![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
্মুক্ত চিন্তা হয়ে উঠতে পারে দেশ বদলের হাতিয়ার.................................।
আমরা বাঙ্গালিরা যে উন্নত মানের শ্রমিক তা আমরা অনেক আগেই বিশ্বকে বুঝিয়েছি।আর এখনতো তা বলার অপেক্ষা রাখেনা কেননা বর্তমান রেমিট্যন্সের চিত্রটা যে কেবলি ঊর্ধ্বমুখী।যে রেমিট্যন্সের উপর আমাদের অর্থনীতির সিংহভাগ দাঁড়িয়ে আছে।রেমিট্যন্স শব্দটি শুনলেই আমাদের সরকার প্রধান আমাদের অর্থমন্ত্রীর মুখে আনন্দে হাসির রেখা ফুটে উঠে।তবে সাম্প্রতিক কালে শুধু কেবল নিরেট শ্রমিকেরাই নন শিক্ষিতজন তথা বিশ্ববিদ্যালয় সমাপ্ত শিক্ষার্থীদেরও বাহিরে যাবার প্রকোপও বেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে।কেউ উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে কেউ উচ্চ শিক্ষার নাম করে কাজের উদ্দেশ্য কেউবা শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে শুধুই কর্ম সন্ধানে পাড়ি জমাচ্ছেন সুদুরে।ইদানীং আমার বন্ধুমহলেও বিষয়টি বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।ইদানীং বন্ধু মহলে অধিকাংশকে দেখছি বাহিরে যাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।শুধু বন্ধু মহল বলছি কেন এর বাইরেও অনেককে বলতে শুনেছি তাদের বাহিরে যাবার ইচ্ছা সম্পর্কে,অনেককে বলতে শুনেছি তাকে যেতেই হবে।এ দেশে থাকবার ইচ্ছে পুরিয়ে গেছে অনেকের।কেহ বাংলাদেশ থেকে পরিত্রান পেতে,কেহ উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে,কেহ ভালো চাকুরী না পাওয়ার হতাশায় অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে বাহির দেশে যেতে ইচ্ছুক।আমাদের সরকার প্রধান বা অর্থমন্ত্রী রেমিট্যন্সের কথা ভেবে এদের বাহির যাবার কথা শুনে হয়ত আরো খুশি হয়ে যাবেন।তারা কেন বুঝতে পারছেন না এই দেশটা ক্রমেই বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে বলেই নিজের দেশের উপর অনীহা জন্মে সবাই ভিন দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।হলমার্ক,ডেসটিনি,ঘুষ,দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি,ব্যাংক জালিয়াতি,মহামারী ব্যাধিতে রূপ নেয়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধে অকার্যকর ভুমিকা, বিদেশে অর্থ পাচার,কমিশন প্রথার অস্বাভাবিক অগ্রযাত্রা,অনিয়মকে নিয়মে নিয়ে আসা,মোটা অংকে চেয়ার পাওয়া,দেশীয় শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার ব্যার্থতা,নিজেদের প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন না করে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের দ্বারা দেশীয় কাজ সম্পন্ন করা,অধিক কর্মক্ষেত্রের সুযোগ তৈরী করতে না পারার ব্যার্থতা,…,…,…এতসব কিছুকে নিতান্ত মনে করে যারা রেমিট্যন্সের চেহারা দেখে সুখ পাচ্ছেন,ভেবে নিচ্ছেন অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশের চেহারা পালটে যাচ্ছে;তবে মহা ভুল করবেন।জিসপি সুবিধা বন্ধ করার জন্য একটি সাভার দুর্ঘটনাই যথেষ্ট ছিল না,এর বহু আগেই অনেক সুযোগ তৈরী করে রেখে দিয়েছি আমরা।আগে বন্ধ করেনি বলে যারা ধরে নিচ্ছে আগে সব ঠিক ছিল তাও ভুল ধারনা;আমাদের নিজেদের সংশোধনের ইচ্ছার দিকে তাকিয়েছিল তারা।কিন্তু আমরা সংশোধনতো করি-ইনি বরঞ্চ ক্রমাগতই উলটো পথে হেটেছি আর এইতো মাত্র কিছুদিন আগেইতো প্রসব করেছি সহস্র লাশ।আমাদের সস্তা শ্রম বিদেশীদের মন কেড়েছে বলেই পোশাক শিল্পের এত বড় বাজার আমরা তৈরী করতে পেরেছি।কিন্তু ধরে রাখার উদ্যোগ নিচ্ছিনা আদৌ।
