যাচার নিয়ে সাধারণ বিবেচনা বিবর্জিত বিষয় তো বটেই, এমন কি প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া নানান অঘটন বা দুর্ঘটনায় বিপর্যস্ত-বিধ্বস্ত এবং নিহত মানুষের বিভৎস ছবি, প্রিয়জনদের হারাবার বেদনায় মুষড়ে যাওয়া মানুষের ছবি, ভিডিও যেভাবে ছড়ায় বা "ভাইরাল" হয় তা সহ্য করার মত মানসিক শক্তিশালী আমি নই।

সম্প্রতি সিলেটে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাফর ইকবাল স্যারের উপর হামলায় তাঁর এবং গত কয়েক বছরের হামলাকারীদের লক্ষ্যনির্দিষ্ট দেশের সুস্থবুদ্ধির, মুক্তবুদ্ধির মানুষগুলোর কথা ভেবে অসহায় বোধ করেছি, পরিস্থিতির সুস্থ পরিবর্তনের পথ খুঁজতে কতশত ভাবনা মাথায় ঘুরে চলেছে। তবু, কোথাও কিছু লিখিনি; না ব্লগে, না ফেইসবুকে না কোন পত্র-পত্রিকায়! আসলে পারিনি! কেমন যেন একটা দম বন্ধ করা গুমোট পরিস্থিতিতে আটকে গেছি!

সার্বিক মঙ্গলের জন্যে এদেশে ধর্মগ্রন্থ আবশ্যিকভাবেই আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজীর পাশাপাশি মাতৃভাষায় সহজ-সরলভাবে প্রচলিত হওয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাংলায় ধর্মগ্রন্থ আবশ্যিক হওয়া দরকার। যাতে কোন শব্দ এবং বাক্যের দ্বিতীয় বা বিকৃত কোন অর্থ করার সুযোগ না হয়, অন্যের উপর অন্ধভাবে নির্ভর করতে না হয় এবং ধর্মগ্রন্থে বর্নিত আদর্শ বা ধর্মীয় সংবিধান সর্বসাধারণের বোধগম্য হয়। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, কেবলমাত্র ধর্মীয় অনুভূতির কারণেই বিন্দুবিসর্গ না বুঝেই আমরা প্রায় সবাই অন্ধের মত ধর্মগ্রন্থ পড়তে অভ্যস্ত। ফলাফল? কী শিখেছি? জেনে, বুঝে, বিবেচনা করে অমন বিশাল একটি ধর্মগ্রন্থকে ক'জন আত্নস্থ করে থাকি? এ, বিষয়ে রাষ্টীয় পদক্ষেপ সময়ের দাবী।

আমি জাফর ইকবাল স্যারকে জানি। আমি জানি সুস্থচিন্তা, সততা, মানবিকতা সর্বোপরী স্বদেশপ্রেম জাফর ইকবাল স্যারদের মত মানুষের কাছে নিজের জীবনের চাইতেও মূল্যবান। কোন "ভয়" তাঁদের মুক্তবুদ্ধির চর্চা থামিয়ে দিতে পারেনা বরং আরও শক্তিশালী করে তোলে। পৃথিবীটা মঙ্গলময় করে তুলতে জাফর ইকবাল স্যারের মত মানুষেরা বিশ্বাস করেন "মানুষ"এ, মানবিকতায়, অহিংসায় এবং ভালবাসায়। আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে সত্যিকারের শুদ্ধ মানুষ করে তুলতে, জীবনকে মূল্যবান করে গড়তে এই ভিডিওটা অন্তত "ভাইরাল" হওয়া উচিত। সহিংসতা, অপপ্রচার এবং মিথ্যাচারের ক্ষয় অবশ্যাম্ভাবী।
"মানুষ" এর জয় নিশ্চিত।

https://www.youtube.com/watch?v=IOPUc5Zf964&feature=share

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২৩

সোহানী বলেছেন: চমৎকার!

