![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।
ধনী-গরিব, সাদা-কালো, বড়-ছোট সব দেশেই কফি একটি জনপ্রিয় পানীয়। কফির রয়েছে বহুমাত্রিক গুণ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কফি প্রস্তুতকারক কোম্পানি স্টারবার্ক। কোম্পানিটির ২০ হাজার ৮৯১টি কফি স্টোরের মধ্যে কেবল আমেরিকাতেই ১৩ হাজার ২৭৯টি। এক জরিপে দেখা গেছে, ১৮ বা এর বেশি বয়সের ৫৪ ভাগ আমেরিকান প্রতিদিন কফি পান করেন। প্রতিদিন কফি পানে দেহের ত্বক ক্যান্সার প্রতিরোধ, মস্তিষ্কের সুস্থতাসহ বিভিন্ন উপকার হয়ে থাকে। ২০০৫ সালে এক জরিপে দেখা গেছে, কফির মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর কোনো খাবারে নেই। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইঁদুরের মস্তিষ্কের ওপর চালানো এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, নিদ্রাহীনতার ফলে মস্তিষ্কে যে চাপের সৃষ্টি হয় কফি তা লাঘবে সাহায্য করে। বিজ্ঞানবিষয়ক সায়েন্স ডেইলি জানায়, পার্কিনসন রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা কফি পানে উপকৃত হতে পারেন। নিয়মিত কফি পান করলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা যারা কফি পান করেন না তাদের তুলনায় কম। ২০০৬ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন কফি পান করেন তাদের লিভার সিরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা ২০ ভাগ কম। ২২ বছরের ঊর্ধ্বে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষের ওপর ওই গবেষণা চালানো হয়েছিল। যারা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করে থাকেন তাদের লিভার সিরোসিস হওয়ার জোর সম্ভাবনা থাকে। নন অ্যালকোহলিক ব্যক্তিদেরও রোগ নির্মূলে কফি সাহায্য করে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এক পরীক্ষায় প্রমাণ করেছে, যারা দৈনিক চার বা ততধিক কাপ কফি পান করেন তাদের বিষণ্নতা হওয়ার সম্ভাবনা যারা কখনো পান করেননি তাদের চেয়ে ১০ ভাগ কম। কফিতে ক্যাফেইন নামে এক প্রকার উপাদান থাকার কারণেই এটি সম্ভব। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন দু-চার কাপ কফি পান করলে ছেলেদের আত্দহত্যার ঝুঁকি হ্রাস পায়। আর মেয়েদের অর্ধেকে নেমে আসে। ব্রাইহাম অ্যান্ড উইমেন হসপিটাল অ্যান্ড হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল ২০ বছরের বেশি বয়সী লক্ষাধিক নারী-পুরুষের ওপর এক গবেষণায় দেখিয়েছে, যেসব মেয়ে দৈনিক তিন বা ততধিক কাপ কফি পান করেন তাদের ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভালো অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্সের জন্য মাঠে নামার আগে এক কাপ কফি ওষুধের মতো কাজ করে। আর এটি দৌড় বা সাইক্লিংয়ের মতো খেলার জন্য খুবই কার্যকর। কফির ক্যাফেইন রক্তে ফ্যাটি এসিডের সৃষ্টি করে, যা অ্যাথলেটের মাংসপেশি শোষণ করে বা পুড়িয়ে শক্তি তৈরি করে। তাই ফাইনালের চূড়ান্ত বাঁশি বাজার আগে দেহে কার্বোহাইড্রেট সঞ্চয় করে কফি অ্যাথলেটদের সাহায্য করে। দি আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে চার বা এর বেশি কাপ কফি পান করেন, তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার শঙ্কা ৫০ ভাগ কমে যায়। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডা এবং ইউনিভার্সিটি অব মিয়ামির গবেষকরা প্রমাণ করেছেন, কফিতে ক্যাফেইন স্মৃতিভ্রষ্টতা বা অ্যালঝেইমার্স প্রতিরোধ করে। ৬৫ বা এর বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, দৈনিক তিন কাপ কফি খাওয়ার কারণে মনে রাখার ক্ষমতা বেড়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার একজন স্নায়ুবিজ্ঞানী বলেন, বলছি না কফি পানে আলঝেইমার্স রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া যাবে। তবে পরিমিত কফি পানে আলঝেইমার্স হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। সিএনএন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কফি বুদ্ধিকেও কিছুটা শাণিত করতে পারে।
সুত্রঃ- বাংলাদেশ প্রতিদিন
২৩/১০/২০১৩
©somewhere in net ltd.