![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘বিবিসি বাংলা নির্বাচনী সংলাপের’ প্রথম পর্বে গতকাল সিলেটের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান প্রশ্নকারী দর্শকদের কাছে প্রায় নাজেহাল হয়েছেন।
বিগত দীর্ঘ ১৫ বছরে তিন বার মেয়র ও পৌর চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তার ব্যর্থতা তুলে ধরে দর্শকরা তাকে নানা প্রশ্ন করেন।
দর্শকদের পক্ষ থেকে বারবার তাকে বিব্রতকর প্রশ্ন এবং তার পাশেই বসা প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক মেয়র প্রার্থীর (যিনি সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন) প্রশংসা শুনতে শুনতে একপর্যায়ে কামরান বেশ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে আরিফুল হক চৌধুরী (বর্তমান নির্বাচনে ১৮ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী) সফল হলে আমিও সফল মেয়র ছিলাম। কারণ তিনি আমার সহায়তা ছাড়া উন্নয়ন করতে পারতেন না।’
সংলাপ অনুষ্ঠানটি রাত ৯টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি প্রচার করে। ওয়ালিউর রহমান মিরাজের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানে সিলেটের সর্বস্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিন মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল সমর্থিত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, বিএনপি ও ১৮ দল সমর্থিত আরিফুল হক চৌধুরী, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন রিমন।
পুরো অনুষ্ঠানে মৌলিক ছয়টি প্রশ্নের পাশাপাশি মেয়র প্রার্থীরা আরও কিছু সম্পূরক প্রশ্নের মুখোমুখি হন। মৌলিক প্রশ্নের বিষয়গুলো ছিল—শহরের যানজট, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও হকার ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা নিরসন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, পানি সমস্যার সমাধান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং প্রার্থীরা কেন তাদের যোগ্য মনে করছেন।
উল্লিখিত পাঁচটি সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে নগরবাসী ভুগলেও তার সমাধানে সিটি করপোরেশনের তেমন উদ্যোগ ছিল না বলে অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন দর্শক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসব ক্ষেত্রে কামরান ‘আগামীতে আর এমন থাকবে না’, ‘সব সমস্যা সমাধানে মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে’ ইত্যাদি জবাব দেন। এর উত্তরে সম্পূরক প্রশ্নে এক দর্শক তাকে প্রশ্ন করে বসেন, ‘আপনি এখন ওয়াদা দিচ্ছেন, আগামীতে সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু গত ১৫ বছর তো আপনিই মেয়র ছিলেন, সে সময় সমাধান হলো না কেন?’
বাকি মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ার পরের করণীয় নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কয়েকজন দর্শক কাউন্সিলর থাকা অবস্থায় আরিফুল হকের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন। এ সময় একজন পুরুষ দর্শক প্রশ্ন করেন, ‘সিটি করপোরেশন উন্নয়ন পরিকল্পনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আপনার অনেক সাফল্যের পাশাপাশি বেশকিছু ব্যর্থতাও ছিল। আমি সেগুলো নির্দিষ্ট করে বলছি না। আমার প্রশ্ন হলো, গতবার তিনি যেভাবে তার ১৮নং ওয়ার্ডকে উন্নয়নমূলক কাজ করে সাজিয়েছেন, আগামীতে মেয়র নির্বাচিত হলে কি তা পুরো নগরবাসীর জন্য করবেন?’
এর ঠিক পরেই আরেকজন পুরুষ আরিফকে লক্ষ করে বলেন, ‘নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আমরা আপনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখেছি। এখন প্রশ্ন হলো, মেয়র নির্বাচিত হলে তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কিনা?’