হাঁ মানুষের জয় নিশ্চিত। জাফর স্যারের হামলার অনলাইন, ফেইসবুক বা ব্লগ দেখে মনে হলো জাতি যেন দুইভাগে বিভক্ত। একদল দু:খিত আরেকদল আনন্দিত। কিন্তু তারা কেন আনন্দিত তার সঠিক ব্যাখ্যা তারা নিজেরা ও যেন জানে না। আমি চেস্টা করেছিলাম তাদের মানসিকতা বুঝতে কিন্তু মনে হয়েছে তারা অসুস্থ, তাদের মানসিক সুস্থতা দরকার। হাঁ, গুনীদের সন্মান দিতে জানি না তাঁর জীবদ্দশায় কিংবা মৃত্যুর পর।

অনেক ভালেঅ লাগলো জানা আপু, অনেক দিন পর লিখলেন।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

জানা বলেছেন: জাতি হিসেবে আমরা যেমন উদাহরণযোগ্য যূথবদ্ধ, কোন ঠুনকো বিষয়েও তেমনি সহজেই বিভক্ত হওয়ার 'রোগ'ও আমাদের প্রবল। কি জাতিয় স্বার্থ, কৃষ্টি-সংস্কৃতিতে; কি নেহায়েত গাছের কলা চুরি যাওয়াতে...! আমাদের হুজুগেপনাও উদারহরণযোগ্য। প্রসঙ্গত একট খুব সাম্প্রতিক বিষয়ে না বলে পারছিনা। বিজ্ঞানী স্টিভেন হকিং এর মৃত্যুর পর সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বিশেষ করে ঐ ফেইসবুকে সবাইকে যেভাবে ছবিসহ মৃত্যুশোকে মূহ্যমান হতে দেখলাম, যেন তিনি সবার খালু বা মামাতো ভাই অথবা দেশে বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক বিষয়ক 'চেতনা'র প্রবল জোয়ার বৈছে। যার ফলাফল অন্যান্য 'চেতনা'র চেয়ে ভিন্ন নয়। এ,রকম হাজারো উদাহরণ দেখা থেকে আপনি নিশ্চয়ই বঞ্চিত হচ্ছেন না।

গুনীদের সম্মান আমরা দেবো কি করে? আমরা সবাই যখন সমভাবে জ্ঞানী এবং গুনী। বই-টই পড়ে তো আর জ্ঞানার্জন হয়না বরং সবাই যেখানে সামাজিক মাধ্যমের চব্বিশ ঘন্টার অতন্দ্র প্রহরী এবং বিশেষজ্ঞ। প্রগতি, কৃষ্টি-সংস্কৃতি, সুস্থ বুদ্ধি, ইত্যাদিতো এখন যায়েজ-নাযায়েজ এর চাপে পড়ে যাচ্ছে।
যাইহোক, আমরা তো 'হেফাজত'এই আছি।

পোস্টে মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় সোহানী।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার পোস্ট পড়তে পারলাম, আপনারি নিজহাতে গড়া বিশাল ব্লগ কমিনিউটিতে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদেকে নিয়ে এই বিশাল পরিবারে সুন্দর একটি বুদ্ধিবিত্ত নেটওয়ার্কে আগলে রেখে সুন্দর চিন্তা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
সময় সাময়িক বিষয়বস্তু নিয়ে লিখা এই পোস্টটি সত্যি সুন্দর চিন্তার প্রয়াস। ভাল থাকবেন সবসময় আপুনি।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

জানা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ সুস্থচিন্তা এবং দায়িত্বশীল বাকস্বাধীনতা চর্চার সাথে থাকার জন্যে।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৪:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা মাদ্রাসায় পড়ে, তারা বর্তমান পৃথিবীর এককন সুনাগরিকের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানে না; মানুষের ১২শ শ্রেণী অবধি সাধরণ শিক্ষা থাকতে হবে, তারপর সে যে বিষয় পড়তে চায়, ও পারে, সেটা পড়ুক। সাধরণ ধারণার অভাব থাকলে শুধু ধর্ম শিখে লাভ নেই।

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

জানা বলেছেন: সহমত জানাচ্ছি। সুনাগরিকের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে জানার বা শেখার পর্বটি আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমভাবে সুনির্দিষ্ট এবং নিশ্চিত করা জরুরী। পাশাপাশি এই বয়সটি পর্যন্ত আমাদের দেশের সর্বসাধারণের যাবতীয় শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষায় হওয়া আবশ্যিক। বলতে চাইছি, বিজ্ঞান, ইতিহাস এবং শিল্পকলার মত ধর্ম শিক্ষাও মাতৃভাষায় প্রচলিত হওয়া উচিত। ধর্মশিক্ষা/চর্চা এবং মাতৃভাষাশিক্ষা/চর্চা মানুষের অধিকার। তাই এই দু'টির সঠিক সমন্বয় এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রচলিত হলে অন্তত ধর্মকে 'ঢাল' বানিয়ে, ধর্মীয় আইন বা বানীকে বিকৃতভাবে প্রকাশ এবং প্রচারে অতখানি সহজ হবেনা। ভুলে গেলে হবে কেন যে, আমাদের মধ্যে যাবতীয় গোঁড়ামি, অন্ধত্বের শেকড়-বাকড় বিস্তৃতিতে বিশাল দায়িত্ব পালন করে চলেছে একটা অশিক্ষিত ধর্ম বিকৃতকারীর দল।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধন্যবাদ জানা আপাকে খুব সংক্ষেপে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কভার করার জন্য | সবারই উচিত জেনে, বুঝে, বিবেচনা করে ধর্মগ্রন্থকে আত্মস্থ করার চেষ্টা করা | তাহলেই আমরা ধর্মের মহান উদ্দেশ্য উপলদ্বি করতে পারবো এবং হিংসা, দ্বেষ, অত্যাচার, দুর্নীতি, প্রতারণার মতো চরম অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবো |

