![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতিসাধারণদের একজন...মনে লুকানো সাধারণ কিছু কথা বলতে এসেছি। বিশাল বিশাল ব্লগ লেখার ক্ষমতা বা যোগ্যতা কোনটাই আমার নেই। রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্ম ইত্যাদি কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনায় দয়া করে আমাকে কেউ টানবেন না :)
"সুখ তুমি কী বড় জানতে ইচ্ছে করে..." আসলেই তো, সুখ কী? আমি এমন কোন জ্ঞানী নই যে সুখের সংজ্ঞা দিতে পারবো। আমার মনে হয় পৃথিবীর কেউই সুখের সঠিক সংজ্ঞা জানে না। এটা দুনিয়ার সে সব বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটি, যাদের অসংখ্যভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়, কিন্তু কোনভাবেই তার রূপ পুরোপুরি তুলে ধরা যায় না।
আমার মনে হয় সুখ খুবই আপেক্ষিক একটা ব্যাপার। একজন মানুষের জীবন আর অভিজ্ঞতার সীমানা যদি খুব ছোট হয়, তবে তার মধ্যে মানুষ যতটুকু হালকা-পাতলা সুখ পায়, সেটাই তার কাছে ‘সুখ’ বলে পরিচিত। সেই সীমানাটা বেড়ে যদি আরও বড় কোন সুখের স্বাদ সে পায়, তখন তার কাছে সুখের সংজ্ঞা পাল্টে যায়। সে হয় আগের ছোট ছোট সুখগুলোকে আর পুরোপুরি সুখ হিসেবে মেনে নিতে পারে না, অথবা আগের সুখের অনুভূতিগুলোর মাঝে থাকা ফাঁকগুলো তার চোখে স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়। তখন সে ভাবে, “যদি আমি পরের সুখের অনুভূতিটা না পেতাম, তাহলে জানতেই পারতাম না সুখ আসলে কী।”
(ছবি: s3.amazonaws.com)
আমার জন্য উপরের সবগুলো কথাই সত্যি। তারপরও আশা করে থাকি আরও বড় কোন সুখের জন্য। যদিও জানি না সেই সুখের অনুভূতিটা কেমন হবে। “যদি আমি পরের সুখের অনুভূতিটা না পেতাম, তাহলে জানতেই পারতাম না সুখ আসলে কী” -- সত্যিই কি আমি জানতে পেরেছি সুখ আসলে কী? এতই কি সহজ? সত্যিই... সুখ তুমি কী, বড় জানতে ইচ্ছে করে.........
২৪ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:০২
ঝড়-বৃষ্টি বলেছেন: নাহ্, ভালোই লাগলো। কারণ আপনার কথায় যথেষ্ট সত্যতা আছে বলে আমি মনে করি। যখন প্রচণ্ড মানসিক কষ্টে ছিলাম, তখন তখন মাঝে মাঝেই ভাবতাম, আমার চেয়েও চন্ত্রণার সময় পার করেছে, করছে কত শত মানুষ। আমার সাথে তাও আমার পরিবার আছে, বন্ধুরা আছে; তাদের সাথে হয় তো কেউ নেই। তখন সুখ না পেলেও কিছুটা শান্তি পেতাম এই ভেবে যে আমি অন্য অনেকের চেয়ে ভালো আছি। সেই শান্তি আমার মনে শক্তি দিয়েছে, যা ভবিষ্যৎ সুখের আশায় আমাকে তৈরি করেছে, ধৈর্য ধারণ করার প্রেরণা দিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:৪৩
বটের ফল বলেছেন: আমার মতে, সুখ হলো শুকরিয়ার বহিপ্রকাশ। যে যত বেশি শুকরিয়া করতে পারে, সে তত বেশি সূখী । অন্তর থেকে শ্রষ্টার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারাতেই আছে সুখ।
আমাদের ক্রমাগত চাহিদা, টেনশন , এসব কিছুই হলো না-শুকরিয়ার বহিঃপ্রকাশ। পন্যদাসত্ত্ব, কর্পোরেট ভাবনা আমাদের শোকরগোজার হতে বাধা দেয়। মিথ্যা প্রলোভোন দেয় সুখের। আমরা আরো বেশি করে অসুখী হয়ে পড়ি।
আর তাই, যখন যে অবস্থায় থাকুননা কেন, শুকরিয়া আদার করুন । কারন এর চেয়েও খারাপ অবস্থায় অনেকেই থাকতে পারে। ভেতের থেকে অনুভব করবেন এক অনাবিল প্রশান্তি।
এটা সম্পূর্ণ আমার মত। আপনার ভালো না লাগতে পারে। আশা করি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর অনেক অনেক ভালো থাকবেন।