নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ কোন মানুষ না, একজন পাগল-মানব।

জে এন হৃদয়০১

পাগল-মানবের ব্লগে স্বাগতম।

জে এন হৃদয়০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্পঃ ঘর-রহস্য

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২৫

ছোটগল্পঃ ঘর-রহস্য।
JN Hridoy (পাগল-মানব)







.
সুমন ও শিমুল প্রায় ৫ দিন ধরে চেস্টা করে, তাদের কলেজের দক্ষিণ প্রান্তের পরিত্যাক্ত ঘরটার তালা খুলতে পেরেছে।ঈদের বন্ধে কলেজ পুরোপুরি ফাঁকা, তবে বিকেলে কলেজ মাঠে ফুটবল খেলা হচ্ছে। বিকেলে তাই এদিকে কারও আসার সম্ভাবনাও নেই, দুঃসাহসী দুই বন্ধু একে একে ঘরে প্রবেশ করল।
.
.
কিন্তু একী! দরজা নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে গেল। মাঠের শব্দ এতদূর আসার কথা না। কিন্তু তারা অনেক মানুষের কথাবার্তা স্পষ্ট শুনতে পারছে, তারা কোন একটা বিপ্লবী সংগঠনের কর্মী হতে পারে।
.
.
কি হচ্ছে এসব! তারা দুজন তিন ঘন্টা চেস্টা করেও তালা খুলতে পারল না। দেয়ালে হেলান দিয়ে পা ছড়িয়ে দিল দুজন। কিছু একটা রহস্য আছেই, কিন্তু কি???
.
.
বাহিরে বৃষ্টি শুরু হল মনে হয়, প্রচন্ড বৃষ্টি। মেঘ ডাকার শব্দ কানে আসছে। আটকা পড়ার চার ঘন্টা হয়ে গেছে, সুমনের এনালগ ঘড়ির রেডিয়াম ডায়াল জানিয়ে দিল ৯ টা বাজে। তার মানে রাত হয়ে গেছে। বাহিরে আবার প্রচুর মানুষের আনাগোণা বোঝা যাচ্ছে, শিমুলের মনে হচ্ছে তারা দরজা খুলতেই এগিয়ে আসছে। কিন্তু দরজার সামনে, এগুতে পারছে না । একটু পরেই, সাধারণ শব্দগুলো আর্তনাদে পরিনত হল। দুই বন্ধু ভয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছে। এতটু পর সব থেমে, আবার শুরু হল, আবার থামল, সারারাত চলল এভাবে। ভোরের দিক, দুই বন্ধু গভীর ঘুমে তলিয়ে গেল। ঘুম ভাঙ্গার পরে, সুমন দেখল তার ঘড়িতে দশটা বাজে এবং শিমুলের মুখের উপর সকালের আলো পরেছে।
.
.
আরে, এটা তো সেই ঘরটা না, স্পষ্ট একটা ভাঙ্গা দরজা দেখা যাচ্ছে। এখান থেকেই আলো আসছে। শিমুলকে জাগিয়ে তারা দুজনে সেই ভাঙ্গা দরজা দিয়ে বের হল।
এবং আবিষ্কার করল, তারা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির আরেকটা পরিত্যাক্ত ঘর থেকে বের হল, কলেজ যাওয়ার পথেই প্রাচীরের এপাশ থেকে ঘরটা চোখে পড়ত ।
.
.
এরকম ১৭-১৮ ঘন্টা আটকা থাকার পর, উর্ধ্বশ্বাসে, নিজ নিজ বাড়ির পথে ছুটতে লাগল দুই বন্ধু। এখানে তাদের জন্য আরেকটা বিস্ময় অপেক্ষা করছিল।
.
.
বাড়ি পৌঁছে জানতে পারল, নিজেদের কাছে ১৭-১৮ ঘন্টা মনে হলেও, আসলে তাদের নিখোঁজ হওয়ার ৪৭ দিন পার হয়ে গেছে।
.
.
......সমাপ্ত......
.
.
.
পুনশ্চঃ গল্পের সুমন কিংবা শিমুলেরা ৪৭ দিন পর বাড়ি ফিরলেও, বাস্তবের শিমুলদের আর বাড়ি ফেরা হয় না। পরিত্যাক্ত ঘরগুলো, যুগ যুগ ধরে কৌতূহলের কারণ হবেই, তবুও কি ঘরগুলোকে সংষ্কার কিংবা, নতুন করে তৈরি করা যায় না????

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



শুভ ব্লগিং..................

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

জে এন হৃদয়০১ বলেছেন: ধন্যবাদ,,,,,

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

জে এন হৃদয়০১ বলেছেন: ধন্যবাদ,,,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.