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

জানা বলেছেন: আর এই জেনে-বুঝে ধর্মকে আত্নস্থ করা এবং চোখ-কান বন্ধ করে ধর্মকে বিকৃত করে ভুল তথ্য প্রচার করে চলা রোধ করতে পারিবারিক সচেতনতা এবং মাতৃভাষায় ধর্মের মূল বিষয় শিক্ষা অত্যন্ত জরুরী।

২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:০৪

জানা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:০৪

নস্টালজিক বলেছেন: মানুষ এর জয় সুনিশ্চিত। এই কথাটা ভাবতে সবসময় ভালো লাগে।

কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে মানুষ ক্রমে ক্রমে দলছুট হয়ে পড়েছে। যারা দলবদ্ধ হচ্ছে, সেই ছোটবেলার মত করে ভাবতে পারলে ভালো হতো যে একতাই শক্তি বা সংঘবদ্ধ মানুষ ফিরিয়ে দেবে সকল অন্ধকার। কিন্তু এ রকমও ভাবতে পারছিনা। অথচ প্রবল আশাবাদী মানুষ হয়ে আমি আশাকে আঁকড়ে ধরে আছি তবু।

এক ধরনের ডি'লেমা! সতর্ক চোখে মানুষ এবং অমানুষের হেঁটে যাওয়া দেখি।

২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

জানা বলেছেন: সত্যি কথা! তবুও মানুষের আশাবাদ এবং ইতিবাচক ভাবনাকে ধরে রাখা উচিত। হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়লে মাথা তুলে দাঁড়াবো কিভাবে? শুদ্ধতার জন্যে, মঙ্গলের জন্যে মানুষের অনেক কিছু করার আছে। এখানে আমি সেই কথাটাই বলতে চেয়েছি। রাতারাতি বড় কোন পরিবর্তন যেমন সম্ভব নয়, তেমনি আমাদের প্রতিদিনের সম্মিলিত ছোট ছোট প্রচেষ্টাগুলোই বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বাধ্য। আমি মিথ্যাচার না করলে এবং সততায় আন্তরিক থাকলে আমার অনুজেরা বা সন্তানেরাও সেভাবেই তৈরী হবে। এর পরের ধাপগুলোতো স্বাভাবিকভাবেই আসবে। ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক স্বাভাবিক এবং সচেতন সম্পর্ক বা যোগাযোগ পরের ধাপগুলোতে বড় সহায়ক হবেই।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

কানিজ রিনা বলেছেন: সত্যি জানা বিশ্বাস হয়না আমরা স্বাধীন দেশে
বাস করছি। একটা ক্ষ্যাপা কুকুরের খাবলা
কামর জাফর ইকবাল আহত ভিষন নেক্কার
জনক। আসলে কি জানো মাদ্রাসা বা যে
কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এইসব কুকুরের
ক্ষ্যাপা বানানো হয় বলে বিশ্বাস হয়না।
এই সব কম বুদ্ধির ছেলেগুলকে ব্রেন ওয়াশ
করার জন্য আন্তরজাতীক জঙ্গী সংগঠন
জড়িত। যার বিভতসতা মাঝে মাঝেই প্রকাশ
পায় জঙ্গীর কার্জক্রম দিয়ে।
এত এত ধরা পরার পরেও কেন এরা এত
সক্রিও বোধগম্য হয়না। মাদ্রাসা থেকে
পাশ করে বেড় হওয়া অভাবী ছেলেদেরকে জঙ্গী
সংগঠন গুল বেছে নেয়। এমন ভাবে ইসলামের
দোহায় দিয়ে এদের তৈরি করা হয় জীবনের
মায়া পর্যন্ত করেনা।
ভাবতে অবাক লাগে, হাদীসে বর্নিত যে
একজনকে খুন করল সে গোটা মানুষ জাতীকে
খুন করল মানুষের সৃষ্টিকে অশিকার করল।
সেই ইসলামের ন্যায় নীতিকে ভুল ব্যাক্ষায়
যেন ইসলামকেই বিক্ষিপ্ত কলংকে নিক্ষেপ
করে দিচ্ছে এইসব ক্ষ্যাপা কুকুরের দল।

