![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতিসাধারণদের একজন...মনে লুকানো সাধারণ কিছু কথা বলতে এসেছি। বিশাল বিশাল ব্লগ লেখার ক্ষমতা বা যোগ্যতা কোনটাই আমার নেই। রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্ম ইত্যাদি কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনায় দয়া করে আমাকে কেউ টানবেন না :)
(ছবি: s3.amazonaws.com)
একজন মানুষের দেহ একটা, মনও একটা, কিন্তু সেই মনের রয়েছে হাজারো রূপ, হাজারো রঙ। ফ্রয়েড বলেছিলেন, মানুষের মনের আছে অনেকগুলো প্রকোষ্ঠ; ভিন্ন ভিন্ন প্রকোষ্ঠে ভিন্ন ভিন্ন ধারা ও গভীরতার চিন্তা তৈরি হয়। তাঁর কথা আক্ষরিকভাবে সত্য না হলেও রূপক অর্থে নিশ্চয়ই যথেষ্ট সত্যি। এজন্যই হয়তো একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে প্রাণপণ ভালোবাসার পরও নিজের কষ্টের সময় বা মানসিক দুর্বলতার সময় তৃতীয় কোন ব্যক্তির প্রতি অবচেতনভাবে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। একই সময় আগের মানুষটার জন্য অশ্রু বিসর্জন দিতে পারে। আবার যখন সে তৃতীয় ব্যক্তির প্রতি নিজের দুর্বলতাটা ধরতে পারে তখন নিজেই নিজের ভালোবাসার খাতিরে সেই দুর্বলতা থেকে সরে আসতে পারে। সেই অন্ধ ভালোবাসাও আবার এক সময় চোখ খুলে দিলে তার মায়া ছিন্ন করে মানুষ চলে আসতে পারে। হয়তো অনেক কষ্ট হয়, বাঁচার ইচ্ছা চলে যায়, হতাশার চাদরে ঢেকে যায় সব অনুভূতি। তবু চলে আসতে হয়, যখন আর কোনভাবেই থাকা যায় না... আমিও চলে এসেছি মায়ার শক্ত বাঁধন ছিড়ে।
ছেড়ে আসাটা যন্ত্রণাদায়ক হলেও খুব বেশি কষ্টকর ছিল না। কারণ শক্ত বাঁধনগুলো সে আগেই অপমান আর সন্দেহের আগুনে পুড়িয়ে দুর্বল করে রেখেছিল। যতদিন নিজ হাতে আঁকড়ে ধরে ছিলাম, বাঁধন শক্ত ছিল। যেই আমি ছেড়ে দিলাম, নরম হয়ে গেল। টান দিতেই ছিঁড়ে গেল। শেষ পর্যন্ত শুধু ছেঁড়া দড়িগুলো পায়ে বেঁধে আমার এগিয়ে চলাকে আটকে দিচ্ছিল। কিন্তু ততদিনে আমি নিজেকে সামলে নিয়েছি। মাথার ভেতর জ্বলতে থাকা কষ্ট আর অপমানের আগুনটাকে কিছুটা শান্ত করে এনেছি। হতাশায় ডুবে আছি, তাও ঢের বুঝতে পারছি নিগ্রহ আর সন্দেহের যে অন্ধকার কূপ থেকে আমি বের হয়ে এসেছি তার থেকে কূপের মুখে জমে থাকা হতাশার কুয়াশা অনেক বেশি আলোকিত।
.....আমি আলো ভালোবাসি।
©somewhere in net ltd.