এর পরেই কামরান তার বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ পেলে দর্শকদের পক্ষ থেকে আরিফের প্রশংসার প্রতিবাদ করে বলেন, ‘১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে আরিফুল হক চৌধুরী সফল হলে আমি বদরউদ্দিন কামরানও একজন সফল মেয়র ছিলাম। কারণ আমি একজন সফল মেয়র ছিলাম বলেই তিনি সফল কাউন্সিলর হতে পেরেছেন।’
কামরানের এই বক্তব্যের পর তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়া হয় একজন মহিলা দর্শককে। ওই মহিলা তখন কামরানকে লক্ষ করে বলতে থাকেন, ‘আপনি গতবারের আগের বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আজকের আলোচ্য সব সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এরপর মেয়াদ শেষ হলে বলেছিলেন, তখন "বিএনপি ক্ষমতায় থাকার কারণে কোনো উন্নয়ন করতে পারিনি। সব কাজ আরিফুল হক চৌধুরী করে ফেলছে।" কিন্তু গতবার নির্বাচিত হওয়ার পর তো আপনার ডিজিটাল সরকার এখনও ক্ষমতায় আছে। এবারও তো কোনো সমস্যার সমাধান হলো না!’ এসময় বদর উদ্দিন কামরানকে বেশ বিব্রত দেখাচ্ছিলো।
০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৭
নয়ামুখ বলেছেন: এখানে হেফাজত পাইলেন কই?
কামরান সাহেব ১৫ বছর যাবত একই গান গেয়ে ভোট চাচ্ছেন। নগরবাসী জানে কামরান একটা জিনিষই ভালো পারেন, তা হলো ফিতা কাটা। সিলেটে গত ১৫ বছরে তিনি কি করেছেন তা সবাই জানে।
আপনার যদি জানতে হয় তবে সিলেটে আসুন। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কামরানের ইমেজ জেনে নিন।
০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৮
নয়ামুখ বলেছেন: আর হেফাজতের কথা বলছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে দু' একদিনের মধ্যেই শেখ হাসিনার কাছে হেফাজত আমীর আল্লামা আহমদ শফির সাথে শেখ হাসিনাকে বৈঠক করার অনুরোধ পাঠানো হচ্ছে।
২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৮
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার আগের পোস্টের সুত্র ধরেই হেফাজতের কথাটা এল (হেফাজতিরা কামরানের সাথে হাত মিলান নাই)
০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৬
নয়ামুখ বলেছেন: গত সোমবার রাতে জেলা আওয়ামীলীগের এক জরুরী সভা আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ানের বাসায় অনুস্ঠিত হয়। এতে হেফাজত সমস্যা সমাধানের জন্য আল্লামা আহমদ শফির সাথে বৈঠক করতে শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
৩| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৬
আস্তবাবা বলেছেন: এইবার চান্দু মিষ্টার ৩% ধরা খাবে ইনশাহ আল্লাহ
০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:২৭
নয়ামুখ বলেছেন: আগের ৩ বার কামরানকে ভোট দিলেও এবার আমি কামরানকে ভোট না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আমি চাই নতুন কেউ সিলেট নগরীর হাল ধরুক। আমরা গত ১৫ বছর ধরে কামরানের অনেক প্রতিস্রুতির কথা শুনেছি, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি।
৪| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৯
নষ্ট ছেলে বলেছেন: হেফাজতকে যে আওয়ামী লীগ ভয় পায় তার বড় প্রমাণ শফি হুজুরকে গ্রেফতার না করা!