মাঝে মাঝে মনে হয় আমাদের আভ্যন্তরীন সমস্যা যত সব অসংগতি এসবের সমাধান বোধহয় কোনদিন হবেনা;এ বুঝি চিরকাল প্রবাহমান নদীর ঢেউয়ের মত বইতেই থাকবে।আমরা যেহেতু আমাদের আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো থেকে কোনদিন মুক্তি পাবনা তবে সরকারের উচিত সব মন্ত্রনালয় বাদ দিয়ে বাকি মন্ত্রিদের নিয়ে পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী-কল্যান মন্ত্রনালয়ের শাখা প্রশাখা বৃদ্ধি করা।তারা শুধু বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়াবে সেসব দেশের মন্ত্রী আমলাদের সাথে চা-চক্রে বসে তাদের রাজি করাবে বাংলাদেশের শ্রমিক নেয়ার জন্য।কিছুদিন পর পর তারা দেশে আসবেন আর একটা নতুন দেশের সঙ্গে চুক্তির সুখবর নিয়ে আসবেন। আমরা দল বেধে সব অতিথি পাখির মত সেসব দেশে পাড়ি জমাবো।নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আর রেমিট্যন্সের হার বৃদ্ধিতে অবদান রেখে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবো।
ক্রমাগত হারে বিদেশ যাবার প্রবনতা বেড়ে যাওয়া মোটেও সুখকর কোন বিষয় নয়।উচ্চ শিক্ষার জন্য স্বেচ্ছায় সূদুর চীন দেশে যেতেও বাধা নেই।কিন্তু একটা ছেলে/মেয়েকে যখন বাধ্য হয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়,এ দেশের জন্য বড়ই লজ্জার!আজ ছেলের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পুরুন করতে গিয়ে সকল বাধা উপেক্ষা করে পিতা কষ্টার্জিত অর্থে কেনা জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন বুকে গভীর ব্যাথা নিয়ে।সন্তানের জন্য যেকোন কিছু বিসর্জন দিতে পিতারা কখনো কার্পণ্য করেন না;কিন্তু আজ যদি দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সকলের আস্থা অর্জন করতে পারতো তবে ছেলেকে বিদেশে যাবার চিন্তা করতে হত না,এত টাকার প্রয়োজন হতনা আর হত না সন্তানদের সুখের জন্যই গড়া সম্পত্তিকে এত তাড়াতাড়ি বিক্রি করে দেবার।আমাদের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অনায়াসে অর্থ খরচ করে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিজেদের ছেলেমেয়েদের পড়াতে পাঠান তাই তারা আর এসব দিকে নজর দেবার প্রয়োজন মনে করেননা।অথচ দেশীয় ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সবার কাছে এর গ্রহন যোগ্যতা বৃদ্ধির কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা।আমাদের দেশেই এখন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রিকে যথাযথ মুল্যায়ন করা হচ্ছেনা।বাহির দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে বেশি।ইদানীং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে দেখলাম বলেই দেয়া হচ্ছে নর্থ আমেরিকান ডিগ্রি থাকতে হবে।তা শুধু যে কেবল বড় পদের জন্য তা নয়,লেকচারার পদেও একই শর্ত প্রযোজ্য।অর্থাত সেখানে বুয়েট বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিও ব্যার্থ।
রাজনৈতিক হানাহানি আর হিংসার লড়াইয়ে একে অপরকে পরাভুত করে ক্ষমতায় যাবার লালসায় ব্যস্ত থাকেন।ক্ষমতায় গিয়ে আর ব্যস্ত থাকেন না দেশের উন্নয়নে,তখন ব্যস্ততা বেড়ে যায় আখের গোছাবার।অস্বীকার করার উপায় নেই দেশের যা কিছু উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তাদের হাত ধরেই,ভবিষ্যতেও যা হবে তাদের হাত ধরেই।আমরা সবসময় তাদের শ্রদ্ধা করি।রাজনীতি তো কখনো পেশা হতে পারেনা,রাজনীতি মানে সদা জনগনের,দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকা।ইচ্ছে শুধু জানবার,পেশার রাজনীতি ভুলে সেবার রাজনীতির দরজা কবে খুলবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে?
আমাদের বোধদয় আর কবে হবে ভেবে পাইনা।আদৌ হবে কিনা তাও জানিনা।তবে শুধু রাত-বিরাতে কল্পলোকে ছবি আকি একটি সুন্দর,সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৩
মোঃজাহিদুল হাসান (রাশেদ) বলেছেন: ধন্যবাদ!ভালো থাকবেন!
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
জাহাঁপনা। বলেছেন: KHUBI VALO LAGLO PORE. VERY WELL WRITTEN