ঠিকই বলেছ জানা স্কুল কলেজ মাদ্রাসা
পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষার ন্যায় নীতি গুল
শিক্ষার আওতায় এনে ন্যায় নীতির শিক্ষা
বাড়ানো দরকার যাতে করে বাইড়ের কোনও
সংগঠন ছেলে মেয়েদের ভুল পথে নিয়ে
যেতে না পারে। সেইসাথে পারিবারিক ভাবেও
বাবা মা সর্তকতায় সন্তাদের লক্ষ রাখা
অপরিহার্য।
অসাধারন পোষ্ট দিয়েছো আন্তরিক অভিনন্দন
জেনো অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমান সময়টা খুব কঠিন যাচ্ছে।
মানুষের মন থেকে মায়া মমতা উঠেই গেছে।
মানুষ হয়ে পড়েছে নিষ্ঠুর।

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: এরকম অসময়ে খুবই সুন্দর এরকম একটা পোস্ট জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খুব বড় একটা সমস্যা হলো আমরা যারা নিজেদের শিক্ষিত আধুনিক দাবি করি প্রফেশনাল বিষয়ে একেকজন বিশেষজ্ঞ হলেও ধর্ম বিষয়ে ধারনা নেই। একটি বাক্য বা শব্দ কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তার জানা আবশ্যক। এমন কি পবিত্র কুরআন এর বিভিন্ন আয়াতের শানে নরুল আছে। নিজে পছন্দ মত অর্থ ব‍্যবহার করলে হবে না। আপনি কাউকে আঘাত করলে সেও ক্ষমতা থাকলে প্রত‍্যাঘাত করবে। সেটা গায়ে না হয়ে মনে হলেও হতে পারে। মোদ্দাকথা অন‍্যজনের অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন প্রতিটি সুনাগরিকের দায়িত্ব। জাফর ইকবাল স্যারের উপর হামলার নিন্দা করি। তার কথার যেটুকু অন‍্যের অনুভূতিকে আহত করেছে সেটিরও নিন্দা জানাই। দেশের সবাই ভালো থাকুক। আপনিও।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জানা ,




সময়ের দাবীতে একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ের অবতারণা করেছেন । সময়ের দাবী বললুম এ কারনে যে, বর্তমান সময়ে ধর্মকে না বুঝেই এর যথেচ্ছ অপব্যবহারে সমাজ-রাষ্ট্র প্রায়শই অস্থির হয়ে পড়ছে । এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরে একদলের আবার সোল্লাসে আনন্দে মেতে ওঠাও প্রমান করে যে, ধর্মের আগামাথা এরা কিছুই বোঝেননা , শেখানো ও মুখস্থ করা কিছু বুলি ছাড়া ।

আপনি লিখেছেন -- কোন শব্দ এবং বাক্যের দ্বিতীয় বা বিকৃত কোন অর্থ করার সুযোগ না হয়, অন্যের উপর অন্ধভাবে নির্ভর করতে না হয় এবং ধর্মগ্রন্থে বর্নিত আদর্শ বা ধর্মীয় সংবিধান সর্বসাধারণের বোধগম্য হয়।

আসলেই তাই । পবিত্র কোরআন পাঠের সাথে সাথে বাংলা তরজমা ও ব্যাখ্যা বাধ্যতামূলক করা উচিৎ । বাজারে পবিত্র কোরআন এর অনেক প্রকাশনায় বাংলায় উচ্চারণ সহ তাফসির ও দেখতে পাওয়া যায় । কিন্তু এগুলো মনে হয় কেউই পড়েন না এবং তার অর্থ হৃদয়ঙ্গমও করেন না । এর ব্যাখ্যা জানা তো দূরের কথা । আরবী উচ্চারণের পাশাপাশি বাংলায় পড়াটা মাদ্রাসা শিক্ষার কারিকুলামের বাধ্যতামূলক অংশ হলে অনেকেই কোরআন এর বিন্দুবিসর্গ না বুঝেই অন্ধের মত আত্মস্থ করতেন না । অনেক ভুল থেকে মানুষ মুক্তি পেতেন । বিশেষ করে তাফসির অংশ মানুষের ভুল ভাঙতে সহায়ক হতো ।

