![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৭১ এর ভূমিকার কারনে মুজাহিদ-সাকার প্রতি ন্যূনতম কোন করুনা নেই। প্রায়শ্চিত এভাবেই করতে হয়। এটাই সময়ের বদলা। নাগরিক হিসেবে এটাই আমার স্বস্তির কারন। একই সাথে অস্বস্থির বিরাট উপলক্ষ্য এনে দিলো স্বস্তিদাতারাই। মৃত লাশের সাথে এটা না করলেও হতো! মৃত্যু পথযাত্রী মুজাহিদ -সাকা কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মার্সি পিটিশন করবে-এটা ১ শতাংশ মানুষও বিশ্বাস করে না। সাধারন মানুষ হিসেবে এটা বুঝার চেষ্টা করি যে সরকার, সরকারী প্রতিষ্ঠান কোনভাবেই মুজাহিদ-সাকার বন্ধু নয়। সাক্ষাৎ যম। সেই যমের মাধ্যমেই মার্সি পিটিশন করা হাস্যকর! এটা হিপোক্রেসি!
-মুজাহিদ-সাকা পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীদের মাধ্যমে মার্সি পিটিশন করলে বিশ্বাসযোগ্য হতো।
-সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার মহামান্য রাষ্ট্রপতিও এই অসৎ প্রক্রিয়ার সাথে যেভাবেই হোক জড়িয়ে গেলেন!
- লোকে কোনটা বিশ্বাস করবে। মুজাহিদ-সাকার শত্রুরা বলছে মার্সি পিটিশন করেছে আর আর তাদের নিজ সন্তানরা বলছেন মার্সি পিটিশন করে নি। শত্রুর কথা না সন্তানের কথা?
আজ আইনমন্ত্রী বলছেনঃপ্রাণভিক্ষার আবেদন দেখাতে রাষ্ট্রপতির অনুমতি লাগবে। এই কথার মাধ্যমেই পরিস্কার লোকসমক্ষে কপি দেখানোর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এখানেই সরকারের নৈতিক পরাজয়। মানুষ স্বভাবতই লাশের কফিনের দিকে সিম্প্যাথি দেখায়। সরকারের এই আচরন-সেই সিম্প্যাথিকে আরো বাড়িয়ে ছাড়লো।
আমাদের সম্মানিত তথ্যমন্ত্রী স্বভাবসুলভ ভঙিমায় বলেছেনঃ প্রানভিক্ষা করা নিয়ে সন্দেহ করার সুযোগ নেই!
মানে কি? লোকজন ইনু সাহেবের কথার বিপরীত কথাই বিশ্বাস করতে চায় যে !
প্রানভিক্ষার আবেদন নিয়ে আইন সচিব বঙ্গভবনে যান ই নি, ঠিক তার আগেই কারা কর্তৃপক্ষ দুই পরিবারের সদস্যকে শেষ সাক্ষাতের আহবান জানালেন। ব্যাপারটি কি আইনের সাথে গেল?
মৃত্যু পথযাত্রী দু'জন ফাঁসির আসামীর সাথে এমনটি না করলে হতো না? এটা হিপোক্রসি না কনসান স্টুপিডিটি?
©somewhere in net ltd.