![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন : ২৪/১০/২০১৩
নাম আলি রেজা। ইরানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড। তা কার্যকরও করা হয়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে বেঁচে গেছেন তিনি। আর তাকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে ঝুলানোর প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। তবে এখন তার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন দেশটির বিচার বিভাগ।
দেশটির বিচারমন্ত্রীর উদ্ধৃতির বরাত দিয়ে গতকাল বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইরানের বিচারমন্ত্রী মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি বলেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরও কোনো দণ্ডিত ব্যক্তি বেঁচে গেলে তাকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে ঝুলানোর কোনো প্রয়োজন নেই। আলি রেজা প্রসঙ্গে বিচারমন্ত্রী আরও বলেন, বেঁচে যাওয়া ওই ব্যক্তিকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে তা ইরানের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর হবে। ইরানের বিচার বিভাগের ওপর দেশটির সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই আলি রেজার ভাগ্য দেশটির বিচার বিভাগই নির্ধারণ করবেন। মাদক মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৩৭ বছর বয়সী আলি রেজাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দেন দেশটির আদালত। গত সপ্তাহে তার দণ্ড কার্যকর করা হয়। ফাঁসির দড়িতে ১২ মিনিট ঝুলে ছিলেন তিনি। চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ নেওয়া হয় কারাগারের মর্গে। দণ্ড কার্যকরের পরদিন পরিবারের সদস্যরা লাশ আনতে মর্গে যান। সেখানে গিয়ে তারা আলি রেজাকে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দেখেন। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাকে কড়া নিরাপত্তায় সেখানে রাখা হয়েছে। তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে কোমায় রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আলি রেজাকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে ঝুলানো হবে বলে খবর বের হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে দ্বিতীয় দফায় ফাঁসিতে না ঝুলানোর জন্য ইরান সরকারের কাছে অনুরোধ জানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। দ্বিতীয় দফায় ফাঁসির কাষ্ঠে যাওয়া থেকে রেজাকে বাঁচাতে তার আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির কাছেও ছুটে গেছেন।
©somewhere in net ltd.