নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতির বোঝা। তবে আমাকে আপনি জাতির ভাতিজাও বলতে পারেন। জাতির কোন উপকার করছি কিনা জানি না। জাতির থেকে কোন উপকার পাইনি এটা বলতে পারি।

জাতির বোঝা

বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সিরিয়াল নম্বর দিলে আমার নম্বরটা পড়বে সবার শেষে । আমি এক জন কামলা। দেশে কোন কাজ পাইনি। পেটের দায়ে বিদেশে কামলা দেই। আমি জাতির বোঝা। জাতি আমাকে কিছু দেয়নি। তবে আমি জাতিকে রেমিট্যান্স দিই।

জাতির বোঝা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন|পাঁচ শ পাসপোর্ট খোয়া

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩১

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ শ পাসপোর্ট খোয়া গেছে।

কুয়ালালামপুরের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এসব পাসপোর্ট বিক্রি করেছে হাইকমিশনের একটি অসাধু চক্র। ছুটিতে ঢাকায় অবস্থানরত এক কর্মকর্তাসহ হাইকমিশনে কর্মরত কয়েকজনকে এর জন্য সন্দেহ করা হচ্ছে।

মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ যখন সে দেশে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু করেছে, এমন সময়ে হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটল।

কুয়ালালামপুর থেকে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এ কে এম আতিকুর রহমান গতকাল শুক্রবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পাসপোর্ট হারানোর বিষয়টি তদন্তের জন্য হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এয়ার কমোডর এম আবুল বাশারকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাঁরা পাসপোর্ট সত্যায়নের জন্য আসছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক বাংলাদেশির সহায়তায় তাঁরা হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন।

হাইকমিশনার জানান, তদন্ত কমিটির কাছে হাজিরের জন্য অভিযুক্ত ওই বাংলাদেশিকে তাঁর দপ্তরে খুঁজতে গেলে জানা যায়, তিনি পালিয়ে গেছেন। এরপর পলাতক ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি আটক হলেই কীভাবে হাইকমিশন থেকে পাসপোর্টগুলো খোয়া গেছে, তার রহস্য উদ্ঘাটিত হবে।

ঢাকা ও কুয়ালালামপুরের কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) সূচনা রানী হালদার গত ৫ জানুয়ারি ১০ দিনের নৈমিত্তিক ছুটিতে ঢাকায় আসেন। ১৫ জানুয়ারি তাঁর কর্মস্থলে ফেরার কথা থাকলেও তিনি এখনো ঢাকায় অবস্থান করছেন।

জানতে চাইলে আতিকুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তাঁর (সূচনা রানী হালদার) বাড়তি সময় দপ্তরের বাইরে অবস্থান করায় বিষয়টি ইতিমধ্যে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তাঁকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে কুয়ালালামপুরে ফিরে তদন্তকাজে সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পরও তিনি মিশনের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করেননি। এখন মন্ত্রণালয় তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।

জানতে চাইলে সূচনা রানী হালদার গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথম আলোকে বলেন, পাসপোর্ট খোয়া যাওয়ার ঘটনায় তিনি যুক্ত নন। পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত হাইকমিশনের একটি চক্র তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। অসুস্থতার কারণে বাড়তি ছুটি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তিনি।

কুয়ালালামপুর থেকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সুরক্ষিত ভান্ডারে (ভল্টরুমে) সূচনা রানী হালদারের কামরাটি অবস্থিত। হাইকমিশনের পাসপোর্ট তাঁর জিম্মায় থাকে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের অভিযান শুরুর পর থেকেই কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের পাসপোর্টের আবেদনকারীদের হার কয়েক গুণ বেড়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০১২ সালের জুনে তিন বছরের জন্য মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান সূচনা হালদার। ২০১৩ সালের অক্টোবরে তিনি কুয়ালালামপুরে দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) পদে যোগ দেন।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কুয়ালালামপুর থেকে জানানো হয়েছে, সূচনা রানী হালদার ছুটিতে যাওয়ার পর সত্যায়নের জন্য সন্দেহজনক পাসপোর্ট আসা বেড়ে যায়। ভল্টরুমে যেসব পাসপোর্ট মজুত আছে, তার সঙ্গে সত্যায়নের জন্য জমা পড়া পাসপোর্টের নম্বরের মিল রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন। কারণ, সত্যায়নের জন্য প্রবাসীরা মিশনে যেসব পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন, তার সই, স্ট্যাম্পসহ সবকিছুই জাল। সন্দেহজনক এসব পাসপোর্ট এক মাস আগে ইস্যু করা হয়েছে।

সাধারণত পেশাদার কূটনীতিকদের দুই বছর চাকরি নিশ্চিত হওয়ার পর মিশনে পাঠানো হয়। আর পাসপোর্ট ইস্যুসহ পেশাগত প্রশিক্ষণ ছাড়া কূটনীতিকদের মিশনে পদায়ন করা হয় না। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া এবং পাসপোর্টের কাজে অভিজ্ঞতা নেই এমন একজনকে পাসপোর্টের কাজের দায়িত্ব কীভাবে দেওয়া হলো, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

জাতির বোঝা বলেছেন:
কল

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৪

জাতির বোঝা বলেছেন: ----------------

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.