![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।
মাথাটা তার আসমানে,পা দুটো মাটিতে। মাথায় তার বিশাল বিশাল চুল। সব চুল গুলো আমার সামনে ছড়িয়ে দিয়ে, আমার শরীরে গন্ধ বমি করে বলল- আমাকে তাড়া দিস... হে হে হে... আমাকে তাড়া দিস... হে হে হে ...দেখাব মজা।
একবার ঈদুল ফিতরের পর খাগড়াছড়িতে এক বন্ধুর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। বন্ধুর মায়ের হাতের বানানো মজার মজার খাবার খেলাম। গ্রামের সবার সাথে আনন্দ ফুর্তি করলাম । রাত হয়ে গেছে সবাই যার যার ঘরে ফিরে গেছে। অনেক দিন পরে গ্রামে গিয়েছি। তাই আনন্দের আতিশয্যে রাতের আকাশ দেখার জন্য ঘরের বাইরে বের হলাম।
আমাবস্যার রাত। ঘুটঘুটে অন্ধকার। আকাশ ভয়ঙ্কর কালো রূপ ধারণ করে আছে। কালো কুচকুচে একটা বিড়াল। চোখ দুটো হলুদ। আমার দিকে দৌড়িয়ে এসেছে। ভাবলাম- বিড়াল –ই-তো, তাড়া দিলে ভেগে যাবে। যেই না তাড়া দিতে গেলাম। ওমনি চোখের সামনে বিড়ালটা ভয়ঙ্কর এক পেত্নী হয়ে গেল। আর উপরের কথাগুলো আমাকে বলতে লাগল।
পেত্নী দেখতে অনেক ভয়ঙ্কর আগে শুনেছিলাম। কিন্তু কোন দিন বাস্তবে দেখিনি। আজ প্রথমে দেখলাম। জিন- প্রেত তাড়ানোর অনেক দুয়া আমার জানা আছে। কিন্তু তখন আর কিছুই মনে পড়ল না। আমি জোড়ে এক চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।
জ্ঞান ফিরলে দেখলাম- গ্রামের সব মানুষ আমাকে ঘিরে রেখেছে। কেউ মাথায় পানি ঢালছে। কেউ দোয়া পড়ছে। বন্ধুর বাবা-মা আমার পাশে পাথর হয়ে বসে আছে। কিছু মানুষ নিঃশব্দে কান্নাকাঁটি করছে। কবিরাজ ও আলেমরা আমাকে ঝার ফুঁক দিচ্ছে। আর আমি শুধু বলছিলাম- পেত...নি, পেত...নি, আর বার বার জ্ঞান হারাচ্ছিলাম।
এভাবে চার/ পাঁচ ঘণ্টা চলে। তারপর জ্ঞান স্বাভাবিক হয়। পরে- লম্বা একটা সময় ঘুমিয়ে থাকি। ঘুম থেকে ওঠার পরও নিজেকে অস্বাভাবিক, অস্বাভাবিক লাগছিল। খুব অস্বস্তি বোধ করছিলাম।
বিকেলে গ্রামের সব মানুষ আমার কাছে ছুটে আসল। সবাই উৎসুক হয়ে আমাকে ঘিরে বসল। জানতে চাচ্ছিল তখন কি হয়েছিল। আমিও সবাইকে ঘটনা খুলে বললাম। এরপর সময় নষ্ট না করে, আমাকে নিয়ে পরদিন –ই- সবাই ঢাকায় চলে এল।
ঢাকায় পৌঁছার পরও অনেক দিন ভঁয়ে ভঁয়ে ছিলাম। না জানি আবার পেত্নীটা ধরে কিনা। সেদিন রাতে ঘটে যাওয়া জীবনের এ অবিশ্বাস্য ঘটনা আজও আমার মনে পড়লে ঘুম হারাম হয়ে যায়।
ভাবছি- আরেকবার খাগড়াছড়ি যাব। যদি কোনভাবে পেত্নীটার দেখা মিলে, তবে সেদিন আমাকে ভঁয় দেখানোর একটা প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করব।
ইমেইলঃ- [email protected]
©somewhere in net ltd.