![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।
ভূগোলশাস্ত্রে মুসলিম ভূগোলবিদদের অবদান যথেষ্ট। তাঁরাই সর্বপ্রথম ভৌগোলিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভূতত্ত্ব অনুশীলন এবং একে মর্যাদার আসন দান করেন। তাঁরা একটি 'সূরত আল আরদ' বা পৃথিবীর মানচিত্র তৈরী করেন। আল্-খারিযমী, আল্-মাসউদী, আল্-মুকাদ্দাসী, উমর খাইয়াম ও ইয়াকূত ইবনে আব্দুল্লাহ এ বিষয়ে সর্বাধিক উলেস্নখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
আল-খারিযমী
আল্-খারিযমী গ্রিক ভূগোলবিদ টলেমির গ্রন্থখানি অনুবাদ করেন। এবং তাঁর সঙ্গে একটি মানচিত্রও সংযোজন করেন। আল্-খারিযমী টলেমির অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা গ্রহণ করেন, তবে তিনি তাঁর সাথে মুসলিম দেশগুলোর বিবরণ পেশ করেছেন। আল।-খারিযমীর উদ্যোগে দুনিয়ার একটি বাস্তবরূপ তৈরী করা হয়, যা পরবর্তীকালে পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কনে নমুনা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আল্-খারিযমী পৃথিবীকে সপ্ত ইকলীম বা মন্ডলে ভাগ করেছিলেন। এ সূত্র ধরেই পরবর্তীকালে ভূগোলবিদগণ আবহাওয়ার তারতম্য অনুসারে পৃথিবীকে সাতটি মহাদেশে বিভক্ত করেন।
আল্-মুকাদ্দাসী
আল্-মুকাদ্দেসী "আহসান আল-তাকসীম ফীল-মারিফাতি আকালীম" নামে একটি বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। তিনি বিশ বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর গ্রন্থে তিনি সেসব দেশের ভৌগোলিক মূল্যবান তথ্যাদি তুলে ধরেন এবং এতে একটি মানচিত্র সংযোজন করেন।
উমর খাইয়াম
উমর খাইয়াম দীর্ঘদিন গবেষণা করে "আত তারিখুল জালালী" নামে একটি পঞ্জিকা উদ্ভাবন করেন। এ জন্য তিনি বিশ্ব ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। এটি ষোড়শ শতাব্দীতে পোপ গ্রেগরী কর্তৃক প্রবর্তিত পঞ্জিকার চেয়ে বেশি নির্ভূল ও উন্নতমানের।
ইয়াকূত ইবনে আব্দুল্লাহ
ইয়াকূত ইবনে আব্দুল্লাহর " আল-হামবীর 'মু'জামুল বুলদান" নামক গ্রন্থটি ভূগোলশাস্ত্রেও একটি প্রামান্য গ্রন্থ। এতে তিনি প্রত্যেক স্থানের ঐতিহাসিক, জাতি-তাত্ত্বিক ও প্রাকৃতিক বিষয়ের বিবরণ দিয়েছেন এবং ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঘটনাসমূহের ও উল্লেখ করেছেন।
©somewhere in net ltd.