নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন উদারতা দিয়ে বিশ্ব জয় করি।

যুবায়ের বিন রিয়াজ

হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।

যুবায়ের বিন রিয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

{চিকিৎসাশাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান (মুসলিম মনীষী-৬)} ইবনে সিনা

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯



তিনি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসাবিদ ওি দার্শনিক। চিকিৎসাশাস্ত্রে তার অসাধারণ অবদানের জন্য তাঁকে আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র ও চিকিৎসা প্রণালী এবং শল্য চিকিৎসার দিশারী মনে করা হয়। ইবনে সিনা ২৪ টি ছোট ও ২১ টি বড় গ্রন্থ রচনা করেছেন। কেউ কেউ তাঁর বই সংখ্যা শতাধিক বলে উল্লেখ করেছেন। চিকিৎসা বিষয়ে “কানুন ফিত তিব” গ্রন্থটি একটি অনবদ্য সৃষ্টি। চিকিৎসা বিষয়ে এর সমপর্যায়ের কোন গ্রন্থ আজ পর্যন্ত দেখা যায়না। ড. ওসলার এ গ্রন্থকে চিকিৎসাশাস্ত্রের বাইবেল বলে উল্লেখ করেছেন। চিকিৎসা সম্বন্ধীয় যাবতীয় তথ্যের আশ্চর্য রকম সমাবেশ থাকার কারণে গ্রন্থটিকে ইউনানী ও জারবী চিকিৎসাশাস্ত্রের বৃহৎ সংহতি বলা চলে।

মহান এই মানুষটির নাম হল ইবনে সিনা। তিনি আনুমানিক ৯৮০ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বরে বোখারার আফসেনা শহরের এক সরকারি কর্মচারীর ঘরে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই স্থানটি বর্তমানে উজবেকিস্তানের অন্তর্গত। তাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম সিতারা।

তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মাত্র দশ বছর বয়সে তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ মুখস্থ করেছিলেন। তাছাড়া সাহিত্য, ধমতত্ত্ব, ইউক্লিডের জ্যামিতি, এরিস্টটলের দশন, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং বীজগণিতে বুৎপত্তি লাভ করেন। মূলত কিডোর ইচ্ছায় তিনি আইন শাস্ত্রে অধ্যয়ন শেষে আঠারো বছর বয়সে গণিত ও চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। এতে তাঁর যথেষ্ট কৃতিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। এছাড়া দর্শন শাস্ত্রেও তিনি অধ্যয়ন করেন।

একটি ঘটনা:-

বুখারার সুলতান মাহমুদ এক কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেন। অনেক নামকরা চিকিৎসকগণ তার চিকিৎসা করলেন। কোন চিকিৎসায়ই তাঁর উপকার হলো না।

সে সময় তরুণ ইবনে সিনা রাজ দরবারে গিয়ে চিকৎসার অনুমতি চাইলেন। তাকে অনুমতি দেওয়া হল। তাঁর চিকিৎসায় সুলতান মাহমুদ আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠলেন।

সুলতান খুশী হয়ে তাকে পুরস্কৃত করতে চাইলে তিনি সুলতানের প্রিয় এক বিরাট গ্রন্থাগারে এসে পড়াশোনা করতে অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন। তখন সুলতান তাঁর সমগ্র গ্রন্থাগারের ভার তার উপর অপন করলেন।

হঠাৎ একদিন গ্রন্থাগারে আগুন লাগলে বিরোধীরা এটি ইবনে সিনার কাজ বলে অপপ্রচার চালাল। রাজা বিরোধীদের কথা কানে নিয়ে তাকে সেখান থেকে বিতাড়িত করলেন।

পরে তিনি বুখারা ছেড়ে খরজমে চলে যান। সেখানকার সুলতান তাঁকে রাজ চিকিৎসক নিয়োগ করেন।

খরজমের রাজদরবারে ইবনে সিনা আছেন এ কথা জানতে পেরে সুলতান মাহমুদ তাঁকে বুখারায় পাঠানোর জন্য খরজমের শাসকের কাছে দাবী করলেন। খরজমের শাসক ইবনে সিনাকে বুখারায় পাঠাতে চাইলে তিনি সে দাবী উপেক্ষা করলেন। এবং খরজম থেকে পালিয়ে গিয়ে ইরানে চলে গেলেন।

ইরানের রাজ দরবারে তিনি তাঁর পরিচয় দিলেন। এতে ইরানের বাদশাহ খুব খুশী হলেন। এবং তাকে সভাপন্ডিতে পদ দান করলেন।

অন্যদিকে সুলতান মাহমুদ ইবনে সিনার আচরনে ক্ষুদ্ধ হলেন। এবং তাকে বেঁধে আনার নিদেশ দিলেন।

এবারও ইবনে সিনা পালিয়ে গেলেন হামদানে। সেখানে তিনি প্রধান উজিরের পদ লাভ করেন। এখানে তিনি সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে দিনাতিপাত করতে লাগলেন। কিন্তু এখানেও সুখ স্থায়ী হলোনা। এক বিদেশীর আধিপত্য দেখে রাজপুরুষেরা ঈষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলেন। এই পযায়ে ইবনে সিনা বিরক্ত হয়ে উজিরের পদ ত্যাগ করে ইস্পাহানে চলে গেলেন। জীবনের শেষ দিন পযন্ত এখানেই তিনি জীবন কাটিয়ে দেন।

তিনি অনেক মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। সমসাময়িককালে তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ দার্শনিক ও রাজনীতিজ্ঞ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.