খুব ভালো একটি বিষয় নিয়ে এসেছেন যা একান্ত ভাবেই প্রশংসনীয়, তাই সাড়া দিলুম । নিজে ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকেই উপরের কথাগুলো বলেছি ।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জানা ,




ওহহো.................. আসল কথাটিই বলতে ভুলে গেছি, দ্বিতীয় প্যারার প্রথম লাইন - সম্প্রতি সিলেটে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাফর উকবাল স্যারের উপর হামলায় ..... বোল্ড করা শব্দটি ঠিক করে দেবেন আশা করি ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৮

জানা বলেছেন: টাইপোটি ধরিয়ে দেবার জন্যে ধন্যবাদ প্রিয় জী এস ভাই। সংশোধন করে নিলাম। পরে আসছি আপনার এবং এখানে করা সবার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলতে।

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: সুনাগরিকের অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে জানার বা শেখার পর্বটি আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমভাবে সুনির্দিষ্ট এবং নিশ্চিত করা জরুরী।

খুবই ভালো কথা ! তা এই শিক্ষার স্টেন্ডার্ডটা কি হইবে ? এথিকসটা কি হইবে? কাহারা এইগুলি রচনা করিবেন ? সর্বজনগ্রাহ্য হইবে কি ? পাশ্চত্যের স্ট্যান্ডার্ড হইলে চিন্তার বিষয় আছে বৈকি ! তাহাদের নাগরিক অধিকার ও দায়িত্বের সাথে আমাদের নাগরিক অধিকার ও দায়িত্বের পার্থক্য আছে ! তাহাদের মতপ্রকাশের অধিকার আর আমাদের অধিকার এক নহে। যীশুকে লইয়া যেসমস্ত লেখনী আর ছবি পাশ্চাত্য হজম করিতে পারে আমাদের সমাজে কোন নবীকে লইয়া সম্ভব নহে। আর সেক্ষেত্রে নাগরিক অধিকারের কোন সংজ্ঞা বা দায়িত্ববোধই এজাতীয় অপরাধীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিতে পারিবে না, দেওয়া উচিতও নহে !

পাশাপাশি এই বয়সটি পর্যন্ত আমাদের দেশের সর্বসাধারণের যাবতীয় শিক্ষার মাধ্যম মাতৃভাষায় হওয়া আবশ্যিক। বলতে চাইছি, বিজ্ঞান, ইতিহাস এবং শিল্পকলার মত ধর্ম শিক্ষাও মাতৃভাষায় প্রচলিত হওয়া উচিত।

তাহা হইলেতো ইংলিশ মিডিয়ামগুলোও বন্ধ করিতে হইবে।
মাদ্রাসাগুলোও স্কুল বানাইতে হইবে, কারণ তাহাদের ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমই হইল আরবি। আরবিতে বুৎপত্তি না হইলে তাহারা ধর্মীয় টেক্সটবুক পড়িবে কিভাবে। আর আঠার বছর পর্যন্ত যদি মাতৃভাষাতেই লেখাপড়া করে তাহার ফলাফল আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভালোভাবেই উপলব্ধি করিতেছি !

ধর্মশিক্ষা/চর্চা এবং মাতৃভাষাশিক্ষা/চর্চা মানুষের অধিকার। তাই এই দু'টির সঠিক সমন্বয় এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রচলিত হলে অন্তত ধর্মকে 'ঢাল' বানিয়ে, ধর্মীয় আইন বা বানীকে বিকৃতভাবে প্রকাশ এবং প্রচারে অতখানি সহজ হবেনা। ভুলে গেলে হবে কেন যে, আমাদের মধ্যে যাবতীয় গোঁড়ামি, অন্ধত্বের শেকড়-বাকড় বিস্তৃতিতে বিশাল দায়িত্ব পালন করে চলেছে একটা অশিক্ষিত ধর্ম বিকৃতকারীর দল।

অবশ্যই অধিকার। বাংলায় এখন ভালো ভালো ধর্মীয় বই প্রকাশ হইতেছে ! মানুষ সেখান হইতে পড়িতে পারে ! স্কুল , কলেজ, আলিয়া, কওমি সবখানেই এখন মাতৃভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়। মাতৃভাষা চর্চাও হইতেছে, সমন্বয়ও হইতেছে ! ধর্মীয় শিক্ষা এখন আর আগের মতন নাই।

বিজ্ঞানভিত্তিক আমাদের সাধারণ শিক্ষার ফলাফলও খুব সুখকর নহে ! তাহারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস করিতেছে না বটে, তবে রাজনীতি, রাজনৈতিক দর্শনের নামে করিতেছে ! উহা লইয়া তেমন উচ্চবাচ্য দেখিনা ! যতখানি ইসলাম লইয়া হইতেছে ! তাছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে এসএসসি পর্যন্ত বাংলাতেই ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হইতেছে ! ইহার ফলাফল নৈবর্ত্তিক ! বরং ধর্মের সঠিক ও দায়িত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হইতেই আসিতেছে, বিকৃতি অর্ধাঙ্গ বা অঙ্গহীনদের হইতেই আসিতেছে !