০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:৩২
নয়ামুখ বলেছেন: গত সোমবার রাতে প্রায় আড়াইশো আলেম আরিফের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় ভ্রাম্যমান আদালত তাদের কাছ থেকে লিফলট কেড়ে নেয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আলেমদের প্রচারণা চালাতে বারন করেছে বলে স্বীকার করলেও লিফলেট কেড়ে নেয়ার কথা অস্বীকার করে। এই ব্যাপারটিও সাধারন ভোটারদের মাঝে প্রভাব ফেলছে।
৫| ০৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:০১
সুপারনোভা বলেছেন:
চারটি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভার্চুয়ালি ভোট দিন বিডিইলেকশন সাইটে
৬| ০৫ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৩৭
উপপাদ্য বলেছেন: আশা করছি এবার আরিফ ভাই পাশ করবেই।
এবার একটু হিসাব করি প্রথম নির্বাচনের কথা
এম এ হক ৩০,০০০
আ ফ ম কামাল ১৭,০০০
জামান ভাই ৫,০০০
সেলিম ভাই ৫,০০০
বিএনপি'র মোট ৫৭,০০০
এম এ হকের বিরুদ্ধে ছিলেন, ঈলিয়াস আলী, সেলিম, জামান, কামাল সাহেব সবাই।
আর কামরান সাহেব পেয়েছিলেন, ৭০,০০০ যার মধ্যে ৫০,০০০ হাজার হিন্দু ভোট। মুসলমানের ভোট পেয়েছেন মুলত ২০ কি ২৫ হাজার।
কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন এবার সিলেটে হিন্দি নির্যাতনে আওয়ামীদের বেশী বাড়াবাড়ির কারনে কামরান এবার হিন্দু ভোটও হারাবে।
সাথে হেফাজত ও জামায়াত জান দিয়ে খাটবে বলে আশা করছি।
সিলেটের রাজনীতিতে আরিফ ভাইকে আমি খুব লাকি একজন ব্যাক্তি বলে মনে করি। সাইফুর রহমান সাহেবের মৃত্যুর পর আরিফ ভাইয়ের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রায় জিরো হয়ে গিয়েছিলো। সেখান থেকে আজ সে প্রায় নির্বাচিত হয়েই গেছে বলা যায়। খবর এখনো পর্যন্ত ভালোই মনে হচ্ছে।
যদি ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং না হলে বিজয় সুনিশ্চিত বলা যায়।
০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
নয়ামুখ বলেছেন: এবারের হিসাবটা কিন্তু রাজনৈতিক হিসাব নয়। এবার মূলত: হিসাব হচ্ছে কামরানের ১৫ বছরের দেনা পাওনার হিসাব। সেই সাথে যোগ হয়েছে শাপলা চত্ত্বরে আলেম হত্যাকান্ড।
এটা বলা যায় এবার কামরান ভাই -'অরকির চিপায়' পড়েছেন।
৭| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৭:০৯
ভিটামিন সি বলেছেন: আমার নির্বাচণী ধারণায় ভাবছি একমাত্র খুলনায় লগি বৈঠার লীগ পার হবে। আর সব জায়গাতেই নৌকার তলা ফুটো হবে।
০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
নয়ামুখ বলেছেন: সিলেট ছাড়া বাকী ৩টা সম্পর্কে আমার স্পস্ট কোনো ধারনা নাই। যদি সম্ভব হয় আপডেট দিয়ে রাখবেন। প্লিজ।
৮| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
মায়াবীনি৬৫৪ বলেছেন: রাজশাহী , সিলেট এগুলো তে বিএনপি প্রার্থী বিশাল ব্যবধানে জিতবে ইনশাআল্লাহ । বাকিগুলোর খবর জানিনা । আর একটা কথা হেফাজতে ইসলাম তো কোন রাজনৈতিক নিবন্ধিত দল না ওরা যে কাউকে সাপোর্ট করতেই পারে । ভোট পাবেনা দেখে কিছু দালাল হেফাজতকে নিয়ে উল্টা পাল্টা কথা ছড়ায় । পোস্ট এ ++++++++++
০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
নয়ামুখ বলেছেন: গত সোমবার রাতে প্রায় আড়াইশো আলেম আরিফের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় ভ্রাম্যমান আদালত তাদের কাছ থেকে লিফলট কেড়ে নেয়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আলেমদের প্রচারণা চালাতে বারন করেছে বলে স্বীকার করলেও লিফলেট কেড়ে নেয়ার কথা অস্বীকার করে। এই ব্যাপারটিও সাধারন ভোটারদের মাঝে প্রভাব ফেলছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৪৯
কলাবাগান১ বলেছেন: দেশে শুধু হেফাজতিরাই ভোটার না...
আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত পুরুষ/মহিলা আছে (যারা ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ না)। আবার ভোটারের ৫০% মহিলা, যারা চাইবেন না আবার এই ধর্মান্ধরা কাধে চেপে বসুক।