![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি এম এ পাশ করেছি। একটা ভাল চাকরি খুঁজছি। কিন্তু চাকরির দরখাস্ত করার আগে ভাবতে হয় অনেক কিছু।
বর্তমানে সকল সরকারি চাকুরীতেই বিভিন্ন কোটা থাকে। এই কোটার মদ্ধে সবচেয়ে বেশি অংশে থাকে মুক্তি যোদ্ধা কোটা। বিসিএস পরিক্ষার মত উচ্চ পর্যায়ের চাকুরীতে ৩০% এর বেশি এই কোটার অন্তর্ভুক্ত। এছারাও সাম্প্রতিক সময়ে সুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনেকগুলু বিজ্ঞাপন হয়েছে। তার মদ্ধে উল্লেখযোগ্য- ৩২ তম বিসিএস, সোনালি ব্যাঙ্কের নিয়োগ পরীক্ষা, এবং কৃষি ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। এই সবগুলু পরীক্ষাতেই শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি- নাত্নিদের জন্য।
আমাদের মত কোটাহীনদের জন্য তাই সরকারি চাকুরী অতি মাত্রায় দুঃসাধ্য। আমার পরিচিত অনেককেই দেখেছি , শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকায় তারা , অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা সম্পন্ন হয়েও , সরকারি চাকুরী পেয়েছে। এখন আফসোস হয় কেন আমার বাপ-দাদা মুক্তিযুদ্ধ করে নাই।
যাক, তারা করে নাই ত কি হয়েছে। এখন আমার সামনে সুজুগ এসেছে , মুক্তিযুদ্ধ করার !!! গণজাগরণ মঞ্ছ আমার জন্য সে সুযোগ করে দিয়েছে, যাকে এখন অনেকেই , এমনকি অনেক রাজনীতিবিদও , এ প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধ, ২য় মুক্তিযুদ্ধ নামে আখ্যায়িত করেছেন। কে জানে হয়ত ভবিষ্যতে তাদের মুক্তিযুদ্ধ সনদ দেয়া হবে, চাকুরী দেয়া হবে। তাই এ সুযোগ হাত ছাড়া করা যায় না।
৭১ এ যারা যুদ্ধ করেছেন, তারা শুধু দেশকে ভালবেসে , দেশকে স্বাধীন করার জন্যই যুদ্ধ করেছেন, কোন কিছু পাওয়ার আশায় নয়। তাদের প্রতি জাতি কৃতজ্ঞ। তার স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের সন্তানরা এই সুবিধা পেতেই পারে। কিন্তু সেটা তার নাতি প্রজন্ম পর্যন্ত নেয়াটা বাড়াবাড়ি বলেই অনেকে মনে করেন।
গণজাগরণ নেতা কর্মীদের মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি , ৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা বলেই মনে করি।
©somewhere in net ltd.