![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।
না, না, আমি ভাত খাবনা। অনার্স, মাস্টার্স ও পি, এইচ, ডি না করা পর্যন্ত আমি ভাত খাবনা। সাত বছর হয়ে গেছে, আজ ও ভাত খাইনি সে। সে এখন পি, এইচ, ডি করছে। আশা করা যায় আর কিছুদিন পর -ই - সে ভাত খাবে। ভাত না খাওয়ার কি অদ্ভূত প্রতিজ্ঞা!
বলছিলাম- সূর্যমুখীর কথা। বাবা- মা'র একমাত্র মেয়ে সন্তান। জীবনে স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হয়ে নিজের জীবন ও বাবা-মা'র মুখকে সূর্যের মত উজ্জল করবে,মানুষের সেবা করবে। এস, এস, সি ও এইচ, এস, সি তে তাই কঠোর সাধনা করে এ+ পেয়েছিল। কিন্তু দু-দুবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়েও মেডিকেলে চান্স পাইনি মেয়েটি। দুঃখে ও কষ্টে তাই সে ভাত না খাওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছে।
পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন একটি কলেজে মেয়েটি অনার্সে ভর্তি হয়। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে সে কলেজ থেকেই সে ফার্স্ট ক্লাস রেজাল্ট নিয়ে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে।
কিছুদিন প্রাইভেট একটি ব্যাংকে জব করেছে সূর্যমূখী। এখন দেশের শীর্ষ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পি, এইচ,ডি করছে মেয়েটি। পি, এইচ, ডির সময় যত ফুরিয়ে যাচ্ছে, সূর্যমূখীর ভাত খাওয়ার দিন ততো ঘনিয়ে আসছে।
সূর্যমূখীর বাবা-মা, মেয়ের জন্য ভাত নিয়ে অপেক্ষা করছে। মেয়ে পি, এইচ, ডি শেষ করে নিজের ও সবার মূখকে উজ্জল করবে। আর সাথে সাথে কলিজার টুকরার সেই উজ্জলতম মুখে বাবা-মা আনন্দ অশ্রু সজল নয়নে ভাত তুলে দিবেন।
অনেক বছর পর সূর্যমূখী বাংলাদেশীদের প্রধান খাবারের স্বাদ নিবে। আর স্বপ্ন পূরণ করে নিজেকে আনন্দের সাগরে ভাসিয়ে দিবে।
সেদিন নিশ্চয় সূর্যমূখী মেডিকেলে চান্স না পাওয়ার দুঃখ ভূলে যাবে। মেডিকেলে চান্স না পাওয়ায় যে তার ডক্টর হওয়ার পথ সুগম করেছে, নিশ্চয় এ বিষয়টা সূর্যমূখী এতদিনে বুঝে গেছে।
আর ডক্টর (চিকিৎসক) না হতে পারলেও, সূর্যমূখী ডক্টর (পি, এইচ, ডি হোল্ডার) তো হয়েছে। নিশ্চয় এ ডক্টর (পি, এইচ, ডি) ওই ডক্টরের তুলনায় কোন অংশে কম নয়।
পড়াশুনা তো পড়াশুনা -ই -। যে কোন বিষয়ে ভালো করতে পারলে জীবনে সফলতা আসবেই।
©somewhere in net ltd.