![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।
হাতে তালি দিতে দিতে বলল- আমাদেরকে কিছু টাকা দেন। ধমক দিয়ে বললাম- সরেন,টাকা নাই। তারা বলল- কি ধমক দিলি ক্যান। বলেই, শরীরের কাপড় খুলে সবার সামনে আমাকে জড়িয়ে ধরল। আর বলতে লাগল- টাকা দিবি না হয় চু ...(বুঝে নিন) শুরু করুম। সম্মান বাঁচাতে দশ টাকা বের করে দিলাম। কিন্তু তারা নাছোড় বান্দা। দশ টাকায় হবেনা। আরও দরকার। অনেক বুঝানোর পর ত্রিশ টাকা দিয়ে মুক্তি পেলাম। যাওয়ার সময় ব্যাঙ্গ হেসে তারা আমার গালে হাত দিয়ে বলল- আহারে আমার লোলিপপটা রে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
বলছিলাম- হিজড়াদের কথা। ১০ জানুয়ারি ২০১৩ রাতে তারা আমাকে একলা পেয়ে আক্রমণ করে। তখন তাদের সাথে আমার উপরের ঘটনাটা ঘটে।
আমার জ্ঞান অনেক সীমিত। তাই বলতে পারবনা মানুষ কি কারনে হিজড়া হয়ে জন্ম গ্রহণ করে। তবে এক কথায় বলতে পারি, আল্লাহর ইচ্ছা তাই হিজড়ারা হিজড়া হয়ে জন্ম গ্রহণ করে। উচ্চ বিত্ত বা উচ্চ মধ্য বিত্ত পরিবারে হিজড়াদের খুব একটা দেখা যায়না। নিম্ন বিত্ত বা নিম্ন মধ্য বিত্ত শ্রেণীতেই এ সম্প্রদায়ের দেখা যায় অনেক বেশী। কারণ কি? আমি নিজেও আমার জ্ঞান স্বল্পতার কারণে জানিনা। হিজড়া হয়ে মানুষ কেন জন্ম নেয়,এবং কেন নিম্ন শ্রেণীতে এর দেখা বেশী মেলে। কেউ যদি তা জেনে থাকেন। নিজ আগ্রহে যদি আপনাদের কোন লেখায় তা প্রকাশ করেন, তাহলে আমি সহ অন্য অজ্ঞ ব্যক্তিরা উপকৃত হবেন বলে আশা রাখি।
তবে কারণ যাই হোক। তারাও তো মানুষ। কিন্তু তাদের নেই কোন মানুষের জীবন। দল বেঁধে তারা বিভিন্ন দোকানে যায় বা বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটক করে। লাজ-শরমের তোয়াক্কা না করে মানুষের সামনেই দুটা পয়সার জন্য মুহুর্তেই উলঙ্গ হয়ে যায়। এতে করে তারা সমাজে বেহায়া হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। আর মানুষও তাদের বেহায়াপনার কারনে বিব্রত হয়ে যায়। যখন- তখন মান –সম্মান হারায়। তাদের নেই কোন পড়াশুনা। নেই কোন সামাজিক অধিকার। তাদের নেই কোন আইন- বিচার। আহ কি মানবেতর জীবন তাদের! কোন মানুষের জীবন তো এরকম হতে পারেনা।
তারা ইচ্ছা করে হিজড়া হয়নি। আল্লাহ ই তাদের হিজড়া বানিয়েছেন। তাহলে কেন তাদের জীবন এত অভিশপ্ত, তারা কেন সমাজে এত হেয়। আমার ছোট মাথায় এর কোন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কিছুই ধরে না। দু কলম লেখতে মন চেয়েছে, তাই লেখলাম। আর মনে হয়েছে সমাজের মানুষের এবং সরকারের উচিৎ তাদেরকে মানুষের জীবন দান করা। একজন মানুষ হিসেবে সমাজের অন্যরা যে রাষ্ট্রীয় অধিকার ভোগ করে। তাদেরকেও সেই অধিকার প্রদান করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
প্রিয় পাঠক! আমার লেখা আমি লেখেছি। আমি দু কলম লেখার প্রয়োজনীয়তা মনে করেছি। আপনারাই আমার লেখার মূল্যায়ন বা অবমূল্যায়ন যা করার করবেন।
তবে আসুন, এ সম্প্রদায়ের জন্য কিছু করে, সমাজকে দায়মুক্ত করি।
©somewhere in net ltd.