সমস্যাতো যন্ত্রের নহে, যন্ত্রের ব্যাবহারে ! যন্ত্রের ব্যবহার কিভাবে শিক্ষা দিতে হইবে, কিভাবে দিলে আকাম হইবে না তাহা ওই যন্ত্রের ব্যাবহারে যাহারা বিশেষজ্ঞ তাহাদের হাতেই ছাড়িয়া দেওয়া উচিত ! কুদরতি খোদা বা কবির চৌধুরী কমিশন আর যাই হোক ধর্মীয় কারিকুলাম ডেভেলপ করিতে পারিবেনা !

পরিশেষে বলিব, যাহারা জাফর ইকবাল কে হত্যাচেষ্টাকে সমর্থন করিতেছে ইহারা নাবালেগ, আর নাবালেগ কখনো বালেগ হওয়া কি জিনিস তাহা বুঝিতে পারে না ! আর যাহারা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া ইসলামকে দুষিতেছে বা ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বের প্রতি কুৎসা গাহিতেছে, তাহারা জ্ঞানপাপী ! ব্লগমাতা হিসেবে আপনার প্রতি অনুরোধ এইসব অর্বাচীন হইতে আমাদের রক্ষা করুন !

আরেকটি অনুরোধ করিতে চাই। কপি বন্ধ করার কারণে পোস্টের জবাব দিতে সমস্যা হয়। উপর থেকে পড়িয়া নিচে জবাব লিখিতে সমস্যা হয়। একটু বিবেচনা করিবেন কি ?

১৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৬

রাফা বলেছেন: ধন্যবাদ,জানা আপা।উপলব্দি করে অন্তত কয়েক লাইন লেখার জন্য।

বিভিন্ন অপপ্রচার দেখেও না লেখাটা আমি আমাদের ভুল ,ভয় ও অক্ষমতা বলেই মনে করি।আমরা যদি এভাবে নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে ভাবি আমরা নিরাপদ ,সেটা হবে আমাদের মূর্খতা।অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে তিব্র প্রতিবাদ অব্যআহত রাখতে হবে।ওরা যেখানে একতাবদ্ধ আমরা সেখানে শত বিভক্ত!যা কিছু সমগ্র জাতির কল্যাণে তার স্বপক্ষে দাড়ানোটাই যৌক্তিক বলে মনে করি আমি।

১৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

মলাসইলমুইনা বলেছেন: প্রিয় জানা :
অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম | জানি না আপনি এতো কম কেন লিখেন ? তারপরেও মাঝে মাঝে এ'রকম দমবন্ধ করা অবস্থায় যে লিখেন সেটা অবশ্যই অনেক | খুব প্রয়োজনীয় একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন | খুব সুন্দর করে লিখেছেন আমাদের দেশের কিছু সমস্যার কথা | আপনার লেখার মূল বক্তব্যের সাথে যে আমি একমত সেটা প্রথমেই বলে নেই | কিন্তু আপনার লেখার সাথে একটা জায়গায় দ্বিমতও করছি |সেটা বলি |আপনি যেমন বলেছেন আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্ম গ্রন্থ বাংলাভাষায় পড়ানো দরকার যাতে এর শব্দ বাক্যের দ্বিতীয় অর্থ না করার সুযোগ থাকে | এটা হয়তো আংশিক সত্যি | কিন্তু আমাদের দেশে শুধু ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণেই যে সমস্যা হয় তা কিন্তু আমার মনে হয় না | আমাদের দেশের নীতি নৈতিকতা, সহিষ্ণুতার মতো মূল্যবোধগুলো শেখাবার মতো মানুষ কিন্তু খুব বেশি নেই | রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের দিকে তাকিয়ে দেখুন এ টু জি সব অসৎ | এরাতো নৈতিকতা শেখাবার মতো জায়গায় নেই |অথচ এদেরই সারাক্ষন দেখছে সবাই অনলাইনে, পেপারে, টেলিভিশনে |এরাই জাতির মানসিকতা গঠনে ভূমিকা রাখছে (আমার চাই বা না চাই) | মুক্ত চিন্তাকে সংকীর্ণ অর্থে শুধু ধর্মীয় সংজ্ঞায়ই শুধু সীমাবদ্ধ না রেখে আরো একটু প্রসারিত করলে কিন্তু দেখবেন রাজনীতি বা অনেক ব্যাপারেই আমরা বিপক্ষ মতবাদকে কিছুমাত্র সহ্য করতে পারছি না | এই সব কিছুই কিন্তু মুক্ত চিন্তার প্রতিপক্ষ হয়ে যাচ্ছে | যদিও আমরা ব্যাপারটাকে ধর্মীয় সংজ্ঞার মধ্যেই আটকে রাখছি | মুক্ত চিন্তার চর্চার বিষয়টা কিন্তু খণ্ডিত ভাবে দেখে ভুল হবে বলেই আমার মনে হয় |এটাকে সামগ্রিক ভাবেই দেখতে হবে | সমাজের একটা জায়গায় মুক্ত চিন্তা চর্চা হবে অন্য জায়গায় নয় এমন চিন্তা করে কিন্তু এটার সাফল্য আশা করলে ভুল হবে বলেই আমার মনে হয় | যাক আবার বলছি, আপনার মূল বক্তব্যের সাথে কিন্তু আমি একমত যে মুক্ত চিন্তার চর্চাটা খুব জরুরি একটা সমাজে |

