নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের সুপারহিরো ইউনিভার্স প্রায় সাড়ে ছয় বছর হতে চলেছে। ছয় সিজন বা ছয় মৌসুমে এখন পর্যন্ত এটি বাংলাদেশের ও দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড়ো গল্প সিরিজ। কিলিং ডিসেম্বর-৩ এর মাধ্যমে এভেঞ্জারের মতো ফেজ-৩ ও শেষ হলো। প্রায় ৬০ টিরও বেশি প্রধান চরিত্র ও গল্প উপন্যাস দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ইউনিভার্স। এর পুরো থিংকট্যাংক হলেন মুহাম্মদ রাগিব নিযাম। একাই তিনি ৭টি সিরিজ, ৫টি সুপারহিরো জোট, ৩ টি খলনায়ক জোট, ভিন্ন দুইটি পৃথিবী(দ্বিতীয় ও তৃতীয় পৃথিবী) এনেছেন।
পটভূমি
২০১৩ সালে “ব্লাডশট ডেডস্পট” দিয়ে যাত্রা শুরু হয় “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” ইউনিভার্সের। যদিও প্রথম দিকে এর নামকরণ হয় নি। ছাড়া ছাড়া ভাবে চরিত্রগুলি বের হতে শুরু করে। শুধু “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” দিয়েই সিরিজটি চালু হয়। একে একে ৭টি চরিত্র সে বছর প্রকাশ করা হয় নিজস্ব অরিজিন দিয়ে। পাহাড়, জুজু, মাটি, অঙ্গার, রশ্মি, ছায়া, যন্ত্র এই নামগুলোর প্রত্যেকটির নামের সাথে মানব যোগ করা হয়।
সে বছরেই “এজেন্টস অব ডি” নামে একটি সিরিজ আসে। এজেন্ট রণিনের সলো গল্প বা অরিজিনের পরেই রাগিব নিযাম আটটি গল্প প্রকাশ করেন। এজেন্টস অব ডি সিরিজের নকল মানুষ, ক্রোধ, অপারেশন গাজা উল্লেখযোগ্য। এখানে অপারেশন গাজায় অঙ্গারমানবের উপস্থিতিও দেখা গেছে।
২০১৪ সালে অল্প সংখ্যক গল্প বের হলেও(কপিমাস্টার, নার্ভমাস্টার, রানার, রেড ব্যটেলিয়ন সিরিজ) ২০১৫ তে উল্লেখযোগ্য চরিত্র যোগ হয় “বাংলাদেশের অতিমানবেরা” ইউনিভার্সে। অতন্দ্র প্রহরী, রাতের প্রহরী সে বছর প্রকাশ পায়। পরে ডিসির কিছু উল্লেখযোগ্য চরিত্র নন ক্যানন উপস্থিতি দিয়ে “দ্য রাইভাল নাইটস” নামে একটি গল্প আনেন যেখানে অতন্দ্র প্রহরী, রাতের প্রহরী, চাবুকি ও বাজের উপস্থিতি ছিলো। ক্রমানুসারে পরের বছর ২০১৫ থেকেই সকল টিম, সুপারহিরো নিয়ে মহাজোট “দুর্ধর্ষ সংঘ” এর একটি বার্ষিক একটি উপন্যাস সিরিজ রাগিব চালু করেন যার নাম কিলিং ডিসেম্বর। এই সিরিজটির এখন পর্যন্ত তিনটি প্রকাশনা মুক্তি পেয়েছে। সে বছরই দশবজ্র বা টেন ঠান্ডার সিরিজের সূচনা হয়।
২০১৬ সালে “রাতের প্রহরী”র সাথে সংযুক্ত দুটি জোটের সূচনা হয়। একটি গোপন সংঘ, আরেকটি প্রহরী কর্প। ২০১৭ সালে রানার চরিত্রটির প্রথম সংস্করণ অবলুপ্ত ঘোষণা করেন রাগিব নিযাম। এর কিছুদিনের ভেতরেই অধিক দ্রুতগতিসম্পন্ন রানার-২ এর সূচনা আনেন রেড ব্যটেলিয়ন সিরিজের একটি গল্পে। ২০১৭ সালে মুক্তি পায় কিলিং ডিসেম্বর-২ উপন্যাসটি।
২০১৮ সালে এজেন্টস অব ডি এর মোহ, জলমানব, রাতের প্রহরীর মরণপণ, গোপন সংঘের দহন, ভোল প্রকাশ পায়। এর পাশাপাশি রাগিব মাল্টিভার্সের আসার ইঙ্গিত দেন। অণুমানবের মৃত্যু হয় ও দ্বিতীয় অণুমানবের জন্ম হয় “মৃত্যু ও পুনরুত্থান” গল্পে। সাথে আসে ছায়ামানবের “ছায়াবৃত্ত” ও জুজুমানবের “আমিই জুজু” টাইটেলের গল্প।
কিলিং ডিসেম্বর-৩ বিলম্বিত করে পরের বছরে নেয়া হয়। এর সাথে ‘দ্বিতীয় পৃথিবী” নামে একটি সিরিজ ও এর সংযুক্তি হিসেবে টেন ঠান্ডার বা দশবজ্র সিরিজের গল্প আসে। রাগিব পরের বছর “তৃতীয় পৃথিবী” এর ঘোষণা দেন।
২০১৯ সালের বিশাল ১৫টি পর্বে কিলিং ডিসেম্বর-৩ প্রকাশিত হয়। রাগিবের সাড়ে ছয় বছরের সবচেয়ে বড় উপন্যাস ছিলো এটি। এখানে ভিনগ্রহের মহাখলনায়ক দাফকানকে আনা হয়। এর সাথে সাথে মৌসুম ছয়ের লোগো পালটানো হয় ও আরো তিনটি যথাক্রমে- মরচে, হিমাংশু ও নীহারিকা গল্পটি প্রকাশ করা হয়। এ বছরই কমিক আর্টিস্ট জুলকারনাইন মেহেদী ঘোষণা দেন রাগিবের সাথে কাজ করার। দেখা যাক দেশের সবচেয়ে বড় ফিকশনাল ইউনিভার্স কমিকে কিভাবে রূপ নেয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: রাগিব সাহেব একজন বুদ্ধিমান মানুষ। উনার কাজ সুন্দর।