নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ

ডিজিটাল নেতা

আই এম নাথিং

ডিজিটাল নেতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবনা ডিসি অফিসের সেই আলোচিত নিয়োগ’র ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৬

যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় স্থগিত থাকা পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর আলোচিত সেই নিয়োগের ব্যবহারিক পরীক্ষা এক বছর পর শুক্রবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঘটনার পূনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য পরীক্ষা পাবনায় গ্রহণ না করে রাজশাহীতে গ্রহন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এদিকে অনেক প্রার্থীই পুরোনো কাগজপত্র হারিয়ে ফেলায় অনুষ্ঠিত ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি বলে জানা গেছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের শুধুমাত্র ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় মোট ৮১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৬৭ জন অংশগ্রহণ করেন। রাজশাহীর ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পৃথকভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে বলে সূত্র জানায়।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনার জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরীক্ষা শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি জানান, পরীক্ষার্থীদের অনেকে বিভিন্ন স্থানে চাকুরী পাওয়ায় এবং অনেক প্রার্থী কম্পিউটার বিষয়ে না জানার কারণে পরীক্ষায় উপস্থিতির সংখ্যা ছিলো কম বলে ধারণা করছি। লিখিত পরীক্ষা পরবর্তীতে গ্রহণ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

প্রসঙ্গত: জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ১৭টি পদের জন্য ২০১০ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর দু’টি কেন্দ্রে নিয়োগ’র লিখিত পরীক্ষা চলাকালীন নিজ দলের প্রার্থীদের নিয়োগের দাবিতে জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে হামলা চালিয়ে পরীক্ষার্থীদের মারপিট করে বের করে দেয়। সেই সাথে পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়ে প্রশ্নপত্র পুড়িয়ে ফেলেছিলো হামলাকারীরা। হামলায় পুলিশের এক উপ-পরির্দশক ও এক পুলিশ কসন্টেবলসহ আহত হয়েছিল ১২ জন।

হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গিয়ে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইমাম উদ্দিন কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিজয় ভূষন পাল, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার অফিসের প্রতিনিধি সহকারী পরিচালক মনির হোসেন, পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হালিমসহ বেশ কয়েকজন সরকারী কর্মকর্তা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছিলেন এবং তাদের ব্যাবহৃত ৪টি সরকারী গাড়ী ভাংচুর করা হয়েছিলো।

এ ঘটনা দেশব্যাপী আলোচিত হয় এবং এক পর্যায়ে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক মনজুর কাদির।

ঘটনার পর জেলা প্রশাসক জরুরী বৈঠক ডেকে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেন। হামলার ঘটনায় তৎকালীন পাবনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ময়নুল হাসান বাদী হয়ে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহমেদ শরীফ ডাবলু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুইটসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩২ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছিলেন।

পরবর্তীতে সে মামলার আসামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩২ জন নেতা-কর্মীর সকলেই কয়েক দফায় আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। অবশেষে এক বছর পর শুক্রবার স্থগিত হয়ে যাওয়া সেই নিয়োগ পরীক্ষা’র শুধুমাত্র ব্যহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো



বিস্তারিত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.