এবার আমার কিছু অনুযোগ আছে আপনার কাছে |
সেটা হলো আমার ব্লগে লেখার বয়স হলো ছয় মাস | আর আপনার বারো বছর | আজ আপনার ব্লগে এসে দেখি আপনার আর আমার পোস্ট সংখ্যা সমান ২৯ ! না লিখেলেই আপনার বেশি ভালো লাগে কিনা জানি না কিন্তু আমি কিন্তু ভীষণ লজ্জ্বা পেলাম এই সাংঘাতিক পরিসংখ্যান দেখে | আপনি ব্লগে আরেকটু লিখলে আমার চেয়ে আপনার পোস্ট কিছু বেশি হলে আমি কিন্তু লজ্জ্বার হাত থেকে একটু বেঁচে যেতাম | আপনি আরো একটু বেশি লিখলে কিন্তু ব্লগে সবারই আরো ভালোই লাগবে | আপনার চোখের অবস্থা এখন ভালো আছে আশাকরি |অনেক ভালো থাকবেন |

১৫| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১০

নাজিম সৌরভ বলেছেন: জাফর স্যারের কথা বলে লাভ নেই । বলা যায় উনি এই সমাজ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন একজন মানুষ । জাতীয় সমস্যার সময় উনি নিজের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টায় থাকেন । একাত্তরে এভাবে পিঠ বাচিয়েছেন, সাইদির মামলার সময় বড় বড় বক্তৃতা দিলেন ঠিকই, কিন্তু নিজের পিঠ বাচাতে মামলার আদালতে সাক্ষী হতে গেলেন না । আর এবার কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় তো তিনি নিজের চেহারার কুৎসিত দিকটি সবাইকে দেখিয়ে দিলেন ।

১৬| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: কথাগুলো আপনার ঠিকই, আমাদেরকে বকধার্মিক না হয়ে প্রকৃত ধার্মিক হতে হবে। আর সেটার জন্য আমাদেরকে জানতে হবে সঠিকটা।
ধর্মীয় বিষয়ে আজকাল যে কেউ তার মনখুশি যা তা লিখে যাচ্ছে। আজ একজন ব্লগারকে দেখলাম ধর্মীয় বিষয় নিয়ে একটি সংঘর্ষজনিত লেখা প্রথম পাতায় প্রমাশ করেছেন। যে লেখা পাঠে সহজেই বুঝা যায় উনার ধর্মীয় বিষয়ক জ্ঞান অতি স্বল্প। এমন স্বল্প ধর্মীয় জ্ঞান নিয়ে যখন কেউ ধর্মের তাত্ত্বিকতা যাচাই করতে যায় তখন তো সে অরাজকতা সৃষ্টি করবেই।

আপনার কথাই ঠিক যে, এ বিষয়ে সরকার তথা ধর্ম মন্ত্রণালয় যথেষ্ট ভুমিকা রাখতে পারে।



মাঝেমধ্যে আইসেন! বুঝলেন! ;)
ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

১৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: একদম মনের কথাটা বলেছেন জানা আপু, "কেমন যেন একটা দম বন্ধ করা গুমোট পরিস্থিতিতে আটকে গেছি"।
আমাদের কথা বলতে ভয় হয়, পথ চলতে ভয় হয়, নিজের পাওনা টুকু চাইতে ভয় হয়। কারণে অকারণে ভয়ে থাকি, গুটিয়ে রাখি নিজেদের। মুক্ত হাওয়ায় দম নেবার পরিবেশ পাই না কোথাও যেন।

তবে সার্বিক মঙ্গলের জন্য এ দেশে ধর্মগ্রন্থের যে আবশ্যিকতার কথা বললেন, তার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি।

ধর্মগ্রন্থে শান্তির বাণী যতোই থাকুক, উস্কানীও কিন্তু কম নেই। মানুষকে একবৃন্তে ধরে রাখার সীমাবদ্ধতাও রয়েছে যথেষ্ট। আর যারা তা শেখাবেন, তারা তো এককাঠি সরেস।
ইসলামের স্যার বলবে, ইহাই তামাম জাহানের সর্বশেষ, সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। মুসলিম জাহানের শান্তি বিরাজ করুক।
খৃষ্টানের স্যার বলেবেন, মানবতার উৎকর্ষের ধর্ম হলো যীশুর বাণী, পৃথিবীতে শান্তির একমাত্র পথ, অন্য কোন ধর্ম তা দিতে পারবে না।
বৌদ্ধ্ না সনাতন ধর্মানুসারী শিক্ষকেরা স্বধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের মহিমা প্রচারে কোমলমতি ছাত্রদের মাথাটাই বিগড়ে দিবেন। কেউই পিছপা হবেন না।
বরং নৈতিক শিক্ষা যেখানে দৃঢ়, মানবিক শিক্ষা যেখানে সমুন্নত সেখানে ওসব বিভক্তিকর ধর্মের প্রয়োজন পড়ে না। সাধারণ মানুষরা ধর্ম পালন করে যতটুকু জানে। কিন্তু এ নিয়ে মাতামাতি বা বাড়াবাড়ি করে না কখনো। জ্ঞানপাপী কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, যারা ধর্মকে পুঁজি করে ব্যবসা করে খায়। অহেতুক উস্কানী দিয়ে মানবতার বিপর্যয় ঘটায়।
বিশ্বের অনেক দেশ আছে যেখানে ধর্মের কোন আনুষ্ঠানিকতা নেই, বাড়াবাড়ি নেই, ওরা নীতি ও বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়। তাই বিনীতভাবে বলছি, আমাদের প্রয়োজন মানবিক শিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা। এসব শিক্ষায় বিবেকবোধ শানিত হলে ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, জাতি এসব অজুহাত তুলে মানুষ কখনো মানুষকে বিভাজিত করবে না। স্বার্থলোভী ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের লোলুপ্ত বিষদাঁত নিয়ে সাধারণের শান্তিপূর্ণ জীবনকে অশান্তির আগুনে নিক্ষেপের পাঁয়তারা করার সাহস পাবে না।

নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিচার করলে আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত মানবিক মৌলিক/বেসিক শিক্ষায় (মাতৃভাষা, সাহিত্য, আন্তর্জাতিক ভাষা/ইংরেজি ভাষা, গণিত, শিল্প, বিজ্ঞান, নৈতিক শিক্ষা ইত্যাদি) শিক্ষিত করে তুলে তারপর ছেলেমেয়েদের পছন্দমতো পড়াশুনার বিষয় বেছে নেবার সুযোগ দেওয়া হোক, যার প্রযুক্তি, যার ইচ্ছা ধর্ম, যার ইচ্ছা বিজ্ঞান, গণিত, শিল্প সাহিত্য নিয়ে পড়বে।

যেকোন ধরনের ধর্মীয় উস্কানীকে কঠোরভাবে দমন ও শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যদিও আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র চলার জন্য আগে গাড়ি জুড়বে নাকি ঘোড়া জুড়বে এ রকম সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বর্তমানে। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নির্ভিক সরকার এসব বাস্তবায়নকে কখনোই কঠিন ভাববে না।

আপনার সাথে আমিও বলেতে চাই, "মানুষ"এর জয় নিশ্চিত। আমি আশাবাদী।
শুভেচ্ছা অনেক :)

১৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: হ্যাঁ আমরা সবাই এক সাথে বলব " আগুনের পরশ মনি ছোঁয়াও প্রানে " । আপুর জন্য অনেক মঙ্গল কামনা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.