নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন উদারতা দিয়ে বিশ্ব জয় করি।

যুবায়ের বিন রিয়াজ

হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।

যুবায়ের বিন রিয়াজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণিত শাস্ত্রে মুসলমানদের অবদান- পর্ব -২ (মুসলিম মনীষী-৯) মূসা আল –খারিযমী

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭



গণিত শাস্ত্রে সর্বাধিক বিখ্যাত মনীষী হচ্ছেন, মুহাম্মাদ ইবনে মূসা আল- খারিযমী। তাঁকে বীজগণিত তথা গণিত শাস্ত্রের জনক বলা হয়। তিনি বিজ্ঞান বিষয়ক বহু ভারতীয় ও গ্রিক গ্রন্থ আরবীতে অনুবাদ করে মুসলমানদের বিজ্ঞান চর্চার পথ সুগম করে দিয়েছিলেন।

জ্যোতিষশাস্ত্র বিষয়ে সংস্কৃত ভাষায় রচিত “সিদ্ধান্ত” গ্রন্থটি তিনি আরবীতে অনুবাদ করেন। তিনি এবং তাঁর কয়েকজন ভূতত্ত্ববিদ সাথী মিলে “সূরত আল আরদ” বা বিশ্বের একটি বাস্তবরূপ প্রস্তুত করেছিলেন। এটাই পরবর্তীকালে বিশ্বের মানচিত্র অঙ্কনের মডেল হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। ভূগোলবিদগণ পৃথিবীকে যে সাতটি মহাদেশে বিভক্ত করেছেন তা খারিযমীর বর্ণিত সপ্ত ইকলীমের ভিত্তিতেই বিশ্বের মানচিত্র অঙ্কন, বিশ্বের পরিধি, অক্ষরেখা, দ্রাঘিমা এবং জ্যোতিবির্দ্যা ইত্যাদি ব্যাপারে তাঁর গবেষণালব্ধ জ্ঞানই পরবর্তীতে এ বিষয়ে পথিকৃতের কাজ করে।

বীজ গণিতের সর্ব প্রথম আবিষ্কারক আল-খারিযমী। এ বিষয়ে তাঁর রচিত “হিসাব আল্ –জাবর ওয়াল মুকাবিলাহ” গ্রন্থের নামানুসারে এ শাস্ত্রকে ইউরোপীয়রা “আলজেবরা” নামকরণ করে। খারিযমীর এ গ্রন্থে আট শতাধিক বিভিন্ন ধরনের উদাহরণ সন্নিবেশিত হয়। সমীকরণকে সমাধান করার প্রায় ছয়টি নিয়ম তিনি আবিষ্কার করেন। খারিযমীর গ্রন্থটি দ্বাদশ শতাব্দীতে ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়ে তখন থেকে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ ও প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে পঠিত হয়। পাটিগণিত বিষয়েও তিনি একটি বিখ্যাত গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, যা পরবর্তীতে ল্যাটিন ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। বর্তমান যুগ পর্যন্ত গণিতবিদ্যার যে উন্নয়ন এবং এর সহায়তায় বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যে উন্নতি ও আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে তাঁর মূলে আল্ –খারিযমীর উদ্ভাবিত গণিত বিষয়ক নীতিমালারই সবচেয়ে বেশী অবদান রয়েছে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.